নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পারভেজ আহমেদ কনক

পারভেজ আহমেদ কনক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কিছু কথা

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

প্রেম-ভালোবাসা VS আমাদের মা-বাবা এবং সমাজ

প্রেম করেনা বা কাউকে ভালোবাসেনা এমন মানুষ সবসময়ই বিরল। কেননা পৃথিবীতে প্রেম-ভালোবাসা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়।
ছেলে মেয়েগুলো যখন কাউকে ভালোবাসতে শিখে তখন সে তার নিজেকে চিনতে শেখে।সে নিজে কি চায় বা তার ভালো থাকার জন্য তার কি করা দরকার সে বুঝে যায়।
প্রতিটা প্রেমই শুরু হয় পবিত্রতা দিয়ে।সেখানো কোন মোহ থাকেনা।ওর বাবার কি আছে,ওর ফ্যামিলিতে কে কি করে,নিজের ফ্যামিলির সাথে ওর ফ্যামিলির ফারাক টা কি এসবের কিছুই কেউ ই ভাবেনা।না ছেলে,না মেয়ে।
কারোর ই কোনো বাজে চিন্তা থাকেনা মাথায়।ফ্লার্ট,রুমডেট কোনো কিছুই না।শুধু নিরন্তর একজন আরেকজনের ভালো চায়,সবকিছুর বিনিময়ে ভালোবাসে।
তাদের মনে একটাই বিশ্বাস আমি যাকে ভালোবাসি সে অনেক ভালো,আমার ফ্যামিলি ওকে মেনে হবে।আর আমিতো তাকে শুধু ভালো ই বাসি।এটাতো অপরাধ না।
কিন্তু যখন মা-বাবারা ছেলের/মেয়ের রিলেশনশিপের কথা জানতে পারে তখনই শুরু হয় নাটকীয়তার।
বাবা বলে "তুমি নষ্ট হয়ে গেছো।তুমি তো মানুষ হতে পারলানা। এটা তো আশা করিনি।তুৃমি আমার মান-সম্মান ডুবিয়ে দিচ্ছো।"
মা বলে,"তোর কাছে এমনটা আশা করিনি।অমুকরে দেখ তমুকরে দেখ।তোর মত না।তোর চাইতে ভালো।তুই নষ্ট হয়ে গেছিস।"
তাদের উপরে নেমে আসে কড়া শাসন।যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলে তখন।
তখনই ছেলে মেয়েগুলোর মনে বিদ্রোহ সৃষ্টি হয়।তখন তারা আস্তে আস্তে সত্যের পথ হতে দূরে সরে আসতে থাকে।তখন সে বুঝতে পারে সে যাকে চায় তাকে পাবেনা।তাকে পাওয়ার অনিশ্চয়তা থেকে শুরু হয় অধঃপতন। তখন তারা লুকিয়ে খুব গোপনে দেখা করতে চায়, বা তারা তাদের অপূরণীয় শারীরিক চাহিদা মেটাতে রুমডেট বা হোটেল এ রাত কাটানোকে বেছে নেয়।তখন কেউ দেখলে বা জানতে পারলে পরিবারের মুখে চুনকালি লাগে। অবস্থা খুব বেশি গভীর হলে ছেলে-মেয়ে পালিয়ে যায়।তখন পরিবারের জন্য তা হয় সবচেয়ে খারাপ বিষয়।
আচ্ছা প্রতিটা মা বাবা ই তো চায় তার ছেলে মেয়ে ভালো থাকুক।তাদের সুখের জন্য মা-বাবা কতকিছুই করেন।প্রেম-ভালোবাসা ছাড়া পৃথিবীর ইতিহাসে কেউ ছিলনা।মানুষের জীবনে খাদ্য-বস্ত্রের মত এটাও খুব স্বাভাবিক।
মা-বাবা রা যদি ছেলে-মেয়ের ভালোর জন্য এত ত্যাগ এত কষ্ট করতে পারে তাহলে এই বিষয়টা কি বিবেচনা করে দেখা যায়না?? এটা করি ছেলে-মেয়ের ভালোর জন্য দরকার না???
প্রথমে সবকিছুই স্বাভাবিক থাকে।কিন্তু যখনই পরিবার থেকে বাধা আসে তখনই অপরাধগুলো ঘটে থাকে। কেউ কেউ অপরাধে ধাবিত না হলেও এর প্রভাবটা পড়ে পড়াশুনা ও আচার আচরণে।খুব তাড়াতাড়ি তারা বদলে অন্য মানুষে রূপান্তরিত হয়।
কোনো ছেলে প্রেম চলাকালীন মাদকে আসক্ত হয়না,তখনই হয় যখন তার প্রেমটা কেউ সাপোর্ট করেনা।কোনো মেয়ে প্রেম চলাকালীন গলায় দড়ি দেয়না,তখনই দেয় যখন তাকো সাপোর্ট দেয়া হয়না।
প্রেম চলাকালীন ছেলে-মেয়ে দুজনেই চায় যেকোনো মূল্যে ভালো থাকতে,অন্যকে ভালো রাখতে।আর পরিবার থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর তারা চায় নিজেকে ধ্বংস করে দিতে।শুরু হয় অধঃপতন।
যার জন্য একমাত্র পরিবার ই দায়ী।
যারা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদের কেউ প্রেমহীন ছিলেন না।তারা অস্তিত্বের হুমকির সম্মুখীন হননি। ছেলে-মেয়ে একটু সাপোর্ট পেলে অনেক কিছুই করতে পারে।আর এর বিপরীতে যা হচ্ছে তা সবাই আজ দেখছে।
আসলে সমাজ ব্যবস্থাটা এভাবে গড়ে উঠেছে।মা-বাবারা মনে করেন এতে ছেলে মেয়ের মঙ্গল নেই।কিন্তু তারা যা করেন ছেলে-মেয়ের মঙ্গল করতে গিয়ে সবচেয়ে বড় অমঙ্গলটা করে ফেলেন।
যেসব ফ্যামিলিতে ছেলে-মেয়ের মতামতটাকে গুরুত্ব দেয়া হয়,প্রেম-ভালেবাসাটা বিবেচনা করে দেখা হয়,সেসব ফ্যামিলির ছেলে-মেয়েরা খারাপ পথে পা বাড়ায় না।তারা নষ্ট হয়ে যায়না।তারা শক্তি আর ভালোথাকার প্রচন্ড ইচ্ছা থেকে ভালো কিছু করতে পারে।

আমাদের মা-বাবা রা এসব বিবেচনা করতেন তাহলে কখনোই কেউ অন্তত প্রেম-ভালেবাসার কারণে নষ্ট হতনা।
দিন পাল্টাবে।সবাই একদিন সচেতন হবে।
মূল্য পাবে ভালোবাসাগুলো।ভালো থাকবে ছেলে-মেয়েগুলো।সমাজ হবে সুন্দর।


এই পোষ্টটি এই ব্লগ অ্যাড্রেসেও পড়তে পারো যে কেউ।
www.somewhereinblog.net/blog/ parvejahmedkonak

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.