নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

।। একজন বাঙালী ।। ধরণীর সন্তান ।।

মোঃ পলাশ খান

Entrepreneur, Journalist, Social Activist, Freethinke. www.fb.com/Pkhan.BD1, www.twitter.com/PkhanBD

মোঃ পলাশ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাগরিক অধিকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ভোক্তা অধিকার আইনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করুন।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০০


মাঝে মাঝে অনেকেই দেখি গণপরিবহণে চলাচল করে ভাড়া নৈরাজ্যের শিকার ও কোন পণ্য ক্রয় করে প্রতারিত হয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম সহ বিভিন্ন মাধ্যমে অপরাধীদের একটু বকাঝকা করে তাদের বিনাশ চেয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোন কার্যকরি পদক্ষেপ না নিয়ে শান্ত হয়ে যান। নিজের অর্থ খরচ করে পণ্য বা সেবা ক্রয় করছেন। তাতে আপনাকে ঠকানো হচ্ছে। কিন্তু আপনি তার প্রতিবাদ করছেন না। আবার সৃষ্টিকর্তার কাছে বিচার দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন। এতে কোন ফায়দা হলো কি?

সৃষ্টিকর্তা অপরাধীদের পরপারে বিচার করবেন। তবে সৃষ্টিকর্তা কিন্তু দুনিয়াতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাসম্ভব প্রতিবাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আর দুনিয়াতে আপনার সাথে অপরাধ হলে তার জন্য যদি প্রতিকারের ব্যবস্থা থাকে আর তা যদি আপনি ব্যবহার না করেন তাতে নিজের থেকে বেশী ক্ষতি করলেন ভবিষ্যৎ ভুক্তভোগীদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের। কারন, আপনার পরে যারা সেই একই অপরাধীদের খপ্পরে পড়বে হয়তো তারা প্রতিবাদ করার সাহস পাবেনা কিংবা প্রতিবাদের কৌশল সম্পর্কে অবগত না থাকার কারনে প্রতিবাদ করতে পারবে না। আর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আপনার আমার কর্মকান্ড থেকে শিক্ষা নিবে এটা আমরা সবাই বুঝি।
এখন মূল কথা আসি,আমি বর্তমানে শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে এখান থেকেই আমাকে সব স্থানে যাতায়ত করতে হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ জুন শরীয়তপুর থেকে গণপরিবহণ বাসে করে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই। যথারীতি বাসের টিকিট কাটি। তৎকালিক সময় শরীয়তপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য সরকার নির্ধারিত বাস ভাড়া ছিল ২২৬ টাকা অথচ আমার কাছ থেকে নেয়া হল ২৫০ টাকা। আমি কন্ট্রাক্টরকে বললাম, ভাই ভাড়া বেশী নিচ্ছেন কেন? জবাবে তিনি সদুত্তর না দিয়ে উল্টো বাজে ব্যবহার করলেন। আমি আর কথা না বাড়িয়ে ভাড়া পরিশোধের রসিদ(টিকিট) সংগ্রহ করলাম। এরপর দ্বারস্থ হলাম জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের। গত ৩০ জুন আমার যাতায়তকৃত বাস শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস পরিবহণ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করলাম। ২৫ দিনের মাথায় গত ২৫/০৭/২০২২ইং তারিখে আমার অভিযোগের প্রেক্ষিতে চিঠি আসে এবং আমাকে শুনানীর জন্য ডাকা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের শরীয়তপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তা সুজন কাজী দুই পক্ষের কাছে বিস্তারিত শুনলেন। এতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪০ নং ধারা অনুযায়ী সংঘটিত অপরাধে বাস কর্তৃপক্ষের ৫০,০০০/- টাকা জরিমানা ও এক বছরের কারাদণ্ড হওয়ার কথা। তবে বাস কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী এমনটি তাদের কর্মচারীদের গাফিলতির কারনে হয়েছে। আগামীতে ভোক্তার সাথে এধরণের অপরাধ সংঘঠিত হবেনা বলেও কথা দেন। তাই পরবর্তীতে বিভিন্ন দিক বিবেচনাপূর্বক মওকুফ করে তাদের ৮,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়।আমার উদ্দেশ্য ছিল অসাধু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা। হোক সে গণপরিবহণ কিংবা অন্যান্য ব্যবসায়ী। আমি তা করেছি, জড়িমানা মুখ্য বিষয় নয়।

ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪০ নং ধারা অনুযায়ী অভিযোগকারী ব্যক্তি জরিমানার ২৫% অর্থ পাবেন। ৮,০০০/- টাকার ২৫% হিসাবে ২০০০/- টাকা আমি পেলাম। প্রাপ্তিস্বীকার ফর্ম এ স্বাক্ষর করে টাকা নিয়ে আসলাম।
সবশেষে বলতে চাই, যেহেতু আপনার সাথে আইন আছে। সেহেতু কেন আপনি আলসেমির বশবর্তী হয়ে অপরাধীদের ছাড় দিয়ে দেশের ও দশের ক্ষতির কারন হবেন? সৃষ্টিকর্তা আপনাকে শক্তি ও জ্ঞান দিয়েছেন নিজের প্রয়োজনে সঠিক ব্যবহারে জন্য।তাই বলি, বাংলাদেশ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অনেক বেশী সক্রিয়। তাই আসুন অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার আইনের যথাযথ ব্যবহার করে শতভাগ নাগরিক অধিকার বাস্তাবায়নে সহযোগী হই।

কিভাবে অভিযোগ করবেন?

অভিযোগ করার জন্য ভাড়া কিংবা বিল বেশি রাখার রশিদ কিংবা টিকিট সংগ্রহ করুন।
Website: (http://www.dncrp.gov.bd) এই অয়েবসাইট এ গিয়ে অভিযোগ ফর্ম ডাউনলোড করুন। হাতে পূরণ করে স্ক্যান বা সুন্দর করে ছবি তুলে, সাথে রশিদ কিংবা টিকিটের ছবি ও পণ্যে ক্রয়ের ক্ষেতে পণ্যের গায়ে যে দাম রয়েছে তার ছবি তুলে Email Address: ([email protected]) এই ই-মেইল এ পাঠিয়ে দিন। কিংবা উপরের অয়েবসাইট থেকে আপনার অবস্থানকৃত জেলা অফিসের ই-মেইল সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দিন। ব্যাস কাজ শেষ।
তারপর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে আপনাকে শিঘ্রই শুনানীর জন্য ডাকা হবে।
আর অভিযোগ অবশ্যই ঘটনার পরবর্তি এক মাসের মধ্যে করতে হবে।
ফরম ডাউনলোড ও বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লিংক(ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অয়েবসাইট) এ প্রবেশ করুন-- https://cutt.ly/RZsrAny
বিঃদ্রঃ আমি অনেকবার বাংলাদেশ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দ্বারস্থ হয়ে ভালো ফলাফল পেয়েছি। এবিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা হতে আরো বিস্তর বুঝতে আমাকে ই-মেইলে নক দিতে পারেন কিংবা আমার ফেসবুক পেইজে মেসেজ দিবেন। যথাসাধ্য সহযোগীতার হাত বাড়াবো। 

মো. পলাশ খান, শরীয়তপুর
সমাজকর্মী ও সাংবাদিক
ই-মেইল: [email protected]" target="_blank" >http://[email protected]
ফেসবুক: fb.com/pkhanbangladesh

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:০৩

কামাল৮০ বলেছেন: আমরা আমাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন না।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২৪

নতুন বলেছেন: একটা দেশের আইনি প্রতিস্ঠানগুলি তাদের কাজ সঠিক মতন করলে অসত ব্যবসায়ী/আমলা কামলা সবাই ঠিক হতে বাধ্য।

আমাদের দেশে আমরা সচেতন না এবং সরকারী প্রতিস্ঠানের কোন জবাবদিহিতা নিস্চিতের ব্যবস্থা নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.