নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভিকারুন্নেসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী অরিত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে ভিকারুন্নেসায় একজন ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছিলো, তখন আমরা এই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে দেখেছিলাম ধর্ষক শিক্ষককে বাঁচাতে প্রাণান্ত চেষ্টা করতে। ভিকারুন্নেসার ছাত্রীরা প্রতিবাদ করেছিলো, আন্দোলন করেছিলো, অবশেষে ধর্ষক শিক্ষককে অপসারিত করতে বাধ্য হয়েছিলো স্কুল কর্তৃপক্ষ। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যে স্কুলে একজন ধর্ষককে বাঁচাতে কর্তৃপক্ষ ভূমিকা রাখে, সেই স্কুলকে কেন ভালো স্কুল বলা হবে? ভালো স্কুল মানে শুধুমাত্র ভালো রেজাল্টের নিশ্চয়তা দেয়া? ধর্ষককে প্রশ্রয় দেয়া স্কুলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আমাদের তেজ মিইয়ে গেছে কিছুদিন পর। তারপর আবার নির্লজ্জের মত সেই স্কুলেই ভর্তি করার জন্যে সন্তানকে চাপ দিয়েছি, তার শৈশবকে নষ্ট করেছি। যার পরিণতিতে ধর্ষণের পর হত্যা করার দুঃসাহস পেয়েছে স্কুলটি। না, অরিত্রীকে তারা গলা টিপে হত্যা করে নি, তবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই তথাকথিত ভালো স্কুলের তথাকথিত ভালো শিক্ষকেরা জানেই না যে টিনএজ বয়সটা কত সেনসিটিভ, এই সময় বাচ্চাদের কত মানসিক সাপোর্ট দরকার হয়! একটা ৬ বছরের বাচ্চারও অতটা মানসিক সাপোর্ট দরকার পড়ে না, যতটা একটা ১৫ বছরের বাচ্চার দরকার হয়। এই সময় বাচ্চারা একটা ক্রান্তিকালের মধ্যে দিয়ে যায়, শরীর এবং মনে পরিবর্তন আসে, খুব অল্পতেই রিএ্যাক্ট করে, এই সময় স্কুল এবং পরিবার থেকে তাদের সর্বোচ্চ মানসিক সাপোর্ট দরকার হয়। বাচ্চারা অপরাধ করলে বাবা-মাকে ডেকে এনে অপমান করলে হ্যাডম দেখানো হয়, মাস্তানি করা হয়, তাকে ডিপ্রেশনের পথে ঠেলে দেয়া হয়, এই সহজ কথাটা যে স্কুলের শিক্ষকরা জানে না, তাদের শিক্ষকতা করার কোন যোগ্যতা নেই। আত্মহত্যা কোন সমাধান না, হেনতেন বলে নিজেকে নিজে মোটিভেট করতে পারেন, কিন্তু এতে করে মেয়েটাকে ফিরিয়ে আনা যাবে না।
শুধু ভিকারুন্নেসার কথা বলছি কেন! ভালো ভালো, নামিদামী স্কুলগুলির প্রতিটিই একেকটি মাফিয়া চক্রে পরিণত হয়েছে। কিছুদিন আগে একটি ‘সেনাশাসিত’ স্কুলের ওয়ালে দেখেছিলাম দুর্বল ছাত্রদের তালিকা টাঙিয়ে রাখা হয়েছে। তারা এত শক্তিশালী হলো কীভাবে? এসব বলে মাথা চাপড়িয়ে লাভ নেই। কারণ আমরাই তাদের হাত শক্তিশালী করেছি। ভালো স্কুলে ভর্তি না করলে বাচ্চার ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে, বাচ্চা উচ্ছন্নে যাবে, এ প্লাস না পেলে আপনার মান ইজ্জত থাকবে না, বাচ্চাকে খেলতে যেতে না দিয়ে পড়াবেন, এক ক্লাসে দুইবার রাখবেন ভালো স্কুলে ভর্তি করার জন্যে, এখন হলো তো? ধর্ষণ, হত্যা, বুলিয়িং এর পর আর বাকি থাকে কী? জ্বী না, এই কথা বইলেন না যে একটা স্কুলের সবাই একরকম না, ওসব কথা বলে লাভ নেই। স্কুলের নীতি নির্ধারকেরা যেমন, স্কুল তেমন, এটাই সাফ কথা।
অরিত্রীকে হত্যা করা হয়েছে, আমাকেও হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিলো আজ থেকে বিশ বছর আগে। আমার বয়স তখন আঠার। আমি ঢাকার অন্যতম একটি নামী কলেজে পড়তাম। হারম্যান মেইনার কলেজ। ছোটবেলায় আমার পোলিও হয়ে বাম পা দুর্বল এবং ছোট হয়ে গিয়েছিলো। আমি অবশ্য এসবের কিছুই কেয়ার করতাম না। সব খেলাধুলাতেই আমার অংশগ্রহণ ছিলো। একদিন কলেজে ভলিবল খেলতে গিয়ে পিটি টিচারের বুলিয়িংয়ের স্বীকার হয়েছিলাম। সে আমার “বিকৃত অঙ্গ” নিয়ে ঠাট্টা করেছিলো। সেইদিন আমি কাঁদতে কাঁদতে বাসায় যাই। কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে পুরো সময়টাই কেঁদেছি। তবে আমি আমাদের সম্মানিত ভাইস প্রিন্সিপাল স্যারকে আমার অভিযোগ জানিয়েছিলাম, তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন ব্যবস্থা নেবেন। এরপর থেকে সেই চামাড় ‘শিক্ষক’ আমাকে কিছু বলার সাহস পায় নি। আমার অতি প্রিয় একজন বন্ধু ছিলো, তারও সমস্যা ছিলো। সে ছিলো অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত। তাকে নিয়েও সেই চামাড় বাজে কথা বলেছিলো। আমার সেই বন্ধু আমার সঙ্গে প্ল্যান করতো, কীভাবে সে সুযোগ পেলে এর প্রতিশোধ নিবে। আমাদের ট্রমাটা বুঝুন! আমরা সেসময় আত্মহত্যা করলে “আত্মহত্যা করা মহাপাপ” জাতীয় বুলি দিয়ে ঠিকই ভুলে যেতেন, এবং আরো হত্যার পথ সুগম করতেন! এখনও তাই করুন না!
হারম্যান মেইনারকে নিয়ে আমি অভিযোগ করছি না। কারণ শিক্ষক নামের সেই চামাড় কলেজের নীতি নির্ধারক পর্যায়ের কেউ ছিলো না, এবং কলেজের বাকি সময়টায় সে আমাকে আর কিছু বলার সাহস পায় নি। আমি সম্মানিত ভিপি স্যারকে শ্রদ্ধা জানাই ব্যবস্থা নেবার জন্যে।
কিন্তু ভিকারুন্নিসা স্কুল, ধর্ষণ আর হত্যার দায় কীভাবে এড়াবেন আপনারা? এখন খুব আন্দোলন হবে, ক্লাস বর্জন হবে, পরীক্ষা বর্জন হবে, কিন্তু এই মহাশক্তিধর স্কুল মাফিয়া চক্রের আদৌ কি কোন বোধোদয় হবে এতে যদি আমরা “ভালো স্কুল” নামক এই মিথমাদকের পিনিক থেকে বের হতে না পারি?
