![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংস্কৃতিক কর্মী শিল্প তৈরি করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন..... তবে শিল্পীর শিল্প তৈরি হওয়া চাই-ই-চাই.......সাংস্কৃতিক কর্মীর মূল কাজ শিল্পীর তৈরি শিল্পকর্ম এবং জনগনের মধ্যে মেল বন্ধন অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, সেতু তৈরি করা..... আর এই সেতু তৈরির কাজ সাংস্কৃতিক কর্মীর করা চাই ই-চাই....এখানে ফাঁকিবাজির সুযোগ নাই.....সুযোগ নাই শিল্পীর মতো ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা করার..... সাংস্কৃতিক কর্মীকে তাই মাঝে মাঝে শিল্পীর চাইতে সংগঠকের ভুমিকায় বেশি অবতীর্ণ হন...... এতে দোষের কিছু দেখি না....সব ঠিকঠাক থাকলে সাংস্কৃতিক কর্মী নামক শব্দের উৎপত্তি ঘটতো না..... সবাই শিল্প চর্চাই করতো.....শিল্প চর্চা করতে এসে কেউ বিপ্লবের কথা বলতো না..... যেহেতু বিপ্লব একটি কঠিন সত্য...... বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক.....\\\\\\\\\\\\\\\\n(১৪ মার্চ ২০১৫, পল্টন ...........)
মেয়েদের দেখলে এখন খুব কমই প্রেম জাগে। কাম জাগে বেশি। এটি আমার জন্য খুবই লজ্জার বিষয। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় আর অভিজাত এলাকায় গেলে এমন হয়। পোষাকে কেমন যেনো ভালগার। এর থেকে ফতুয়া জিন্স পরা মেয়েগুলো অনেক বেশি পোষাক সচেতন। কিন্তু স্যালোয়ার কামিজ এমন কি শাড়ি পরিহিতো মেয়েদের দেখলে অশ্লিল যৌন তাড়না কাজ করছে ইদানিং। ঠোটের লিপস্টিক নায়লা নাইমের মতো। আর চুল রিবোন্ডিং দেখে মনে পড়ে যায় পর্ণোগ্রাফির নায়িকাদের কথা। এসবই হয়তো আমার অবদমিত যৌনতার বহিপ্রকাশ। কিন্তু সত্যি নারীকে দেখে ভালগার লাগবে কেনো? আমি অসুস্থ তাই বলে তিনিও কি একই রোগে ভুগছেন? এই আমিই তো কত শাড়ি পড়া নারীকে দেখে রাতের ঘুম হারাম করেছি। সেই জেগে জেগে দেখা স্বপ্নে গভীর চুমু খেয়েছি তাদের। কিন্তু অশ্লিলতা ছিলো না সেই চুমুতে, প্রেম ছিলো ভিষণ। আর আমার প্রেমিকাদের কথা না হয় নাই বললাম। আমি তাদের দেখেছি, শিখেছি, জেনেছি নারী কি আর তার বিপরীতে আমরা পুরুষরা কতো নিচু আর নোংরা হতে পারি। কিন্তু এখন সব ভিন্ন রকম লাগে। মেকি। এবং ভালগার।
এদিকে ছেলেগুলো আজকাল হিজড়া বনে গেছে। হিজড়ারও একটা আইডেন্টিটি থাকে। কিন্তু তাদের নাই। চুল কাটে বেজির মতো। কড়া লাল প্যান্টের সাথে গাঢ় হলুদ টি শার্ট। আহারে আমার স্মার্ট বয়েজ। আর পুটকিতো দেখা যেতে হবেই। আধুনিক সবাই আজকাল না বুঝেই উদার যৌনতার বৈধতা দিয়ে যাচ্ছেন। আদোতে তারা চোর। একটা বেশ্যার ব্যাথা তারা বোঝে না। কিন্তু নিজ প্রয়োজনে মাগী পাড়ার বৈধতা দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। নিজের বউ, মা আর বোন কে প্যাকেট করছে কিন্তু অফিসের নারী সহকর্মীকে প্রতিদিন চোখে, মুখে ইশারায় বিরক্ত করে যাচ্ছেন। আমি দেখেছি এসব নিজ চোখে।
