নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(১)
ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার পর আমার জীবনে একটা বিষণ্ণতার আবহ নেমে এসেছিলো। আমি ছাত্র হিসেবে একদম খারাপ ছিলাম না। আমাকে নিয়ে বাবা-মা এবং আত্মীয় স্বজনের উচ্চাশাও ছিলো অনেক। কিন্তু সেই তুলনায় ফলাফল হলো একদম যাচ্ছে তাই! এখন কী হবে এই ছেলের! বায়োলজি নেই, ডাক্তার হতে পারবে না, তাহলে ভর্তি হবে কিসে? বিরস বদনে আমি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোচিংয়ে ভর্তি হলাম। সেই আমার প্রথম মিরপুর থেকে একা একা বাসার বাইরে যাওয়া বাসে করে। বিশাল ব্যাপার! সেই সময়ে আমি ফার্মগেট থেকে টেম্পুতে করে নীলক্ষেত যাবার রুট চিনে যাই। নীলক্ষেত তখন আমার কাছে এক গুপ্ত সাম্রাজ্য! কতরকম বই, পত্রিকা কম দামে পাওয়া যায়! বিশাল ব্যাপার। কোচিং করতে গিয়েও বেশ অন্যরকম অভিজ্ঞতা হলো। বুয়েটের একজন ভাইয়ার কথা এখনও মনে পড়ে। খুবই ক্যাজুয়াল ভঙ্গিতে এসে নানাভাবে হাসিয়ে কেমিস্ট্রির মত নীরস একটা বিষয়কে উপভোগ্য করে তুললেন। আমার জীবনের সবচেয়ে উপভোগ্য কেমিস্ট্রি ক্লাস ছিলো নিঃসন্দেহে সেটাই। অত আগের কথ সবাইকে এত ভালোভাবে মনে নেই, তবে সেই সময় আমার বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠতে এরকম ঝকঝকে মেধাবী কিছু তরুণ আমাকে সাহায্য করেছিলেন এটা জীবনের স্বর্ণখচিত কোন স্মৃতি না হলেও গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই!
এ্যাডমিশন পরীক্ষায় আমি খুব ভালো করলাম। ঢাবির ক ইউনিট, খুলনা ভার্সিটির দুই ইউনিট, কুয়েট (সেইসময় চারটি বিআইটির অখণ্ড পরীক্ষা হতো) সবখানেই চান্স, হুলুস্থুল ব্যাপার! উল্লেখ্য, আমার বুয়েটে পরীক্ষা দেয়ার নাম্বার ছিলো না।
(২)
একটু পেছনে ফেরা যাক। আমার ছোটবেলা কেটেছে মফস্বলে- মফস্বলে। সেখানে শিক্ষার মান কেমন ছিলো এ জাতীয় গুরুগম্ভীর আলোচনায় যাবো না, তবে ক্লাস ফোর পর্যন্ত আমি গরুর রচনা মুখস্থ করা, ছুটি চাহিয়া প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদন, এবং নামতা মুখস্থ করা ছাড়া কিছুই শিখি নি। ক্লাস ফাইভে একটু উন্নত মানের মফস্বলে আসার পর ভালো নামডাক থাকা একটি স্কুলে ভর্তি হলাম, খুব ঝকঝকে রেজাল্টও করলাম, কিন্তু পরের বছর স্কুলে পরিবর্তন করে আরো ভালো স্কুলে যাবার পর আমার এতদিনের অর্জিত সব সুনাম একদম ধুলোয় মিশে গেলো! আমি ইংরেজি প্রথম পত্রে পেলাম ৪৮, দ্বিতীয় পত্রে ৫৪। কেন এরকম হলো আমি কিছুই বুঝলাম না! পরীক্ষা তো ভালোই দিলাম, তাহলে এই অবস্থা কেন! আমার আব্বু খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন। নামকরা একজন ইংরেজির শিক্ষক নিয়োগ দিলেন আমাকে পড়ানোর জন্যে। আমি বুঝতে পারলাম, এতদিন যা শিখে এসেছি, সব ভুল! ক্লাস ফাইভে আমাকে দু হাতে নাম্বার বিলিয়ে দেয়া হয়েছে, সে তুলনায় শিখি নি তেমন কিছুই! টেন্স বলে যে একটা জিনিস আছে, এটা যে খুব ভালোমত শিখতে হয়, তাই জানতাম না! এরপর থেকে আমি ইংরেজিতে ভালো করা শুরু করলাম।
ওপরের উদ্দীপকের আড়ালে নিম্নলিখিত সৃজনশীল প্রশ্নগুলির জবাব দিন-
১। কোচিং সেন্টারে ভালো ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে ছেলে-মেয়েরা এসে পড়িয়ে যায়, তারা শিক্ষকতা পেশায় আসে না কেন?
