![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা যারা ট্উশনি করাই বা করাতাম, টিউশনিতে নাস্তাটাকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার হিসেবেই দেখি বা দেখতাম। কেউ স্বীকার করুন আর না করুন। কেননা, ট্উশনি ফেরত পোলাপানদের আলোচনাতে দু একবার বসলেই বোঝা যায় যে নাস্তার ব্যাপারটা কত গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। মূলত দুটো কারনে টিউশনির নাস্তা গুরুত্ত্বপূর্ণ একটি ইসু্। এক, হল বা মেসের খাবারের ধরন। দিনে তিনবেলা খেলেও ঘরোয়া খাবার আমরা সবাই মিস করি, যা টিউশনিতে গেলে কিছুটা পাওয়া যায়। দুই, সম্মান। মানে নাস্তাটাকে আনেকে সজন্যতা হিসেবে দেখে। অনেকের মতে। নাস্তার কোয়ালিটি দেখে বোঝা যায় যে টিচারকে ঐ পরিবার কতটা গুরুত্ত্ব দিচ্ছে।মোট কথা, টিউশনিবিদদের কাছে নাস্তার গুরুত্ত্ব অপরিসীম। এবার এ সংক্রান্ত কয়টা মজার ব্যাপারে আসা যাক:
১.
আমার এক বন্ধু টিউশনি করতো এক বিত্ত্ববানের বাসায়। কিন্তু কোনদিনও ওকে একগ্লাস পানি পর্যন্ত খেতে দিত না। আমার বন্ধুর খুব লাগত ব্যাপারটা। তো একদিন ও ওর ছাত্রকে বলল, পাভেল, এক গ্লাস পানি নিয়ে আস তো। ও ভেবছিল যে পানি চাইলে হয়ত শধু পানি দিতে পারবেনা, সাথে টানিও দিবে। কিন্তু না। ছাত্রের মা একগ্লাস সাদা স্বচ্ছ পানিই পাঠিয়ে দিল। এবার মেজাজ গেল বিগড়ে। ভাবল, দেখি ওরা কত ছেছড়া হতে পারে। পরেরদিন বিকেলে পড়াতে যাওয়ার সময় একটা কোয়ার্টার গ্রিল কিনে নিয়ে গেল। ছাত্রের সামনে বের করতে করতে বলল, যাও তো একগ্লাস পানি নিয়ে আস। এই সময় যা ক্ষুধা লাগেনা। ছাত্র পানি আনতে গিয়ে ওর ছোট ভাইকেও ডেকে আনল। সাথে দু্ইটা প্লেট। বলছে, স্যার, আমরাও খাব। ডেইলি নিয়ে আসবেন স্যার। আমার বন্ধুর চোখ তখন কপালে। ছোট বাচ্চা, কি বলব? ওদের খাওয়ার চোটে ও নিজেই খেতে পারল না।মনে মনে বলল, খা বাবা তোরাই খা। পরের দিন থেকে নাস্তার কল্পনাও করিনি সেই বাসায়।
২.
আমার আরেক বন্ধুর কাহিনি। ওর ভাষ্যে:
আমি তখন মাত্র অনার্সে ভর্তি হয়েছি। সিলেটের একটা কলেজে, জাতীয় ভার্সিটির অনার্স। একটা টিউশনি পেয়ে গেলাম। এক দাম এক হাজার। মফস্সল অনুযায়ীও কম। তবু দরকার বেশী বলে মেনে নিলাম। দুইদন যেতে না যেতেই ছাত্রের আরও দুই ছোট ভাইকে ওদের মা বলল, এই দুইটাকেও একাটু দেখাই্ও। ছোট মানুষ। ক খ শিখাবা খালি। যদি অক্ষর চিনে তাহলে আগামী বছর থেকে দু্ইটার জন্য আরও দুইশ বাড়াইয়া মোট বারো শো করে দেয়া যাবে। আমি চুপ। যত পার লোড কর, আমি হলাম কলুর বলদ আর তোমরা সব কলু। চালাতে থাকলাম। তবে একটা শান্তনা পেলাম এই যে, নাস্তাটা জমজমাট। ঐ নাস্তাটার জন্যই থাকা। টিউশনি না করিয়ে রাস্তার মোড়ে বসে থাকলে খামাখা সময় নষ্ট হইত আর আলু পুরি গেলা লাগত। এরচে এটা খারাপ কি? এভাবে একমাস। পরের মাসের পাচ তারিখ। বেতন নিয়ে ছাত্রের মা এলেন। আমার কত স্বপ্ন ঐ কয়টা টাকাকে ঘিরে। অথচ গুনে দেখি সাত শো। আমি হা করে জিঞ্জেস করলাম, আন্টি, বেতন তো এক হাজার। আন্টি একগাল মুচকি হেসে বললেন, হ্যা, ঠিক ই তো আছে। তিন শো কেটে রেখেছি নাস্তা বাবদ।
আমার মেজাজ তখন চরমে। নিজেকে শান্ত করে বললাম, এই টাকাটাও রাখেন। আন্টি অবাক, কেন! আমি বললাম, না , মানে, রাতের খাবারের জন্য। আজ থেকে রাতেরটাও আপনার এখানেই খাব........
