![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংস্কৃতিক কর্মী শিল্প তৈরি করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন..... তবে শিল্পীর শিল্প তৈরি হওয়া চাই-ই-চাই.......সাংস্কৃতিক কর্মীর মূল কাজ শিল্পীর তৈরি শিল্পকর্ম এবং জনগনের মধ্যে মেল বন্ধন অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, সেতু তৈরি করা..... আর এই সেতু তৈরির কাজ সাংস্কৃতিক কর্মীর করা চাই ই-চাই....এখানে ফাঁকিবাজির সুযোগ নাই.....সুযোগ নাই শিল্পীর মতো ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা করার..... সাংস্কৃতিক কর্মীকে তাই মাঝে মাঝে শিল্পীর চাইতে সংগঠকের ভুমিকায় বেশি অবতীর্ণ হন...... এতে দোষের কিছু দেখি না....সব ঠিকঠাক থাকলে সাংস্কৃতিক কর্মী নামক শব্দের উৎপত্তি ঘটতো না..... সবাই শিল্প চর্চাই করতো.....শিল্প চর্চা করতে এসে কেউ বিপ্লবের কথা বলতো না..... যেহেতু বিপ্লব একটি কঠিন সত্য...... বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক.....\\\\\\\\\\\\\\\\n(১৪ মার্চ ২০১৫, পল্টন ...........)
অফিস যাবার পথে হঠাৎ আকিব একটি মিছিল দেখে রিকসা ছেড়ে দেয়। সে দেখে লাল পতাকাবাহী একটি মিছিল তার খানিক সামনে অগ্রসরমান। মিছিলের স্লোগান শুনে তার বুঝতে বাকি থাকে না শ্রমিকদের মিছিল এটি। মিছিলটা ধরতে চায় আকিব। মিছিলের কাছে যাবার জন্য দ্রুত হাটতে থাকে সে। এদিকে প্রচন্ড গরম। আর এই গরমে এমন দৌড়ঝাপ আকিবের জন্য খুবই বিরক্তির বিষয়। কিন্তু আজ কেনো যেনো তার গা বেয়ে যে ঘাম বেরুচ্ছে তাতে তার বিন্দুমাত্র খেয়াল নেই, বিরক্তি নেই। তার মনে যেনো একটা কথাই বাজচ্ছিলো, মিছিলটা ধরতে হবে।
আকিব পেশায় একজন সংবাদকর্মী। তাই পূর্ব পরিচয়ের সুত্র ধরে মিছিলের পেছনে থাকা অন্য একটি গণমাধ্যমের সাংবাদিক রাতুল, আকিবের ডান পাশের বাহু স্পর্শ করে এবং বলে, আকিব ভাই দেরি করলেন যে? ঘেরাও কর্মসূচিতো শেষ। আপনি চাইলে আমার কাছ থেকে ইনফরমেশনগুলো নিতে পারেন। আকিব ঘুরে উত্তরে জানায়, লাগবে না। আমার আজ অন্য এসাইনমেন্ট। তাহলে দৌড়াচ্ছেন যে, বলে রাতুল। আকিব জানায়, জ্যাম তাই রিকসা ছেড়ে দিয়েছি, হাটছি। এই বলে আকিব রাতুল থেকে বিদায় নেয়। এবং এগিয়ে চলে। কিন্তু মিছিল ধরতে পারেনা। তার মনে হয় মিছিল অনেক দ্রুত যাচ্ছে। শ্রমিকরা তার চেয়ে অনেক দ্রুতপায়ে হেঁটে যাচ্ছে এবং আকিব ক্রমশ পিছনে পড়ছে।
আকিবের মনে হতে থাকে, এই দুরত্ব এতো বৃদ্ধি পাচ্ছে কেনো, এই দুরত্ব কিসের আলামত। সে আরো ভাবতে থাকে, যেবার ছাত্র অবস্থায় শেষ শ্রমিকদের মিছিলে গিয়েছিলো, সে মিছিলতো এতো দূরে ছিলো না। আকিব মিশে ছিলো সে মিছিলে। নদীর জলে মাছ যেমন থাকে। সে খেয়াল করে, দূরে নারী শ্রমিকদের সস্তা প্রিন্টের কামিজ এবং পুরুষ শ্রমিকদের গুলিস্থানের দু’শ টাকার প্যান্ট অনেক জ্বলজ্বল করছে। রোদ, ঘাম আর তাদের পোশাকের বাহারী রঙে একধরনের রংধনু তৈরি হয়েছে। কিন্তু আকিব সে রংধনুর কাছে যেতে পারছে না। আকিবের আরো মনে হতে থাকে, সে নড়তে পারছে না অথচ দেড়’শ টাকার জুতো পরা মানুষগুলো আজ বেশ সচল। দ্রুত তাদের পদক্ষেপ। তারা যেদিক ইচ্ছে সেদিক ছুটতে পারছে। যেনো পদ্মার জাটকা মাছের দল। কিন্তু তার পায়ের ব্র্যান্ডেড জুতো উত্তপ্ত পিচে যেনো গলে গিয়ে আঠায় পরিনত হয়েছে। সে নড়তে পারে না, হাটতে পারেনা। দুরত্ব আরো বাড়ে, বাড়তেই থাকে।
(১৭ মে ২০১৫, কর্মস্থল)
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সামান্য কিছু শব্দেই অনেক কথা বলে ফেললেন।
ভাল লাগল গল্পটা