![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংস্কৃতিক কর্মী শিল্প তৈরি করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন..... তবে শিল্পীর শিল্প তৈরি হওয়া চাই-ই-চাই.......সাংস্কৃতিক কর্মীর মূল কাজ শিল্পীর তৈরি শিল্পকর্ম এবং জনগনের মধ্যে মেল বন্ধন অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, সেতু তৈরি করা..... আর এই সেতু তৈরির কাজ সাংস্কৃতিক কর্মীর করা চাই ই-চাই....এখানে ফাঁকিবাজির সুযোগ নাই.....সুযোগ নাই শিল্পীর মতো ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা করার..... সাংস্কৃতিক কর্মীকে তাই মাঝে মাঝে শিল্পীর চাইতে সংগঠকের ভুমিকায় বেশি অবতীর্ণ হন...... এতে দোষের কিছু দেখি না....সব ঠিকঠাক থাকলে সাংস্কৃতিক কর্মী নামক শব্দের উৎপত্তি ঘটতো না..... সবাই শিল্প চর্চাই করতো.....শিল্প চর্চা করতে এসে কেউ বিপ্লবের কথা বলতো না..... যেহেতু বিপ্লব একটি কঠিন সত্য...... বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক.....\\\\\\\\\\\\\\\\n(১৪ মার্চ ২০১৫, পল্টন ...........)
হিন্দু বন্ধুটার সামনে মুসলমানদের নিয়ে গালাগালি করলে সে খূব সুন্দর পার্টিসিপেশন করে। কিন্তু যেই হিন্দুধর্ম নিয়ে শুরু করি তখনই মুখ বাকাইয়া ফালায়। মুসলমান বন্ধুটা ঠিকই নামাজ কালাম পড়ে কিন্তু রমজানের ৪০ দিন আগে মদ খাইয়া শরীর নাপাক করতে তার সমস্যা নাই। এরা সবাই প্রগতিশীল। সবচেয়ে বড় প্রগতিশীলতার পরিচয় দেয় আমার নারী বন্ধুরা। যখন এক নারী বন্ধূকে ফোন দিয়ে ভাতৃতুল্য ছোট্ট একটা মেয়ের সমস্যার কথা বলি তখন সংকট সমাধানে বান্ধবির কোন উচ্ছাস বা আগ্রহ দেখি না। উল্টো ভিকটিম মেয়েটার প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখা যায়। অথচ এই ধরনের প্রগতিবাদী নারীরা সিগারেট খাওয়া, তার পোশাকের উপর তার নিজস্ব চয়েজকে প্রাধান্য দেয়া, রাত বারোটারপর দশটা ছেলের মতো কেনো বাইরে থাকতে পরছে না এমন যৌক্তিক দাবি নিয়ে যতটা স্বোচ্চার ততটা দেখা যায় না প্রগতির আরো বেসিক কিছু লড়াইয়ে অংশ নিতে। যেগুলো আদায় করতে পারলে বাকিগুলো এমনিতেই আদায় হয়ে যাবার কথা। মুল সমস্যা পুরুষতা্ন্ত্রিকতা, যা এদেরও গিলে খেয়েছে। আবার 'আসল পুরুষগুলো', যারা প্রগতির কথা বলে তারা পরস্ত্রীর প্রগতিতে বিশ্বাসী কিন্তু নিজ স্ত্রীকে বলে "এভাবে না, ওভাবে"। নিজে যা ইচ্ছে তা করলেও বউ, বোন, প্রেমিকা ইত্যাদির উপর দিতে থাকেন নানান ফতোয়া।
মজার বিষয় এসব প্রগতির মাঝে হিজড়াদের মাস্তানের মতো চাঁদাবাজি করে বাঁচতে হয়। আমরা খুব কম মানুষ আছি হিজড়া দেখে তাদের সাথে খুব নরমালি কথা বলতে পেরেছি। গে লেসবিয়ান আমাদের মধ্যে কারা তা আমরা জানি না। এটা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। এটা সবাই করবেও না। কারণ এটি একটি বায়োলজিকাল বিষয় যা সবার মধ্যে কাজ করে না। এখানে বলে রাখা ভালো গে লেসবিয়ান বলতে আমরা শুধুমাত্র তাদের মধ্যকার যৌন সঙ্গমকেই বুঝি। কিন্তু এটা শুধুই যৌন মিলন নয়, এখানে প্রেম আছে। আর দশটা নারী পুরষের প্রেমের মতো তারা একজন একজনকে না পেলে মনে ব্যাথা পায়, বিষন্ন বোধ করে। তবুও এটা আমার উপরি তলের ভাবনা। কেননা তাদের বিষয়গুলো তারাই বেশি ভালো বলতে পারবেন। তবে আবারও নিশ্চিত করে অন্তত এতোটুকু বলতে পারি এসব সম্পর্ক শুধুমাত্র যৌন সম্পর্কের বিচারে বিশ্লেষণ খুই বোকার কাজ।
