![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এও কি সম্ভব অপরাজিতা? তোমার ঈর্ষাবোধ এত দ্রুত রূক্ষ চর হলো কিভাবে? অথচ এ ছিল আমার চীর যৌবন প্রদীপ্ত অহমবোধ। আমার মাঝে যে আশ্রিত ব্রক্ষচারী হাঁপিয়ে উঠেছিল, একদিন সে মুক্তি পেয়েছে তোমার কল্যানে । কিন্তু আজ আমার এ কি নিরুত্তাপ জীবন যাপন, না পেয়েছি মুক্তির স্বাদ, নাইবা পেলুম এক ফোঁটা অশ্রু! মাথা তুলে দাঁড়াবার নেশায়, আজ আমার সমস্ত অহমবোধ নত হলো আমারই চরণ ধুলোর পরে। আমি হেরে গেছি অপরাজিতা, বড্ড হেরে গেছি। তোমার করুনা পাবার ভয়ে, যে আমি মাথা তুলেছি হীমালয়কে ছেড়ে। আজ দেনা-পাওনার খাতায় দেখলুম, বড্ড ঋনি হয়ে গেলুম তোমার কাছে। কী করুনাটাই করলে আমাকে! আমারই নিজ হাতে গড়া অহমবোধ, কত নির্মম ভাবেই না আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খেয়েছে এতদিন! ভাবতেই নিজের প্রতি ঘেন্না হয় ভীষন। আমার মিছে কবিত্বের বাহানা, কত সস্তায় না বিকিয়েছে আমার ব্যক্তি নির্লিপ্ততা। করুনা, কৃপা, অনুরোধ এসব আমার একদম পছন্দ নয় অপরাজিতা। তবু, তোমাকে আমার ভীষন দরকার। একটু মুক্তি কেবল তুমিই দিতে পারো। তোমার সিদ্ধ হস্তে আমার মাথা তুলে দা্ও আর একটিবার।
©somewhere in net ltd.