![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারত,পাকিস্তান,বাংলাদেশ,ভুটান,
নেপাল,মালদ্বীপ,শ্রীলংকা আর
আফগানিস্তান এই আটটি দেশ নিয়ে
সার্ক গঠিত। যদিও এগুলোর মধ্যে এক
ভারত বাদে আমাদের সাথে আর
কারো সরাসরি ভূসংযোগ নেই, তারপরও
সবার ঢাল-তলোয়ার সর্ম্পকেই আমাদের
ধারণা থাকা দরকার। আর মিয়ানমার
সার্কভুক্ত না হলেও যেহেতু আমাদের
সাথে বর্ডার রয়েছে আর আমাদের
যেভাবে ভুগাচ্ছে তাতে করে
তাদেরটা জানাও আমাদের জন্য জরুরী।
এবার মূল আলোচনাতে আসি…
সেনা :
ভারতের সেনাবাহিনী দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম
যেখানে প্রায় ১২ লক্ষ আছে একটিভ
সৈন্য আর প্রায় ১০ লক্ষ আছে রিজার্ভ।
অন্যদিকে পাকিস্তানের একটিভ
সেনা আছে প্রায় ৬ লক্ষ আর রিজার্ভ
আছে ৫ লক্ষ। বাংলাদেশের এই দুজনের
মত এত বেশি না থাকলেও একদম খারাপ
নেই। আমাদের সেনা সংখ্যা প্রায় ৩
লক্ষের কাছাকাছি যেখানে
রিজার্ভ সেনা বলতে কিছু নেই।
আমাদের সমান সমান অবস্থা
শ্রীলংকার। তাদেরও সেনা সংখ্যা
প্রায় ৩ লক্ষ এবং সবাই একটিভ।
আফগানিস্তানের সৈন্য সংখ্যা প্রায়
২ লক্ষ আর নেপালের ১ লক্ষের কিছু
বেশী আছে। সবচেয়ে ছোট
সেনাবাহিনী রয়েছে ভুটানের।
তাদের সেনা সংখ্যা মাত্র ৬০০০!
যদিও এতেই তাদের চলে যায় কেননা
তারা হানাহানি খুব একটা পছন্দ করে
না। ভুটানের তাও সেনাবাহিনী
আছে, কিন্তু মজার বিষয় হল
মালদ্বীপের কোন সেনাবাহিনীই
নেই! বোধহয় সমুদ্রবেষ্টিত এই দেশটি
সমদ্রকেই তাদের সেনাবাহিনী মনে
করে। আর সার্কের বাইরের দেশ
মিয়ানমারের সেনা সংখ্যা প্রায়
সাড়ে ৩ লক্ষ।
সেনাবাহিনীগুলোর হালকা
অস্ত্রশস্ত্রর ব্যবহারের মধ্যে তেমন কোন
পার্থক্য না থাকলেও ভারী অস্ত্রের
বেলায় চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। ভারতের
সেনাবাহিনীর হাতে সব জেনারেশন
মিলিয়ে প্রায় ২৮০০ টি ট্যাংক আছে।
আর পাকিস্তানের আছে প্রায় ১৭০০ টি
ট্যাংক। সাম্প্রতিক চীনের কাছে
অর্ডার দেয়া ৪৪ টি MBT-2000 ট্যাংক
হিসেবে ধরলে বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর ট্যাংক সংখ্যা
দাঁড়ায় ৭০০ টির কিছু বেশি।
আফগানবাহিনীর হাতে আছে
সোভিয়েত আমলের প্রায় ৯০০ টি
ট্যাংক। এছাড়া শ্রীলংকান
বাহিনীর হাতে আছে ২৭০ টি ট্যাংক।
বাকি তিন দেশ-নেপাল, মালদ্বীপ,
এবং ভুটান ট্যাংক রাখা জুরুরী কিছু
মনে করে না…আর মিয়ানমার
বাহিনীর হাতে আছে ৬০০ টি ট্যাংক
যদিও শোনা যাচ্ছে যে তারাও
নাকি চীনের কাছে বেশকিছু
MBT-2000 ট্যাংকের অর্ডার দিয়েছে।
এত গেল ট্যাংকের হিসেব, এবার আসি
APC এর হিসেবে। APC বা Armored
Personnel Carrier হল ট্যাংকের মত দেখতে
কিন্তু এতে কামানের বদলে ভারী
মেশিনগান, মর্টার কিংবা ট্যাংক
বিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহৃত হয়। যুদ্ধক্ষত্রে
এগুলোও বেশ উপকারী বিশেষ করে
ট্যাংকের তুলনায় এদের অপেক্ষকৃত দ্রত
গতির জন্য। ভারতের সেনাবাহিনীর
হাতে APC আছে প্রায় ৫০০ টির মত। আর
পাকিস্তানিদের হাতে আছে ৪০০০
টি! বাংলাদেশে আর্মির APC আছে
১৩০০ টির কিছু বেশী। রাশিয়ার
তৈরী BTR-80 নামক APC বিশ্বের ভেতর
সবচেয়ে বেশী আছে বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর। প্রধানমন্ত্রী
রাশিয়া গিয়ে নাকি আরো
শ’দেড়েক BTR-80 অর্ডার দিয়ে
এসেছেন(ভালবাসা জন্মে গেছে!)