২। মফস্বলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলগুলিতে শিক্ষকতা পেশায় যারা আসেন, তারা কতটুকু যোগ্য?
৩। স্কুলে ভালো মানের শিক্ষা না পেলে ভালো কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে ভর্তি হওয়া সম্ভব?
(৩)
পৃথিবীতে শিক্ষাদানের পদ্ধতির ওপর বিচার করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। ম্যাসকুলিন, এবং ফেমিনিন। ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডের মত দেশগুলিকে বলা যেতে পারে ফেমিনিন। যেখানে অনেক ক্লাস পর্যন্ত হোমওয়ার্ক দেয়া হয় না, শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কম, আবার জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মত চাপ বেশি। সেখানে স্কুলের পড়ার পাশাপাশি শ্যাডো এডুকেশন বা ছায়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও প্রচণ্ড চাপ, আমাদের দেশে যাকে কোচিং বলে অবিহিত করা হয়। ফিনল্যান্ডে শিক্ষকতা পেশায় যে কেউ চাইলেই যেতে পারে না। কঠিন মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে একজন শিক্ষককে গড়ে তোলা হয়, এবং তাদের বেতনও অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
বাংলাদেশে একজন শিক্ষক কত বেতন পান? শিক্ষকতা পেশায় কারা আসেন? শিক্ষকতা পেশা কি খুব আকর্ষণীয়?
প্রথম প্রশ্নের উত্তর- খুবই অল্প বেতন পান। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর- কারা আসে সুনির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল, তবে আমার কেমিস্ট্রির ক্লাসকে উপভোগ্য করে তোলা বুয়েটের সেই ভাইয়া যে আসেন না, তা নিশ্চিত করে বলতে পারি। এখন শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে দিলেই কি তারা দক্ষ হয়ে উঠবেন? মোটেও না। একটা বিশাল অংশের শিক্ষকেরা দক্ষ না, আর দক্ষতা থাকলেও তারা ক্লাসরুমে সবার প্রতি সমান মনোযোগ দিতে পারছেন না। এদিকে আপনি চাইছেন আপনার সন্তান ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হোক। যদিও আপনার চাওয়াটা সন্তানের ওপর চাপিয়ে দেয়াটা অন্যায়, তবে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারের দরকার আছে বৈকি!
তাহলে আপনাদের এই ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-সায়েন্টিস্ট-নাসার চাকুরি এই চাহিদাগুলো পূরণ হবে কীভাবে?
উত্তরটা এক কথায় খুব সহজ। শিক্ষার মান ভালো হতে হবে, শিক্ষককে দক্ষ হতে হবে। কিন্তু আপনি সেই মানের শিক্ষক কোথায় পাবেন?
(৪)
আমরা চাই, আমাদের বাচ্চাদের ওপর অযথা চাপ প্রয়োগ করা হবে না, কিন্তু তাকে বড় হয়ে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতেই হবে।
আমরা চাই উচ্চমানের শিক্ষা, কিন্তু শিক্ষকতা পেশায় আমরা কেউ যেতে চাই না।
আমরা চাই দ্রুত সমাধান। একটা সুইচ টিপে দিলেই হয়ে গেলো! প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে হবে? ঠিক আছে মাল্টিপল চয়েজ বন্ধ করে দেখা যাক! না না, ওতে কাজ হবে না, কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখো কিছুদিন। সে কী, তারপরেও প্রশ্নফাঁস হচ্ছে আচ্ছা, দেখা যাক পরের কোপ কার ঘাড়ে ফেলা যায়!
