নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনামহীন....

আমার স্বপ্নের কথা বলতে চাই

পথেরদাবী

সাংস্কৃতিক কর্মী শিল্প তৈরি করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন..... তবে শিল্পীর শিল্প তৈরি হওয়া চাই-ই-চাই.......সাংস্কৃতিক কর্মীর মূল কাজ শিল্পীর তৈরি শিল্পকর্ম এবং জনগনের মধ্যে মেল বন্ধন অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, সেতু তৈরি করা..... আর এই সেতু তৈরির কাজ সাংস্কৃতিক কর্মীর করা চাই ই-চাই....এখানে ফাঁকিবাজির সুযোগ নাই.....সুযোগ নাই শিল্পীর মতো ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা করার..... সাংস্কৃতিক কর্মীকে তাই মাঝে মাঝে শিল্পীর চাইতে সংগঠকের ভুমিকায় বেশি অবতীর্ণ হন...... এতে দোষের কিছু দেখি না....সব ঠিকঠাক থাকলে সাংস্কৃতিক কর্মী নামক শব্দের উৎপত্তি ঘটতো না..... সবাই শিল্প চর্চাই করতো.....শিল্প চর্চা করতে এসে কেউ বিপ্লবের কথা বলতো না..... যেহেতু বিপ্লব একটি কঠিন সত্য...... বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক.....\\\\\\\\\\\\\\\\n(১৪ মার্চ ২০১৫, পল্টন ...........)

পথেরদাবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

না হোক শিল্প

০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ১২:৫২

যখন সবাই-

এইখানে এই ভুমে

ভিষণ কপচায় ‘মানুষ না শিল্প আগে’,

ঠিক তখন এই শহরের বুকে-

খেটে খাওয়া দুই যুবক-যুবতীর

বুক জমিন কেঁপে ওঠে-

লুকিয়ে রাখা তীব্রমাত্রার ভু-কম্পনে,

আমি সে শব্দ শুনতে পাই।

তাই লিখে যাই-

শিল্পের ঠিক বিপরীতে দাঁড়িয়ে

‘জীবন থেকে নেয়া’র নতুন আরো একটি স্ক্রিপ্ট।



না; এটি কোনো কবিতা না, গল্প না, চলচ্চিত্র না-

অথবা সব ভালোদের আট কলাম জুড়ে

লেখা কৃত্রিম দেশপ্রেমের ফিচারও নয় এটি।

এটি হতে পারে পিতাহীন কোনো কন্যার প্রতিদিন

বেঁচে থাকার লড়াই; অথবা একদিন যুবক

অস্কার জিতবে অথচ তার আজ চাল ফুরানোর

বিশাল উপাখ্যান।

জানি আমার এই নতুন সৃষ্ট কর্মে কোনো

শিল্প খুঁজে পাবে না কেউ। কারণ; এখানে

শেষ ফ্রেমে দর্শক দেখবে না-

'সুখের সমাপ্তি’।



যুবতী-

দু’ হাতে গুনে পাঁচ’শ, এক’শ তারপরে পঞ্চাশ

মোটে মিলে টাকা সাড়ে ছয়’শ। যুবকও তাই-

তবে দু’টোই আলাদা আলাদা গল্প।

সবই ‘জীবন থেকে নেয়া।‘ যুবতীর নাম কেয়া।

কেয়া এবার মার ঔষধ কিনবে

ছেলেটা বাড়ি ভাড়া যোগাবে-

অথচ এইখানে এই ভুমে চলছে না

আমল অব শায়েস্তা খা-

তাই ওদের বলছে সকলে যেদিকে যাবার যা।

এখনো যুবকের নাম আমি জানি না।



তবে জানি-

এই অনাসৃষ্টির দ্বায়ে হয়তো শিল্পীকুল

আমায় চড়াবেন শুলে-

তবু সব ভুলে; আমি-

এই আমি কি করে

হতে পারি

সালভাদর দালি?

তাই এমন সুখহীন বাস্তবতায়-

তোমাদের প্রভুদের সালাম ঠুকি

আর সাহসের সাথে বলে উঠি-

ওমন শিল্পের নিকুচি করি।

যেখানে আমাদের কথা নেই

এমন দুঃসময়েও।



তাই আমি লিখে যাই-

শিল্পের ঠিক বিপরীতে দাঁড়িয়ে

‘জীবন থেকে নেয়া’র নতুন আরো একটি স্ক্রিপ্ট।

এটি কোনো কবিতা না, গল্প না, চলচ্চিত্র না-

অথবা সব ভালোদের আট কলাম জুড়ে

লেখা কৃত্রিম দেশপ্রেমের ফিচারও নয় এটি।

এটি হতে পারে পিতাহীন কোনো কন্যার প্রতিদিন

বেঁচে থাকার লড়াই; অথবা একদিন যুবক

অস্কার জিতবে অথচ তার আজ চাল ফুরানোর

বিশাল উপাখ্যান। লাল সালাম...



(০৩ মে ২০১৫, পল্টন)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ১:১৩

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: কবিতা ভাললাগচ্ছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.