![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নামাজে মনোযোগী হবার একটি গুরুত্তপূর্ন পদ্বতি
(পড়ে দেখুন,এই #পদ্বতী_অনুযায়ী_নামাজ_পড়লে_ইনশাল্লাহ_কখনো_নামাজ_মিস_করতে_চাইবেন_না)
আমরা যখন নামাজে দাড়াই তখন শয়তান আমাদের অন্তরে নানারকম প্ররোচনা দিয়ে নামাজে অমনোযোগী করে তুলা চেষ্টা করে, এতে অনেকের বেলায় শয়তান সফল হয় আবার অনেকের বেলায় শয়তান সফল হতে পারেনা।
এর থেকে বাঁচতে হলে ও নামাজ শুদ্ধভাবে পড়তে হলে নামাজে দাড়িয়ে সর্বপ্রথম আমাদের মনে ফিলিংস আনতে হবে যে, আমরা এমন এক সত্তার সামনে দাড়িয়েছি যিনি মহাবিশ্বের প্রতিপালক এবং তার সমতুল্য কেও নেই,অত এব নামাজে অন্য দিকে মনযোগ দেয়া যাবেনা।
এই ব্যাপারে আপনাদের একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝায়,,
মনে করেন,,আপনার সবচেয়ে প্রিয় ব্যাক্তি আপনাকে ডাকল তার সাথে মিট করার জন্য।তখন কিন্তু আপনি খুব আবেগ নিয়ে তার সাথে দেখা করবেন এবং আপনি নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করবেন যা আপনার সর্বোত্তম উপায়। সে যদি ৫ মিনিট সময় দেয় তার সাথে কথা বলার, তখন কিন্তু আপনি সময়টাকে আরো বাড়িয়ে নিতে চাইবেন।কারন সে একজন খুবই স্পেশাল ব্যাক্তি।
এখন নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন!
হয়তোবা আপনার প্রিয় ব্যাক্তি বিশ্বের ১ নাম্বার সুপারস্টার বা ক্ষমতাবান বা প্রভাবশালী।
আপনার প্রিয় ব্যাক্তির ডাকে যদি আপনি এত আবেগ নিয়ে দেখা করতে পারেন, যিনি সমগ্র বিশ্বজগতের পালনকর্তা,সমগ্র প্রানী এমনকি আপনার সুপারস্টারের সৃষ্টিকর্তা তার ডাকে কেন এত আবেগ নিয়ে সাড়া দিতে পারেননা?
আপনার প্রিয় ব্যাক্তির সাথে যদি কথা বলার সময় আরো বাড়িয়ে নিতে মন চায়, তাহলে যিনি সমগ্র বিশ্বজগতের পালনকর্তা,সমগ্র প্রানী এমনকি আপনার সুপারস্টারের সৃষ্টিকর্তা তার সাথে কথা বলতে এত বিরক্ত লাগে কেন??
এটার কারন হল আমরা নামাজে যা পড়ি তার অর্থ বুঝি না।যার কারনে আমাদের অন্তরে আবেগময় ফিলিংস কাজ করেনা।
আমরা যদি নামাযে যাহা পড়ি মেশিনের মতো না পড়ে(যেমন:সুরা কেরাত,রুকু,সেজদার তাসবিহ,আত্তাহিয়াতু দুরুদ শরিফ ইত্যাদির)অর্থ বুঝে পড়ার চেষ্টা করতাম তাহলে ইন শা আল্লাহ্ নামাজে আমরা স্বর্গীয় প্রশান্তি অনুভব করতে পারতাম।ফলে আর কখনো নামাজ মিস করতাম না ....
আজ আপনাদেরকে কিভাবে সুরা ফাতিহাতে মনোযোগ রাখবেন সেই সম্পর্কে আলোচনা করব ।
নামাযে সূরা ফতিহা পড়ার সময় এ হাদীসটির কথা খেয়ালে রাখলে এক একটি আয়াত পড়ার পর আল্লাহর প্রেমময় জওয়াবটা মনের কানে শুনবার জন্য বান্দাহকে থামতেই হবে।
আল্লাহর জওয়াবে যে তৃপ্তি ও শান্তি তা তারাই বোধ করতে পারে, যারা আয়াতগুলো ধীরে ধীরে মজা নিয়ে পড়ে।
এ হাদীসে মহব্বতের এমন অগ্নিকণা রয়েছে যে,
বান্দার দিলে ঈমানের বারুদ থাকলে এবং নামাযে সূরা ফাতিহা পড়ার সময় আল্লাহর আবেগময় কথার দিকে খেয়াল করলে আল্লাহর প্রতি ভালবাসার এমন আগুন জ্বলে উঠবে যে, জযবায় বান্দাহ নিজেকে মনিবের অতি কাছে বলে অনুভব করবে।
আউযুবিল্লাহ..... ও বিসমিল্লাহ.....
পড়ে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করতে হবে।
হাদীসে আছে যে সূরা ফাতিহার এক এক অংশ তিলাওয়াত করার সাথে সাথে আল্লাহ এর জওয়াব দেন। এ হাদীসের কথাগুলো এমন আবেগময় ভাষায় বলা হয়েছে যা বান্দাহর মনে গভীর দোলা দেয়। হাদীসটি নিম্নরূপ :
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমি সালাতকে আমার ও আমার বান্দার মধ্যে অর্ধেক করে ভাগ করেছি। আর বান্দা যা চাইবে- তা সে পাবে।
অতঃপর বান্দা যখন বলে, (আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন); আল্লাহ তা’আলা এর জবাবে বলেন- আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে।
সে যখন বলে, ‘আর রহমানির রহীম’ (তিনি অতিশয় দয়ালু এবং করুণাময়); আল্লাহ তাআলা বলেন- বান্দা আমার তা‘রিফ করেছে, গুণগান করেছে।
সে যখন বলে, ‘মালিকি ইয়াওমিদ্দ্বীন; (তিনি বিচার দিনের মালিক); তখন আল্লাহ বলেন- আমার বান্দা আমার মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছে। তিনি এও বলেন, বান্দা সমস্ত কাজ আমার উপর সোপর্দ করেছে।
সে যখন বলে, ‘ইয়্যাকানা‘বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাঈন’ (আমরা কেবল তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি); তখন আল্লাহ বলেন- এটা আমার এবং আমার বান্দার মধ্যকার ব্যাপার। আমার বান্দা যা চায় তাই দেয়া হবে।
যখন সে বলে, ‘ইহ্দিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম, সিরাতাল্লাযীনা আন‘আমতা আলাইহিম, গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম অলাদ-দোয়াল্লীন’ (আমাদের সরল-সঠিক ও স্থায়ী পথে পরিচালনা করুন। যে সব লোকদের আপনি নিয়ামত দান করেছেন, যারা অভিশপ্তও নয় এবং পথভ্রষ্টও নয়- তাদের পথেই আমাদের পরিচালনা করুন); তখন আল্লাহ বলেন- এসবই আমার বান্দার জন্য। আমার বান্দা যা চায় তা তাকে দেয়া হবে।
“ সুবহানাল্লাহ লেখাটা শেয়ার করে সোওয়াব এর অংশীদার হতে ভুলবেন না।
©somewhere in net ltd.