নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনামহীন....

আমার স্বপ্নের কথা বলতে চাই

পথেরদাবী

সাংস্কৃতিক কর্মী শিল্প তৈরি করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন..... তবে শিল্পীর শিল্প তৈরি হওয়া চাই-ই-চাই.......সাংস্কৃতিক কর্মীর মূল কাজ শিল্পীর তৈরি শিল্পকর্ম এবং জনগনের মধ্যে মেল বন্ধন অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, সেতু তৈরি করা..... আর এই সেতু তৈরির কাজ সাংস্কৃতিক কর্মীর করা চাই ই-চাই....এখানে ফাঁকিবাজির সুযোগ নাই.....সুযোগ নাই শিল্পীর মতো ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা করার..... সাংস্কৃতিক কর্মীকে তাই মাঝে মাঝে শিল্পীর চাইতে সংগঠকের ভুমিকায় বেশি অবতীর্ণ হন...... এতে দোষের কিছু দেখি না....সব ঠিকঠাক থাকলে সাংস্কৃতিক কর্মী নামক শব্দের উৎপত্তি ঘটতো না..... সবাই শিল্প চর্চাই করতো.....শিল্প চর্চা করতে এসে কেউ বিপ্লবের কথা বলতো না..... যেহেতু বিপ্লব একটি কঠিন সত্য...... বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক.....\\\\\\\\\\\\\\\\n(১৪ মার্চ ২০১৫, পল্টন ...........)

পথেরদাবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধার্মীকরা শুনুন

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২০

প্রতি বছর হজ্বে লাখ লাখ মানুষ যায়। এই পুন্যের কাজের সাথে জড়িয়ে আছে নানান রকমের ব্যবসা। আমার বাবার আদম ব্যবসা, সেই সুবাদে এসব সম্পর্কে কিছুটা জানা আছে। যদিও বাবা হজ্বের ব্যবসাটা করেন না। তার নানা কারণ আছে। সেই ফিরিস্তি দিতে চাইছি না এখন। আপনারা মনে হয় জানেন এক সময় এদেশে অনেকেই হজ্বে লোক পাঠানোর নামে মানুষ পাচার করতো। বিশেষ করে রোহিঙ্গা। এছাড়া হজ্বে যারা যায় তাদের সবার কোরবানী কোন একটা নির্দিষ্ট এলাকায় দেয়া হয়। আমাদের মতো গলিতে গলিতে হয় না। তাই কোরবানীর সাথে অনেক হাজীর সম্পৃক্ততা থাকে না। সেই কোরবানীর টাকা অনেকই মেরে দিতো। এখন এ বিষয়গুলো অনেকটাই কমেছে। তবে ততদিনে প্রতিষ্ঠানের মালিকরা হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। হ্জ্ব করেন প্রতি বছর।



অনেকেই বলতে পারে এই গুটি কয়েক মানুষের জন্য তোমরা ইসলাম ধর্মকে কেনো গালি দাও। না আমি এই গুটি কয়েকের জন্য ধর্মকে গালি দিতে চাই না। শুধু বলতে চাই, মুসলিম ব্রাদারহুড কোথায়? গুটি কয়েকের চাইতেতো ভালো মানুষ বেশি। তাইতো দাবি করছেন। তাহলে প্রত্যেকে দেশে ফিরে হজ্বের বানী কি পৌছাতে পারছেন? এলাকার চোর তো আরো বড় চোর হচ্ছে। আপনাকে দেখলে হাজী সাব বলে চেয়ার ছেড়ে দিচ্ছে। এতে আপনি এতোই খুশি হন যেনো এই জন্যই হজ্ব করেছেন। তাই সারা জীবন নামের পাশে হাজী টাইটেলও থাকে। তবে উল্টোও ঘটে, অনেক সাদামাট মানুষকে আজ চোর কিসিমের হাজী সাহেবের জন্য চেয়ার ছেড়ে দিতে হচ্ছে। আর এমন হাজীই বাড়ছে দিন দিন। কিন্তু দেখলাম তাদের সতর্ক করা, বা ঠিক পথে চলার জন্য কোন দিক নির্দেশনা মনে হয় মুসলিম ব্রাদারহুড সমাজে নাই। শুধু নাস্তিক কতলের নির্দেশই আছে।



এতো গেলো একদিক। আমার আব্বা আম্মা দু'জনই হজ্ব করেছে। অন্যদের নিয়ে বললে ধর্মানুভুতি টানবে। তারচেয়ে নিজের কথাই বলি। তারা আমাকে বুঝালেন পাপ মোচনে গেছেন। কোন সমস্যা নাই। সেখানে গিয়ে পাপ মোচন হলে আমি নিজেও যাবার ইচ্ছা পোষন করি। কিন্তু আমার প্রশ্ন ছিলো যদি পাপ করেই থাকেন, তবে আপনাদের অনেক ক্ষুদ্র অথবা বৃহৎ পাপের ভোক্তভুগি অনেকেই হয়েছেন। তাহলে আপনি না হয় পাপ মুক্ত হলেন। কিন্তু যার ক্ষতি হবার সেতো এখনো উঠে দাঁড়াতে পারে নি। সে কি করবে?