বাইরের দেশে যারা গে লেসবিয়ান তারা নিজেরাই নিজেদের অধিকার নিয়ে কথা বলে তা আদায় করেছে। এবং এতে সাধারনের সমর্থন ছিলো। আমাদের দেশেও এমন যারা আছেন তারা তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলবেন এটাই আমি আশা করি এবং সাধারনের সমর্থনের তখন দরকার আছে। কিন্তু প্রশ্ন রাখি যদি তারা রাস্তায় নামে আপনারা কি তাদের পাশে দাঁড়াবেন? দিন দিন কট্টোর হতে যাওয়া এই মুসলমানের দেশে তাদের উপর হামলা হলে কি আপনারা নিজের পিঠ পেতে দিবেন? আপনারা অভিজিতদের হত্যার প্রতিবাদে কি কি করেছেন, নাকি অভিজিতদের আপনারা ধারণ করেন না? আদমজি কারখানা বন্ধের পর রাস্তায় নেমেছিলেন? রানা প্লাজা ধসের পর আমরা কেনো চুপ ছিলাম? সেখানকার শ্রমিকরা এখনো কেনো তাদের পাওনা বুঝে পায় না। তাজরিনের শ্রমিকদের কি অবস্থা? বুড়িগঙ্গা আর কতো কালো হলে আমার ঢাকাকে সৌন্দর্য মন্ডিত করতে পারবো? জামাত শিবিরসহ ইসলামি মৌলবাদী গোষ্ঠির তান্ডব যখন চলে তখন কি প্রতিবাদ করেছিলেন? একেরপর এক একতরফা নির্বাচন হয়েছে তার প্রতিবাদ করেছেন আপনারা? মানে প্রতিবাদ করার অভ্যাস আছে আপনাদের? পুলিশের রাবার বুলেট, মৌলবাদী গোষ্ঠির চাপাতি, র্যাবের ক্রস ফারারের বিরুদ্ধে লড়ার সাহস আছে তো? আচ্ছা, আপনার রেইনবো প্রোফইল পিকচারের সাথে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ একমত তো? অথবা তাদের এই বিষয় নিয়ে মাথা ব্যাথা আছে কিনা? নাকি আপনি শহুরে মধ্যবিত্তের সংকট নিয়েই চিরকাল কথা বলে যাবেন। তাও আবার সে সব সংকট যা নিয়ে শুধু ফেসবুকেই কথা বলা যায়। কারণ দ্বায় সারার এ্টাই বোধ হয় সব থেকে আরাম দায়ক স্থান।
সমস্যা হলো এখানকার বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা ছাত্র ব্যাংকে চাকরি করে আর পার্ট টাইম শ্রমিক পার্টি করে নিজেকে শ্রমিক নেতা দাবি করে। কথায় আছে, যার বিয়ে তার খবর নাই পাড়া পড়শির ঘুম নাই। এই দেশে আন্দোলন সব সময় বেহাত হয় এই কারনে যে, যার ক্ষুধা তাকে ঠিক মতো বলতে দেয়া হয় না। তার পক্ষ হয়ে কথা বলে তাবৎ মহা মানবরা। লেখার শুরুতে আমি কয়েক পদের প্রগতিবাদীর কথা বলেছি। বলার পেছনে একটাই কারণ। এসব প্রগতিবাদীদের জাতীয় বা সামাজিক কোন সংকটকালীন সময়ে রাস্তায় দেখা যায় না। এরা তাদের ভন্ডামিকে জায়েজ করতে প্রগতি টার্মটাকে জাস্ট ব্যবহার করে। মানুষের রুটি রুজি তো দুরের কথা নিজের রুটি রুজির আন্দোলনেও এদের দেখা যায় না। তো এরা হিজড়া, গে, লেসবিয়ান, বাইসেক্চুয়ালের পক্ষে দাঁড়াবে এটাতো অবিশ্বাস্য। আমি এটা বিশ্বাসই করি না।
(২৮ জুন ২০১৫, পল্টন)
২| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:১৭
খান সাব বলেছেন: খুব খাঁটি কথা।
৩| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:২৬
মায়াবী রূপকথা বলেছেন: বিকারকে প্রশ্রয় দিলে আরো বেড়ে যায়।
২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:০৫
পথেরদাবী বলেছেন: আপনার দৃষ্টি যা বিকার অন্যের দৃষ্টিতে তা প্রেম.। আমি সমকামীদের পক্ষে.. লেখাটা আবার পড়ুন..
৪| ২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:১১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: যারা প্রগতির কথা বলে তারা পরস্ত্রীর প্রগতিতে বিশ্বাসী কিন্তু নিজ স্ত্রীকে বলে "এভাবে না, ওভাবে"। নিজে যা ইচ্ছে তা করলেও বউ, বোন, প্রেমিকা ইত্যাদির উপর দিতে থাকেন নানান ফতোয় একেবারে একমত।
সমকামীদের প্রতি সমর্থন আছে আমার।
আপনি সঠিক বলছেন এটা নিজেকে দিয়েই বুঝতে পারছি
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: "এরা তাদের ভন্ডামিকে জায়েজ করতে প্রগতি টার্মটাকে জাস্ট ব্যবহার করে। মানুষের রুটি রুজি তো দুরের কথা নিজের রুটি রুজির আন্দোলনেও এদের দেখা যায় না। তো এরা হিজড়া, গে, লেসবিয়ান, বাইসেক্চুয়ালের পক্ষে দাঁড়াবে এটাতো অবিশ্বাস্য। আমি এটা বিশ্বাসই করি না।" .................. তীব্র সমর্থন।
আমার মনে হয় অধিকাংশই বুঝেনি রেইনবো প্রোফাইল কেন । যারা বুঝে রেইনবো প্রোফাইল বানিয়েছে তাদের অধিকাংশই এই আইন সমর্থন করে না, দেখ আমি কত আধুনিক শুধু এই ভাব মারছে।