নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনামহীন....

আমার স্বপ্নের কথা বলতে চাই

পথেরদাবী

সাংস্কৃতিক কর্মী শিল্প তৈরি করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন..... তবে শিল্পীর শিল্প তৈরি হওয়া চাই-ই-চাই.......সাংস্কৃতিক কর্মীর মূল কাজ শিল্পীর তৈরি শিল্পকর্ম এবং জনগনের মধ্যে মেল বন্ধন অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, সেতু তৈরি করা..... আর এই সেতু তৈরির কাজ সাংস্কৃতিক কর্মীর করা চাই ই-চাই....এখানে ফাঁকিবাজির সুযোগ নাই.....সুযোগ নাই শিল্পীর মতো ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা করার..... সাংস্কৃতিক কর্মীকে তাই মাঝে মাঝে শিল্পীর চাইতে সংগঠকের ভুমিকায় বেশি অবতীর্ণ হন...... এতে দোষের কিছু দেখি না....সব ঠিকঠাক থাকলে সাংস্কৃতিক কর্মী নামক শব্দের উৎপত্তি ঘটতো না..... সবাই শিল্প চর্চাই করতো.....শিল্প চর্চা করতে এসে কেউ বিপ্লবের কথা বলতো না..... যেহেতু বিপ্লব একটি কঠিন সত্য...... বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক.....\\\\\\\\\\\\\\\\n(১৪ মার্চ ২০১৫, পল্টন ...........)

পথেরদাবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ভরা মজলিশে শিক্ষকের আদেশ পালন...."

১৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫

শিক্ষক : কোনো এক মনিষী বলেছিলেন, যখন চারিদিকে অনাচার চলে, তখন শুধু সত্য কথা বলাটাই একটি বিপ্লবি কাজ।
পথিক : স্যার মিথ্যা বলছেন কেনো? আপনিই তো সেদিন আমাদের উপর লাঠি পেটা করার অনুমতি দিয়েছিলেন।

শিক্ষক : তোমরা বিশৃঙ্খলা করছিলে।
পথিক : স্যার, আপনারা ঘটনাটা ধামাচাপা দিতে চাচ্ছিলেন আর আমরা আপনার বলা মনিষীর কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছিলাম।

শিক্ষক : এখন কি চাও?
পথিক : কিছু না স্যার, কিছু কথা বলবো। মনে আছে স্যার, আপনাদের শিক্ষক আর অফিস কর্মকর্তা মিলে আমাদের এক বান্ধবিকে রেপ করেছিলো, আপনারা সেটা ধামা চাপা দিতে চাইলেন, মেয়েটাকে বললেন সেই নাকি নষ্টা। সব দোষ নাকি তার। ধর্ষক শিক্ষক আর সে অফিসার বেমালুম অস্বীকার করলেন এমন কিছুই নাকি ঘটেনি। আর আপনারা সেটাই ফলাও করলেন।

এখানেই কি শেষ? দু'বছর আগে আমরা যখন ডিপার্টমেন্টের কারিকুলাম পরিবর্তন, নতুন শিক্ষক নিয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে কথা বললাম তখন আপনারা আমাদের আইন শেখালেন। বললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বহির্ভুত কাজ করছি আমরা। স্যার আমরা সে 'মুক্ত ও স্বাধীন' বিষয় সমুহ পড়ে সময় নষ্ট করতে চাইনি, যে বিষয়গুলো পড়ানোর নাম করে আমাদের আসল বিষয়গুলো পড়ানো বাদ পড়ে যাচ্ছিলো। আমরা তো এ কথাগুলোই বলতে চেয়েছি। এটি প্রাইমারি স্কুলের মতো এক বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে আরো দশটা বিষয় পড়ানোর ফয়দা ছাড়া আর কিছুই নয়। আপনারা বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ না করে মুনাফা বৃদ্ধির পায়তারায় ব্যস্ত ছিলো। আমরা সে কথাটাই বলেছিলাম। আমাদের উপর তখনও লাঠি পেটা হয়েছিলো। আপনি পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছিলেন।

আমরা তখন ছাত্র সংসদের দাবি তুলেছিলাম, বলেছিলেন রাজনীতি মুক্ত শিক্ষাঙ্গন। অথচ আপনারই গণতন্ত্র নিয়ে সবচেয়ে বেশি বকেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের চার বছর। গণতন্ত্র কোথায় ছিলো আপনার প্রতিষ্ঠানে?

শিক্ষক : তুমি কি আমাদের চেয়ে বেশি বোঝ?
পথিক : না স্যার। তবে পেটে ভাত নাই তিনদিন। আপনার মিথ্যা অমিয়বানী আমাদের পেটে ভাত জুটা্চ্ছে না। তখনও না, এখনও না। বন্ধুর বাবা নিঃস্ব লেখাপড়ার খরচ চালাতে গিয়ে। আমরা সবাই বেকার। রাস্তায় হাটি। আমরা সবাই পথিক।

শিক্ষক : তো এখানে এসব বলার কি আছে?
পথিক : আগেই বলেছি আমি পথিক, রাস্তা দিয়ে হাটার সময় আপনার মিথ্যাচার শুনছিলাম। ভাবলাম আপনি শিক্ষক, বলেছেন সত্য বলাটা বিপ্লব। তাই সত্য বললাম।

স্যার আপনি কি হাসানকে চেনেন?
শিক্ষক: কোন হাসান?

পথিক : কবি অথবা দন্ডিত অপুরুষের কবি হাসান? যে কবি তার শিক্ষক জমিরালিকে চেনেন নি। যে শিক্ষক সুকান্তজয়ন্তীতে হাসানের মতোই একজন আলোচক হিসেবে ছিলেন। যে শিক্ষক জমিরালির কাছে হাসান কিছুই শিখেননি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। জমিরালি বারবার বলতে চেষ্টা করে, হাসান তুমি আমাকে চিনেছো? কিন্তু কবি হাসান রশিদ না চেনার ভান করে সে মজলিশে। মনে আছে স্যার?

শিক্ষক : তুমি কি বলতে চাও।
পথিক : আমি বলতে চাই, আমি হাসান রশিদ নই। আমি পথিক। আমি আপনাকে চিনলাম। আপনাকে চিনে রাখলাম। স্যার সুকান্তের 'চিল' কবিতাটা পড়েছেন কখনো? পড়লে আবার পড়েন…. আর না পড়লে এখন অল্প’কটা লাইন পড়েন….

"চিল…"

পথ চলতে চলতে হঠাৎ দেখলাম
ফুটপাতে এক মরা চিল।

চমকে উঠলাম ওর করুণ বীভৎস মূর্তি দেখে।
অনেক উঁচু থেকে যে এই পৃথিবীটাকে দেখেছে
লুন্ঠনের অবাধ উপনিবেশ;
যার শোন দৃষ্টিতে কেবল ছিল
তীব্র লোভ আর ছোঁ মারার দস্যু প্রবৃত্তি-
তাকে দেখলাম ফুটপাতে মুখ গুঁজে প’ড়ে।

দেইখেন স্যার চিলের মতো অবস্থা যেনো না হয়.... সুদিন আসবে…. এবং সেদিন আমরা এক একটা হাসান রশিদ হবো… আপনাদের কাউকে চিনবো না…. সালাম রইলো স্যার….
শিক্ষক : এই দাঁড়াও দাঁড়াও….পথিক… দাঁড়াও….

(১৫ মে ২০১৫, পল্টন)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.