আমার মনে পড়ছে প্রথম স্কুলের কথা। জলঢাকার অনির্বাণ বিদ্যাতীর্থ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। সেই প্রত্যন্ত মফস্বলের স্কুলে এত মানসিক পীড়ন ছিলো না অন্তত!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শাস্তি দেয়া হয়েছে।
https://www.jagonews24.com/national/news/467198
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫১
কানিজ ফাতেমা বলেছেন: নামী স্কুলগুলো আসলে তাদের নিজস্ব দক্ষতায় পরিচালিত হয়না, কারণ একজন ষ্টুডেন্টকে দশ সাবজেক্টে দশটা প্রাইভেট টিউটর রাখতে দেখা যায়, তাহলে তারা আর কি শেখায়? এরা শুধু ব্রান্ড বিক্রি করে আর অামরা অনায়াসে সেই ব্রান্ডে মুন্ডুপাত করি ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, সমস্যা দুই তরফ থেকেই। সমস্যা অনেক গভীরে।
৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩
আরইউ বলেছেন: দুঃখজনক। আমাদের বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় একটা বাচ্চাকে কখনো একজন ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়না; তারও যে একটা সত্ত্বা আছে, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্ আছে, বা আত্মসন্মানবোধ আছে তা কেউ হয়ত ভাবেনা।
আপনার স্কুল জীবনে যে বুলিয়িং-এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে তার জন্য দুঃখিত।
[দু'টো প্যারাগ্রাফের মাঝে একটা ব্রেক থাকলে ভালো হয়; পড়তে সুবিধা হয়।]
ভালো থাকুন, হাসান!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০২
বিজন রয় বলেছেন: ক্ষয়ে যাওয়া সমাজের করুণ চিত্র!!
অত্যন্ত দুঃখজনক!!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: চলুন বদলাই।
৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দেশের অবস্থা প্রমাণ করে সমাজ থেকে এসব অন্ধার দূর হতে সময় লাগবে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ।
৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১১
সামিয়া বলেছেন: দুঃখজনক, আমাদের সকলেরই মন মানসিকতার অনেক পরিবর্তন এবং উন্নত করা প্রয়োজন, পুরুষ মহিলা, বয়স্ক থেকে শুরু করে বাচ্চা, কিংবা ধনী থেকে শুরু করে গরীব সবাইকে সমান সন্মান করে চলতে হবে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪
তিক্তভাষী বলেছেন: স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষের জন্য আচরণবিধি করা দরকার। এদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অনেক অভিযোগ রয়েছে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব দরকার এটা।
৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমাদের দেশের বেশির ভাগ শিক্ষকদের নৈতিক ও মানসিক শিক্ষার প্রয়োজন।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকই বলেছেন সোহেল।
৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৪
ইমন তোফাজ্জল বলেছেন: স্কুল কর্তৃপক্ষ অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকের সাথে ছাত্রের মতই ব্যবহার করে। মাস্টরী করতে করতে সবজায়গায় মাস্টরী ফলায়।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ।
১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: কোৎ করে গিলে নে , শ্বাস কষ্টের জ্বালা
এখানে জীবন মানে , মৃত্যুযন্ত্রণা গিলে ফেলা।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: কেন যে আমরা আমাদের পাঁপড়িদের মুখে অখাদ্য তুলে দেই!
১১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
‘‘স্কুল শিশুরা শারীরিক শাস্তির পাশাপাশি মানসিক পীড়ণের শিকার হচ্ছে৷ ফলে দুঃখজনক অনেক ঘটনা ঘটছে৷ অভিভাবকরা প্রতিবাদ করলে তাদের সন্তানরা শাস্তির মুখে পড়ে৷ অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে রীতিমত টিসি আতঙ্কে আছেন৷ কথায় কথায় সন্তানকে টিসি দিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়৷'' এটা দুঃখজনক। অথচ শিক্ষা হওয়া উচিত আনন্দের মধ্য দিয়ে৷ যেখানে শিশুরা পড়াশুনা বা পরীক্ষাকে ভয় পাবেনা৷ এটাই শিক্ষার আধুনিক কৌশল৷ কিন্তু আমাদের এখানে এর উল্টো ব্যবস্থা চলছে৷ শিক্ষার্থীদের নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক চাপে রাখা হয়৷ আর এর ফলে অনেক দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। একই চাপ বা হেনস্তার মুখে সবাই আত্মহত্যা করে না৷ কেউ কেউ করে৷ তাহলে শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা এবং গঠন বোঝা জরুরি৷
তাই শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা ঠেকাতে
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক বা শারীরিক চাপ হয় এমন কোনো আচরণ কোনো শিক্ষক করতে পারবেন না৷ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মানসিক অবস্থা আলাদাভাবে জানা জরুরি৷ তাই প্রয়োজন স্কুলের শিক্ষকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া৷ তারা যাতে বিষয়টি বুঝতে পারেন৷ তারা যেন জানেন, শিক্ষার্থীদের প্রতি কেমন আচরণ করতে হবে, কোন শিক্ষার্থী কোন ধরণের আচরণ নিতে পারবে৷ এছাড়া শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে কোনো নেতিবাচক প্রবণতা থাকলে তাদের সেই অনুযায়ী চিকিৎসকের কাছে পাঠাতে হবে৷
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার বলেছেন।
১২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার চাই।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শাস্তি দেয়া হয়েছে। https://www.jagonews24.com/national/news/467198
১৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮
হাবিব বলেছেন: আমরা ততক্ষন পর্যন্ত সচেতন হইনা যতক্ষন না অরিত্রিরা আত্মহত্যা করে.........
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমরা কবে সচেতন হবো?
১৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২
নতুন নকিব বলেছেন:
এসব ঘটনা দেখলে নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়।
এরা কি সত্যিই শিক্ষক? শিক্ষক হওয়ার নূন্যতম যোগ্যতাও কি তাদের আচরনে প্রতিফলিত হয়? ক্ষমা, উদারতা, মহত্ব, মানবিকতা না থাকলে তাদের কাছ থেকে আমাদের শিশুরাই বা কি শিখবে?
কোনো দীর্ঘসূত্রিতা নয়, ঘটনার সঠিক তদন্ত পূর্বক দ্রুত বিচার হোক।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো বলেছেন। এ প্লাস গিলিয়ে দেয়া ছাড়া আর কিছুই আমাদের বড় বড় স্কুলের শিক্ষকেরা জানেন না।
১৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭
কিরমানী লিটন বলেছেন: আমার আর কোথাও যাবার নেই- কিচ্ছু বলার নেই...।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক কিছুই করার আছে। আমাদের সন্তানদের বাঁচাতে হবে।
১৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ভিকারুননিসার একজন মেধাবী ছাত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। আশা করবো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হবে। তার নিজের সামনে বাবাকে অপমান করেছেন স্কুলের শিক্ষকরা। তা সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়েছে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ভিকারুননিসা স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারী। সোমবার দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি।
একজন স্নেহপ্রবণ শিক্ষক ক্লাসের দুর্বল ছাত্রটির কাছ থেকেও সহজেই পড়া আদায় করতে পারেন। কিংবা দুষ্টু ছাত্রকে বশে আনতে পারেন। মারপিট করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের ওপর কতটা প্রভাব বিস্তার করা যায় সেটা ভেবে দেখতে হবে। ছাত্রদের পেটানো, বেত মারা, শারীরিকভাবে আহত করা এগুলো বর্তমান দুনিয়ায় চিন্তাও করা যায় না।
শাসন করতে হলে সোহাগ করতে হবে আগে। তবে শাসনের সীমারেখা সম্পর্কেও সচেতন থাকতে হবে। শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে ভর্তি হয় জ্ঞানার্জনের জন্য। তারা যদি সব জানবেই তাহলে তো আর বিদ্যালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হতো না। ছাত্রছাত্রীদের ভুল হতে পারে। হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাদের ভুলত্রুটি শোধরানোর দায়িত্ব তো শিক্ষকদেরই। ভিকারুননিসা স্কুলের এমন বর্বর আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
কিছুদিন আগে সার্টিফিকেট সর্বস্ব বাংলাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর ব্লগে এই নিবন্ধটি লিখেছিলাম।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার লেখাটি পড়বো।
১৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫
মিথী_মারজান বলেছেন: কি যে বলব!
