নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছি! Manos, তুমি এত্ত খারাপ?

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:২৬


শিরোনাম দেখে হয়তো ভাবছেন সামুতে কোথা থেকে এক মুরাদ টাকলা এসেছে, যে বাংলিশে মানুষ লিখতে গিয়ে Manos লিখে ফেলেছে! আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাই, এটা ‘মানুষ’ না, এবং বাংলিশও না। Manos হলো একটি স্প্যানিশ শব্দ। এর অর্থ- হাত। আর এত ইতং বিতং করে যার কথা বলতে চাচ্ছি, তা হলো একটি সিনেমা। একটি বিশেষ সিনেমা। তার পুরো নাম, “Manos, The Hands of fate”।

সিনেমার নামের ভেতরেই কিন্তু ঝামেলা আছে, খেয়াল করেছেন? Manos অর্থও হাত, hand অর্থও হাত। তাহলে যদি ছবিটির নামের বাংলা তরজমা করতে যাই, কী দাঁড়াবে? “হাত, ভাগ্যের হাতটি”! পুনরাবৃত্তি দোষে দুষ্ট!

সে আর এমন কী, এর ভেতরে যা আছে তা জানলে এই সামান্য দোষকেও নিখুঁত শিল্পকর্ম মনে হবে।

বুঝতেই পারছেন, আজ বেশ রসিয়ে বলার মুডে আছি! তা বলার আগে কিছু খটমট তথ্য জানিয়ে রাখি। “Manos, The Hands of fate” একটি আমেরিকান ‘ভৌতিক’ চলচ্চিত্র। এটি মুক্তি পায় ১৯৬৬ সালে। এর পরিচালক হ্যাল ওয়ারেন।

কাহিনী সংক্ষেপ-একটি পরিবার (বাবা, মা এবং বাচ্চা মেয়ে) গাড়ি করে কোথাও যাচ্ছিলো। দুর্ভাগ্যক্রমে পথ হারিয়ে ফেললো। ঘুরতে ঘুরতে চলে এলো এক পোড়োবাড়ির সামনে। সেখানে এক অদ্ভুতদর্শন লোকের কাছে আশ্রয় চাইলো। নানা বাহানা শেষে তাদের আশ্রয় দেয়া হলো বটে, তবে তারা পড়লো এক প্রেতসাধক প্রভুর পাল্লায়, যার কি না ছ ছ’টা নাদুসনুদুস স্ত্রী। এদের কবলে পড়ে পরিবারটির দুর্গতির সীমা রইলো না। মোটামুটি এই হলো কাহিনী। এখন আসুন জেনে নেই, কেন এত মুভি থাকতে একে নিয়ে আয়োজন করে লিখতে বসলাম।

“Your eyes and ears will BLEED!”

এমনটাই মন্তব্য একজন মুভি রিভিউকারীর। এই সিনেমা সম্পর্কে এক কথায় এর চেয়ে যুৎসই মন্তব্য আর হয় না!

আচ্ছা, আপনি কি আলিফ লায়লা দেখেছেন? ঐ যে বিটিভিতে প্রতি শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় প্রচারিত হতো? অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণ, বাজে অভিনয়, উদ্ভট মেক আপ, প্রলম্বিত হাস্যদৃশ্য সব মিলিয়ে একটা টোটাল বিনোদন প্যাকেজ ছিলো। এই ধরনের প্রোডাকশনগুলিকে বলা হয় “So bad, that it is good”. কিন্তু Manos? এটিও একটি বাজে ছবি। কিন্তু বাজেরও তো একটা রকম থাকে। খারাপ, খুব খারাপ, এত খারাপ যে হাসিই আসে দেখতে- কোনোভাবেই এর নিম্নমানকে সংজ্ঞায়িত করা যায় না। খারাপের সমস্ত সংজ্ঞাকে সপাটে সরিয়ে দিয়ে এটি উঠে গেছে (নাকি নেমে গেছে?) এক অনন্য মাত্রায়, যার কোনো তুলনাই চলে না।

হ্যাঁ, এই সিনেমাটি “সর্বকালের সবচেয়ে নিকৃষ্ট সিনেমা” হিসেবে বলতে গেলে প্রায় সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

