![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংস্কৃতিক কর্মী শিল্প তৈরি করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন..... তবে শিল্পীর শিল্প তৈরি হওয়া চাই-ই-চাই.......সাংস্কৃতিক কর্মীর মূল কাজ শিল্পীর তৈরি শিল্পকর্ম এবং জনগনের মধ্যে মেল বন্ধন অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, সেতু তৈরি করা..... আর এই সেতু তৈরির কাজ সাংস্কৃতিক কর্মীর করা চাই ই-চাই....এখানে ফাঁকিবাজির সুযোগ নাই.....সুযোগ নাই শিল্পীর মতো ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা করার..... সাংস্কৃতিক কর্মীকে তাই মাঝে মাঝে শিল্পীর চাইতে সংগঠকের ভুমিকায় বেশি অবতীর্ণ হন...... এতে দোষের কিছু দেখি না....সব ঠিকঠাক থাকলে সাংস্কৃতিক কর্মী নামক শব্দের উৎপত্তি ঘটতো না..... সবাই শিল্প চর্চাই করতো.....শিল্প চর্চা করতে এসে কেউ বিপ্লবের কথা বলতো না..... যেহেতু বিপ্লব একটি কঠিন সত্য...... বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক.....\\\\\\\\\\\\\\\\n(১৪ মার্চ ২০১৫, পল্টন ...........)
আমি কখনোই পারিনি-
তোমার কোন ভিন্ন নাম দিতে।
মেরেলিন মনরো, সুচিত্রা সেন
অথবা হেমা মালিনি; কার সাথে তুলনা দেই বলো?
সাল দু’হাজার পনেরোতেও দেখি কবিরা এ নামগুলোতেই
খুঁজে ফেরেন তাদের প্রেয়সীদের-
অথচ আমি খুঁজি না, কারণ-
ওদের কারো সাথেই তোমার কোনো মিল নেই।
ক্যাটরিনাকে চিনেছিলাম এইতো বছর তিনেক আগে
আর ইদানিং জ্যাকলিন। বাহ! সেকি লিকলিকে
গড়ন, মাপা মাপ বুক, কোমর আরো কতো কি!
একবার ভেবেছিলাম পেছনে না যাই-
এসময়ের জিরো ফিগারদের সাথেই তোমাকে মিলাই।
কিন্তু না, মিথ্যা যে আসে না;
তুমি এদের কারো মতোই নও।
আমার মনে আছে অফিস শেষে
তুমি হাজারটা লম্ফঝম্ফ করে একটা লেগুনা ধরতে,
তারপরে বাস, তারপর কিছুপথ হাটা তারও কিছুপর রিকসা-
এরপর এক কাপ চা খেয়ে বাসা।
ওড়না দিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে বাড়ি ফিরতে
আমি দেখতাম; কারণ-
সারাটা পথ আমরা পাশাপাশি ছিলাম।
ঠিক সেসময়গুলোতে আমি তোমাকে কারো কারো সাথে
তুলনা করতে পারতাম। তোমরা উপমা খুঁজে পেতাম।
মনে আছে-
আমরা যখন ফিরতাম তখন
ঠিক বিপরীত দিক থেকে একটা স্রোত আসতো-
হাজার হাজার মানুষের স্রোত। আর তাদের অধিকাংশই ছিলো তোমারই মতো;
মনে আছে কি?
হাতে টিফিনের ঝোলা, আর সেই একই দৃশ্য- ওড়না,
ঘাম, পায়ে হাটা, বাসে ঝোলা আর পুরুষের অশ্লীল দৃষ্টিমৈথুন।
সব একই, ছিলো একই দৃশ্যপট; পার্থক্য শুধু -
তোমার ছিলো একটা এসি রুম আর ফোমের চেয়ার
আর তাদের বসতে দিতো এই বেশি;
পারলে দাঁড় করিয়ে রেখেই সবটা শুষে নেয় হারামজাদারা।
এই একটা সত্য কথা আমি বলতে পারিনি বলে
তোমাকে নিয়ে কবিতায় আজো উপমা দিতে পারলাম না,
যদি তোমার ফোমের চেয়ারের অমর্যাদা হয়?
আর তাই আমার অ-কবিতা অ-কবিতাই থেকে যায়
অ-কবি থেকে যায় অ-কবি-ই…
(০৮ মার্চ ২০১৫, পল্টন)
©somewhere in net ltd.