![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংস্কৃতিক কর্মী শিল্প তৈরি করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন..... তবে শিল্পীর শিল্প তৈরি হওয়া চাই-ই-চাই.......সাংস্কৃতিক কর্মীর মূল কাজ শিল্পীর তৈরি শিল্পকর্ম এবং জনগনের মধ্যে মেল বন্ধন অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, সেতু তৈরি করা..... আর এই সেতু তৈরির কাজ সাংস্কৃতিক কর্মীর করা চাই ই-চাই....এখানে ফাঁকিবাজির সুযোগ নাই.....সুযোগ নাই শিল্পীর মতো ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তা করার..... সাংস্কৃতিক কর্মীকে তাই মাঝে মাঝে শিল্পীর চাইতে সংগঠকের ভুমিকায় বেশি অবতীর্ণ হন...... এতে দোষের কিছু দেখি না....সব ঠিকঠাক থাকলে সাংস্কৃতিক কর্মী নামক শব্দের উৎপত্তি ঘটতো না..... সবাই শিল্প চর্চাই করতো.....শিল্প চর্চা করতে এসে কেউ বিপ্লবের কথা বলতো না..... যেহেতু বিপ্লব একটি কঠিন সত্য...... বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক.....\\\\\\\\\\\\\\\\n(১৪ মার্চ ২০১৫, পল্টন ...........)
চলন্ত বাসে পাশাপাশি দু’জন বসা। গন্তব্য কেরানীগঞ্জ। রাত দশ’টার বেশি সময় পার হওয়ার ফলে রাস্তায় তেমন গাড়ি নেই কিন্তু প্রতিটি বাসেই প্রচুর মানুষ। শেষ সময়ের বাস তাই এই চাপ। আর প্রতিদিনকার মতো হেলপার এবং ড্রাইভারের জন্যও উপড়ি ইনকামের এটিই মোক্ষম সময়। জানলার পাশে বসা অত্যন্ত ক্ষিপ্ত লিটনকে কিছুক্ষণ পরপরই গালমন্দ করতে হচ্ছে, কেননা বাসের ড্রাইভার আর হেলপার বেশ বেহায়া ধরনের। সেই মোহাম্মদপুর থেকে ছেড়ে আসা বাসটি প্রতি একশ গজে একবার করে গাড়ি থামাচ্ছে। সকলে বিরক্তির শেষ প্রান্তে পৌছালেও কেউ কিছু বলছে না। কিন্তু লিটন একাই চিৎকার চেচামেচি করছে। কখনো লাভ হচ্ছে কখনো হচ্ছে না। লিটনের এই ক্ষিপ্ত হবার এটাই একমাত্র কারণ নয়, কেননা গতো ক’মাস ধরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও উকিল সাহেবের গাড়ি চালানোর পাশাপাশি বাড়তি একটি কাজ করতে হচ্ছে। শুরুর দিকে শুধুমাত্র টাকার লোভে কাজটিতে রাজি হয়েছিলো লিটন। বেশি লোভ করতে গিয়ে সেটিই এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার জন্য। এর মাঝে ফোন আসে। লেখা ম্যাডাম….
নারী কন্ঠ ১ : লিটন কই?
লিটন: ম্যাডাম বাসায় যাই।
নারী কন্ঠ ১ : তোমার স্যারের কি অবস্থা?
লিটন: জ্বি ম্যাডাম উনাকেতো বাসায় নামায়া দিয়া আসলাম।
নারী কন্ঠ ১ : তাতো জানি। কিন্তু আজ সারাদিন সে কোথায় ছিলো?
লিটন: ম্যাডাম সকালে সুপ্রীম কোর্ট, তারপরে স্যারের চেম্বার তারপর সচিবালয়। সেখান থেকে বাসা।
নারী কন্ঠ ১ : কোথায়?
লিটন : ম্যাডাম শুনতেছেন না? আমি বলসি সুপ্রীম কোর্ট, চেম্বার, সচিবালয় তারপর সীতা ম্যাডামের বাসা।
নারী কন্ঠ ১ : কই? কি বললা? ও সীতার বাসায় গেছে আবার? তোমাকে মাসে মাসে টাকা দেই কেনো? আমাকে ফোন দিলা না কেনো?
লিটন : ম্যাডাম বাসা বাসা। বাসা বলসি। আপনি সীতা কই পান?
নারী কন্ঠ ১ : ও আচ্ছা আচ্ছা। ঠিক আছে। কোন উল্টা পাল্টা দেখলেই জানাবা আমাকে।
লিটন : জ্বি ম্যাডাম জ্বি। ম্যাডাম, ম্যানেজার সাহেব বেতন দিসেন কিন্তু বোনাসটাতো পাই নাই।
নারী কন্ঠ ১ : পাবে পরশু দিন। এখন এটা দিয়ে চলো।
ফোন কেটে যায়। এরপর আবার ফোন আসে।
লিটন: হ্ কও।
নারী কন্ঠ ২ : কই তুমি? বাসায় আইবা না?
লিটন : হ আমু। আমি ডিউটিতে আসি। আইতে দেরি হইবো। তুমি শুইয়া পড়ো।
নারী কন্ঠ ২ : বাবুর জন্য দুধ আইনো মনে কইরা।
লিটন : কইলাম না দেরি হইবো। দোকান খোলা থাকবো? আর বেতন পাইসি নাকি? দোকানদার কি আমার শশুর লাগে? রাহো তো ফোনডা।
এবার কোনো ফোন আসে না। ড্রইভার হেলপারের সাথে আরেকদফা গালাগালি করে এবার লিটন ফোন দেয়।
নারী কন্ঠ ৩ : এতোক্ষনে ফোন দিলা? আইতাসো?
লিটন : হ ড্রাইভার হালারপুত বাস টানতাসে না। তোমার লাইগা মিষ্টি লইসি। আর লাল লিপিস্টিক।
নারী কন্ঠ : ঢং চোদাইয়ো না। আগের টেকা পাওনা আছি।
লিটন : আইজ সব দিয়া দিমু।
আর ফোন আসে না যায়ও না। ড্রাইভার হেলপার তাদের মতোই আস্তে ধীরে গাড়ি টানছে। আর লিটন চিৎকার করছে, বেহায়ার বাচ্চা বেহায়া বাপের গোয়া দিয়া বাইর হইসোসনি? মানুষের বাড়ি ঘর নাই?
(২৪ জুলাই ২০১৫, পল্টন)
২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২৭
পথেরদাবী বলেছেন: বরাবরের মতো এই অধমকে নজরে রাখার জন্য ধন্যবাদ..।
২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার প্লট, গল্প লেখনীও ভালো লেগেছে। আরেকটু ঘষামাজা করলে চমৎকার একটা অনুগল্প দাঁড়িয়ে যাবে।
ভালো থাকুন সবসময়, লিখতে থাকুন। শুভকামনা রইল।
২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২৭
পথেরদাবী বলেছেন: ধন্যবাদ.....।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৫
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হা হা!
মহান চরিত্রের মানব