অত্যন্ত দুঃখজনক।
তাই কিছু বলার মত ভাষা নেই।
দোয়া করি, এসব দূর্ঘটনা আর রিপিট না হোক।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রার্থনা।
১৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২
বিজন অধিকারী বলেছেন: মর্মান্তিক এই ঘটনা শুনে খুবই হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও।
১৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪
ক্লে ডল বলেছেন: তীব্র ধিক্কার! তীব্র ঘৃণা! এই শিক্ষা ব্যবস্থা, এই স্কুল, এই শিক্ষক, এই সমাজের প্রতি!!
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: কোৎ করে গিলে নে , শ্বাস কষ্টের জ্বালা
এখানে জীবন মানে , মৃত্যুযন্ত্রণা গিলে ফেলা।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: কত হাজার মরলে পরে বলবে তুমি শেষে
বড্ড বেশি মানুষ গেছে বানের জলে ভেসে!
২০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় না। তাই এসব চলছে, চলবে। কেউ রুখতে পারবে না।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শাস্তি হয়েছে।
https://www.jagonews24.com/national/news/467198
কিন্তু পরিস্থিতি বদলাবে না, যদি না আমরা ভালো স্কুলের প্রতি এই অবসেশন রদ করতে পারি।
২১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬
জমীরউদ্দীন মোল্লা বলেছেন: দেশের সব গুলো সেক্টর এই চামাড় দের অধীনে চলে গেসে। আর আমরা ও গণ্ডারের চামড়া নিয়ে বেঁচে আছি। ও মরছে আমার কি। আমি কেন আন্দোলন করব। আমরা আসলেই মানুষ আছি কিনা সেটা নিয়ে আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে =)
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: নিম্ন প্রজাতির মানুষ।
২২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০
লিংকন১১৫ বলেছেন: অনেকে হয়তো আজকেই জানলো বা জেনেও আবার জানলো ।
কিন্তু এসব তো হয়ে আসছে অনেক অনেক আগে থেকেই ।
আহ কতো অপমান, আমাকে করলে তো হতোই সাথে আব্বু কেও করতো , হায় দুঃখ।
জানতাম আব্বু খুব কষ্ট পেতো,সাথে আমার প্রচণ্ড রাগ হতো, কিন্তু কিছুই করার ছিল না ।
সাথে পাড়া প্রতিবেশী রাও বলতো । দেহেন আমার পোলা কত্ত কি ! আন্নের টা কি !!!
একদিন সব আগ্রহ হারিয়ে ফেল্লাম , কোন একটা ভুল সিদ্ধান্ত ও নিলাম , ঝরে পরলাম ,
সেদিন কিভাবে জানি বেঁচে গিয়ে ছিলাম । কিন্তু তার দাগ আজও বয়ে বেরাচ্ছি ।
আমাদের উচিৎ পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশী দের অনেক অনেক সাপোর্ট দরকার হয় এ বয়সে । কোন ভাবেই বলা যাবে না তোমাকে দ্বারা কিছুই হবে না !!! তাদের সাথে বন্ধু সুলভ আচরণ করা উচিত ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো বলেছেন।
২৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দেশের কথিত নামকরা সবস্কুল কলেজের একই হাল!!!!
আর দেখাদেখী উঠতি স্কুল কলেজে গুলোও এই বাজে কালচারের খুব প্র্যাকটিস করছে কোমলমতির ছাত্রছাত্রীদের উপর!
সাথে বানিজ্য বসতি বই, ড্রেস ব্যবসাতো আছেই। সেমিষ্টারের নামে কেবলই ফি আদায়ের মহোৎসব। আর তাতে ফেল করিয়ে তাদের কোচিং বানিজ্যের উর্বর ক্ষেত্র বানাচ্ছে নিয়ত!
তাদের চেয়ে হাজার গুনে ভাল সেই অজপাড়া গা'র অল্প শিক্ষিত শিক্ষক। তাদেরর মাঝেই বরং দেখি মানুষের গুনাগুন বিরাজে।
যদিও শহুরে বিষ ধিরে ধীরে ঢুকে যাচ্ছে কিন্ডারগার্টেন নামক ব্যাঙের ছাতার তলে তলে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
শেইম। প্রচন্ড ঘৃনা এবং কঠিন শাস্তির দাবী রইল।
আর আপনার মূল বক্তব্য সকল অভিভাবকদের হৃদয়ে পৌছে যাক। একজন ভাল মানুষ একজন প্রকৃত মানুষ হবার স্বপ্ন দেখূক।
তথাকথিত ভাল স্কুল গুলো যেদিন ছাত্র না পেয়ে বারবার ভর্তির বিজ্ঞাপন দেবে- বোঝা যাবে আমরা সত্যি বদলাতে পেরেছি।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ছেলে-মেয়েগুলিকে খুব সাধারণ স্কুলেই পড়াবো ভাবছি।
২৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪
পুলক ঢালী বলেছেন: এগুলো বলে কিইইই লাভ!! শিক্ষা নামক ব্যবসার কেশাগ্রও বাকা করা যাবেনা।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: লাভ থাকুক না থাকুক, বলতে হবে।
২৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: বাংলাদেশে দিনে দিনে বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ বাড়তেই আছে। আমি নিজেও যখন অনার্স ভর্তি হতে চাইলাম সরকারি কলেজে তো আমাকে বেসরকারি কলেজে দিয়ে দেয়া হয়। ইন্টারে দেখেছি কিভাবে অনলাইন চয়েস করার নামে ছেলে মেয়েদের বেসরকারি কলেজে ধাক্কা দিয়ে পাঠিয়ে দেয় সরকার। এসব কে দেখবে
।।
এক বিল্ডিং বেসরকারি ভার্সিটি ১০টা
।।।
কোন ভার্সিটির মাঠ নাই। ক্যাম্পাস নাই।।।
এই হল শিক্ষা ব্যবসা।
হাসপাতালে ক্লিনিকের কথা নাই বললাম
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুবই দুঃখজনক।
২৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: খুবি দু:খজনক। যে চলে গেছে তাকেতো অার ফিরিয়ে আনা যাবেন না। এমন ঘটনা যেনো আর না ঘটে শিক্ষকদের সচেতন হওয়া চাই।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ওই স্কুলের আরেক অমানুষ পরিমলের খবর কী
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও জানতে চাই।
২৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১০
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ধীরে ধীরে শুধু খারাপের দিকেই যাচ্ছে ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা প্রতিহত করতে হবে।
২৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: লোভী সমাজ
লোভী অভিভাবকগণ
লোভী স্কুল কর্তৃপক্ষ
যাক, আলহামদুলিল্লাহ! নিজে এভারেজ ছাত্র ছিলাম। সন্তানকে পড়ালেখা নিয়ে এত চাপে রাখব না। ভাল স্কুলে সুযোগ পেলে ভাল, না পেলে সমস্যা নেই...
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক শুভকামনা রইলো।
৩০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: নষ্ট সমাজে এরকম ঘটনা ঘটবেই।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: তাই বলে এত নির্বিকার থাকা যাবে না।
৩১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২০
দিলের্ আড্ডা বলেছেন: এসব স্কুল কলেজের গতানুগতিক পরীক্ষাপদ্ধতি থেকে সবার আগে মুক্তি দরকার।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: তা তো কত বছর ধরেই করার চেষ্টা হচ্ছে!
৩২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
স্টিকি পেস্টে কি লেখকের প্রতি উত্তর দেবার
বাধ্যবাধকতা নাই ?
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: দুঃখিত। দিচ্ছি।
৩৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক। যথাযোগ্য বিচার জরুরী।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: শাস্তি হয়েছে। https://www.jagonews24.com/national/news/467198
৩৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০০
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
এরকম অরিত্রির মত, আপনার মত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন না কোন সময়, এক বা একাদিকবার এমন লাঞ্চনার শিকার হয় সবাই। আমি, আপনি বেঁচে আছি কারণ হয়তো আমাদের ভাগ্য সহায় হয়েছে। আর এই বেঁচে থাকার মাঝেও অনেকে সারা জীবন এই লাঞ্চনার যন্ত্রণা বয়ে বেড়ায়। এই শিক্ষা ব্যাবস্থা আমাদেরকে শেখায় না, আমাদেরকে ভয় দেখায়।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: দেয়ালে আরেকটি নিস্প্রাণ পাথর।
৩৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: মাষ্টার সাহেব দেশবাসী ও জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দেখলাম!