(৫)
শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। এটা নিয়ে বাণিজ্য চলবে না, খুবই চমৎকার সংলাপ, তেজোদ্দীপ্তও বটে। আমার ভালো লেগেছে লাইনটা। আগেকার দিনে পণ্ডিতমশাইয়েরা গাছতলায় টোল খুলে শিক্ষাদান করতেন, বিনিময়ে কলাটা-মূলোটা নিতেন, এমন চমৎকার যুগে তো ফিরে যাওয়া সম্ভব না, এখন হচ্ছে ওপেন মার্কেটের যুগ। যে ভালো সেবা দিবে, সেই টিকে থাকবে এটাই নিয়ম। যে ভালো সেবা দিবে না, তাকে মার্কেটই টিকে থাকতে দিবে না। খুব কর্কশ লাগছে শুনতে কথাগুলি?
আমি আমার ছেলেমেয়েদের ওপর ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-বিসিএস ক্যাডার হবার দায়ভার চাপিয়ে দেবো না, কিন্তু এটা চাইবো, তারা যেন যা শিখছে, ভালোভাবে শেখে। তারা যেখান থেকে ভালোভাবে শিখতে পারবে, সেখানেই পাঠাবো।
শিক্ষা পবিত্র, এ নিয়ে ব্যবসা চলবে না, এরকম জ্বালাময়ী বক্তৃতায় আসলে আর বিশ্বাস করি না এখন। ব্যবসা দুইরকম হয়, প্রোডাক্ট ওরিয়েন্টেড, আর সার্ভিস ওরিয়েন্টেড। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এগুলো নিয়ে ব্যবসা হলো সার্ভিস ওরিয়েন্টেড, আর খাদ্য পোষাক, এগুলো নিয়ে ব্যবসা হলো প্রোডাক্ট ওরিয়েন্টেড। খাদ্য আমাদের মৌলিক অধিকার, খাদ্য নিয়ে যারা ব্যবসা করে, তাদের কাছ থেকে বেশি দামে ভালো খাদ্যটিই নিতে চাইবো, বস্ত্র মৌলিক অধিকার হলেও আমি বেশি দামে ভালো বস্ত্র কেনার প্রয়োজন অনুভব করি না। স্বাস্থ্য মৌলিক অধিকার, এক্ষেত্রে কোন ছাড় নেই, এদিকে বাসস্থানের ক্ষেত্রে আমি মোটামুটি মাথা গোঁজা যায়, এমন জায়গা হলেই সন্তুষ্ট।
(৬)
ব্যাপারটা হচ্ছে প্রায়োরিটির। আপনি কোনটাকে কেমন প্রায়োরিটি দেন। শিক্ষা আমার কাছে হাই প্রায়োরিটির ব্যাপার। অনেক জায়গাতেই শিক্ষা ব্যাপারটা আর সার্ভিস ওরিয়েন্টেড নেই, প্রোডাক্ট ওরিয়েন্টেড হয়ে গেছে। সেটা স্কুল বা কোচিং সেন্টার দুই ক্ষেত্রেই। আমি চাই সার্ভিস। আমি চাই, যিনি শেখাবেন, তার সর্বোচ্চ পর্যায়ের দক্ষতা থাকবে, এবং ভালোভাবে, আনন্দের সাথে শেখাবেন। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত এই আনন্দ আমি পাই নি কোথাও, যেটা ইন্টারমিডিয়েটের পরে কোচিংয়ে সেই ভাইয়ার কেমিস্ট্রির ক্লাসে পেয়েছি, অথবা ক্লাস সিক্সে ইংরেজিতে ফল বিপর্যয়ের পর গৃহশিক্ষক হিসেবে যাকে পেয়েছিলাম। আমি এমন কারো কাছেই পাঠাতে চাই আমার বাচ্চাদের। কিন্তু কোথায় পাবো তাদের?
