নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনামহীন....

আমার স্বপ্নের কথা বলতে চাই

পথেরদাবী

সাংস্কৃতিক কর্মী শিল্প তৈরি করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন..... তবে শিল্পীর শিল্প তৈরি হওয়া চাই-ই-চাই.......সাংস্কৃতিক কর্মীর মূল কাজ শিল্পীর তৈরি শিল্পকর্ম এবং জনগনের মধ্যে মেল বন্ধন অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, সেতু তৈরি করা..... আর এই সেতু তৈরির কাজ সাংস্কৃতিক কর্মীর করা চাই ই-চাই....এখানে ফাঁকিবাজির সুযোগ নাই.....সুযোগ নাই শিল্পীর মতো ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা করার..... সাংস্কৃতিক কর্মীকে তাই মাঝে মাঝে শিল্পীর চাইতে সংগঠকের ভুমিকায় বেশি অবতীর্ণ হন...... এতে দোষের কিছু দেখি না....সব ঠিকঠাক থাকলে সাংস্কৃতিক কর্মী নামক শব্দের উৎপত্তি ঘটতো না..... সবাই শিল্প চর্চাই করতো.....শিল্প চর্চা করতে এসে কেউ বিপ্লবের কথা বলতো না..... যেহেতু বিপ্লব একটি কঠিন সত্য...... বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক.....\\\\\\\\\\\\\\\\n(১৪ মার্চ ২০১৫, পল্টন ...........)

পথেরদাবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফজরের আযান

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪

একমাত্র ফজরের আযান ছাড়া আর কোন আযানই মানুষের ভালো লাগে না। প্রতিদিন ওই সময় মুয়াজ্জিন যখন সবাইকে নামাযের জন্য ডাক দেয়; অন্য সবার মতো সেও বিছানা ছাড়ে না। শুয়ে শুয়েই তার মনে পড়ে ছোট বেলার রোজার মাসগুলোর কথা। যখন বাবা মা কোন ভাবেই তাকে সেহরীর জন্য ডাকতেন না কিন্তু রোজা রাখার উচ্চাসে সে উঠে পড়তো আর দুধ কলা দিয়ে ভাত খেয়ে আযান শোনার জন্য অপেক্ষায় থাকতো। আযান শেষ হলে দু একটা পাখির কিচির মিচির শুনতো। ওটা শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে যেতো। মানুষের শৈশবে আগত অধিকাংশ রমজান মাস শীতকালে হওয়াতে তার সেই শীতকালীন স্মৃতিগুলোও মনে পড়ে যায় আযানের সাথে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়া, রোজা রাখা, আর আসছে ঈদে কি কি পোষাক কেনা যায় সেই লিষ্ট করা। এছাড়া শীতে নানার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া। খুব সকালে মাকে ফাঁকি দিয়ে আস্তে আস্তে লেপের ভেতর থেকে বের হওয়া এসব কথা এক আযান দিয়েই তার মনে পড়ে যায়। মানুষের আরো মনে পড়ে, ফজরের নামাজের পর নানীর অদ্ভুত রকম সুর করে কোরআন পাঠ। যা তাকে এক ধরনের মোহগ্রস্থ করতো। মনে পড়ে যায় মানুষের নানা,যিনি কিনা তার মায়ের সম্পর্কে চাচা; প্রতিদিন আযানের পর চিৎকার করতে করতে মসজিদে যেতেন। ছন্দে ছন্দে নামাজে যাবার ডাকতেন সবাইকে। কিন্তু কেউ যেতো না।

আজকাল ফজরের আযানের সময়টাই মানুষের সব চেয়ে ভালো সময়। ঐ সময়টাতে অন্তত কিছু পুরোনো স্মৃতি মনে করে বর্তমানের সাথে বিচ্ছদ ঘটানো যায়। এবং প্রতিদিন ঘুমিয়ে পড়ার এটা একটা নতুন কৌশল। ঘুমটা যোহরের আযানের সময় ভাঙে। ইদানিং ঐ ভোর ছাড়া দিনের অন্য সময় মাইকে ‘আল্লাহ-হু-আকবার’ শুনলেই মানুষের জাবাইয়ের কথা মনে পড়ে। সে আর ঘূমাতে পারে না। এরই মধ্যে মানুষ গত কয়েক রাত ধরে ছয় পা ওয়ালা কুকুর স্বপ্ন দেখছে। যে কিনা তাকে হিংস্রভাবে তাড়া করছে। এসব ভাবতে ভাবতেই মানুষ সারদিন কেটে যায়। রাতে ঘুমতে গিয়েও তার আর ঘুম আসে না। সারা রাত অপেক্ষায় থাকে ফজরের আযানের।

(২৫ মার্চ ২০১৫, পল্টন)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালো লিখছেন অনেক ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.