![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুপ্রিয়া হালদার,
তোমাকে ঘুণপোকা চেনাতে আমার আজকের এই পত্রবিলাস। বিলাস বলার কারন এই, মুঠোফোন আর তড়িৎপ্রকৌশলের এই যুগে বৃথা বাক্য বুনন বিলাসিতা ছাড়া আর কি! কেমন আ্ছো জানার ইচ্ছেটাকে আপাতত দমন করছি। এবার ঘুণপোকার কথায় আসা যাক।বিজ্ঞানের ছাত্রী হওয়ায় তোমায় আর নতুন করে ঘুণপোকার জীববৈজ্ঞানিক বিবরণ দিলাম না। সীমিত পত্রপটে এই ক্ষুদ্র পোকাটির মানবিক বিশ্লেষনে যাবারই ইচ্ছে।
পৃথিবীতে অনেক সুস্বাদু খাবার রয়েছে, তারপরও ঘুণপোকা আজন্ম কাঠের মত একপা নির্জীব, রসবিহীন বস্তু খেয়ে চলে। ব্যাপারটা ভাবতেই আমার কাছে অবাক লাগে! আমি আজ একটা নিজের মত করে ব্যাখ্যা বের করলাম।সৃষ্টির সূচনাপর্বে বোধহয় ঘুণপোকা তীব্র কোন বঞ্চনার শিকার হয়েছিল। সেই বঞ্চনার কষ্ট নিয়ে সে আসে পৃথিবীতে। আগজন্মের ক্ষোভে সে কাঠের শক্ত, নির্জীব গাত্র খনন করে করে তার আজন্ম ক্ষোভের প্রকাশ করতে থাকে। জীবন ফুরিয়ে যায়, সে বঞ্চনার ক্ষোভ ফুরায় না। সে আজন্ম ভক্ষণ করে চলে মানুষের স্বাধের আসবাব, বুকশেলফ, গণেশমূর্তি।
সেই ঘুণপোকাটাকে কে বঞ্চিত করেছিল জানো? সুপ্রিয়া হালদার!
ভালো থেকো।
©somewhere in net ltd.