|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
আল্লাহ-তত্ত্বে হয়রান হয়ে যাই। দিশেহারা হয়ে যাই। দয়াময় রাসূল দ. আল্লাহর বিষয়ে তাত্ত্বিক আলোচনা করতে নিষেধ করেন, এটাই চূড়ান্ত আল্লাহ-তত্ত্ব। কিন্তু আল্লাহ-তত্ত্ব এখানে থেমে থাকেনি। ধেয়ে গেছে দিগ্বিদিক। 
আল্লাহ-তত্ত্ব নিয়ে আমরা জীবনের চলতিপথে যা শুনি, দেখি, তার ভিতর দিয়েই নাহয় আরো এক যাত্রা হয়ে যাক। কোনকিছু প্রমাণের চেষ্টা নেই, কোনকিছু প্রতিষ্ঠার চেষ্টা নেই। 
আল্লাহ নিয়ে কুরআনে তো কত কথাই আছে। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের সম্পর্কে বলেন, যারা আল্লাহর মুখের দিকে চেয়ে থাকার আকাঙ্ক্ষা রাখে... (সেইসব বান্দা)।
কুরআনে দেখি, আল্লাহর হাত রাসূল দ,'র হাত। আবার তিনি মুখ ফেরান। তিনি মুখ ফিরিয়ে নেন কারো কারো কাছ থেকে। কুরআনে এমন অনেক কথাই আছে। 
হাদীসে শুনি আল্লাহর শারীরিক গঠনের কথাও। বুখারী শরীফেও। 
এইসব কথার উপর ভিত্তি করে যখন মুতাজিলা, সালাফি বা কিছু সূফিও আল্লাহর সদেহী হবার কথা বলেন, হয়রান হয়ে যাই। হয়রান হয়ে যাই মানুষ আল্লাহকে যে রূপে চিনত সেই রূপ দেখে অবশেষে চিনবে- একথা শুনে। হয়রান হয়ে যাই তিনি সরাসরি আসীন হবেন মহাবিচারকের আসনে। তখন সবাই তাঁকে দেখতে পাবে, একথা শুনে। বেহেস্তের সাতদিনের একদিন হবে সবার মিলনমেলা। সেদিন সবাই আল্লাহর সাক্ষাতও পাবে, অপরাপর বেহেস্তের অধিবাসীদেরও সাক্ষাত পাবে, শুনে আবারো দিশেহারা হই।
আল্লাহর সদেহী হবার তাত্ত্বিক আলোচনা থেকেই লাত-মানাত-উজ্জার ধারণার আগমন হয়ত। প্রাচীণ বা আধুনিক- কোন মানুষেরই কল্পনা বাঁধ মানে না। দেহধারীর দেহ উপজীব্য করতে গিয়ে তাকে সন্তানের সাথে সংশ্লিষ্ট করা মানুষের ভাবনারই ফলাফল। হয়ত প্রাচীণ মিসরে অন্ধকারের দেবতা সেথ রূপে পূজিত ছিল যে জন, আলোর দেবতার বিরোধী, অনুর্বর মরুর প্রতিভূ, তাকেই শস্যদেব করা হয় আবার তাইগ্রিস-ইউফ্রেতিসের সভ্যতায়, আর সেই মরু থেকে রক্ষার দেবতা (যে মিসরে মরুর দেবতা ছিল) শস্যদেব রূপে পূজিত হতে গিয়েই প্রাচীণ সেই ইরাক-ইরানের তখনো জন্ম না নেয়া ইহুদি সভ্যতায় স্রষ্টাবিরোধী কিন্তু প্রবল শক্তিরূপে পূজিত হয় ইব্রাহিম আ.'র কথিত পিতা, চাচা আজরের দ্বারা, তাদের গোত্রের দ্বারা। কুরআনে স্পষ্ট আছে, হে পিতা, আল্লাহর উপাসনা করো, যিনি তোমারও (স্বীকৃত) প্রতিপালক, আমারও। আর শয়তানের পূজা করো না, শয়তান তো প্রকাশ্য শত্রু। 