সোভিয়েত অস্ত্রের জাদুঘর বলে
পরিচিত আফগানিস্তানের APC আছে
প্রায় ১০,০০০ টি! শ্রীলংকা আর
নেপাল উভয়েরই APC আছে প্রায় ৩০০ টি
করে। ভুটান এবং মালদ্বীপের হাতে
কোন APC নেই। মিয়ানমারের হাতে
৩০০ টির মত APC থাকলেও জানা গেছে
ইউক্রেনের কাছে তারা ১০০০ টি
BTR-3U অর্ডার দিয়েছে।
এগুলো বাদে আর যেসব ছোটখাট
অস্ত্রশস্ত্র যেমন Howitzer, Infantry Armored
Vehicle, Anti tank gun, Rocket launcher ইত্যাদি
আছে ওগুলোর বিষয়ে আর কথা বাড়াব
না, কেননা যুদ্ধক্ষেত্রে এগুলো দুপক্ষের
ভেতর খুব সামান্যই পার্থক্য গড়ে দেয়।
এবার আসি ক্ষেপনাস্ত্রের হিসেবে
যেটা কিনা কৌশলগতভাবে খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। ইন্ডিয়ান আর্মির হাতে স্বল্প
পাল্লা থেকে শুরু করে দূর পাল্লার
মোট ৬ রকমের ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র
আছে। তাদের অগ্নি এবং প্রহার নামক
ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দিয়ে তারা অন্য
মহাদেশেও হামলা করার ক্ষমতা
রাখে! এছাড়া ভারতের রাশিয়ায়
তৈরী প্রায় ৫০০ টি স্বল্পপাল্লার ক্রুজ
ক্ষেপণাস্ত্র আছে। পাকিস্তানের
হাতে আছে প্রায় ১১ রকমের
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৬ রকমের
ক্রজ ক্ষেপণাস্ত্র। পাকিস্তানের
শাহিন-৩ ক্ষেপণাস্ত্রটি ৪,৫০০
কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত
হানতে সক্ষম। তবে পরিতাপের বিষয় হল
আমরা কোন ক্ষেপণাস্ত্রের গর্বিত
মালিক নই। এ তালিকায় আরো আছে
নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ
এবং আফগানিস্তান।
মিয়ানমারের হাতে দূর বা মাঝারি
পাল্লার কোন ক্ষেপনাস্ত্র না
থাকলেও প্রায় ১৩০০ টি অতি স্বল্প
থেকে স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র
আছে যা কিনা আমাদের সাথে
তাদের যেকোন বিবাদের সময় বড়
প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে।
ভারতের সেনাবাহিনীর কাছে
নানা প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ১৮০ টি
হেলিকপ্টার আছে। তবে পাকিস্তান
আর্মির এ সংখ্যাটি ৫৩০ ছুঁইছুঁই। বিমান
আর হেলিকপ্টার মিলিয়ে আমাদের
আর্মির কাছে মোট ১১ টি আকাশযান
আছে। জানামতে বাকি দেশগুলোর
কোনটির আর্মিরই আকাশযান নেই।
সবশেষে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
যেটা কিনা ভারত, পাকিস্তান আর
মিয়ানমার বাদে আর কারোরই নেই।
ভারতের খুব শক্তিশালী মোট ১৩ ধরণের
আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আছে যা
কিনা বিমান হামলা প্রতিরোধে
বেশ কার্যকারী। উদাহরণস্বরুপ বলা যায়
২৮৮ টি ক্ষেপণাস্ত্র সংবলিত
S-300PMU-2 প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির কথা।
ভারতের মত এত শক্তিশালী না হলেও
পাকিস্তানের হাতে আছে প্রায় ১০
ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যার
মধ্যে কোনটি মধ্যম পাল্লার আবার
কোনটি দূর পাল্লার। মিয়ানমারে
নিম্ন মানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
থাকলেও তা দিয়ে তারা আমাদের
বিমানবাহিনীর
খেলনাবিমানগুলোকে খুব সহজেই
ভূপাতিত করতে পারবে। তাদের এই
প্রতিরক্ষা ব্যবস্তা আছে মোট ১০
রকমের।
আমাদের সেনাবাহিনীর কাছে আছে
কিছু Anti-Aircraft gun যা দিয়ে মিগ তো
দূরে থাক আমাদের দাদার আমলের
ট্রেনিং বিমানগুলোকেও ভূপাতিত
করা যাবে কিনা সন্দেহ আছে!!!!