এভাবে অপরাধ করে যদি সামান্য মুখের কথা স্যরি বা ক্ষমা চাইলেই সব শেষ হয়ে যাবে তাহলে কেমনে হয়, হত্যা মামলার বিচার হওয়া জরুরী, এবং খুব কড়া বিচার যে বিচার আগামী দিনে কোন অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধীর বুক কাঁপিয়ে দেবে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: শাস্তি হয়েছে। https://www.jagonews24.com/national/news/467198
৩৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: স্কুলের প্রিন্সিপালের ফাঁসি হওয়া উচিত ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওহো!
৩৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৮
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: কত কিছু নিয়ে যে কথা বলতে ইচ্ছা করছে ভাইয়া! আর বারবার নিজের ক্ষুদ্র সামর্থের কথা ভেবে ভয়ংকর ক্রোধ হচ্ছে। একটা কিশোরী মেয়ে এইভাবে চলে যাবে! আর এর পক্ষেও মানুষ জাস্টিফিকেশন গীত গাইতে বসবে! জাস্ট অসহ্য লাগছে
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ডিপ ট্রমায় ছিলাম।
৩৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫৩
উম্মে সায়মা বলেছেন: আমাদের দেশে শিক্ষা হয়না, ব্যবসা হয়। এমন শিক্ষাব্যবস্থা দেখে বারবার হতাশ হই। কবে যে এ থেকে উত্তরণ হবে! এ ঘটনা বড় হওয়াতে সবার চোখে লাগছে। আরো ছোট ছোট এমন হ্যারাসমেন্ট কত যে হয়!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: শিক্ষামাফিয়াদের হাত থেকে মুক্তি চাই।
৩৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১০
এম এ কাশেম বলেছেন: রাস্ট্রের সর্বোচ্চ থেকে সর্ব নিম্ন - মন্ত্রী থেকে পিয়ন পর্যন্ত স্বেচ্চাচারিতা আর আহমিকতায় ভরা,
কোন দায়বোধ নেই, জবাবাদেহী নেই, পর্যবেক্ষণ নেই, নুন্যতম বিবেক কিংবা লজ্জাবোধ নেই,
ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সন্মান করে না, মুল্যবোধের ধার ধারে না, চাটুকারিতা কিংবা শক্তি দিয়ে
বড় বড় পদ দখল করে যারা - তাদের ক্ষমতার দম্ভের বলি হবে আমজনতা, আমাদের ছেলে
মেয়েরা - অরিত্রী তাদেরই এক জন।
সকল খুনির বিচার চাই।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: শাস্তি দেয়া হয়েছে https://www.jagonews24.com/national/news/467198
৪০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৪৫
পাকাচুল বলেছেন: স্কুলের শিক্ষক নিয়ে প্রথম ভীতিকর অভিজ্ঞতা হয়েছিল পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ার সময়ই।
বিজ্ঞান ক্লাস, তরুণ শিক্ষক প্রশ্ন করেছিল, পিঁপড়া কামড় দিলে ব্যাথা পায় কিনা। আমি বলেছিলাম, ব্যাথা পাই না। আসলে আমি কখনো এর আগে পিঁপড়ার কামড় খায় নাই। আমার মনে হয়েছিল, পিপড়া এত ছোট একটা জিনিস। এটা কামড় কিভাবে দিবে?
শিক্ষক ভয়ংকর রেগে গেলেন।
আমি কোনভাবেই বুঝতে পারলাম না আমার অপরাধ কি ছিল?
শিক্ষক শাস্তি দিলেন। লো-বেঞ্চে বসা অবস্থায় মাথা হাই বেঞ্চের নিচে ঢুকাতে, এরপর ঐ অবস্থায় কান ধরে থাকা। পুরো ক্লাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রায় ৩০ মিনিট ঐভাবে বসেছিলাম।
লজ্জ্বায় সেদিন কাউকে মুখ দেখাতে পারি নাই। বাসায় ও কিছু বলতে পারি নাই।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: কী জঘন্য ব্যাপার! পেশা কখনই মহৎ না, পেশাজীবী তার কাজ দিয়ে মহৎ হন।
৪১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৫৬
স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন:
কসাই হওয়া আর শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা কিন্তু এক নয়।
এই সব শিক্ষকরা কসাই হবার যোগ্যতা রাখে।
তাদেরকে জুতা মারা হোক।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকাংশেই সত্য।
৪২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৪
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ধর্মীয় শিক্ষার অনুশীলন হতে আমরা যতো দূরে ছিটকে পড়ছি ততই এইসব সমস্যা জোড়ালো হচ্ছে। তাই ধর্মীয় শিক্ষার অনুশীলন বাধ্যতামূলক করা উচিত বলে মনে করি।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: মাদ্রাসার অবস্থা কী খুব ভালো?
৪৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৬
সবুজের ইবনে বতুতা বলেছেন: দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই! না হলে ফাঁসি চাই!!!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো শাস্তিই দিয়েছে https://www.jagonews24.com/national/news/467198
৪৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২২
সোহানী বলেছেন: আমি জানি আমার কথাগুলো দেশে রীতিমত বিলাশিতার পর্যায়ে পড়বে। কিন্তু না বলে পারছি না, একটি দেশের উন্নতির জন্য প্রথমেই দরকার শিশুদের মানসিকতা গঠন কিন্তু আমরা কি করছি???? হাঁ, ওদেরকে নিয়ে ছোটবেলায় যেভাবে ল্যাবরেটারিতে ব্যাঙ যেভাবে কাটার পর ফেলে দিতাম আমরা তাই করছি। ধিক্ শিক্ষক নামের কলংকদের সাথে বুদ্ধিজীবি সমাজকে ধিক্কার জানাই। কেউ কি বলবে দেশের ভবিষ্যত কি? এ শিশুরা বড় হয়ে কি হবে?.............. ভালোলাগে না.... এসব দেখতে দেখতে ক্লান্ত।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: চলছেই এই কাটাছেঁড়া।
৪৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪২
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: কিছু বলার নেই
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিন্তু বলতে হবে।
৪৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৫
দ্যা মুসাফির পথিক বলেছেন: এগুলো কখনো শিক্ষকতা পেশার গুন হতে পারেনা,শিক্ষকতার নামে কসাইগিরি।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ।
৪৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১০
মোগল সম্রাট বলেছেন: শিক্ষক এবং শিক্ষা ছিলো ৮০'র দশকের পর ৯০ এর দশকের মাঝামাঝি, এর পর থেকে শিক্ষা খাত হয়ে গেছে দুবৃত্তায়নের খাত। নস্ট ভ্রষ্টরা এখন শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটিতে পয়সা দিয়ে শিক্ষক হয়েেছ। আরো একটা কারন হলো মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় না আসার কারনে অমেধাবী নপুংশক আজ শিক্ষক। আমাদের দুর্ভাগ্য
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: এভাবে চলতে থাকলে খুব বিপদ।
৪৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দেশের শিক্ষার অবস্থা ভালো নয়।
সব কিছু চলে গেছে নষ্টদের অধিকারে।
আলোচ্য ঘটনার যথাযথ বিচার চাই।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: শাস্তি দেয়া হয়েছে- https://www.jagonews24.com/national/news/467198
৪৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩
অন্তরন্তর বলেছেন: দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে বা পেয়ে কি হবে হাসান ভাই। হয়ত শিক্ষিকার চাকুরী চলে গেল বা বরখাস্থ হল তাতে যে মেয়েটা চলে গেল সে কি ফিরে আসবে? এমন শিক্ষক সারা বাংলাদেশে অনেক আছে। আজ বা কয়েকদিন আমরা হই চই করব বা মানববন্ধন করব তারপর সেই আগের অবস্থা হবে। কিচ্ছু হবে না। আমি সত্যি আশাহত।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না অন্তর ভাই!
