নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটা ছোট্ট দেশলাইয়ের কাঠি

পার্থ চৌধুরী প্লাবন

যুক্তিতে বিশ্বাসী

পার্থ চৌধুরী প্লাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আকবর দি গ্রেট - প্রথম পর্ব

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

ভারতবর্ষের ইতিহাসে খুবই কম সংখ্যক কিংবদন্তির নামের পূর্বে "মহান" অথবা ইংরেজি "The Great" প্রত্যয়ে ভূষিত করা হয়েছে। পূর্বে এই "মহান" ভূষণ সহজে অলংকৃত হয়নি। এজন্য তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক অবিস্মরণীয় কর্মকাণ্ড করতে হয়েছিল। ইতিহাসে যেই অল্প কয়জন "মহান" ভূষণে ভূষিত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে সম্রাট আকবর অন্যতম ।

এর একটাই কারণ হতে পারে। মহান উপাধি প্রাপ্ত হওয়া খুবই শক্ত কাজ। মহান উপাধিতে ভূষিত হতে হলে আপনাকে শুধুমাত্র তৎকালীন সময়ে সবচেয়ে নির্মম খুনি হতে হবে এবং আপনাকে অবশ্যই হিন্দুত্ববাদের মূল স্রোতে কোন না কোনভাবে আপনাকে আঘাতকারী হতে হবেই।

সম্রাট অশোকের মৃত্যুর পরে আরও কয়েকশ বছর ঐ রকম কৃতিত্বের কেউ পুনরাবৃত্তি করতে পারেনি। তারপর এলো বর্বরর লুটেরাদের যুগ। যারা পশ্চিম এশিয়া থেকে এসেছিল ইসলামের ঝাণ্ডা হাতে এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পূর্বের সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছিল। এরই ধারাবাহিতায় এলো মহান মুঘল-যার পিতা তীমুর ও মাতা ছিলেন চেঙ্গিস খানদের বংশধর। মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট মোহঘ বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক আব্দুল-ফথ জালালউদ্দিন মোহাম্মদ আকবর, পিতা ২য় মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের পলাতক জীবনে ২৩ নভেম্বর ১৫৪২ খ্রিস্টাব্দে সিন্ধু প্রদেশর অমরকাট নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার মৃত্যুর পর মাত্র ১৪ বছর বয়সে সম্রাট হুমায়ুনের বিশ্বস্ত সেনাপতি বৈরাম খাঁ'র তত্ত্বাবধায়নে ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দে আকবর সিংহাসনে আরোহণ করেন। পরবর্তীতে ১৫৬০ সালের দিকে আঠারো বছর বয়সে বৈরাম খাঁ বিদ্রাহী হলে তাকে পরাজিত করে আকবর নিজের হাতে রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করেন।

আকবর যখন সিংহাসনে আরোহণ করেন তখন ভারতের রাজনৈতিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত বিশৃঙখল। তাঁর পিতা মৃত্যুর আগে কেবল আগ্রা, পাঞ্জাব ও দিল্লি দখল করে গিয়েছিলেন। অভিভাবক বৈরাম খাঁ'র সহযোগিতায় আকবর সব বিদ্রোহ কঠোর হস্তে দমন করেন। সব বিদ্রোহ দমন করে আকবর রাজ্য বিস্তারে মনোনিবেশ করেন। তাঁর রাজ্য উত্তরে হিমালয়, দক্ষিনে বেরার, পশ্চিমে কান্দাহার ও পূর্বে বঙ্গদেশ পর্য ন্ত বিস্তৃত ছিল। তাঁর শাসনমালেই ঐতিহাসিক ২য় পানপথের যুদ্ধ সংগঠিত হয়। আফগান নেতা আদিল শাহের সেনাপতি হিমু দিল্লি আক্রমণ করলে ১৫৫৬ সালে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মোঘল সৈন্যরা পানিপথ প্রান্তরে হিমুকে পরাজিত ও নিহত করে।

আকবর একজন সুশাসকও ছিলেন। রাজ্য শাসনের জন্য আকবর আমলাতন্ত্র চালু করেন এবং প্রদেশগুলোকে স্বায়ত্তশাসন দান করেন। আকবরের আমলাতন্ত্র বিশ্বের সবচেয়ে ফলপ্রসূ আমলাতন্ত্রের মধ্যে অন্যতম। তিনি প্রত্যেক অঞ্চলে সামরিক শাসক নিয়োগ দেন। শাসকেরা তাদের নিজ অঞ্চলের সেনাবাহিনীর দায়িত্বে ছিল। ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য শাস্তি ছিল একমাত্র মৃত্যুদণ্ড। তিনি তাঁর সাম্রাজ্যকে ১৫ টি সুরা বা প্রদেশে ভাগ করেন। তিনি জায়গির প্রথা বিলোপ করেন এবং সব জমি রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে পরিণত করেন । শাসন ব্যবস্থায় ও সামাজিক ক্ষেত্রে অনেক সংস্কার সাধন করেন আকবর।

আকবর নবরত্ন সভা গঠন করেছিলেন। সভাসদদের মধ্যে নবরত্ন হিসেবে যারা ইতিহাসখ্যাত হয়ে আছেন তারা হলেন রাজা টোডরমল, তানসেন, বীরবল ও আবুল ফজল।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আকবর সম্পর্কে জানা গেল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.