কেন? কতখানি খারাপ হতে পারে একটি ‘সিনেমা’? সামান্য কিছু ইঙ্গিত দেবো এখানে, কারণ পুরোটা বলতে গেলে বিশাল এক বই হয়ে যাবে।

সিনেমার শুরুতে রয়েছে এক অন্তহীন গাড়ি চালানোর দৃশ্য। রাস্তা ধরে গাড়ি এগিয়ে যাচ্ছে। যাচ্ছে তো যাচ্ছেই, আর কিছুই ঘটছে না। কোনো সংলাপ, কোনো ঘটনা, না কিচ্ছুই নেই! ঘটনা কী? ঘটনা খুবই সিম্পল। পরিচালক মহাশয় ভেবেছিলেন শুরুতে নাম দেখাবেন, কিন্তু এডিটিংয়ের সময় তা দিব্যি ভুলে গিয়েছিলেন। যার ফলে জন্ম নিয়েছে এই অন্তহীন পথ পরিক্রমার অদ্ভূতুড়ে দৃশ্য!

তো, একসময় এই পথ চলার দৃশ্য শেষ হয়। তারপর কোথা থেকে যেন আবির্ভূত হয় চুম্বনরত এক যুগল। কেন, কোথা থেকে, তার কোনো উত্তর নেই। পুরো সিনেমাটিতে বেশ কয়েকবারই অকারণে এই চুম্বনরত যুগলকে দেখানো হয়েছে। কী জন্যে কে জানে!

আর অভিনয়? অভিনয় বলে কি আদৌ কিছু ছিলো এই মুভিতে? নেই কোন এক্সপ্রেশন, নেই কোন সিনক্রোনাইজেশন, একজন যখন সংলাপ বলে, অন্যজন তখন মূর্তির মত তাকিয়ে থাকে। দেখা গেলো যে অন্যজনের ওপর যখন ক্যামেরা ধরা হয়েছে, সে খেয়ালই করে নি, চুপ করে আছে দিব্যি। ক্যামেরম্যান তথা পরিচালকেরও তাতে কোনো আপত্তি নেই। যেমন চলছে চলুক না! এইভাবে এগোয় মুভিটা। কতক্ষণ দেখতে পারবেন আপনি? যাই হোক বেশিক্ষণ না গাড়ি চলতে চলতে পথ হারাতে হারাতে অবশেষে ১৪তম মিনিটে আমরা পেয়ে যাই আমাদের প্রথম সাসপেন্সে, একটি পোড়ো বাড়িতে চলে আসি।



সেখানে থাকে এক অদ্ভুত দেখতে খোরা লোক, বক্রাকৃতির লাঠি হাতে আর ঝোলানো হ্যাট পরে। বাকিদের এক্সপ্রেশনের অভাব সে মাশাল্লাহ একাই পূরণ করে দিয়েছে। তার শরীরে, চলায়, বলায় বয়ে যায় মহাসাগরের ঢেউ, এতটাই ওয়েভি! আর সে যখন সংলাপ দেয়, মনে হয় একসাথে কয়েকজন কয়েকরকম ভোকাল কর্ড ব্যবহার করছে।

তার নাম হলো টর্গো। এই সিনেমার সবচেয়ে “জনপ্রিয়” চরিত্র। কথা কিন্তু মিথ্যা না, Torgo লিখে গুগলিং করেই দেখুন না!


গুগল করে পাওয়া!
এই সিনেমার সবচেয়ে “বিখ্যাত” দৃশ্যগুলোর একটি হলো, “দ্যা মাস্টার উইল নট এ্যাপ্রুভ”।

পরিবারটি যখন পথ হারিয়ে আলোর দিশা পায় পোড়োবাড়িতে টর্গোকে দেখে, তখন তারা এক রাতের জন্যে আশ্রয় চায় সেখানে। দৃশ্যটি এরকম,

ভদ্রলোক আশ্রয় চাচ্ছেন,
-We could spend the night here.
টর্গোর জবাব- There is no way out of here. It will be dark soon. There is no way out of here.
দম্পতি- No way out here?
(দীর্ঘ নীরবতা)
-It will be dark soon.
(ভাবলেশহীন চোখে তাকিয়ে থাকা)
-No way out of here.