৫০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: এই কবিতা পোষ্ট করেছিলাম তাই অনেকে বিভিন্ন কথা বলেছিলেন। ঘুরে অাসতে পারেন অামার ব্লগটি...
ধর্ষণে কাতর বাংলাদেশ
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা দেখবো।
৫১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩
ফাদার অফ ডন বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪
ফাদার অফ ডন বলেছেন: দারুণ
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ!
৫৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,
এমন করে লেখা পোস্টে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অনেক মন্তব্য পড়বে স্বাভাবিক কারনেই। কিন্তু অস্বাভাবিক ভাবে আপনার কোনও প্রতিমন্তব্য দেখছিনে!
আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার জের টেনে বলি, আমাদের শিক্ষক শিক্ষিকারা কোনও দিন "চাইল্ড সাইকোলোজী" বিষয়ে পড়েছেন কিনা কিম্বা আদৌ তারা এমন বিষয়টি জানেন কিনা, সন্দেহ একশত ভাগ! জানলে, আপনাকে কঠিন একটি মনোকষ্ট নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাসায় ফিরতে হতোনা। ছাত্রছাত্রীদের সাথে একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকার আচরণ কি হওয়া উচিৎ তাও বোধহয় এরা জানেন না। শিক্ষাকে ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে নিলে এবং দেখলে এসব না জানারই কথা!
অরিত্রীর ঘটনাটি আবারও প্রমান করলো যে, আমাদের শিক্ষাদানে নিয়োজিত শিক্ষক শিক্ষিকারা কেউই শিক্ষাদানকে একটি সুস্থ্য ধারায় মানুষ গড়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে না নিয়ে , কেরানীর চাকুরীর মতো আর দশটা চাকুরী পেশা হিসেবেই দেখেন এবং নিয়েছেন। যেন আলু-পটল বিক্রি শেষে মাসকাবারী পকেটে কিছু পয়সা নিয়ে ঘরে ফেরা, এই রকম কিছু একটা আর কি!
আর আপনার মতো কতো ছাত্রছাত্রীরা যে এই অশিক্ষিত শিক্ষক শিক্ষিকাদের দ্বারা প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও নিগৃহীত হচ্ছে তার খোঁজ কে রাখে!
এই যদি হয় স্বনামখ্যাত (?) একটি স্কুলের শিক্ষিকাদের চরিত্র এবং বোধবুদ্ধি - বিবেচনা, যারা শিশুকিশোরদের নিয়ে কাজ করলেও তাদের কে ভর্ৎসনা আর শাস্তি ছাড়া আর কিছু দিতে জানেন না, যা একজন ছাত্রীকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয় তবে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উঠিয়ে দেয়া ভালো।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার শেষ কথাটি অবাস্তব শোনালেও একদিন হয়তো আমরা এই উপলব্ধির সম্মুখীন হবো!
৫৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৫
নজসু বলেছেন:
কখনও কখনও আমরা প্রচন্ড অসহায়।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: সন্তান হারানোর চেয়ে বেদনাময় আর কী হতে পারে!
৫৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৩
শরতের ছবি বলেছেন: শুধুমাত্র এই স্কুল নয় এ চিত্র সকল স্কুলেরই।
এ ব্যাপারে স্বনামধন্য আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ ও কম নয়। তারাও অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রীর জীবন অতিষ্ঠ করে তুলে। সন্তানদের তাদের বাপের নাম ভুলিয়ে দেয়। আমার ছেলে ৪ঃ৯৪ পেয়েছিল JSC তে ২০১৫ সালে। তাকে সাইন্স দিল না এই স্কুল। আর আমার ছেলে সাইন্স ছাড়া পড়বে না। হেন কোন চেষ্টা নাই যা আমি করি নাই। শেষ অবধি ছেলেকে ফয়জুর রহমান আইডিয়ালে নিয়ে যাই। ওখানে সে সাইন্স পায়। কিন্তু ছেলেরতো মন আর ভালো হয়নি। সকল বন্ধুদের হারিয়েছে ! জীবনের স্পিরিট ওরা নষ্ট করে দেয়। বাচ্চাদের স্বপ্নকে ওরা মোটেই মূল্যায়ন করে না। তাদের কথাই সই। আমার ছেলের কী ওই স্কুলে থেকে হেসে খেলে সাইন্স পাওয়ার অধিকার ছিলো না? আমার ছেলে যদি মন খারাপ করে অরিত্রির মত এমন কিছু করতো? কার কী হতো? ছেলে কী আর ফিরে পাওয়া যেতো? এমনি করে অরিত্রিদের মা-বাবারা অসহায় ! অরিত্রির মা বাবা আর কোন চেষ্টাতেই অরিত্রিকে খুঁজে পাবে না আর ! আসলে এরা সব কসাই , স্কুল খুলে বসেছে ! এদের কথা-ই ছুড়ি ! কেবল কথা দিয়েই এই কোমলমতি ছাত্রদের খুন করতে পারে ! ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত যাতে ভবিষ্যতে বাকি কসাইরা আর নতুন কোন ভিক্টীমকে কথার হাতিয়ারে খুন করতে না পারে !
হ্যাঁ, ওরাও সাইন্স দিয়েছিল পরে বাকি ছাত্রদের যারা সাইন্স পড়তে চেয়েছিলো এপ্রিল মাসে । আমরা মার্চ মাসে চলে যাই এই স্কুল ছেড়ে। যদি সাইন্স দেয়াই যায় তবে এতটা দিন পরে কেন? বাচ্চাদের একাডেমিক সময় অযথা নষ্ট করার অধিকারই বা তারা কোথায় পেল? এইসব কে দেখবে?কেউ একজন আত্মহত্যা করলে পরে দেখে আর কী হবে !
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুবই বাজে অবস্থা। শিক্ষকরা জানেই না তাদের ভূমিকা।
৫৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৩
তাশমিন নূর বলেছেন: ভাবছিলাম, ছোট বোনকে ঢাকার কোনো একটা ভালো স্কুলে ভর্তি করব। এখন মনে হচ্ছে, দরকার নাই। বহুদিন হলো আমরা ভুলে গেছি, শিক্ষা মানেই শুধু টপ রেজাল্ট করা নয়। ওকে একটা সাধারণ স্কুলে ভর্তি করব। ওর শৈশবটা অন্তত ভালো কাটুক।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও বাচ্চাদের তাই করবো ইচ্ছা রাখি।
৫৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪০
অনল চৌধুরী বলেছেন: ৮০-র দশকে লিটল জুয়েলস ও লিটল ফ্লাওয়ার-এর মতো দেশ সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার সময়ও নিজে এইসব জনোয়ারদের নির্যাতনের শিকার হয়েছি ও অন্যদেরও হতে দেখেছি।তখন এসবের বিরুদ্ধে কোন অাইন ছিলো না।তাই অত্যাচারও ছিলো সীমাহীন।
মানুষ কি দিনে দিনে সভ্য হবে না অসভ্য?
