![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংস্কৃতিক কর্মী শিল্প তৈরি করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন..... তবে শিল্পীর শিল্প তৈরি হওয়া চাই-ই-চাই.......সাংস্কৃতিক কর্মীর মূল কাজ শিল্পীর তৈরি শিল্পকর্ম এবং জনগনের মধ্যে মেল বন্ধন অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, সেতু তৈরি করা..... আর এই সেতু তৈরির কাজ সাংস্কৃতিক কর্মীর করা চাই ই-চাই....এখানে ফাঁকিবাজির সুযোগ নাই.....সুযোগ নাই শিল্পীর মতো ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা করার..... সাংস্কৃতিক কর্মীকে তাই মাঝে মাঝে শিল্পীর চাইতে সংগঠকের ভুমিকায় বেশি অবতীর্ণ হন...... এতে দোষের কিছু দেখি না....সব ঠিকঠাক থাকলে সাংস্কৃতিক কর্মী নামক শব্দের উৎপত্তি ঘটতো না..... সবাই শিল্প চর্চাই করতো.....শিল্প চর্চা করতে এসে কেউ বিপ্লবের কথা বলতো না..... যেহেতু বিপ্লব একটি কঠিন সত্য...... বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক.....\\\\\\\\\\\\\\\\n(১৪ মার্চ ২০১৫, পল্টন ...........)
কাপ্তাই বাঁধের উপর যখন দাঁড়িয়ে নিচে তাকালো রক্তিম, তখন অত্যন্ত ভয় লাগছিলো তার। একপাশে অথৈ পানি। আরেক পাশ নির্জন তৃনভূমি। পানির অংশ দেখে গভীরতা বোঝার উপায় নেই। কিন্তু শুকনো অংশ দেখে নিচে তাকাতে ভয় লাগছিলো তার । এতো উঁচ থেকে এর আগে কখনো কিছু দেখা হয়নি রক্তিমের। এছাড়া উচ্চতা ভীতি রক্তিমের ছোট বেলা থেকেই। তাই একপাশ যেমন অতুলনীয় সুন্দর আরেকপাশ তেমনি অত্যন্ত ভীতিকরও ছিলো। নিচের দিকে তাকিয়ে রক্তিমের মনে হলো, যদি পড়ে যাই আর ওপাশ থেকে বাঁধ ছেড়ে দেয়া হয় তবে ভেসে যাবো। এভাবে একা ভেসে কই যাবো? কেউ কি বাঁচাবে? নাকি দাঁড়িয়ে থাকবে? এখানে পড়ে গেলে কি বাঁচা সম্ভব? আমিতো এতো তাড়াতাড়ি মরতে চাই না। এসব হাবিজাবি ভেবে তার গা কেঁপে ওঠে। তারপর ওই গল্প ওখানেই শেষ।
তবে প্রায় বছর তিনেক আগের সেই কাপ্তাই বাঁধ ঘূরে দেখার কথা রক্তিমের এমনি এমনি মনে পড়েনি। আগের রাতে ঘুমের মাঝে সে স্বপ্ন দেখে, ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। সে ভেসে যাচ্ছে। সুন্দর দেখতে দেখতে কখন যে খাদে পড়ে গেছে সে খেয়ালই করেনি। আর কারা যেনো বাঁধ ছেড়ে দিয়েছে, তীব্র স্রোতের টানে রক্তিম কোনো খুঁটি খুঁজে পাচ্ছে না একটু বাঁচবার। ভেসে যায় ভেসে যায়। যারা বাঁধ ছেড়ে দিয়েছিলো সে শুধু দূর থেকে তাদের দেখে। ঝাপসা, ক্রমশ ঘোলা হয়ে যাচ্ছে। সে বলতে চাইছে কিছু একটা। কিন্তু বলতে সে পারে না। হাবুডুবু খেতে খেতে আস্তে আস্তে তলিয়ে যায় রক্তিম । কিছুই বলতে পারে না। তবে ডুবতে ডুবতে একটা বিষয়ে সে সীদ্ধান্তহীনতায় ভোগে, ভীতকর সুন্দর আমি কেনো দেখতে গিয়েছিলাম। সে সুন্দর আমাকে কেনো এতো টানলো? আমি কি এখন নতুন জীবন পেতে যাচ্ছি। যদি পাই তবে ভীতকর সুন্দর দেখার লোভ আমার জন্য ভুল ছিলো কি? এই নতুন জীবন কোন দিকে যাবে? এর অর্থ কি? স্বপ্ন এখানেই শেষ।
রক্তিমের একটা নতুন চাকরি হয়েছে। চাকরিটা সে করবে কি করবে না বুঝতে পারছে না। কারণ, অফিসটা ২০ তলা বিল্ডিংয়ের ১৮ তলায়। অফিসটা তারজন্য সবদিক দিয়ে অত্যন্ত সুবিধাজনক হলেও ১৮ তলাই তার ভাবনার একমাত্র কারণ। প্রথমদিন অফিসের বারান্দায় গিয়ে আবার কাপ্তাইয়ের কথা মনে পড়ে রক্তিমের। একই সাথে সেই স্বপ্ন। সে ভাবে বাস্তবিক নতুন জীবন আর স্বাপ্নিক নতুন জীবনে কি খুব বেশি ফারাক ঘটছে? সবই কি তবে ভীতকর সুন্দর? দ্বিধাদ্বন্দ চলতেই থাকে রক্তিমের মনের মধ্যে।
(০২ জুন ২০১৫, পল্টন)
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: রক্তিম নামটা খুব ভাল লাগল