(৭)
এই ভিডিওটি মন দিয়ে দেখুন, অনেক কিছু স্পষ্ট হবে।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য।
এখন ঠিক করে দিয়েছি ভিডিওর লিংক।
ধন্যবাদ করুণাধারা।
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: পোস্ট ভালো লেগেছে।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সৌরভ।
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২৭
শায়মা বলেছেন: কোচিং কখনই একটা বাচ্চার লাগে না যদি স্কুল থেকে ঠিকঠাক পড়ানো হয়-
তারজন্য চাই প্রতিটা স্কুলের রোজকার ভিত্তিতে একটা ভালো লেসন প্ল্যান... চাই ভালো সিলেবাস
আর চাই যোগ্য শিক্ষক সাথে একটিভ লার্নিং স্টুডেন্ট সেন্টার্ড লেসন।
এই যে ভাইয়ার ক্লাস বা কেমিস্ট্রি ক্লাস বা সেই গৃহশিক্ষকের কথা বলছো তাদের মূল বিষয়টাই ছিলো আমার ধারণা ছাত্রের সাথে দ্বন্দ বা ভীতিটা কাটিয়ে দিয়ে সহজ করে কঠিন কথাগুলো বুঝিয়ে দেওয়া।
আমদের পুঁথিগত শিক্ষার দিন শেষ হয়ে এসেছে। গুরুগম্ভিরী মাস্টারী চালে আর পড়ালেখা চলবে না বরং চাই বন্ধু শিক্ষক ....
কোচিং কোনো সমাধান নয়। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বাড়াতে হবে......
আমি আমার স্কুল ও গুটিকয় স্কুলের পড়ালেখার মান নিয়ে প্রায় শতভাগ সন্তুুষ্ট কিন্তু আরও শত শত স্কুলগুলোতে কি হবে জানা নেই আমার ....
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: "স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বাড়াতে হবে"
এটা করতে আরো ২০ বছর লাগবে কমপক্ষে। ততদিনে আর কোচিং লাগবে না হয়তো।
কিন্তু আমরা ১ বছরের মধ্যে সব সমাধান করতে চাই!
৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৪
তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন: অনেক দিন পরে লেখা পড়লাম আপনার। শিক্ষাক্ষেত্রে এদেশের বাস্তবিক সমস্যা গুলোই উঠে এসেছে লেখায়।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ স্বাধীন। ভালো থাকবেন।
৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
সরকার যদি সবাইকে ফ্রি পড়তে দেয় ও পড়তে বাধ্য করে, সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ফ্রি পড়তে দেবে, কিন্তু যারা পড়াবে তাদের মান ভালো না হলে কোন লাভ নাই।
৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মান দিনের পর দিন নিম্নগামী হচ্ছে। আর মাথামোটা আমলা ও নীতিনির্ধারকরা একেক সময় একেক সিদ্ধান্ত দিয়ে সংকট আরও বাড়িয়ে তুলছেন।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: জ্বী হেনা ভাই। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২১
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: শিক্ষা
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন:
৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৯
জ্ঞান পাগল বলেছেন: শিক্ষার বাস্তব চিত্র
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: কোচিং বন্ধ করে প্রশ্নপত্র ফাঁস দেঠানো যাবে না।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: জ্বী।
১০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৮
তাশমিন নূর বলেছেন: খুব মন দিয়ে পড়লাম পুরো লেখাটি। যুক্তিযুক্ত উপস্থাপন।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শিক্ষার প্রতি আপনার এই অনুরাগ প্রশংসনীয়।
১১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সময়োপযোগী একটা ফিচার!
মূল ফোকাল পয়েন্ট গুলো খুবই সৃজনশীল ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
সমস্যা হলৌ যাদের এ বিষয়গুলো উপলদ্ধি করা প্রয়োজন তারা ব্লগ কি তাই হয়তো বোঝে না!
শিক্ষকরা মুক্ত ভাবেই স্বীকার করছেন- তারা সৃজনশিল পদ্ধতিই বোঝেন না।
টোটাল শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বিগত ১০ এবং আরো ১০ মিলে বিশ বছরে লাখো কোটি শিক্ষার্থীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা
এর দায় কে নেবে? জবাবদিহিতরা বালাই নেই! যার যেমন খুশি এক্সপেরিমেন্ট চালাও! ভূক্তভূগি গিনিপিগ - আমজনতা!