উন্নত দেশে এসব বর্বরতা বহু আগেই উঠে গেছে।অার তারাই জ্ঞান-বিজ্ঞানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।কোন ইংরেজী মাধ্যমের বিদ্যালয়ে এরকম অসভ্যতা নাই। এধরণের আচরণের মাধ্যমে অভিভাবকদের বিজাতীয় প্রতিষ্ঠানে সন্তানদের পড়ানোর ব্যাপারেই আগ্রহ সৃষ্টি হলো।
অার ভিখানরুনসার শিক্ষক-শিক্ষিকারা কি সাধু? তারা যে নিজেদের শ্রেনীকক্ষে না পড়িয়ে ঘরে শিক্ষা বিক্রির দোকান খুলে বসেছে,অার তাদের কাছে পড়তে বাধ্য করছে।
অরিত্রির অভিভাবকরা ১৮ বছর বয়সের আগে তাকে স্মার্টফোন কিনে দিয়ে অবশ্যই অন্যায় করেছে।কিন্ত এসব ক্ষতিকর ব্যাপার সব অভিভাবকদের একসাথে ডেকে বুঝিয়ে বলাই সভ্য সমাজের রীতি।
সন্তানদের সামনে তাদের অপমাণ করা না।
শেষ কথা হলো ,হুজুগে বাঙ্গালীর সব ঘৃণা-প্রতিবাদই সাময়িক।
কয়েকদির পর সবকিছুই অাবার আগের মতো হয়ে যায়।তাই স্বৈরাচারী শাসকও দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়,এতোবড় আন্দোলনের পরও সড়ক নিরাপদ হয়না।
এই অান্দোলনও ২ দিন পর থেমে হয়ে যাবে।
সবাই অাবার ঝাপিয়ে পড়বে ভিখারুনসিায় যেকোন উপায়ে ছাত্রীদের ভর্তির করানোর জন্য।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভিকারুন্নেসা হলো সেই স্কুল, যেখানে ধর্ষণকে বলা হয় মিউচুয়াল সেক্স। এমন স্কুল থাকার দরকার কী!
৫৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১২
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আপনার সাথে সহমত। শিক্ষাক্ষেত্রের মাফিয়াচক্রের হাত আমরাই শক্তিশালী করছি। বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া, এ+প্লাসের পেছনে দৌড়ানোতে বাধ্য করা আমাদের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়ে গেছে।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: এখন অন্তত আমাদের বোধোদয় হোক!
৫৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৩
আলোরিকা বলেছেন: শিক্ষার বাণিজ্যিকরণ ! যত্র ত্ত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা , শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম , মান নিয়ন্ত্রণ , প্রশিক্ষণের অভাব.........অভিভাবকদের প্রতিযোগিতার লড়াই......... এরকম হাজারো সমস্যা নিয়ে চলছে আমাদের বিদ্যা শিক্ষা। এর থেকে কিই বা আর আশা করতে পারি !?
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আসুন, আমরা অভিভাবকেরা নিজেদের বদলাই।
৬০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: সব কিছু আমাদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে , ইচ্ছে থাকলেও কেউ কিছু করতে পারবে না ।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ইচ্ছা করতে হবে। তীব্র ইচ্ছা।
৬১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই মুল্যবান একটি পোষ্ট । অনেক কথা বলার আছে এ প্রসঙ্গে । সময় করে পরে আবার আসার ইচ্ছা রাখি । আপাতত প্রিয়তে রাখলাম । অনেকেই লেখাটির উপর মুল্যবান মতামত রেখেছেন দেখা গেল । শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস বিষয়টি সম্পর্কে শিক্ষকদের "চাইল্ড সাইকোলোজী" বিষয়ে যে মতামত রেখেছেন তা বিশেষভাবে প্রনিধান যোগ্য । নামকরা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাগন আদৌ প্রফেসনাল কোন প্রশিক্ষন নেন কিনা তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে । সে সমস্ত স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া মোটেই স্বচ্ছ নয় , যেখানে সবকিছুতেই মাফিয়া প্রক্রিয়া কাজ করে বলেই অনেকে বলে থাকেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আলী ভাই। আসবেন। কথা হবে।
৬২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আজকের Dhaka Tribune প্রকাশিত একটি সংবাদের কিয়দংশ এখানে তুলে ধরা হলো যা থেকে শিক্ষক ছাত্রদেরপ্রতি স্কুল কতৃপক্ষ ও শিক্ষকদের আচরন কেমন হবে তা সহজেই সকলের কাছে বোধগম্য হবে ।
A teacher training professional who is now an academic supervisor with a private school based in Dhaka, Khadiza Afrin said that....“teachers should approach disciplinary matters as dealing with a particular action or actions. The action is the problem, the student should not be treated as a problem.” Afrin said that it is very important that parents and teachers work collaboratively.
In Aritry’s case, Afrin said that the problem was how the matter was approached. “According to news reports Aritry’s parents were told that she would be given a TC because of the alleged cheating. The problem here is that they started handling the issue with a threat,” Afrin said.
“Whenever a student begs or pleas, you have to stop. And instead of threatening them, you have to work towards specific consequences,
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার কিছু কথা।
৬৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১
জাহিদ হাসান বলেছেন: শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে সুন্দর একটি জীবনলাভ করা। সেই শিক্ষাই যদি কোন শিশুর জীবন কেড়ে নেয়,তাহলে শিক্ষার উপযোগীতা আর থাকে কোথায়?
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: থাকে না।
৬৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হা মা ভাই, আপনি বলেছেন, শাস্তি হয়েছে। আমিও সেটা জানি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হবে জানেন? ঘোলা জলের কাদা যখন থিতিয়ে যাবে, তখন সাসপেনশন উইথড্র হবে, এমপিও বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার করা হবে এবং এই শিক্ষকরা আবার সসম্মানে পুনর্বাসিত হবে। বরং এখন যেসব ছাত্রীরা প্রতিবাদ করছে, তাদের ও তাদের অভিভাবকদের কপালে ভোগান্তির সম্ভাবনা ৯৯%।
বাংলাদেশে এরকমই হয়ে আসছে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শ্রেণী শিক্ষিকা অবশ্য নকল ধরে ভুল করেন নি বলে মনে করি। আমার প্রশ্ন পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে।
৬৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একজন শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তারের ঘটনা উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আই ওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: কী করা উচিত? কার শাস্তি হওয়া উচিত? কী শাস্তি হওয়া উচিত?
৬৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৬
ফেইরি টেলার বলেছেন: অত্যন্ত মর্মাহত ।
তবে ঘটনাটির জন্য শুধু শিক্ষকদের দ্বায়ী করলে হয়ত সমস্যার মূল উদঘাটন করা যাবে না । কারন স্কুল থেকে বাসায় যাওয়ার সময়টুকুতে অরিত্রীর মানসিক অবস্থা কিছুটা নিয়ন্ত্রনা আসার কথা । বাসায় যাবার পর বাবার ভূমিকা কি ছিল সেটা নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
তাছাড়া অরিত্রীর বাবার বডি ল্যাংগুয়েজ আমার কাছে বেশ সন্দেহজনক লেগেছে । বাসায় যাবার পর ঠিকভাবে কাউন্সলিং করলে এমনটা হবার কথা না ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, হতে পারে।
৬৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯
নীলপরি বলেছেন: এদের কথা শুনলে মনে হয় - ' কাকে দিয়েছ রাজার পাঠ..' ।
শুধু নম্বরই যখন যোগ্যতার মাপকাঠি তখন এমন ঘটনা ঘটতেই পারে ।
মর্মান্তিক ঘটনার সঠিক বিচার হোক ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৯
কামভাখত কামরূখ বলেছেন: নিজের প্রচার প্রসার নাহ! কিছুটা বাস্তবটা জানানোর চেষ্ট। কোন পোস্টের কি মূল্যায়ন হবে এর জন্যে আমরা লিখি না এটা আমাদের ভাব প্রকাশের প্ল্যাটফর্ম ।কবির কাছে অনুরোধ আমার একটা পোষ্ট আছে সময় থাকলে ঘুরে আসুন যেটা আপনি আপনার অবস্থান থেকে বলেছেন আমি পক্ষপাতবিহীন আলোচনা করেছি। যেহেতু আপনি ভোক্তা সেহেতু মূল্যায়ন আপনারটা গ্রহণযোগ্যতা পায় আমি মনে করি।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: যা বলার এখানে স্পষ্ট করে বলেন।
৬৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০২
আনসারী বলেছেন: আমিও একজন শিক্ষক, তবে আমরা এত তেজী কথা অভিভাবকদের বলতে সাহস পাইনি এখনও। ভিকারুননিসায় অভিভাবকরা বড় অসহায়। তাদেরকে অনেক কথা শুনতে হয়। আর আমরাকে অভিভাবকদের অনেক কথা শুনতে হয়। অরিত্রীর মৃত্যুর জন্য কেবল শিক্ষকরাই দায়ী নয়। যে শিক্ষককে গ্রেফতার করে জেলখানায় পাঠানো হলো তিনি তো একজন শ্রেণিশিক্ষক মাত্র। তিনি তো ইচ্ছা করলেই কোন শিক্ষার্থীকে টিসি দিতে পারেন না।অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ ছাড়া আর কেউ কি টিসি দিতে পারেন ? নেপথ্যের সবাইকে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে সামনে আনতে হবে। আমিও একজন শ্রেণি শিক্ষক, আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ছাত্রদের সবচেয়ে বেশি ভাল সম্পর্ক থাকে শ্রেণি শিক্ষকের সাথে। অরিত্রী চলে যাওয়ার সময় আমাদের অনেককিছুতেই নাড়া দিয়ে গিয়েছে। এরপরও যদি আমাদের ঘুম না ভাঙ্গে!