পত্রিকায় পড়লাম মা তার সন্তানকে মেরে ফেলেছে পরকীয়া প্রেম টেকাতে গিয়ে। জানি না মা কিসের প্রেক্ষিতে পরকীয়ায় জড়ালেন। কোনো না কোনো চাহিদা থেকে নিশ্চই তিনি এ সম্পর্কে জড়িয়েছেন্। আমি একে অনৈতিক বলতে চাই না। কিন্তু নিজ সন্তান যখন মেরে ফেললেন তখন আমি ভাবি কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছি? আমিও সবার মতো উদার হতে চাই। কিন্তু ভাবি মুদ্রার ওপিঠ। আমার মা যদি এমন করেন। বাবা যদি প্রতি রাতে অফিসের সুন্দরী স্টাফ নিয়ে ফাইভ স্টার হোটেলে ঘুমিয়ে আসেন। বোন নতুন ড্রেস, মোবাইল ফোন আর মোটর সাইকেলে ঘুরে বেড়ানোর নেশায় আজ এর সাথে কাল ওর সাথে, ভাই প্রতিদিন মেয়েদের বিশ্বাস ভাঙে আর সবচেয়ে বিশ্বাসের জায়গা প্রেমিকা হঠাৎ করে হয়ে উঠে সৌখিন পতিতা। তখন আমার প্রগতিশীলতা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? আমি কি এসবের বৈধতা দিতাম নাকি দিতাম না? টাকা আর অশ্লিল যৌন কামনাই যেনো আজ সব। আমি একে হালাল করি কি করে। আমার জানা নাই।
এই সব কিছুর পেছনে কাজ করছে আমাদের অতিমাত্রায় 'হতে চাওয়া' আই মিন ওয়ানা বি মেন্টালিটি'র অস্থির প্রতিযোগীতা। যেই প্রতিযোগীতার দৌড়ে সবাই নিজেকে হারিয়ে ফেলছি। অবশ্য ঠিকই আছে। যেই সমাজের তরুন তরুনীরা বই পড়ে না। কবিতা তাদের ভালো লাগে না। লেখক বলতে একজনকেই চেনে। তাদের জন্য ভালো চলচ্চিত্র তৈরি হয় না। গান, নাটক সব নির্দিষ্ট কিছু আতেল গোত্রীয় লোকের জন্য তাদের তো এসব করেই কাটাতে হবে। যার কারনে শুধু পোষাক নয় মুম্বাইয়ের জগা খিচুরি সংস্কৃতির পুরোটাই আমাদের গো-গ্রাসে গিলে খাচ্ছে। ওদেরটাতো ওরা অনেক আগেই খেয়েছে।
একে তো পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তার উপর কনজিউমারিজম নারীকে এমন পন্যে রুপান্তর করছে যে নারী নিজেকে পুরুষের চোখে দেখা এখনো বন্ধ করতে পারেনি। যারা পেরেছেন তারা পেয়েছেন নষ্টা নারীর উপাধী। তাই বলে আমি ফারজান শাকিল বা কানিজ আলমাসদের কথা বলছি না। এদরে চাইতে গার্মেন্টেসে কাজ করা লাখো নারীর প্রতিদিনের শ্রম আমার কাছে গুরুত্বপূর্ন। অথবা রাজারবাগে গ্রীণ লাইন কাউন্টারের সামনে চা বিক্রেতা খালার কুরবানী না দিতে পেরে মোটেও আক্ষেপ না করা আমার কাছে অনেক কিছুর চাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ন। আবার পরিবাগের মজিদ মামার অনুপস্থিতিতে মামীর সে সময় হাজারটা পুরুষের সাথে যুদ্ধ করে পাই টু পাই হিসেব কষে নেয়া। অথবা জনৈক রিকসাওয়ালা যখন বলে আমি আমার বউরে বিশ্বাস করি আমার বউও আমারে, সংসার ভাঙবো কেন? তখন মনে হয় প্রকৃত প্রগতিশীল তারাই।
(বি:দ্র: বিশেষ ধর্মের মানুষদের খুশি করতে লিখিনি... অবশ্য তারাই তো এরা যাদের নিয়ে লিখেছি.... তাদের মতে আমি "নাস্তিক বোলোগার...")
(০৪ অক্টোবর ২০১৪, পল্টন)
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩
রক্ত পলাশী বলেছেন: আমি আমার বউরে বিশ্বাস করি আমার বউও আমারে, সংসার ভাঙবো কেন? তখন মনে হয় প্রকৃত প্রগতিশীল তারাই।