এরপর ভদ্রলোক টর্গোকে প্রলুব্ধ করেন এই বলে যে বাড়ির মালিক নিশ্চয়ই তাদের তাড়িয়ে দেবেন না!

হঠাৎ কী জন্যে যেন সাসপেন্সফুল মিউজিক বেজে ওঠে, আর টর্গো তার বিখ্যাত উচ্চারণে জানিয়ে দেয়,

-The master will not approve.

এই অল্প কটি সংলাপের পুনরাবৃত্তি দিয়ে পুরো দুই মিনিট কাবার। ভাবা যায়!

এরপর আর কী, তারা আশ্রয় পায়, এবং টিপিক্যাল সব ভুতুড়ে ঘটনা ঘটতে থাকে। দ্যা মাস্টার এসে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করতে চেষ্টা করেন, এবং…

তারপর যা ঘটে তা খুব টিপিক্যাল নয়। তার ছয় স্ত্রী ঈর্ষান্বিত হয়ে নাইট গাউন পরে একে অপরের সাথে কুস্তি করতে থাকে। হ্যাঁ, সত্যি এমন একটি দৃশ্য আসলেই আছে!

এই সিনেমাটি ১৯৬৬ সালে রিলিজ পাবার পর টেক্সাসের ছোট্ট একটি শহরের কিছু হলে মুক্তি পায়, এবং দর্শকরা হতভম্ব হয়ে যায় দেখে। এতটা বাজে কী করে হতে পারে একটা মুভি! তাদের টিটকারি, টিপ্পনিতে তা হল কর্তৃপক্ষ নামিয়ে দেয় সহসাই। হয়তো বা তা কালের গর্ভে হারিয়ে যেতো, কিন্তু ১৯৯৩ সালে আবার এর পুনর্জাগরণ ঘটে।

আমেরিকার একটি বিখ্যাত টিভি শো আছে, Mystery Science Theater 3000 (MST3K); এখানে দুনিয়ার যত আজেবাজে মুভি আছে সবগুলিকে প্রেজেন্টেবল উপায়ে দেখানো হয়। তারা কীভাবে যেন ম্যানোস এর সন্ধান পায়, তারপর যথাযথ ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ সহকারে প্রচার করে। এরপরে ছবিটির “জনপ্রিয়তা” দ্রুত বৃদ্ধি পায়, ডিভিডি চলে আসে, এবং এক সময়ে তা IMDB Bottom List এ ১ নাম্বারে চলে আসে। দীর্ঘদিন এই অবস্থান ধরে রাখে। তবে কিছু অতিউৎসাহী “ভক্তের” ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে এটি তার অবস্থান হারিয়ে বর্তমানে ৫-এ আছে।

কিছু তথ্য-

পুরো সিনেমাটি ধারণ করা হয় একটি হ্যান্ডহেল্ড ক্যামেরা দিয়ে, যা মাত্র ৩২ সেকেন্ড চিত্র ধারণ করতে পারতো।
সিনেমার প্রিমিয়ারে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা দ্রুত হল ত্যাগ করেন লজ্জিত হয়ে, এবং আর কখনই এই সিনেমার সাথে সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করতে চাননি।
যে ক্যামেরাটিতে ধারণ করা হয়, তাতে শব্দগ্রহণের সুবিধে ছিলো না। ডাবিংয়ের সময় মাত্র দুজন সকল চরিত্রের সংলাপ বলেন।
চুম্বন চরিত্রে অভিনয় করা মেয়েটির পা ভেঙে গিয়েছিল শুটিংয়ের সময়। তাই তাকে একটা পার্ট দেয়ার জন্যে গাড়িতে কয়েকবার বসে চুমা-চাট্টি করার সুযোগ দেয়া হয়!
ধারণা করা হয় টর্গো চরিত্রে অভিনয়কারী পুরো সিনেমাটিতে এলএসডি নিয়ে অভিনয় করেছেন। যার ফলে এই অভাবনীয় বাজে অভিনয়ের জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন!
২০০৪ সালে কেন এই ছবি তৈরি হলো তার কারণ অনুসন্ধানে ব্রত হয়ে একজন কানাডিয়ান ফিল্মমেকার “Hotel torgo” নামে একটি ডকুমেন্টারি বানান।
And the list goes on…
প্রথম প্রকাশ- এগিয়ে চলো ডট কম

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:২২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মজার এক ছবির রিভিউ পড়লাম =p~

১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: মজার? পুরাটা দেখতে পারবেন?