গ্রেফতারকৃত শিক্ষকের দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দাবী করছি।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার পোস্টেও নকল ধরা নিয়ে প্রশ্ন নেই। প্রশ্ন করেছি নকল ধরার পরের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে।
৭০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: somewhereinblog কে অসংখ্য ধন্যবাদ চলমান এই ইস্যূর একটি পোস্টকে স্টিকি করার জন্য। ভিকারুন্নেসা স্কুলের প্রিন্সিপাল নাজনীন ফেসদৌসী ও গভর্নিং বডিকে বিচারের আওতায় অবস্যই আনা উচিৎ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: এই পোস্টটি স্টিকি হবার কারনে ফেসবুকে ভাইরাল এক স্কলাস্টিকা স্কুলের শিক্ষিকার ফেসবুক স্ট্যটাস এখানে শেয়ার করলাম-
ভিকারুননিসা স্কুলের একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে; talk of the town.
আমি বিভিন্ন report পড়ছি, এক একজনের status পড়ছি, ভাবছিঃ শিক্ষক হিসেবে আমি কি শিক্ষকদের পক্ষ নিব; নাকি অভিভাবক হিসেবে অভিভাবকদের!!
২০০২ সন থেকে teaching profession এ আছি। আমার জীবনের turning point Scholastica school e teaching. Scholastica school বাচ্চাদের জন্য স্বর্গরাজ্য, teacher দের জন্য কঠিন জায়গা। এখানে বছরের শুরুতে teachers দের ৭ দিনব্যাপী training session থাকে। academic trainings ছাড়াও class management, handling harrassment in work place, how to deal the students of different age groups etc etc.
খুবই বিরস মুখে সেই trainings গুলো আমরা attend করতাম।এক একটা case study র role play করে আমরা কতবার অভিনেতা অভিনেত্রী বনে গেছি।
যাই হোক, আজ আমি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে আলোকপাত করতে চাইঃ
teenage বাচ্চারা একটা hormonal changes এর মধ্য দিয়ে যায়। তাদের তখন স্বাভাবিক প্রবৃত্তিই থাকে "yes" কে "no" বলা। প্রতিটা বাচ্চার যে একই reaction হবে, তা নয়। কিন্তু কিছু না কিছু মানসিক পরিবর্তন তার মাঝে আসবেই।
আমি এই institution এ দেখেছি, supervisors রা বাচ্চাদের অপরাধগুলো প্রথমেই parents পর্যন্ত পৌছান না। কতবার বিরক্ত হয়েছি, যে অপরাধগুলো আমাদের teachers দের কাছেও লুকানো হয়েছে, যাতে আমরা সেই বাচ্চাকে ক্লাশরুমে সেই অনুযায়ী judge না করি।
আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে, অসম্ভব বেয়াদপ বাচ্চার মানসিক অসুস্থতার কথা বছরের শুরুতেই আমাদের জানিয়ে দেওয়া হত, যাতে সেই বাচ্চাকে carefully আমরা handle করি, despite তার বেয়াদবী।
এই যে বাচ্চাদের নিয়ে business, অবশ্যই business, এটা খারাপভাবে নেওয়ার কিছু নেই। Business করতে হলে তো quality product দিতে হবে; its not only about educational quality. একটা বাচ্চা স্কুলে তার দিনের অর্ধেক সময় কাটাচ্ছে।
তার মানসিক health এর কথা চিন্তা করেই প্রতিটি স্কুলে professional counsellor থাকা উচিত। তেমনি teachers দের training এর ব্যবস্থা করা উচিত, কিভাবে কঠিন situation গুলো constructively handle করা যায়, at least in the classroom situation.
একটা বাচ্চা ভুল করেছে, ধরলাম চরম ভুল করেছে। তার মানেই কি, this is the end of her world! বাচ্চাটাকে বোঝানো, তাকে আর একবার, কিংবা আরো একবার সুযোগ দেয়া, খুব কি ক্ষতি হয়ে যায়। ভুল থেকে বাচ্চা যদি শিক্ষা পেয়ে সুধরে যায়, কি বিশাল পাওয়া! একবার, দুইবার, তিনবার তারপরও যদি না হয়, এই ব্যর্থতার দায়ভার বাবা মার, টিচার, counsellor, সবার, কিন্তু বাচ্চার নয়। কারণ বাচ্চা তো বাচ্চাই। হাজার ভুল করলেও কি বাবা মা তার নিজের বাচ্চাকে ছুড়ে ফেলে দিতে পারে, তাহলে একটা ভুলের জন্য institution কেন একটা বাচ্চাকে ছুড়ে ফেলে দিবে???
তারপরও ধরে নিলাম, অভিযোগ গুরুতর। will humilation help the students to come out of such act? কখনোই নয়। constructive শাষন, warning letter, সাময়িক suspension এই ধরনের measurement নেয়া যেতে পারত।
অরিত্রির logbook এ কি ওর আগের কোন অপরাধের ইতিহাস ছিল? আদৌ students দের কোন logbook বা profile কি এইসব স্কুলে maintain করা হয়?
প্রথম অপরাধ কিংবা দ্বিতীয় অপরাধেই একজন student, যে কিনা পরের বছর SSC পরীক্ষায় appear করবে, তাকে TC দেয়ার ডিসিশন কতটুকু যৌক্তিক??
কাউকে কাউকে বলতে শুনছি, আমাদের আমলে তো counsellor ছিল না, আমরা তো এইরকম ছিলাম না। আমল change হয়ে গেছে। Trust me. I deal with class vii to class xii range of students. Accept it. বাচ্চারা এখন more exposed to the world, to the positive as well as the negative things. একদিকে এরা যেমন mature, অন্যদিকে ওরা তেমন emotional.
তাই, মনে রাখতে হবে, humiliate করে, TC দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দিয়ে দিলেই আপনি একজন successful institutional head হয়ে গেলেন না। আপনি আসলে একজন negative মানুষ তৈরি করে দিলেন। আপনার ব্যর্থতা, অবশ্যি আপনার ব্যর্থতা।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: কথাগুলো খুবই ভালো।
৭২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৩
পলাশবাবা বলেছেন: যতযাই বলুন, পরীক্ষায় নকল কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। নকলকারী শিক্ষার্থীকে শিক্ষক তিরষ্কার করেবেন এটাই স্বভাবিক। নকল করে ধরা পরার পর মেয়েটির বাবা মা কোন মুখে স্কুলে সুপারিশের জন্য গেলেন তা বুঝলাম না। মেয়েটি পারিবারিকভাবে নৈতিকতা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। আর বেচারী শ্রেনীশিক্ষিকা আমাদের নোংরা রাজনীতির শিকার।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার পোস্টেও নকল ধরা নিয়ে প্রশ্ন নেই। প্রশ্ন করেছি নকল ধরার পরের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে। আর ভিকারুন্নেসার মত বড় বড় স্কুলগুলো এর আগেও বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এসেছে। এই সিস্টেম বদলাতে হবে।
৭৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কী করা উচিত? কার শাস্তি হওয়া উচিত? কী শাস্তি হওয়া উচিত?
