নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহজ কথা কইতে আমায় কহ যে, সহজ কথা যায়না বলা সহজে ...

পেলব চক্রবর্তী

ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম...

পেলব চক্রবর্তী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একই সরলরেখায় রবীন্দ্রনাথ আর ট্রাম্প

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১০

পৃথিবী এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। দুনিয়ার তাবৎ মানুষ না চাইলেও আমেরিকার মানুষরা চেয়েছেন যাকে- তিনিই নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল রাতেও ‘FiveThirtyEight’ জানালো যে হিলারির সম্ভাবনা ৭১%, ট্রাম্পের ২৮%। কিন্তু বাস্তবটা উল্টো। তাহলে এই খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলো হারল কোথায়?

বিগত কয়েকবছরে আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের উপর পুলিশ নির্বিচারে হামলা করেছে। আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এই ভয় কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে শ্বেতাঙ্গদের। ভোট যতটা না ‘সাপোর্ট ট্রাম্প’ হয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি হয়েছে ‘অ্যান্টি হিলারি’ সিদ্ধান্তে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ- সে সেক্সিট, সে অভিবাসন নীতিতে কঠোর, প্রায়ই অসংলগ্ন কথা বলেন ইত্যাদি। আর হিলারির বিরুদ্ধে অভিযোগ- আইএসকে অস্ত্র দান, তাদেরকে আর্থিক সহযোগীতা প্রদান, লিবিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের হত্যার ব্যাপারে উদাসীনতা এবং পরোক্ষ সমর্থন। অভিযোগের ভারগুলো ভাবা দরকার।


এখন আরেকটি মজার বিষয়ে ভাবি। বাংলাদেশের মানুষজন খুবই অখুশি। তারা ট্রাম্পকে নিতে পারছে না। কারন- ট্রাম্প মুসলমানদেরকে আমেরিকা থেকে বের করে দেবে বা এই জাতের কিছু অভিমত বাংলাদেশের বাতাসে ঘোরাফেরা করছে। বাস্তবটা হল- ট্রাম্প মনে-প্রাণে চাইলেও এমনটা করতে পারবেন না। তাই বৈধ মুসলিম অভিবাসীদের ভয়ের কোন কারনই নেই। যারা ভয় পেয়ে স্টাডি অ্যাবরোডের চিন্তা বাদ দিচ্ছে, তারাও বোকা। আর তিনি কিন্তু অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দিতে চেয়েছেন- যেটা খারাপ কিছু না। এই কাজ বাংলাদেশ সরকারেরও করা উচিত। পাশাপাশি মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল বানালে আমেরিকানরা খুশিই হবে। তবে একেবারে সত্যি কথাটা হল- আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কে হল- তাতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আসলে কিছুই আসবে বা যাবে না। হিলারি আসলে যে বাংলাদেশ উন্নয়ন আর নিরাপত্তার জোয়ারে ভাসত- এটা মিথ্যে কথা।

এবার বলি- রবীন্দ্রনাথ আর ট্রাম্পের মিলের কথা। রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন- ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে/ তবে একলা চলো রে’; ট্রাম্প তাই করেছেন। পৃথিবীর ৯৯% মিডিয়া তার বিপক্ষে কথা বলেছে, তাঁকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছে। ট্রাম্প থামেন নি। একা ছুটেছেন। কবিগুরু বলেছিলন- ‘মুক্ত করো ভয়/ আপন মাঝে শক্তি ধরো/ নিজেরে করো জয়’। নিজের দলেই ট্রাম্প অপমানিত হয়েছেন, সমর্থন পাননি নিজের দলের লোকজনদেরও। ট্রাম্প থামেন নি। ২৮৯ টি ইলেকট্ররাল ভোট হাওয়ায় ভেসে আসেনি। মানুষের আস্থা আর সমর্থন পেয়েই এসেছে। একা একা পথ চলা মানুষদের জন্য ট্রাম্প অনুপ্রেরণাই বটে!

তাই ট্রাম্পকে অভিনন্দন। তিনি কতটা সফল হবেন সেটা সময় বলবে। তবে প্রেসিডেন্ট হবার আগেই যে তিনি ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছেন- সে নিয়ে বোধহয় কারও সন্দেহ নেই।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪১

শান্ত জাবালী বলেছেন: দারুণ

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ট্রাম্পের বড় পরিচয় সে একজন সৈনিক! আর একজন সৈনিক কখনোই হারার আগে হারে না! Do or die!

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



রবীন্দ্র নাথ কলোনীতে বাস করতেন, উনার রাজনোতিক ভাবনা চিন্তা তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু না।

বাংগালীরা লেখাপড়ায় পেছনে, সেটাই তাদের সমস্যা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.