সুন্দর সময়োপযোগী সমাধানের জন্য প্রকৃত জ্ঞানী, প্রাজ্ঞ লোকদের নিয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হোক।
দীর্ঘ গবেষনা, মূল্যায়ন এবং প্রাথমিক প্রচারণার পর আবার সংশৌধনির মাধ্যমে একটা পরিপক্ক শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হোক।
+++
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ভৃগু ভাই। এ কথাগুলো ছড়িয়ে দেয়া দরকার।
১২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৩
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি শক্ত হলেই সবকিছুর সমাধান হয়ে যায়। যদিও এই ভংগুর অবকাঠামোকে নতুন করে সাজাতে হলে অনেক সময়ের প্রয়োজন। তাই এই বিবেচনায় হুট করে কোচিংগুলো বন্ধ না করে কিছু নির্দেশনা বেঁধে দিতে পারে এবং পর্যবেক্ষণে রাখতে পারে যেন সুবিধাবাদীরা সুযোগ না নিতে পারে। ব্যবসাকে ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যবসা বলা যাবে যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার কাছ থেকে পণ্য কিংবা সেবা পেয়ে কনজ্যুমার সন্তুষ্ট থাকবে এবং আপনার কিছু আয় হবে। পণ্য বা সেবার বিনিময়ে অযৌক্তিক আয়কে কখনো ব্যবাসায় বলা যায় না, তাকে প্রতারণা বলে। এবং অর্থসংকটে থাকা শিক্ষা পিপাসুদের প্রতি ব্যবসায়ীক মনোভাব শিথিল রাখা শিক্ষা ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়ীক মূলনীতিতে স্বাভাবিকভাবেই পড়তে পারে।
আপনার লেখা এবং ভিডিওর আলোচনা একই স্রোতধারায় বহমান। সুন্দর আলোচনা।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:০২
বিষন্ন পথিক বলেছেন: শিক্ষা নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না কিন্তু তোমার লেখনী বারবরের মতই চমৎকার, শুভকামনা
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন।
১৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যেসব দেশ ঘনবসতি, ক্লাসে বেশী স্টুডেন্ট, সেসব দেশেই কোচিং ব্যাবসা গড়ে উঠেছে।
যেমন হংকং, কোরিয়া, বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান।
নিউইয়র্কে বাংগালী কমুনিটিতে বিচ্ছিন্ন কিছু কোচিং থাকলেও আমেরিকা, ইওরোপ, কানাডা ইত্যাদি উন্নত দেশে কোন কোচিং ব্যাবসা গড়ে উঠেনি। কারনটা সেখানে ভাল টিচিং, ক্লাসে কম স্টুডেন্ট।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ (সম্ভবত)।
তো বাংলাদেশে এমন অবস্থা কবে আসতে পারে, যখন সবার জন্যে শ্রেণীকক্ষে মানসম্পন্ন পাঠদান নিশ্চিত হবে?
১৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০১
সিগন্যাস বলেছেন: কালবৈশাখী ভাইয়ের সাথে সহমত
১৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৬
সোহানী বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী সাহেব ভুল বলেছেন। কানাডায় অসংখ্য কোচিং সেন্টার অলিতে গলিতে। বিশেষ করে এশিয়ান বাচ্চারা অবশ্যই কোন না কোন কোচিং সেন্টারে যায়।
যাহোক, হামা ভাই আপনার আলোচনা মন দিয়ে পড়লাম। অনেকদিন থেকেই বিষয়টি নিয়ে আমিও ভেবেছি। এবং কিছু অংশ আমি আমার বিজ্ঞান বক্স লিখায় উল্লেখ ও করেছি। যাহোক কোন একসময় বিস্তারিত আলোচনা করবো। তবে অল্পতে বলি বিষয়টার ব্যাখ্যা একটু জটিল। এর সাথে অনেক অনেক কিছু জড়িত। চাইলেই যেকোন ভাবে সর্টকাট সলিউশানে আসা যাবে না। এর দরকার সরকারী পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। কিন্তু কে করবে? কিভাবে করবে? কেউই জানে না। তাই সহজ উপায় ব্লেইম গেইম!!! দোষ চাপাও আর নিজের ঘাড়ের দোষমুক্ত করো........ব্যাস সমস্যার সর্টকাট সমাধান। যাক্, কোচিং সেন্টার ও কোনদিন বন্ধ হবে না, নকল ও বন্ধ হবে না এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস ও বন্ধ হবে না। তাই এতাে টেনশান নিয়েন না.............