আমার মতে, তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে দোষী/দোষীদের চাকরি থেকে ডিসমিস করা উচিৎ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে দেশের প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা উচিৎ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
৭৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩
আমি রোবট বলেছেন: অরিত্র আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি ,আমরা সবাই অর জন্য দুওা করবো ,যাতে আল্লাহ অকে জান্নাত নসিব করেন.।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিন!
৭৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩০
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ভীষন কষ্টের খবর। তোমার নিজস্ব অভিজ্ঞতাও তো ভীষন কষ্টের । সুবিচার হোক।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সাজি আপা।
৭৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮
বৃতি বলেছেন: দেশের বর্তমান প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাটাকে আমার কাছে খুব নাজুক বলে মনে হয়। একটা ভীষণ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে খুব অল্পবয়সী শিশুদের সামনেও। শুধু ছেলেমেয়েরা নয়, শিক্ষক এবং অভিভাবকরাও জিম্মি এই শিক্ষাব্যবস্থার কাছে। অরিত্রীর মর্মান্তিক ঘটনাটা ফোকাসড হয়ে চোখে পড়েছে সবার। এরকম প্রতিদিন কতশত শিশু সাফারার হচ্ছে নিশ্চয়ই। শিক্ষাব্যবস্থার কু-প্রথাগুলো নিয়ে আলোচনা হোক। সমালোচনা হোক। শিক্ষাব্যবস্থা সহজ হোক- বাচ্চারা একটি স্বাভাবিক শৈশব, কৈশোর যেন উপভোগ করতে পারে।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি।
৭৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫
মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ সময়োপযোগী গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের জন্য। খুবই দুঃখ পেয়েছি অকাল প্রয়াত অরিত্রির জন্য আর অপমানিত বোধ করছি শিক্ষক নামের অশিক্ষক কিছু অসাধু লোকেদের জন্য; যেহেতু আমিও এ পেশাতেই আছি। এরা সমাজের জঘন্য নর্দমার কীট বৈ কিছু নয়। ছাত্র অবস্থায় এরকম বিশ্রী পরিস্থিতির মধ্যে কখনোই পড়তে হয় নাই। আমার শিক্ষকগণ ভালোই ছিলেন আর আমাকে খুবই ভালো জানতেন। আমি সেসব সম্মানিত আদর্শ আর হৃদয়বান স্যারেদের জন্য দোয়া করি। আমার শিক্ষকতার ১৯ বছরে কলিগদের মধ্যে কিছু পেয়েছি যারা রুক্ষ বা বদমেজাজী তবে দুঃশ্চরিত্র আর অসৎ কারো সাহচর্য এখনো হয় নাই। অবশ্য আশপাশে অনেকের কথা প্রায়ই কানে আসে। আমি শিক্ষকতার প্রারম্ভে কিছুটা মেজাজী ছিলাম কিন্তু বি এড কোর্স কমপ্লিট করার পর রুক্ষতাকে বিদায় করে দিয়েছি। বি এড কোর্সের সময় সম্মানিত প্রশিক্ষক স্যারেদের কাছে এই তালিম নিয়েছি সর্বোচ্চ সেক্রিফাইস করতে না পারলে এই পেশায় না আসাই ভালো। আমাদের অনেক স্যারই বৈষয়িক ব্যাপারে খুবই সচেতন তাই তাদের অনেকের মধ্যেই মানবিকতা ও মূল্যবোধ এর ঘাটতি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে।। আর এই কারণেই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নানাভাবে নির্যাতিত হয় বা নাজেহাল হয়।। এর থেকে পরিত্রাণের সহজ রাস্তা হলো সার্বক্ষণিক তদারকি আর জবাবদীহিতার ব্যবস্থা রাখা। ধন্যবাদ ভালো থাকুন। আমাদের অরিত্রিরা ভালো থাকুক। নিরাপদে থাকুক।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।
৭৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: স্কুলের রুলস থাকা উচিৎ কড়াভাবে। আমি নিজে একটি বেসরকারি স্কুলে পড়েছিলাম এবং সেখানে অনেক কড়া রুলস ছিলো। আমাদের বাবা মা'কেও ডেকে স্কুলে অনেক ভাবে অপমান করা হতো। তবে আমাদের বাবা মা তা নিয়ে কখনো কষ্ট পাননি এবং আমাদের স্কুলের কেও আত্মহত্যাও করেনি।
অরিত্রির বাবা মা'কে শিক্ষক নিশ্চয়ই ওইরকম কিছুই বলেছে, যার কারণে অরিত্রি তা সহ্য করতে পারেনি। এখানে আমি বলব শিক্ষকের এত কড়া ভাবে খারাপ ভাবে একটি গার্ডিয়ানকে ইন্সাল্ট করা ঠিক হয়নি একদমই।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিন্তু তাই বলে শ্রেণী শিক্ষিকাকে কেন ধরা হলো বুঝতে পারছি না। অপমানসূচক কিছু বলার সুযোগ শুধু অধ্যক্ষেরই ছিলো।
৭৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২১
ঢাবিয়ান বলেছেন: আজকে খুব চমৎকার একটা লেখা পড়লাম যেখানে লেখক বলেছেন স্কুল বা কলেজ কি কোন শিক্ষার্থীকে টিসি (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) দিতে পারে? পারেনা। স্কুল-কলেজের হেড মাস্টার, হেড মিস্ট্রেস বা প্রিন্সিপালের বাবারো ক্ষমতা নাই ছাত্র বা ছাত্রীকে টিসি দেয়। টিসি মানে স্কুল থেকে বহিস্কার নয়; স্কুল পরিবর্তনের অনুমোদন। চারটা কারনে টিসি নেয়া যায়। বাবা-মায়ের বদলী, বাসস্থান পরিবর্তন, যাতায়াতের অসুবিধা এবং আর্থিক অসচ্ছলতা। এই চার কারনে ছাত্র বা ছাত্রী টিসির আবেদন করতে পারে। সংশ্লিষ্ট দুইটি স্কুলের সম্মতি সাপেক্ষে এই আবেদন অনুমোদন প্রদান করে শিক্ষা বোর্ড।
খাতা কলমে থাকা ''টিসি ''র ডেফিনেশনই তার মানে জানা নেই জানা নাই স্বনামধন্য এই স্কুলের অধ্যক্ষর।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আহ! আর এই টিসির সূত্রে কত মানসিক নির্যাতন যে করা হয়!
৮০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৭
অতি চালাক বলেছেন: আমি একজন শিক্ষক, শিক্ষকতা করে সংসার চালাই, ছাত্র/ছাত্রীরা যদি ভুল করে , আর যদি তাকে সংশোধন করার জন্য শাষন করা হয়। আর সে যদি আত্বহত্বা হত্যা করে তবে এর দায় ভার কার , শাষনের না শিক্ষকের?
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শাসন আর শোষণ এক না। শিক্ষকদের তাদের আচরণের প্রতি আরো সচেতন হওয়া উচিত।
৮১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৯
Broken Heart বলেছেন: এটাই বাংলাদেশ ভায়
কিছুই করার নেই স্বামী বিদেশ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ও আচ্ছা।
৮২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০১
হাসান রাজু বলেছেন: মনে পড়ে?
Another Brick In the Wall Lyrics
by Pink Floyd
We don't need no education
We don't need no thought control
No dark sarcasm in the classroom
Teachers leave them kids alone....
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দেশের শিক্ষার অবস্থা ভালো নয়।
সব কিছু চলে গেছে নষ্টদের অধিকারে।
আলোচ্য ঘটনার যথাযথ বিচার চাই।