একজন ডেভেলাপার, আদম ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, পাইকার, সচিব, অধ্যাপক, নেতা, সাংবাদিক, ডাক্তার, উকিলসহ আরো অন্যান্য পেশায় কি পরিমান জোচ্চুরি তা কে না জানে? এসব বললেই বলে ভাই জেনারেলাইসড করবেন না। সবাই করে না। আমি বলি উল্টা, সবাই করে, কেউ কেউ করে না। কেউ কেউ দিয়ে আলোচনাও চলে না। এই বাটপারগুলাকেই দেখেছি, হজ্ব করে, দেশ বিদেশ ঘোরে। এলাকায় ঈদে, পূজা পার্বনে যায়। আপনারা সকলে মসজিদ, এতিম খানা, মাদ্রাসার টাকা নেন তাদের কাছ থেকে। একটাবার জিজ্ঞেস করেন না ভাই আপনার টাকা কোথা থেকে এলো।



আপনারা রুহ আফজা মাগরিবের আজান অথবা প্রান লাচ্ছি ইফতারের সময়সূচি হজম করতে পারেন। পিএএচপি এরাবিয়ান হর্স কোরআনের আলো দেখতে পারেন। হজ্ব নিয়েই ব্যবসা হচ্ছে। হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন অনেকে। সব হজম করতে পারেন। খালি আপনাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে কিছু দেখিয়ে দিলেই আপনাদের আঁতে ঘা লাগে। অথচ আপনার যখন ঘরে বসে ছিলেন তখন, তারাই ফিলিস্তিন, মায়ানমার, মিশর, তিউনেশিয়া, লিবিয়িা বা পৃথিবীর অন্যান্য স্থানে যেখানে মুসলীমদের উপর নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে তার প্রতিবাদ করেছে রাস্তায় নেমে। এমন কি আপনাদের চরম ঘৃনার বস্তু "ব্লগে"। এই প্রতিবাদের মাধ্যমে তারা বুঝাতে চেয়েছে ধর্ম বড় নয়, ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অন্য কেউ তার সাম্রাজ্য স্থাপন করতে চায় পুরো মধ্যপ্রাাচ্য অথবা আমার এই এশিয়া জুড়ে।



আমি এসব বিষয় নিয়ে কখনোই কথা বলতাম না। খুব আতেল কিসিমের আহ্বান ছিলো। ধর্মের নামে হানাহানি করো না। কিন্তু দিন দিন এই বঙ্গে ইসলাম পন্থিদের এক ধরনের জোর করে নিজের ধর্ম অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়া, আলোচনা না করা, এবং এতো খুন আমাকে নতুন ভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। আমি ভাবতে থাকি আমরা কি এতোটাই কট্টোর ছিলাম কখনো? হয়তো ছিলাম। না হয় লাল শালূ উপন্যাস হয় কি করে? আবার গতকাল দেখলাম সঙ্গীত শিল্পী আনুশেহ কে কি করে ধার্মীকরা সুন্দরবন এলাকা থেকে বের করে দিয়েছে। কোন পরিবর্তন হচ্ছে কি আদতে? দেখা যাবে একজন ইঞ্জিনিয়ারও এসবের বৈধতা দিচ্ছেন। আবার মাদ্রাসার ছাত্রও দিচ্ছেন। তাদের মধ্যে মতপার্থক্য কম পাচ্ছি আজকাল। আবার দেখছি যার স্বার্থে আঘাত লাগছে সে আবার তখন তার মতো করে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।



যারা আল কায়দা, আইএস, হরকাতুল জিহাদ অথবা জেএমবি তারা এসব করবেই। তারা এসাইন্ড। এদের কাজ ইসলাম না, অন্য কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা। কিন্তু আপনি, যে মানুষ শিক্ষিত সে কি করে এ ধরনের হামলা জাসটিফাই করেন? কার সমর্থন বাড়ে? আইএস আল কায়দা, জেএমবি কোথা থেকে সাহস পায়? আপনি খুন করতে নাও পারেন কিন্তু আপনার এই শুকনো ধর্মানুভুতি যা কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেই জানে না, জানে কেবল নাস্তিক মারার বৈধতা দিতে সেই ধর্মানুভতি আদতে জঙ্গীবাদকেই প্রশ্রয় দেয়। সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাস থাকলে তার কাছেই প্রশ্ন ছুঁড়ুন, আমাদের সবার রক্তের রঙ ভিন্ন নয় কেনো? যতোবার কতল করলেন বা বৈধতা দিলেন সেই একই রক্তই তো দেখলেন। ভিন্ন কিছু কি দেখলেন?



(০৪ এপ্রিল ২০১৫, পল্টন)



মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬

পাভেলহক বলেছেন: জ্ঞানহীন, আবেগ সর্বস্ব লেখা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.