হয়ত এই হল স্যাটানিক উপাসনার কাল্টের সর্বশেষ জানা কনফ্লিক্ট। হয়ত এখান থেকেই শয়তান উপাসনার শুরু।  
শয়তানের আরাধনা কিন্তু ক্ষুদ্র কোন বিষয় নয়। স্বয়ং ক্রিয়েটিভ কমন্সের লোগোতে পর্যন্ত এই চিহ্ন রয়ে গেছে। 'এই জগতে শয়তান আমার ভাই ও মহাপ্রভু, এই জগতে আমি শয়তানের ভাই...' কতবড় শক্তিশালী, স্পষ্ট এবং ভয়ধরানো কথা!  বিলজিবাব বা লুসিফার বা রাজিম (বিতাড়িত), ইবলিশ (অহঙ্কারী)... পপুলার কালচারে আমরা যে ভয়ানক ছাগলমাথার প্রাণী দেখি, সেটাও সরলার্থে শয়তান হিসাবে পূজিত। এমনকি ডিসি কমিকস বা সিনেমার হেলবয় এও। শয়তান নিয়ে যথা সময়ে আলোচনার আশা রাখি। মূলধারায় কথা হোক।
আবার খ্রিষ্টিয় ধর্মে আল্লাহ নিজেকে মানুষের প্রতি অ্যাপ্রোচেবল করার চেষ্টা করেন বলে নিজের সন্তানকে পৃথিবীতে পাঠান- এমন কথা বলা হলে মুসলিমরা বলে, ঈসা আ. বরং রুহুল্লাহ। রুহুল্লাহ- অনেক ভারি একটা শব্দ। আল্লাহর পক্ষ থেকে রূহ বা আত্মা। 
আল্লাহর পক্ষ থেকে রূহ বা আত্মার ধারণা শুধু ঈসা আ. তে সীমাবদ্ধ নয়। কুরআনে অনেক ক্ষেত্রে দেখতে পাই, মানুষকে মাটি দিয়ে বানানো হচ্ছে। সেই বানানো মানুষটাতে আল্লাহ তাঁর থেকে ফুঁকে দিচ্ছেন। ফুঁকে দেবার পর সে এমনকি ফেরেশতাদেরও সিজদা পাবার মর্যাদায় আসীন হচ্ছে।
এক্ষেত্রে রাজারবাগ দরবারের পীর সাহেব দ্বিমত নিয়ে বলেন, প্রথম মানব মাটির তৈরি। পরবর্তীতে মাটি নয়, বরং মানুষ তার সৃষ্টি উপাদান জৈবিকতা থেকে তৈরি। এই কথারও দ্বিমত পাই, যখন মানুষকে কবরে শোয়ানোর সময় বলা হয়, মিনহা খালাকনাকুম,... এ থেকেই তৈরি করা হয়েছে, এতেই শেষ করে দেয়া হবে, এ থেকেই হবে পুনরুত্থান। 
মুসলমানরা বলছেন পুনরুত্থান, কিছু কিছু ধর্মে বলছেন পুনর্জন্ম। বেশিরভাগ মুসলমান বলছেন, পুনরুত্থান হবে শেষদিনে। বেশিরভাগ উপমহাদেশীয় ধর্ম বলছে, পুনরুত্থান চলতেই থাকবে। যে পর্যন্ত না নির্বাণ হয়।
এই নির্বাণেরই আরেক ধারণা কুরআনেও পাওয়া যায়, কুল্লুমান আলাইহা ফা'ন। অনুবাদে আমরা পড়ি, সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। ওয়াজহু রাব্বুকা যুল জালালি ওয়াল ইকরাম। শুধুমাত্র আপনার প্রতিপালকের অস্তিত্ব থাকবে অবশিষ্ট। 
কিন্তু প্রকৃত অনুবাদের অর্থ কি এমন হবার কথা? কুল্লু-সবকিছু, মান- যা অস্তিত্বশীল আলাইহা-হবে ফা'ন-তার মধ্যে বিলীন/ তার মধ্যে লয়প্রাপ্ত/ তার মাধ্যমে উচ্চতাপ্রাপ্ত... ওয়াজহু- অস্তিত্ববানভাবে প্রকাশিত থাকবেন রাব্বিকা- আপনার প্রতিপালক যুল-দুই জালালি-রূপের?