নৌ:
যথারীতি ভারতের নৌবাহিনীও
অন্যান্য দেশের চেয়ে বড় যার সদস্য
সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।
পাকিস্তানের একটিভ রিজার্ভ
মিলিয়ে নৌবাহিনীর সাইজ গিয়ে
ঠেকবে ২৭,০০০ এ। আর আমাদের দেশের
নৌবাহিনীতে সিভিল স্টাফ বাদে
কর্মরত আছেন প্রায় ২০,০০০ জন। তবে ছোট
দেশ হলেও শ্রীলংকান
নৌবাহিনীতে কর্মরত আছেন প্রায়
৫০,০০০ নৌসেনা। সমুদ্রবেষ্টিত না
হওয়াতে নেপাল, ভুটান,
আফগানিস্তান কারোরই নৌবাহিনী
রাখার কোন প্রয়োজন হয় নি। আর
মালদ্বীপের কিছু কোস্টগার্ড আর
মেরিনা কোর্প আছে যারা কিনা
মূলত মাছ ধরাটরা তদারকি করেন!!!
মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সাইজ
আমাদের সমান-প্রায় ২০ হাজার।
এবার দেখব রণতরী আছে কার কেমন…
রণতরীর কথা চিন্তা করলে ইন্ডিয়ান
নেভির ধারে কাছেও কেউ নেই।
তারা সবচেয়ে এগিয়ে আছে যে
বিষয়টিতে তা হল বিমানবাহী
রণতরী। পৃথিবীতে অল্প যে কয়েকটি
দেশের বিমানবাহী রণতরী আছে তার
মধ্যে ভারত একটি। ভারতের
বিমানবাহী রণতরী INS-VIRAAT ৩০ টি
বিমান ধারণে সক্ষম। এছাড়া
দেশীয়ভাবে তৈরী আরেকটি
বিমানবাহী রণতরী খুব শীঘ্রই ভারতীয়
নৌবাহিনীতে যোগ দিবে এবং
রাশিয়া থেকেও একটি কেনা হচ্ছে!!!
বিমানবাহী রণতরী না থাকলেও
পাকিস্তানের ১১ টি ফ্রিগেট(এক
রকমের যুদ্ধজাহাজ) আছে। আর ভারতের
ফ্রিগেট আছে ১২ টি। অন্যদিকে
মিয়ানমারে ৪ টি ফ্রিগেট থাকলেও
তা আমাদের একমাত্র ফ্রিগেট তথা
যুদ্ধজাহাজ বি এন এস বঙ্গবন্ধু(ভূতপূর্ব
খালিদ বিন অয়ালিদ) এর মত এত উন্নত
নয়। ভারতের নৌবাহিনীর আছে ১৫ টি
সাবমেরিন আর পাকিস্তানের আছে ৫
টি। অন্যান্য দেশগুলোর নেভির কেউই
নিজের সাবমেরিনের সাধ পায় নি
কখনো। ইন্ডিয়ান নেভির টর্পেডো
বিধবংসকারী ৮ টি ডেস্ট্রয়ার আছে
যা অন্য কোন নেভির হাতে নেই।
তাছাড়া এদের হাতে এক জায়গা
থেকে আরেক জায়গাতে ট্রুপ
পরিবহনের জন্য বেশ কিছু ল্যান্ডিং
ক্র্যাফট আছে। ছোট ছোট কিছু মিসাইল
বহনকারী জাহাজ বাদে শ্রীলংকান
নেভির হাতে তেমন কিছুই নেই।
পাকিস্তান নেভির হাতে মাইন
পরিস্কারকারী ৩ টি জাহাজ
থাকলেও ভারতের তা আছে ৮ টি।
আমাদেরও কিছু আছে তবে সেগুলো
কাজ করে কিনা জানা নেই! আমাদের
ছোট জিনিসে নজর দেয়াটাই ভাল।
মিসাইল বহনকারী ১১ টি ছোট
কিসিমের জাহাজ আছে আমাদের আর
একই জিনিস মিয়ানমারের আছে ৫
থেকে ৭ টি। প্রতিটি দেশের
নৌবাহিনীর হাতে কিছু আকাশযান
থাকলেও সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে
আমরা অন্য টপিকে চলে যাচ্ছি। তবে
একটি জিনিস না বললেও নয় যে
ইন্ডিয়ান নেভির হাতে ৭ টি Mig-29k
জঙ্গীবিমান আছে!!!