২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:২৬

তোমার জন্য মিনতি বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে। দেখবো আজই যদি ইউটিউবে পাই।

১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আছে ইউটিউবে।

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:২৭

জেন রসি বলেছেন: এই পরিচালকের অন্য মুভিগুলোও কি একই টাইপ? নাকি এটা তার বিশেষ কোন এক্সপেরিমেন্টাল কাজ?

১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা তার একমাত্র কাজ। সে এটা নিয়ে গর্বিত।

৪| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:১৪

কল্লোল পথিক বলেছেন:






মুভি রিভিউ পড়লাম।

১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।

৫| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এত্ত বাজে ছবি দেখলেন আপনি ভাইয়া!

১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, আমার হজমশক্তি সেইরকম!

৬| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ছবিটি দেখিনি। তবে আমাকে জুতাপেটা করলেও এই ছবি দেখবো না।

১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: MST3K version দেখতে পারেন। মজা পাবেন।

৭| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৫

আল ইফরান বলেছেন: মাঝে মধ্যে এই ধরনের বটম-লিস্টেড মুভি দেখতে হয়, এটলিস্ট ভালো মুভির তাৎপর্য বোঝার জন্য হলেও। :-B

১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: খাডি কথা কইছেন।

৮| ১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪১

সুমন কর বলেছেন: হাহাহা......মজার মুভির রিভিউ লিখেছেন। +

এই সিনেমাটি “সর্বকালের সবচেয়ে নিকৃষ্ট সিনেমা” হিসেবে বলতে গেলে প্রায় সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। -- তাই এ্ই মুভি আমি দেখুম না। :((

১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: উত্তম সিদ্ধান্ত!

৯| ১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

শায়মা বলেছেন: হা হা পৃথিবীর নিকৃষ্টতম সিনেমা হলেও এই রিভিউ পড়ে মানুষ দেখতে চাইবেই ! :)

১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও এই ট্র্যাপে পইড়াই দেখসি! আপনি দেখবেন?

১০| ১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ দেখবো তারপর বমি বমি রিভিউ লিখে দেবো ! :)

১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: MST3K ভার্শনটা দেইখেন পারলে।

১১| ১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

শায়মা বলেছেন: ওকে তাই হবে ! :)

১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: :-/

১২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: এই মুভি আমি দেখব না।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আরে দেখেন না একটু কষ্ট করে!

১৩| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:২০

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: পরিচালক এখনো বাইচ্চা আছেন ? আল্লা এই মুভি দেখার আগে দড়ি ফালাইয়ো, আমা বায়া উডি যামু ..........

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: না, তিনি অনেক আগেই মারা গেছেন।

১৪| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:২৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ছবিটা দেখতে হবে ।। ধন্যবাদ ভাই।

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

১৫| ১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮

শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা, দুনিয়াতে যে কত কিছু অজানা এখনো! রিভিউ পড়ে বেশ মজা পেলাম।

১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখে ফেলেন, আরো মজা পাবেন :-/

১৬| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:০৬

সোহানী বলেছেন: সম্ভবত এই ছবির অনুকরনে বাংলায় একটা নাটক হয়েছিল অনেক আগে .. আফজাল বা আসাদ ও সিডনী অভিনয় করেছিল। তখন সেটি খুব জনপ্রিয় হয়েছিল ও ভালোলেগেছিল।

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: এরকম হবার কথা না সোহানী।

১৭| ১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

হাসান রাজু বলেছেন: 2001: A Space Odyssey সিনেমাটি দেখেছিলাম, যেখানে স্পেস শিপের অন্তহীন ভুউউউউউউ ............. এক উদ্ভট শব্দে বিরক্ত হয়েছি । এবার এক অন্তহীন গাড়ি চালানোর দৃশ্য দেখে বিরক্ত হতে চাচ্ছি ।

