নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনামহীন....

আমার স্বপ্নের কথা বলতে চাই

পথেরদাবী

সাংস্কৃতিক কর্মী শিল্প তৈরি করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন..... তবে শিল্পীর শিল্প তৈরি হওয়া চাই-ই-চাই.......সাংস্কৃতিক কর্মীর মূল কাজ শিল্পীর তৈরি শিল্পকর্ম এবং জনগনের মধ্যে মেল বন্ধন অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, সেতু তৈরি করা..... আর এই সেতু তৈরির কাজ সাংস্কৃতিক কর্মীর করা চাই ই-চাই....এখানে ফাঁকিবাজির সুযোগ নাই.....সুযোগ নাই শিল্পীর মতো ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা করার..... সাংস্কৃতিক কর্মীকে তাই মাঝে মাঝে শিল্পীর চাইতে সংগঠকের ভুমিকায় বেশি অবতীর্ণ হন...... এতে দোষের কিছু দেখি না....সব ঠিকঠাক থাকলে সাংস্কৃতিক কর্মী নামক শব্দের উৎপত্তি ঘটতো না..... সবাই শিল্প চর্চাই করতো.....শিল্প চর্চা করতে এসে কেউ বিপ্লবের কথা বলতো না..... যেহেতু বিপ্লব একটি কঠিন সত্য...... বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক.....\\\\\\\\\\\\\\\\n(১৪ মার্চ ২০১৫, পল্টন ...........)

পথেরদাবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবুলের পার্কিং লট

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭

বাবুল সাহেবের সাথে গতকাল দেখা।

না; ব্যাংক ব্যালেন্সওয়ালা কোনো

সাহেব নয় সে। সামান্য পরোটা বিক্রেতা।

পরোটার টাকা দিয়ে, ছেলে আর মেয়েটাকে-

করিয়েছে এসএসসি পাশ।

কিন্তু সচিবের বাড়ির চুরিই

তার জিবনে নিয়ে এলো কঠিন সর্বনাশ।

তাই ঘটনার পরে, সচিব বাড়ির দ্বারে-

হলো না ঠাই তার। এমন দুঃসময়ে বাবুলের জন্য;

কোথাও এতোটুকু যায়গা নেই আর।

এই বারে; দ্বারে দ্বারে ঘুরে সে,

যদি পায় যায়গা ভার্সিটির পার্কিং লটে।

শুনে আমার মনে হলো না এতোটুকু ব্যাথা,

তবু তাকে কথা দেই, কথা না দেয়ার কথা।

শুধু বাড়তি এতোটুকুই বলি; করবো চেষ্টা ।

এই বলে ভেঙে সিড়ি, উপরে উঠি।

বলবার লোক খুঁজি। পাই না; কোথাও কেউ নেই।

তারপর সেই একই কথা, হবে না যা

তা নিয়ে কেনো এতো মাথা ব্যাথা।

এভাবেই চলে যায় গতকাল।



আজ আবারও প্রতিদিনের মতো,

সাইদের দোকানে বসি,

চা খাই, সিগারেট খাই; সাথে-

চোখে চোখ রেখে খেলা, লুকোচুরি।

সেই চোথ দেখি, যে চোখ আবার-

বাঁচতে বলে। এরই মাঝে হুট করে,

বাবুল সাহেব আসে।

জানতে সে চায়, কেমন আছেন?

আমি বলি ভালো, সাদা আর কালো।

প্রতুত্তরে বাবুল; এ কেমন ভালো?

আমি বলি সে তুমি বুঝবে না,

কি বলার বলো, সময় যে ফুরালো।

আমায় সুধায় একই কথা,

হলো কি কোনো যায়গার ব্যবস্থা।

চুপ করে থাকি, তারপর বলি-

বোঝো না বোকা বাবুল,

তুমি বড়ই আবুল।

ও পার্কিং লটে, গাড়ি রাখে-

মন্ত্রী সচিব প্রভাষক অধ্যাপকে।

তবে কি করে তোমার পরোটার গাড়ি-

যায়গা করে?

হতাশ হয়ে ফিরে যায় বাবুল,

যায়গা খোঁজার কর্মে।

আমিও ফিরি তাড়াতাড়ি বাড়ি,

কবিতা লিখতে সেই সনাতনী ফর্মে।



(১৮ নভেম্বর ২০১৪, ইউল্যাব)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০১

আলম দীপ্র বলেছেন: B:-) B:-) B:-) অন্যরকম তহ !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.