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: টেনশন নেয়ার মতই ব্যাপার সোহানী। টেনশন নিতে হবে। মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত না হলে বাংলাদেশ খুব ধীরে এগুবে। এটা আমি চাই না।
১৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কানাডায় অসংখ্য কোচিং সেন্টার অলিতে গলিতে।
ভুল। হবে টরন্টোতে অসংখ্য কোচিং সেন্টার অলিতে গলিতে।
টরন্টো নিউইয়র্কের মতই হাজারে হাজারে বাংগালী কিলবিল করে।
১৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার শিক্ষা জীবনে সেরা পাঁচ শিক্ষকের চার জনই ছিল কোচিং সেন্টার এর। এদের গল্পগুলো নিয়ে খুব শীঘ্রই একটা পোস্ট লিখতে মন চাচ্ছে। আপনার পোস্ট পড়ে মনে হল অতি অবশ্যই লিখতে হবে।
আর একটি বিষয়ে লেখবো বলে দুদিন ধরেই মাথায় নিয়ে ঘুরছি, তা হল সার্ভিস ওরিয়েন্টেড ইন্ডাস্ট্রি এবং আমাদের দেশের বাস্তব প্রেক্ষাপট। আর সাথে "নট ফর প্রফিট" আর "নন-প্রফিটেবল" বিজনেস এর পার্থক্য। অন্যান্য মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণে যদি মাল্টিপল এবং প্যারালাল সাপ্লাইয়ার থাকতে পারে, শিক্ষা ক্ষেত্রে কেন নয়? একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন একটি বিষয়ে যদি কোয়ালিটি টিচার না থাকে, তার জন্য আউট সাইড সার্ভিস নেয়া যেতেই পারে। কিন্তু কথা হল, যে টিচার স্কুলে ম্যাথ পড়াচ্ছে, সেই টিচারের কাছে সেই স্কুলেরই ছাত্রকে কেন প্রাইভেট টিউশন নিতে হবে?
তাই কোচিং সেন্টার বন্ধ না করে, স্কুল-কলেজের টিচারদের কোয়ালিটি নিশ্চিত করুন এবং তাদের পর্যাপ্ত সম্মান সূচক বেতন-ভাতাদি সহ সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে আইন করুন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রাইভেট টিউশন বা কোচিং সেন্টারে পড়াতে পারবেন না। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নন, এমন কেউ যদি প্রাইভেট টিউশন দেয় কোচিং সেন্টার খুলে সেখানে সমস্যা কোথায়? ধরে নিন, একজন বুয়েট পাশ ছেলে শিক্ষা জীবনে আয়ের জন্য প্রাইভেট টিউশনি করতে করতে উপলব্ধি করল সে ভাল পড়াতে পারে এবং এই কাজটা সে উপভোগ করছে; ফলে সে পেশা হিসেবে প্রাইভেট পড়ানোটাকে বেছে নিতে চায়। এখন সে কোচিং সেন্টার খুললে কোন যুক্তিতে আপনি তাকে বাঁধা দিবেন। প্যারালাল এই এডুকেশন সোর্স থাকতে দিতে হবে, ছাত্রদের প্রয়োজনেই। তবে আবার বলি, বন্ধ করতে হবে, "স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা'দের একই স্কুলের ছাত্রদের প্রাইভেট টিউশন/ব্যাচ/কোচিং এ পড়ানো"টা। এর জন্য তাদের যা যা সুযোগ সুবিধা, ট্রেনিং ইত্যাদি দিতে হবে, তার দায়িত্ব সরকার এবং সংশ্লিষ্ট স্কুল/কলেজ ম্যানেজমেন্টকে নিতে হবে।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় হামা ভাই, গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে লেখার জন্য। অনেক অনেক ভালবাসা রইল। ভাল থাকুন সবসময়।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার বলেছেন বোকা ভাই। ভালো থাকবেন।
১৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৭