সিনেমা পাওয়া গেছে । এই অখাদ্যটা খাওয়ানোর ভালই ফাঁদ পেতেছেন । আমি ফাঁদে পড়েছি। সেলিব্রেট করে নিন ।

১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: 2001: A Space Odyssey আরেকবার দেইখেন :|

১৮| ১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

হাসান রাজু বলেছেন: 2001: A Space Odyssey একটা সিনেমা যেইটা দেখার পর চরম বিরক্ত হয়েছিলাম । এতো স্লো বলে ।
কিন্তু আজো ঐ সিনেমার রেষ রয়ে গেছে । আর সেই রেষটাও খুবই স্লো পয়জনের মত মাথায় ঢুকেছে । বলবো এখনো ঢুকছে । একটা বিরক্তিকর সিনেমা কিভাবে ভালো লাগে ( তা ও সিনেমা দেখার পর থেকে) তার প্রমান 2001: A Space Odyssey।
আবার দেখবো অন্তত আরও ৩/৪ বছর পরে। রেষটা কাটাতে চাই না ।
ভালো থাকবেন ।

১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক আছে। ধন্যবাদ।

১৯| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ২:২৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: রিভিউ পড়ে বাজে ছবিটা দেখার ইচ্ছা রইলো।

২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখার পর আমাকে শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করেন না :|

২০| ২২ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

আমিই মিসির আলী বলেছেন: দেইখা সময় নষ্ট হইলো বইলাই কি রিভিউ পড়াইয়া সময় নষ্ট করাইলেন! জানেনই যখন সবই বাজে!

২২ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা অন্য লেভেলের বাজে।

২১| ২২ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২১

নীলপরি বলেছেন: বাজেটাকে দারুন করে লিখেছেন ।:)

আমিও ভালো ছবি ভেবে সম্প্রতি এরকমই কতো নিকৃষ্ট হওয়া যায় তেমন একটা মুভি দেখলাম ।

২২ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: কী ছবি?

২২| ২২ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৪

অচিন্ত্য বলেছেন: বাহ চমৎকার। মন মেজাজ খারাপ থাকলে এটা দেখা যেতে পারে। কোথায় পাওয়া যাবে ?

২২ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: তুমিনল।

২৩| ২২ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২০

অচিন্ত্য বলেছেন: তুমিনল- এটা আবার কী

২২ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: Youtube.

২৪| ২২ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

রক বেনন বলেছেন: হাসান ভাই, VANTAGE POINT মুভিটা দেখতে পারেন। পুরো মুভিটাতে ৮ টি পয়েন্ট যাতে রয়েছে ৮ টি ভিন্ন ভিন্ন ক্যারেক্টা্র। প্রত্যেকটি ক্যারেক্টার স্বতন্ত্র, আলাদা আবার প্রত্যেকটি ক্যারেক্টার ই একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সব থেকে বড় ব্যাপার হলো যেখানে অন্য সকল মুভি সামনে থেকে আরও সামনে আগায়, সেখানে এই মুভিতে দেখবেন সামনে থেকে পেছনে যাচ্ছে অর্থাৎ ফ্ল্যাশব্যাক। আমি নিশ্চিত, এই মুভিটা দেখতে বসলে এক বসায় দেখে শেষ না করে উঠতে মন চাইবে না।

২২ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ওকে, লিস্টেড।

২৫| ২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

ওমেরা বলেছেন: খারাপ জিনিস ও মানুষ বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে কিনে তেমনি বাজে মুভিটাও দেখার ইচ্ছা জাগল আপনার রিভিউ পড়ে ।

২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আগ্রহ জাগাতে পেরে আনন্দিত হলাম।

২৬| ২৬ শে জুন, ২০১৭ রাত ২:২০

হাসান রাজু বলেছেন: দেখলাম। "খোরা লোক, বক্রাকৃতির লাঠি হাতে আর ঝোলানো হ্যাট পরে। বাকিদের এক্সপ্রেশনের অভাব সে মাশাল্লাহ একাই পূরণ করে দিয়েছে। " যেমনটি বলেছেন।

পুলিশের দায়িত্ব জ্ঞান সব সময় রোমান্স বিরোধী। পুলিশ আর চুম্মাবাজ কাপল কি কাজে এখানে! জাতি জানবার চায়?

