নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক

পঁচা মানুষ

পচা শামুক

পঁচা মানুষ

পচা শামুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্তানের জন্মে জীবন পেলেন মা

২৭ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

হাসপাতালে নেওয়ার পর সবাই ভেবেছিলেন মারা গেছেন নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এরিকা নাইগ্রেলি। হূদযন্ত্র ঠিকমতো কাজ করছিল না। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না নাড়ি। গর্ভের সন্তানকে বাঁচাতে অস্ত্রোপচার করতে হবে দ্রুত। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলে ‘পোস্টমর্টেম ডেলিভারি’—এর অর্থ কার্যত মৃত অবস্থায় অস্ত্রোপচার। চিকিত্সকেরা তা-ই করলেন। একটি সুস্থ কন্যাসন্তানের জন্ম হলো। অবাক করা ঘটনাটি ঘটল ঠিক এর পরপরই। ৩২ বছর বয়সী এরিকা নাইগ্রেলির ‘মৃত’ শরীরে প্রাণের সঞ্চার হলো। তাঁর নিথর দেহে ফিরে এলো স্বাভাবিক হূত্স্পন্দন।

অবশ্য সন্তান জন্ম দেওয়ার পরের পাঁচটি দিন ‘কোমা’য় ছিলেন নাইগ্রেলি। এরপর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি, জ্ঞান ফিরে পান। কন্যার জন্মের তিন সপ্তাহ পর ঘটে মা-মেয়ের মধুরমিলন।

এ ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের। এরিকা নাইগ্রেলি পেশায় স্কুলশিক্ষক। অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন প্রায় নয় মাস। সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় হয়ে এসেছিল। এমনই একসময়ে নিয়মমাফিক স্কুলে গিয়েছিলেন ছাত্রদের পড়াতে। নিজের রুটিন ক্লাসও নিচ্ছিলেন। ক্লাস নিতে নিতে হঠাত্ই অসুস্থ বোধ করেন নাইগ্রেলি। ভাগ্যক্রমে তাঁর স্বামী নাথানও একই স্কুলে চাকরি করেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন তিনি। নাইগ্রেলি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যাওয়ার আগেই তাঁকে ধরে ফেলেন তাঁর স্বামী ও সহকর্মীরা।

জ্ঞান হারানোর সঙ্গে সঙ্গে মুখ দিয়ে ফেনা উঠতে থাকে নাইগ্রেলির। চোখের দৃষ্টিও ছিল ভাষাহীন। স্বামী নাথান অ্যাম্বুলেন্স ডেকে হাসপাতালে নিয়ে যান এরিকাকে। সেখানেই হয় তাঁর অস্ত্রোপচার।

পুরো ব্যাপারটিকে সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ হিসেবেই দেখছেন এরিকা নাইগ্রেলি। তিনি মরে গিয়েছিলেন, নাকি বেঁচে ছিলেন—এ ব্যাপারে তাঁর পরিষ্কার কোনো ধারণা নেই। কাটা কাটা কয়েকটি স্মৃতি ছাড়া পুরো বিষয়টি একেবারেই ভুলে গেছেন এরিকা। তাঁর মেয়েও আছে সুস্থ। দিব্যি চুষনি মুখে দিয়ে সময় পার করছে সে।

‘হাফিংটন পোস্ট’-এর সঙ্গে আলাপকালে এরিক নাইগ্রেলি কিছুটা রসিকতা করে বলেন, ‘মেয়ে বড় হলে কথা না শুনলে মেয়েকে ব্যাপারটি মনে করিয়ে দেব। কত কষ্ট করে তাঁকে এই পৃথিবীর আলো দেখিয়েছি, সেটা ও জানলে বুঝতে পারবে মা কী জিনিস!’

এরিকের স্বামী নাথানও স্বীকার করেছেন পুরো বিষয়টি ঈশ্বরের ইচ্ছা ছাড়া আর কিছুই নয়। স্ত্রীর প্রশংসা করে নাথান বলেন, ‘ঈশ্বরের কৃপা হয়তো আছে, কিন্তু আমি আমার স্ত্রীর প্রশংসা করব। সে জন্মগতভাবেই একজন লড়াকু নারী। আমার শিশুকন্যাটিও লড়াকু। কত কঠিন একটি পরিস্থিতিতে সে এই পৃথিবীর আলো দেখেছে, একবার ভাবুন তো!’

Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

শুটকাভাই বলেছেন: রাখে আল্লাহ্‌ মারে কে? মারে আল্লাহ্‌ রাখে কে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.