গরল বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তরগুলো দেবার চেষ্টা করছি, শিক্ষকতা পেশায় টাকা নাই, ক্ষমতা নাই, এমনকি ইদানিং সম্মানও নাই। একটা উদাহরণ দিয়ে বলি, ধরুন আপনার বোন বা মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসল একজন সরকারি অফিসার, একজন ব্যাংকার, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার আর একজন শিক্ষকের কাছ থেকে। আপনি শিক্ষককে বিবেচনায় নিবেন না অবশ্যই বা নিলেও সবার শেষে।
প্রাথমিকের শিক্ষকেরা তৃতীয় শ্রেণীর, মাধ্যমিকের শিক্ষকেরা দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মচারী, অথচ একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট, ফুড ইন্সপেক্টর, বন বিভাগের রেঞ্জার, মন্ত্রণালয়ের সেকশন অফিসার দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মচারী বড়ংচ তাদের ক্ষমতা ও উপরি টাকাও আছে। তাহলে কোন বোকা কষ্ট করে স্কুলের শিক্ষক হবে। আর আমিও সহশিক্ষা বা কোচিং এর বিপক্ষে না তবে নিয়ণ্ত্রনের পক্ষে, যেমন পেশাদার শিক্ষকেরা যেন কোচিং করাতে না পারে। আর মাণ নিয়ণ্ত্রনের জন্য ডাক্তার, আইনজিবীদের মত কাউন্সিল করে সেখান থেকে লাইসেন্স নেওয়া বধ্যতামূলক করতর হবে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি তো এই পরিস্থিতির পরিবর্তন চাই! আমি তো চাই টিচিং হাইয়েস্ট পেইড জব হোক! যতদিন টাকা না থাকবে ততদিন মেধাবীরা আসবেও না। আর এলেও কোচিং করানোতে ঝুঁকবে। খামোখা "শিক্ষকতা মহান পেশা" জাতীয় গালভরা নীতিকথা বলে লাভ কী?
২০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: জ্বী।
আমি বলতে চেয়েছি- কোচিং বন্ধ করে দিয়ে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানো যাবে না। নো নেভার।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: জ্বী, আমিও তো তাই বলছি।
২১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২০
জাহিদ অনিক বলেছেন: সত্যি বলতে আমিও চাই না বাচ্চারা কষ্ট করে স্কুল করুক, আবার বাইরে গিয়ে কোচিং সেন্টারে কষ্ট করুক। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা এত দ্রুতগতির হয়ে গেছে যে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে স্কুলের বাইরে টিউশন কখনো কখনো খুব জরুরী। শ্রেণীকক্ষে একজন শিক্ষকের পক্ষে ৪০/৫০ মিনিটে সব শিক্ষার্থীর প্রতি সমান মনোযোগ দেয়া সম্ভব না।
কোচিং হোক কিংবা হোম টিউশন- একদম যে কিছুই সহায়তা করে না তা নয়, অনেক ক্ষেত্রেই এগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য উপকারী। তবে নামে মাত্র সময় কাটানোর জন্য কোচিংও আছে। সেগুলো বন্ধ করতে হবে সেখানে যারা পড়ে আর যারা পড়ান উভয়ই আসেন সময়টা কাটাতে।
প্রশ্ন ফাস মনে হয় কোচিং এর কাজ না। শিক্ষাবোর্ডে যে বা যারা জড়িত তারা কোচিং কে ব্যবহার করছে হয়ত- কোচিং না থাকলে তারা অন্য মাধ্যম ধরবে। আমি দুই টা কোচিং এ পাঠদান করেছি- শিক্ষকদের মধ্যে প্রশ্ন ফাস করার কোনো ইচ্ছে দেখিনাই।
আর কোচিং বানিজ্য--- ভিডিওটা দেখেছি--- এদেশের মানুষ বানিজ্যের সংজ্ঞা নেতিবাচক ভাবতেই পছন্দ করে। অথচ আমি তো দেখেছি অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থী কোচিং এ ফ্রি ক্লাস করছে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুচিন্তিত মন্তব্য। ভালো থাকবেন।
