নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনামহীন....

আমার স্বপ্নের কথা বলতে চাই

পথেরদাবী

সাংস্কৃতিক কর্মী শিল্প তৈরি করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন..... তবে শিল্পীর শিল্প তৈরি হওয়া চাই-ই-চাই.......সাংস্কৃতিক কর্মীর মূল কাজ শিল্পীর তৈরি শিল্পকর্ম এবং জনগনের মধ্যে মেল বন্ধন অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, সেতু তৈরি করা..... আর এই সেতু তৈরির কাজ সাংস্কৃতিক কর্মীর করা চাই ই-চাই....এখানে ফাঁকিবাজির সুযোগ নাই.....সুযোগ নাই শিল্পীর মতো ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা করার..... সাংস্কৃতিক কর্মীকে তাই মাঝে মাঝে শিল্পীর চাইতে সংগঠকের ভুমিকায় বেশি অবতীর্ণ হন...... এতে দোষের কিছু দেখি না....সব ঠিকঠাক থাকলে সাংস্কৃতিক কর্মী নামক শব্দের উৎপত্তি ঘটতো না..... সবাই শিল্প চর্চাই করতো.....শিল্প চর্চা করতে এসে কেউ বিপ্লবের কথা বলতো না..... যেহেতু বিপ্লব একটি কঠিন সত্য...... বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক.....\\\\\\\\\\\\\\\\n(১৪ মার্চ ২০১৫, পল্টন ...........)

পথেরদাবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর্ট ফর আর্ট শেক আর কতো?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

এক কবির সাথে আমার ইদানিং বেশ সখ্যতা গড়ে উঠেছে। ক'দিন আগে বইও বের হয়েছে। তার খুব কম কবিতাই আমি বুঝি। মাথার উপর দিয়ে যায়। অমন ভাঙচুর কিছু লেখেন না। তবে একটা বোধ দিয়ে যায়। টিপিকাল বামপন্থিও না। কবিতায় শ্রমিক, কৃষক কিছুই নাই তেমন; থাকলেও হালকা, ভাসা ভাসা। তবে যেটা আছে সেটা হলো, অসংখ্য প্রেমের কবিতা অথবা নানান ব্যক্তিক অনুভুতির কথা তার কবিতায় বললেও সমাজে চলমান সবগুলো ঘটানা তাকে ছুঁয়ে যায়। এবং যেখানেই অন্যায় দেখেন তিনি তার প্রতিবাদ জানান সরাসরি। আরেকটা ঘটনা, সেদিন আমাদের "ছি! ছি! ছি! আপনারা এতো খারাপ?" নামক রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে ধিক্কার প্রদান কর্মসূচিতে গায়ক প্রবর রিপন আসেন। তিনি তার মতো করে মনের সুখে গান করেছেন। অধিকাংশই প্রেমের গান ছিলো, গানে গানে প্রতিবাদ যে করেননি তা নয়। প্রতিবাদের ভাষাও ছিলো গানে। কিন্তু তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে তিনি একটা প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গান করতে এসেছেন। যেখানে দুই রাজনৈতিক শিববিরকে সরাসরি ধিক্কার জানানো হচ্ছে। যেখানে যেকোনো কিছুই হতে পারতো। এবং হওয়ার অবস্থাও তৈরি হযেছিলো। এসব বুঝেই তিনি সেদিন গান করতে এসেছিলেন।

শিল্পিকে প্রতিবাদ করতে বলা মানেই দশটা বিপ্লবের কবিতা, গান বা অন্য কিছু করে আনা নয়। মুল আলোচ্য বিষয় তার অবস্থান মানুষের পক্ষে কতটুকু। "আট ফর আর্ট শেক" থিউরি বিশ্বাসী শিল্পিরা দেশকে সমৃদ্ধ করছেন। দরকার আছে। আপনারা করেন। কিন্তু ভাই "আর্ট ফর পিপলস শেক' ওয়ালাদের সম্মান না করেন, তাদের কাজটা তাদের করতে দিন। দিন শেষে যদি কাজটাই টিকে থাকে তবে তর্ক করেন কেনো? নাকি নিজে মনে করেন আপনার কথা ও কাজে ঘাপলা আছে তাই অন্যকেও কনফিউজড করছেন প্রতিদিন, শিল্প আগে না মানুষ আগে বলে। যে সত্যিকার অর্থেই শিল্পের চর্চা করেন বলে দাবি করেন, তিনি কখনোই মানুষরে দুর্দিনে চুপ করে থাকতে পারেন না। এটা তো সরল অংক ভাই। নাকি সরল অংক চিরকাল কঠিনই আছে?