আল্লাহর কী সেই দুই রূপ? এক ক্ষমাশীল তো আরেক শাস্তিদাতা? সব লয়প্রাপ্ত হলে কাকেই বা তিনি ক্ষমা করবেন আর কাকেই বা শাস্তি দিবেন? অবশ্য সব লয়প্রাপ্তের পরই যে পুনরুত্থান হবে না তা তো বলা হয়নি। অস্তিত্বশীল-অনস্তিত্বশীল? তাইবা কীভাবে বলতে পারি? 
যেখানে তাঁর দেহময়তার কথা আসে, আমরা তাকে বড়জোর উপমা হিসাবে পাশ কাটাতে পারি। আবার একইসাথে কুরআনে তো এ কথাও আসে, কোন ধারণাই তাঁর ধারণা দিতে পারবে না। 
তাঁর প্রকৃত পরিচয় কি এতে নিহিত যে, তিনি অমুখাপেক্ষী? তিনি আকার আকৃতিতে থাকার মুখাপেক্ষী নন- তিনি কোনকিছুরই মুখাপেক্ষী নন। 
নিরাকার নিয়ে যখন কথা জমাট বাঁধে, মানুষ সেখানেই হতবিহ্বল। সেখানেই সে অধর ধরতে পারে না। নিরাকার এর অন্তত দুটা রূপ আমরা শুরু থেকে দেখি। আল্লাহ যখন মহান আলোক-দেব হিসাবে পূজ্য প্রাচীণ সব সভ্যতায়, তখন তাঁর একমেবাদ্বিতীয়ম্ প্রভূত্ব বারবার প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা দেখি আমরা সেই মিসরীয় সভ্যতায়, তারপর আরো কতশতবার! আর সব প্রভূকে প্রকটিত করা যাবে না। আর কোন প্রভূর অস্তিত্ব স্বীকার করা যাবে না। তিনি এক ও অদ্বিতীয় দেবতা, তিনিই একমাত্র পূজনীয়। তিনি সত্য-সুন্দর-আলোক-স্পষ্টতা।
কুরআনেই আমরা দেখি, তারপর মূসা আ. যখন এক আলো/আগুন দেখতে পেলেন, তিনি সেই আলোর/আগুনের দিকে ধেয়ে গেলেন। আর শুনতে পেলেন, হে মূসা আ.! আমিই আপনার প্রতিপালক!
কুরআনের এই কথাটুকুর অনুবাদ আমরা করি, ড. তাহির উল ক্বাদরীর সাথে সুর মিলিয়ে, যখন মূসা আ. নিজের ভিতর খোদাপ্রেমের আলো দেখতে পেলেন অথবা যখন তিনি সত্যি কোন আলো দেখতে পেলেন অথবা যখন তিনি সত্যের সন্ধান পেলেন। তিনটা অনুবাদই আমাদের কাছে চরম গ্রহণীয় হয়ে আসে, চরম যুক্তিগ্রাহ্য, সত্য, সুন্দর হয়ে আসে।
আর হাদীসে এর সমার্থকতা পাই, তাঁকে দেখার তাড়নায় মূসা আ. তূর পাহাড় জ্বালিয়ে দিচ্ছেন, কথিত সত্তর হাজার নূরের বা আলোর পর্দা থেকে একটা মাত্র সরানোয় সব যাচ্ছে জ্বলে।
মূসা মূর্ছা হল দেখে নূরে উজালা।