২২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আসলে এখন বাবা মা এত বেশি ব্যস্ত যে তাড়া কোচিং এ দিয়েই শেষ ।
আর আমাদের যারা শিক্ষক যারা বর্তমানে আছে তারা ব্রড মাইন্ডেড না । শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে তাদের উদাসীনতা আছে তবে সেটা স্কুল কলেজে । যারা প্রাইভেট পড়বে তাদের জন্য না ।
শিক্ষার দুর্বলতা আমাদের সিস্টেমে ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো বলেছেন।
২৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:০৪
রাফা বলেছেন: কোচিং কখনই সঠিক শিক্ষাদানের পদ্ধতি বা মানদন্ড নির্ণায়কে ভুমিকা রাখতে পারেনা।
শিক্ষাদানের পদ্ধতি ও আন্তর্জাতিক মানের করাই এর সমাধান হতে পারে।শিক্ষা যদি বানিজ্যিক করা হয় সেটাতে ক্ষতি নেই।কিন্তু অর্থের বিনিময়ে যেনো সঠিক ও মানসম্মত শিক্ষা দেওয়া হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আধুনিক সময়ে সবার জন্য উচ্চশিক্ষার পরিবর্তে চাহিদা ও সময় উপযোগি শিক্ষা দেওয়া অতি আবশ্যিক।
ভালো শিক্ষক পেতে হলে অবশ্যই ভালো বিনিময় মূল্য দিতে হবে।এর জন্য অধিক খরচ করতেই হোতে পারে ।কিন্তু সেটা হোতে হবে শ্রেনি শিক্ষার মাধ্যমেই ।অর্থাত ক্লাসের পড়া ক্লাসে অবশ্যই পরিপুর্ণরুপে করিয়ে দিতে হবে।
এবং এটা অবশ্যই সম্ভব ।সবার জন্য সমতাও নিশ্চিত করবে।যে পয়সা আপনি কোচিংয়ে ব্যায় করছেন তার আংশিক মূল বেতনের সাথে যোগ করলেই হবে বলে আমার বিশ্বাস।
ধন্যবাদ,হা.মাহবুব।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
তবে শিক্ষকদের বেতন বাড়ালেই যে তারা খুব দক্ষ হয়ে উঠবেন, এমন না। দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে হবে। এর জন্যে একটা প্রক্রিয়া গড়ে তুলতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮
করুণাধারা বলেছেন: কোচিং এর কোন প্রয়োজন হয় না, যদি শিক্ষক ভালোভাবে পাঠ্য বিষয়বস্তু বুঝিয়ে দিতে পারেন আর ছাত্র আনন্দের সাথে তা গ্রহণ করতে পারে। সবচেয়ে বেশি দরকার পাঠ্য পুস্তক এমনভাবে লেখার যেন তা সহজেই বোঝা যায়। আমাদের সময় এমন ছিল। তখন কোচিং এর কোন দরকার হতো না; কোচিং ছাড়াই আমরা পছন্দ মত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছি। পাঠ্য বইগুলো আজকাল এমনভাবে লেখা হয় যে, তা পড়ে বোঝা দুঃসাধ্য। নতুন জুড়ে দেওয়া আইসিটি সাবজেক্টে (এইচএসসির) শুনেছি এমন কিছু চ্যাপ্টার আছে যেগুলো কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর থার্ড ইয়ারে পড়ানো হয়। এটা নিজে পড়ে কোন ছাত্র বুঝতে পারে না, তার জন্য সহায়তা দরকার। এই সহায়তা কোচিং সেন্টার ছাড়া আর কোথায় পাওয়া যায় এটা শুধু একটা উদাহরণ। দ্বিতীয়তঃ বিদ্যালয়ে ভালো শিক্ষকের অভাব। কোচিং ক্লাসে যারা শিক্ষা দান করে তারা সাধারণত তরুণ বয়সী শিক্ষার্থী, এদের শিক্ষা দেবার পদ্ধতি বিক্রি হয় কার্যকরী হয়।
কত হাবিজাবি কাজে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়! কোচিং এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোন গবেষণা কেন হয় না.....
পোস্ট ভালো লেগেছে, ভিডিওটা কাজ করছে না।