এইবার বই মেলায় নব্য চিড়িয়াদের আস্ফলন দেখলাম। তাদের কেনো চিড়িয়া বলছি তা নিয়ে অনেকেই আমার উপর রাগ। চিড়িয়াদের কারো কারো লেখা পড়েছি আবার অনেকের পড়িনি। কিন্তু যে সস্তা ব্র্যান্ডিং তারা শুরু করেছে তা এই ফেসবুকের কল্যানে দেখতে পেরেছি, তাতে সত্যিই ব্যথিত হয়েছে মন। বুঝলাম সবাই মিডিয়া ফোকাস হবার জন্যই এসব লেখা লেখিকে বেছে নিয়েছে। সেটা আরো পরিস্কার হলাম যখন রোদেলার স্টল বন্ধ করে দিলো। অথচ তারা একটি টু শব্দ করলো না। অনন্য আজাদের লেখা আমি ফেসবুক ছাড়া আর কোথাও পড়িনি। বইটা কিনবো ভেবেছিলাম। তাতো আর হলো না। তার ফেসবুকের লেখায় তেমন সুবিধা মনে হয়নি। বাবাকে কপি করছেন মনে হলো। আরো মনে হলো প্রগতিশীলতা মানে তিনি আওযামীলীগকে বোঝেন। সে যাই হোক ফেবু দিয়েতো আর তাকে মাপা যায়না। তাই বইয়ের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু যেই বাঙলা একাডেমিতে চিড়িয়াগুলো দাঁত কেলায় সেই বাংলা একাডেমির একটি মুসলমানটাইপের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাদের দাঁড়াতে দেখলা না। শ্রমিক কৃষকতো পরে। নিজের কমিউনিটির উপর এমন হামলায় যারা চুপ থাকেন তারা আসলে রাষ্ট্রের পোষ্য। একটা প্রেমের উপন্যাস লিখেও প্রতিবাদ করা যায়। প্রেম আর দ্রোহ যে মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ তা তারা বোঝেন না মনে হয়।

এ্ই শহরে কিছু মানুষের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলি না, সম্মান করি কিন্ত মাথা নোয়াই না।আবার কিছু যায়গায় মাথা নোয়ানোর ভান করি কিন্তু ওউন করি না। সত্যি যদি রুদ্র, হুমায়ুন আজাদ, জহির রায়হান বা সঞ্জিব চৌধুরীর মতো কিছু মানুষ জীবিত থাকতো তবে এই শহরে মাথা নিচু করে হাটতাম। এখন কোন প্রয়োজনই নাই। গোয়া মারা খাও সকলে....

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সহমত| আমি নিজেকেও ধিক্কার দিচ্ছি কিছু লিখিনি বলে প্রতিবাদে যদিও জানি আমার প্রতিবাদে বাংলা একাডেমির বালও ছিড়তে পারতাম না

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

সালমান মাহফুজ বলেছেন: শিল্পিকে প্রতিবাদ করতে বলা মানেই দশটা বিপ্লবের কবিতা, গান বা অন্য কিছু করে আনা নয়। মুল আলোচ্য বিষয় তার অবস্থান মানুষের পক্ষে কতটুকু।

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১০

এনামুল রেজা বলেছেন: একটা প্রেমের উপন্যাস লিখেও প্রতিবাদ করা যায়। প্রেম আর দ্রোহ যে মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ তা তারা বোঝেন না মনে হয়।

কোনটা করনীয়, মানুষ ভূলে যাচ্ছে। এইটাই সত্য।

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কাকে দেখে মানুষ মানুষ মাথা নোয়ায়?? আমিই বলছি, ভালবাসা এবং শ্রদ্ধারজনকে দেখে।। আজ কিন্তু খুজে পাই না তাদের!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.