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
প্লাবণ ইমদাদ বলেছেন: আমিও করতাম না..
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
শিক কাবাব বলেছেন: নাস্তা পাগল সব একত্র হইছে। হি হি হি ....।
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
অজানাবন্ধু বলেছেন: ভাইজানের লেখা ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইজান অনেক অনেক ............ধন্যবাদ।
কত রকমের মানুষ যে আছে!!!
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
প্লাবণ ইমদাদ বলেছেন: আপনাকেও .ধন্যবাদ।
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
বিকেল বলেছেন: তিনশ টাকা কেটে রেখেছি নাস্তা বাবদ ...। জটিল...
৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
অজানাবন্ধু বলেছেন: link den 1, 2, 3, and 4.
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৭
প্লাবণ ইমদাদ বলেছেন: Click This Link
Click This Link
Click This Link
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৭
প্লাবণ ইমদাদ বলেছেন: Click This Link
৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: তিনশ টেকা কাইটা রাখলো?
৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০
পথহারা সৈকত বলেছেন: এই টাকাটাও রাখেন। আন্টি অবাক, কেন! আমি বললাম, না , মানে, রাতের খাবারের জন্য। আজ থেকে রাতেরটাও আপনার এখানেই খাব........
৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২
ভিটামিন সি বলেছেন: আর ৫০০ টাকা দিলে তো দুপুরের খাবার হয়ে যেতো। যদি বাজারের দায়িত্বটা পেতেন তাহলে কিন্ত কৈয়ের তেলে কৈ ভাজা হতো।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
প্লাবণ ইমদাদ বলেছেন: হা হা হা
৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩
ভুল্কিস বলেছেন: শ্যাষেরটা পইড়া "বুক হাডি যারগৈ"
১০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫
মিলটন বলেছেন: জবর জবর
১১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮
কলমবাঁশ বলেছেন: আমি ২০০৬ থেকে এক বাসায় টিউশনি করি। চাকুরীর কারণে মাঝে প্রায় ২ বছর ছেড়ে দিছিলাম। ওরা আবার ফোন দিয়ে অনেক রিকোয়েস্ট করেছে, চাকুরীর টাকা দিয়ে সংসার চলে না তাই টিউশনীটা আবার করছি। ভদ্রলোক সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তিনি আমাকে খুব ভালো বাসেন। উনি সপ্তাহে একদিন বাসায় থাকেন। সেদিন নাস্তা আসে ওনার জোরাজুরিতে খেতে হয়। উনি নাস্তা দেয়ার জন্য বাসায় বলে যেতেন, তাই মাঝে মাঝে সামনে খট্ খট্ খট্ (বিস্কুট) আসতো। প্রায় দিনই কি এটা খেতে ভালো লাগে? তাও রেগুলার না। বলে দিছি, নাস্তা দেয়া লাগবে না।
কিন্তু যেদিন ঐ ভদ্রলোক বাসায় থাকেন, সেদিন, মিষ্টি, পায়েস বা ফল আসে কোথা থেকে তা বুঝি না। ভদ্রলোকের স্ত্রী ডাক্তার। কিন্তু খুব কিপটা। ঈদের সময় স্টুডেন্টের বাবা সম্মানী দিলে কিছু বোনাস দেন কিন্তু কোন ঈদে তার স্ত্রী টিউশনির সম্মানী দিলে বোনাস দেন না। এটা আবশ্যিক না হলেও সবাই আশা করে। কারণ, বাসার বুয়া এবং দারোয়ানকেও তো বোনাস আমাকে দিতে হয়। কিন্তু আমি পাই না।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০০
প্লাবণ ইমদাদ বলেছেন: আপনার এই বেপার আমারও ঘটেছে. ধন্যবাদ।
১২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯
পেটুক ছেলে বলেছেন: না , মানে, রাতের খাবারের জন্য। আজ থেকে রাতেরটাও আপনার এখানেই খাব........
১৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর স্মৃতি চারন ভাল লাগল
শুভকামনা
১৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
দানবিক রাক্ষস বলেছেন:
১৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
নােয়ফ চৌধুরী বলেছেন: টিউশনিতে গেলে আমার শুধু ক্ষুধা পেত, তবে আমার সব টিউশনিতে হাতে বানানো নাস্তাই দিত বেশি
১৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯
আলফা-কণা বলেছেন: bhy, ami ek city thika, arek city te jacchi, high speed train na paiya, bus e jacchi, kintu journey ta atu e boring lagatacilo je bolar moto na, but, apnar tution-r lekha poira, bapok moja pailam.
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০২
প্লাবণ ইমদাদ বলেছেন: জেনে ভাল লাগল
১৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০
গুণীজনবিগার বলেছেন: ২০১১ সালে যাত্রা বাড়িতে ক্লাস ফাইভের এক ছাত্রি কে পড়াতাম তখন আমিও যাত্রা বাড়িতে ছিলাম। পুরো এক বছর পড়ালাম । পরবর্তীতে ২০১২ আমি মিরপুর চলে আসলাম। মাঝে মাঝে কল দিয়ে যাওয়ার জন্য বলত ঠিক এক বছর পর ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে গেলাম। ভাবলাম ওই বাসায় নাস্তা করব আর ওই এলাকার ফ্রেন্ড দের সাথে দেখা করব । কিন্তু ওই বাসায় গিয়ে নিজের চোখ কে বিশ্বাস হল না।এত আয়জন ! ছাত্রি কে জিজ্ঞাসা করলাম কোন অনুষ্ঠান আছে কিনা? বলল হাঁ আপনার জন্য আয়োজন ।আমার তো মাথা গুরে মেয়ে কয় কি ! দুপর বেলা খাইলাম। ছাত্রি ফ্ল্যাটে তুলে দিল আমি আচ্ছা মতে গিললাম । ছাত্রীর মা অনেক প্রসংসা করল । আমার জন্য নাকি তাদের মেয়ে ক্লাস ফাইভে এ প্লাস পেয়েছে। নিজের প্রসংসা শুনে লজ্জা পেলাম। এরকম ভাগ্য কয় জনের হয়েছে আওয়াজ দেন ।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৩
প্লাবণ ইমদাদ বলেছেন: বাহ.।
১৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০০
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: +++++++
১৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩২
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভাইয়া টিউশনি নিয়ে আপনার পাঁচটা পোস্ট আজ পড়লাম। ভালো লাগলো। অনেক মজা পেলাম। তবে আমি আসলে অনেক সৌভাগ্যবান ছিলাম। আমার টিউশনির পরিবারগুলো চমৎকার ছিল, ছাত্রছাত্রী এবং পরিবারের সবাই খুব সম্মান করত। ভালোই কেটেছে দিনগুলি।
আপনার আরও পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৫
প্লাবণ ইমদাদ বলেছেন: ভাই, আমারও পজিটিভ ঘটনা আছে.. সামনে আসবে...... ভাল খারাপ মিলেই তো দুনিআ.।
২০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০২
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: হা হা এ পর্বটাও খুব ভালো লাগলো। আমি দেশে থাকতে ঢাকায় ক্লাস থ্রির এক পিচ্চি কে পড়িয়েছিলাম ২- ৩ মাস।৩ মাসে মনে হয় ২ দিন নাস্তা দিছিলো অথচ পিচ্চির বাপ ছিলো ডাক্তার
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৫
প্লাবণ ইমদাদ বলেছেন: হা হা হা হা
২১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৯
কে এম শিহাব উদ্দিন বলেছেন: না , মানে, রাতের খাবারের জন্য। আজ থেকে রাতেরটাও আপনার এখানেই খাব.......
২২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫২
জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: হায়রে আমারেও টিউশনি বাসায় নাস্তা দেয় না
২৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৫
পিয়াস ভাই বলেছেন: আমি এখন পর্যন্ত চারটা টিউশনি করছি । একটাতেও একদিনের জন্যও নাস্তা মিস হয় নাই । তয় কোনবারই ঈদের সময় না পড়ানোতে বোনাস কখনো পাই নাই । তয় একবার আন্টি একটা শার্ট গিফট করছিল ।
২৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৮
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: একটা টিউশনি পাইছিলাম, ২ জনকে পড়াতে হবে, সপ্তাহে ৫ দিন, মাসে ১৫০০ টাকা। কইলাম হলে পাঠায় দিবেন, কিছু দিতে হবে না।
২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪২
প্লাবণ ইমদাদ বলেছেন: হা হা
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০০
েমাঃ রফিকুল ইসলাম বলেছেন: খুব মজা পাইলাম। আমিতো টিউশনির নাস্তার জন্য বিকেলে বাইরে নাস্তা করি না। হা হা