![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংস্কৃতিক কর্মী শিল্প তৈরি করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন..... তবে শিল্পীর শিল্প তৈরি হওয়া চাই-ই-চাই.......সাংস্কৃতিক কর্মীর মূল কাজ শিল্পীর তৈরি শিল্পকর্ম এবং জনগনের মধ্যে মেল বন্ধন অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, সেতু তৈরি করা..... আর এই সেতু তৈরির কাজ সাংস্কৃতিক কর্মীর করা চাই ই-চাই....এখানে ফাঁকিবাজির সুযোগ নাই.....সুযোগ নাই শিল্পীর মতো ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা করার..... সাংস্কৃতিক কর্মীকে তাই মাঝে মাঝে শিল্পীর চাইতে সংগঠকের ভুমিকায় বেশি অবতীর্ণ হন...... এতে দোষের কিছু দেখি না....সব ঠিকঠাক থাকলে সাংস্কৃতিক কর্মী নামক শব্দের উৎপত্তি ঘটতো না..... সবাই শিল্প চর্চাই করতো.....শিল্প চর্চা করতে এসে কেউ বিপ্লবের কথা বলতো না..... যেহেতু বিপ্লব একটি কঠিন সত্য...... বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক.....\\\\\\\\\\\\\\\\n(১৪ মার্চ ২০১৫, পল্টন ...........)
অফিস থেকে বের হয়ে একটা সিগারেট ধরায় অপু। প্রায় চারমাস বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছাশ্রম দেয়ার পরও মালিক পক্ষের ঘনিষ্ট দু'জন মানুষ যখন তার আগে একটি কলমের খোঁচায় চাকরি পেয়ে যায় তখন সিগারেট টানতে টানতে অপু ভাবে, সব কিছু ঠিকঠাক ভাবেই চলছে। কারণ, তার যোগ্যতা যাই থাকুকনা কেনো, অযোগ্যতা আর মামা চাচার আমল এখনো শেষ হয়নি। এর ব্যতিক্রম ঘটার অর্থ হচ্ছে, দেশে বিপ্লব ঘটেছে। কিন্তু এমন কোন কিছুও অপুর চোখে পড়েনি গত চারমাসে। অপু সিগারেট টানে।
অপু সিগারেট টানতে টানতে সমুদ্রের পাড়ে চলে যায়। এবং নিভু নিভু সূর্যের দিকে মুখ করে তাকিয়ে থাকে। অবশ্য এসময় অপুর মুখের ভেতর এদলা কাপড় না পাথর না তুলা কি ছিলো জানা যায় না। তবে মুখটা শক্ত করে বাঁধা ছিলো। এবং দু’হাতের তালুতে ছিলো দু'টো সার্প ব্লেড। অপু দু’হাত মুট করে। তারপরে হাতের তালু বিভৎস ভাবে কেটে জবাই করা গরুর মতো ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। কান্নার শব্দ না শোনা গেলেও চোখ দিয়ে খুব ধীরস্থির ভাবে পানি গড়িয়ে পড়ে। যেমন পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া পানি যখন বিভিন্ন নালাপথ ডিঙিয়ে সমুদ্রে মেশে; সেরকম আরকি। এদিকে নির্বাক এ বিভৎসতা অপুকে অন্য রকম মাদকতা দেয়।
সে যাই হোক, এরই মাঝে কে যেনো পেছন থেকে বলে, এই যে ভাই পাগল হইসেন। পিছন ফিরে অপু দেখে একটা ট্রাক হেড লাইট জ্বালিয়ে তার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। অপু রাস্তায় ফিরে আসে। অপু আবার ভাবে সবই ঠিকঠাক নিয়মেই চলছে। সে আবার সিগারেট টানতে থাকে। অপুর মতো চৌরাস্তার মোড়ের বেশ্যারাও ভাবে সবই ঠিক আছে। ঠিকঠাক ভাবেই চলছে।
ওদিকে খবরে বের হয়েছে জনৈক সব্যসাচী কবি হাজারো জনতার সমানে বলেছেন, দেশে সুবাতাস বইছে। অপু তাই এই জৈষ্ঠের শেষরাতের সুবাতাস উপভোগ করতে চেষ্টা করছে। আকাশে চাঁদও আছে। তবে পূর্ণিমা নেই আজ।
(০১ জুন ২০১৫, পল্টন)
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুন, ২০১৫ ভোর ৬:৪২
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: নিজের কাছে, জীবনের কাছে হেড়ে যাওয়া বোকামি। আর মামা চাচার রাজত্ব মনে হয় শেষ হবার নয়।
শুভকামনা জানবেন।