এই এক ও অদ্বিতীয় আলোর পথে হাঁটার জন্য যুলকারনাইন বা আল ইস্কান্দার বা সিকান্দার বা আলেক্সান্ডারের পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঘোরা। এই আলোককেই একমাত্র উপাস্য হিসাবে বিবেচনা করে জরোআস্ত্রিয়ান বা জরথ্রুষ্ট ধর্মের আবহ দেখতে পাই। দেখি, জেন্দাবেস্তার মহান ধারক এর যত ছবি আছে, সব ছবিতে তাঁর মাথার চারদিকে আলোর বলয়। দেখি, সেই আলোর বলয় আস্তে আস্তে প্রকৃপক্ষে অগ্নিপূজায় পরিণত হয়। আর অগ্নিপূজায় পরিণত হবার পর কাইসার অথবা কিসরার প্রাসাদে আগুন জ্বলে 'হাজার' বছর যাবৎ। এবং দেখি, বাতিঘরের ধারণা মূলত আগুন পূজার ধারণা থেকে শুরু হয়। আবার শুনি, রাসূল দ.'র আগমনের পরপরই পারস্যের প্রাসাদের হাজারো বছরের আগুন যায় নিভে। আবার অখন্ড কল্যাণের ধারণা অগ্নিপূজার রূপ নিয়ে আমাদের উপমহাদেশের সনাতন ধর্মে প্রাবল্য পায়, সেখানেও অগ্নিকে প্রত্যক্ষ রেখে বিবাহের রীতি বা অগ্নিতেই লয়। অগ্নির সাথে আলোর যে মিল, সেই সূত্র ধরে দেবতারূপে অধিষ্ঠিত হয় সূর্যও। এসবের পিছনে পুরোটাই যে একেশ্বরের খোঁজ বা সেখান থেকে অপভ্রংশ, তা নাও হতে পারে। হতে পারে মানুষ সহজাত নিরাপত্তাবোধের কারণে আগুন-সূর্য-আলোক বন্দনায় রত।
দেখি, মহামতি বুদ্ধের মাথার পেছনে আলোর থালা। দেখি শেষবুদ্ধ মেত্তেয় বা মৈত্রেয়র চারপাশেও আলোকমালার বাতাবরণ। হ্যাভেলস লাইটের একটা অ্যাড মনে খুব দাগ কেটেছিল। এক বাচ্চা ছেলে বই পড়ছে, বৌদ্ধিক পোশাক আর শুভ্রতা তার চারধারে। মাথা ও শরীরের উর্দ্ধাংশ থেকে ঠিকরে বেরুচ্ছে আলো। সবাই তাকে স্বাগত জানানো শুরু করে সাষ্টাঙ্গে। পরে দেখা যায়, ছেলেটার পিছনে হ্যাভেলস লাইট জ্বলছে। এইযে মেত্তেয়র জন্য প্রতীক্ষা এবং মেত্তেয়র আলোকময়তা- আমাদের আপ্লুত করে।
কুরআনে আল্লাহ বহুবার নিজেকে আলো বলেছেন। বহুবার নিজেরটুকুকেও আলো বলেছেন। নিজের প্রেরিত পুস্তককেও আলো বলেছেন। নিজের প্রেরিত নবী-রাসূলদের আলো বলেছেন। নিজের প্রেরিত ধর্মকে আলো বলেছেন। ফেরেশতাদের তো আলোক বলেছেনই।
আল্লাহু নূরুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব- আল্লাহ আকাশ সমূহ এবং জমিন সমূহের আলোক। কতবড় কথা! এতবড় কথাকে লিটারালি নিতে গিয়েই কি চারশো বইয়ের লেখক মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবী বলে বসলেন, আল্লাহ সর্বব্যাপী! একটা পর্যায়ে সূফিরা বলা শুরু করলেন, বা আগে থেকেই বলছেন, লা মাওজুদা ইল্লাল্লাহ। কতবড় কথা! আল্লাহ ছাড়া কোনকিছু অস্তিত্বশীল নয়... তাহলে যা দেখি আর যা দেখি না তার সবই কী করে তিনি হন? এই ধারণা প্রাচীণ নানা ধর্মে নানাভাবে প্রকাশিত হয়েছে। প্রাচীণ সনাতন ধর্মেও এর দ্যোতনা প্রতিভাত হয়।