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি দেখসেন তাহলে!

২৭| ২৭ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৫

এখওয়ানআখী বলেছেন: এরকম ছবি আরো বানানো দরকার, তাতে আপনার রিভিউ্য়ে সুবিধা হবে। সময় নষ্ট করানোর জন্য ধন্যবাদ।

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২৮| ২৭ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

পিকাচু বলেছেন:
আই ওয়ান্টেড টু পোস্ট এ কমেন্ট অ্যাবাউট দ্যা মুভি, বাট দ্যা মাস্টার ডিড নট অ্যাপ্রুভ! :-&

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: No way out of here.

২৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯

নীলপরি বলেছেন: বেগমজান । কাল এই ছবি নিয়ে একটা পোষ্টও দিয়েছি । আপনার এই পোষ্ট দেখেই সেটা দেওয়ার অনুপ্রেরণা পেলাম । :)

০১ লা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: যাচ্ছি এখনই।

৩০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২২

আবিদা সিদ্দিকী বলেছেন: হা হা হা! মন ভালো করা রিভিউ। "মন ভালো করা" এই অর্থে যে লেখাটা পড়েছি অনেক সময় নিয়ে এবং পড়েছি হেসেছি পড়েছি হেসেছি, মন ঝরঝরে হয়ে গেল হাসতে হাসতে। এই মুভির ২/৩টা দৃশ্য অনেকদিন আগে দেখেছিলাম, পরিবারটি টর্গোর কাছে রাত কাটানোর ব্যাপারে কথা বলছে ওই জায়গাটা, হরর বলেই দেখিনি, জানতামই না এটা এতোসব কাণ্ডকারখানার মুভি। তবে লেখাটা শেষ করার পর কেন জানি মুভিটা দেখতে খুব ইচ্ছে করছে :)

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার এই ধরনের মুভির প্রতি বেশ আগ্রহ আছে। আরেকটা এমন মুভি আছে, Plan 9 from outer space. দেখতে পারেন। অথবা না দেখলেও ঘাঁটাঘাঁটি করলেও মজা পাবেন।

৩১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

আবিদা সিদ্দিকী বলেছেন: বাস্তবে ভূতের ভয় একদমই নেই কিন্তু হরর নাটক বা মুভির ধোঁয়া ধোঁয়া অন্ধকারে কুকুরের ডাক টাইপের কুউউউউউ সারারাত বাতি জ্বালিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট। এই কারণে হরর দেখার ইচ্ছা মনেই রয়ে যায়। সেবা প্রকাশনীর অনুবাদ ড্রাকুলা পড়েছিলাম এইচএসএসিতে, তারপর ওই বই হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখার সাহস হয়নি। কিন্তু Plan 9 from outer space এর ট্রেলার দেখে হাসতে হাসতে শেষ, ভয় পাওয়ার চান্স কই! আর ফুল মুভির ইউটিউব কমেন্ট সেকশনের গুরুগম্ভীর ফানি কমেন্ট বেশ মজাদার লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে। manos দেখবো না কিন্তু Plan 9 from outer space মাস্ট দেখবো!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: Plan 9 from outer space এর পরিচালক এডওয়ার্ড উড জুনিয়রকে অফিসিয়ালি বিশ্বের সবচেয়ে বাজে পরিচালক হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তাকে নিয়ে একটি সিনেমাও আছে। Ed wood. জনি ডেপ মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এটাও খুম মজার একটা ছবি। দেখতে পারেন।

৩২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইরাম ছবির এমন চমৎকার রিভিউ!
পরিচালক বেটা বাইচ্যা থাকতে আপ্নের সন্ধান পাইলে ভালা হইত :P

দুইটা পয়সা আর ইজ্জতের মূখ দেখত :-B

দারুন রিভিউ যে অখাদ্যকেও খাদ্য বানাতে পারে- শিল্পের ধারনাটা শিখলাম আপনার এই পোষ্ট থেকে ;)

+++

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: হা হা হা! তো সুখাদ্য খায়া পেট ভরছে তো! :-B

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.