বিমান :
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আকাশ! আকাশ যার
দখলে সেই বস। আমরা কোন দেশের
বিমান বাহিনীতে কত জন আছে তা
না হিসেব করে সরাসরি চলে যাব কার
কতটি বিমান আছে সে হিসেবে।
ফাইটার এটাকার মিলিয়ে ইন্ডিয়ান
বিমানবাহিনীর হাতে জঙ্গিবিমান
আছে ৭০০ টির উপরে। আর
পাকিস্তানের হাতে আছে প্রায় ৪৫০
টি জঙ্গী বিমান। ভারতের
বিমানগুলোর অধিকাংশই রাশিয়ার
তৈরী আর পাকিস্তানেরগুলো
বেশীরভাগ চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের
তৈরী। শ্রীলংকান এয়ারফোর্সের
হাতে আছে প্রায় ১৫ টি জঙ্গি
বিমান। ১০টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার
বাদে আফগান বিমানবাহিনীর বলার
মত কিছু নেই। এবার আসি আমাদের
ঘরে। ১৬ টি অর্ডার দেয়া হলেও হাতে
পাওয়া ৮ টি Mig-29 বাদে আমাদের
আধুনিক তেমন আর কোন জঙ্গী বিমান
নেই। এই Mig-29 মিয়ানমারের আছে ৩২
টি!!! এছাড়া তাদের আরও কিছু আধুনিক
জঙ্গী বিমান আছে।
আমাদের বিমান বাহিনীর ৩৩ টি
এটাক হেলিকপ্টার আছে আর
মিয়ানমারের আছে প্রায় ১১০ টি।
শ্রীলংকান বাহিনীর হাতে আছে ১৪
টি এটাক হেলিকপ্টার। ভারত আর
পাকিস্তানেরটা জেনে লাভ নেই,
তা আমাদের সাধ্যের অতীত!!!!বাকি
দেশগুলোর এয়ারফোর্সটোর্স জাতীয়
কিছু নাই।
তাছাড়া আরেকটি বিষয়ে কথা বলা
দরকার তা হল UAV। এগুলো হল মনুষ্যবিহীন
বিমান যা এই দেশগুলোর ভেতরে ভারত
বাদে আর কারোরই নেই। এগুলো তারা
ইসরাইলের আছ থেকে পেয়েছে।
অনেকক্ষণ ধরে বকবক করলাম... এই যে
দেশগুলো নিয়ে আলোচনা করলাম
এদের ভেতরে কার কার সাথে আপনি
মনে করেন যে আমাদের যুদ্ধ বাধতে
পারে? আর যদি বাধে সে ক্ষেত্রে
কি হবে? আর এজন্য আমাদের কি নতুন
নতুন অস্ত্র কেনা দরকার???
P.S. পারমানবিক শক্তির প্রসঙ্গ টেনে
কাউকে হাসাতে চাই নি।।
(বিভিন্ন সাইট থেকে সংগ্রহীত। সংখ্যায় গরমিল থাকতে পারে)
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১
পার্থ চৌধুরী প্লাবন বলেছেন: যদি কেউ সামান্য হলেও কিছু জানতে পারে তাতেই আমার কষ্ট সার্থক।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
স্যার এডলফ হিটলার বলেছেন: হম। খুব ভালো পোষ্ট । অনেক কিছু জানতে পারলাম।