![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংস্কৃতিক কর্মী শিল্প তৈরি করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন..... তবে শিল্পীর শিল্প তৈরি হওয়া চাই-ই-চাই.......সাংস্কৃতিক কর্মীর মূল কাজ শিল্পীর তৈরি শিল্পকর্ম এবং জনগনের মধ্যে মেল বন্ধন অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, সেতু তৈরি করা..... আর এই সেতু তৈরির কাজ সাংস্কৃতিক কর্মীর করা চাই ই-চাই....এখানে ফাঁকিবাজির সুযোগ নাই.....সুযোগ নাই শিল্পীর মতো ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা করার..... সাংস্কৃতিক কর্মীকে তাই মাঝে মাঝে শিল্পীর চাইতে সংগঠকের ভুমিকায় বেশি অবতীর্ণ হন...... এতে দোষের কিছু দেখি না....সব ঠিকঠাক থাকলে সাংস্কৃতিক কর্মী নামক শব্দের উৎপত্তি ঘটতো না..... সবাই শিল্প চর্চাই করতো.....শিল্প চর্চা করতে এসে কেউ বিপ্লবের কথা বলতো না..... যেহেতু বিপ্লব একটি কঠিন সত্য...... বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক.....\\\\\\\\\\\\\\\\n(১৪ মার্চ ২০১৫, পল্টন ...........)
পরাবাস্তবতা কবিতায় আসে-
প্রয়োজনে অপ্রেয়োজনে। উপমা দেয়া হয়, দেয়া হয় রুপক।
সেটাও প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে-
অ-কবিতা হয়ে ওঠে কবিতা। আমি সেসব বুঝি না; কিন্তু
গতকাল রাতে যখন তন্দ্রায় ছিলাম,
হঠাৎ ভাইয়ের রক্তের বিভৎস গন্ধ
আমার নাকে এসে পৌছায়।
যেনো রক্তের স্রোত পায়ের গোড়ালি বেয়ে বেয়ে
উঠে আসে নাক পর্যন্ত। সেই রক্ত গিলেগিলে খাচ্ছি, চেটেপুটে খাচ্ছি, আর-
ঘুম ভেঙেই বোমি বোমি ভাব। বিগত দিনের সকল নির্লিপ্ততা যেনো
পেট থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলো। এমনই বিষাদ আর বিভ্রান্ত স্বপ্নে
প্রায় ক্লান্ত দিশেহারা এখন রোজদিন।
বসে ছিলাম খানিক; তারপরে-
ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে থেকে
আওয়াজ ভেসে আসে আমারই বন্ধুর।
আমাকে ডেকে-
ঘুমতে যাচ্ছো, স্বপ্ন দেখবে বোলে?
এসো; তার আগে আমাদের দেখে যাও-
একজন কবি আর দু’জন সঙ্গিত শিল্পী
আজ কয়দির বেশে। আরো দেখে যাও
কি করে কবিতা দেয়ালে লিখে কয়দি হওয়া যায়।
আচমকা এমন প্রশ্ন আর আমন্ত্রনে জর্জরিত আমি
উত্তর দিতে পারি না।
এখানেই শেষ নয়;
দু’টো নরম তুলতুলে গুটি গুটি ছোট্ট হাত
মাথায় হাত বুলায়, এলিয়ে পড়ি বালিশে;
সকল ক্লান্তি দুরে ঠেলে আমি ঘুমতে যাই।
শুধু খুব ভোরে বসন্তে বর্ষার
অপ্রস্তুত আগমন দেখে ভাবি-
এর চেয়ে পরাবাস্তব আর কি হতে পারে?
(০৪ মার্চ ২০১৫, পল্টন)
©somewhere in net ltd.