আবার সনাতন- কোন প্রতিমা তার ধারণাকে ধারণ করতে পারে না। এবং তিনি নিরাকার, এই দুই ধারণার সাথেও হুবহু মিলে যায় কুরআনের দুই আয়াত। বাইবেলের লেট দেয়ার বি লাইট তো কখনো ভোলার উপায় নেই।
আল্লাহ- এই একটা শব্দের মধ্যে স্রষ্টা বা ক্রিয়েটর, প্রতিপালক বা নারিশার-চেরিশার সহ ন্যায় বিচারক ও সমস্ত গুণ নিহিত রয়। এমনকি বিসমিল্লাহর যে বি-ইসমি, এই ইসমি বা নামও নাকি তাঁরই নাম। 
তো এই আলোকের ধারণা যখন আরো দৃঢ় হয়, তখন আমরা দেখি, আ'লা হজরত আহমদ রেজা খান বেরলভী তাঁকে নূর বলছেন, নূর বলছেন অতি প্রাচীণ সূফিরাও। তাঁকে নূর বলা হচ্ছে অসংখ্য হাদীসেও। আবার নূরের বিষয়ে সাবধানতাও দেখি। ড. তাহির উল ক্বাদরী যেমন আল্লাহকে সরাসরি নূর বলতে সাবধান, তেমনি সাবধানতা গভীর তাত্ত্বিক জ্ঞানের কাল্ট রাজারবাগে। আল্লাহ নূর হওয়া থেকে পবিত্র, কেননা, নূর একটা সৃষ্টি। তিনি সৃজিতর মত হওয়া থেকে পবিত্র।
আল্লাহ আবার সুস্পষ্টভাবে বলছেন, তোমরা সময়কে গালি দিও না, কারণ আমিই সময়। তিনিই সময়! এর মাত্রিক ব্যাখ্যায় দেখতে পাই, মাত্রাসমষ্টি যে মাত্রার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়, সেটাই ওই মাত্রাসমষ্টির জন্য সময়। অন্যভাবে বলতে গেলে, সময়কে আল্লাহর প্রকাশ হিসাবে দেখলে যা কিছু ঘটে তা তাঁর সক্রিয় অথবা নিষ্ক্রিয় অনুমোদনের ভিতর দিয়ে ঘটে।
আল্লাহ নিয়ে ভাষাগত অদক্ষতায় ভুলভ্রান্তিরও সীমা নেই। আল্লাজী- শব্দটা প্রখরভাবেই উপমহাদেশে প্রচলিত।
হাসন রাজার আমি না লইলাম আল্লাজীর নামরে, আমি না করলাম তার কাম... এই কথাটার সাথে কি আল্লাজি/আল্লাজিনাহুম এই ধরনের শব্দের কোন মিল আছে? থাকতেও পারে। ভুল অর্থ। লালনশাস্ত্রে কুল্লিশাইয়িন ক্বাদির, কুল্লিশাইয়িম মুহিত এর মানে করা হয় এরকমভাবে, সকল সাইখরা আল্লার ক্ষমতাবলে ক্ষমতাবান, সকল সাঁই বা শাইখরা তার ক্ষমতাবলে সর্ববেষ্টনকারী।
এতো ভুল অনুবাদ। সঠিক অনুবাদেও আমরা হয়রান হই। দেখি, কুল্লি সাইয়্যিম মুহিত এর মানে দাঁড়ায় সর্ববেষ্টনকারী। আল্লাহ যদি সর্ববেষ্টনকারী হয়েই থাকেন, তাঁকে সর্বত্র উপস্থিত মানতে সমস্যা কোথায়। তাঁকে সর্বত্র উপস্থিত মানার জন্য অবশ্য আরো আয়াত রয়েছে। বান্দার ধমনী থেকেও আল্লাহ অধিকতর নিকটে অবস্থান করেন। আয়াত রয়েছে, আল্লাহর রাসূল দ. মুমিনের প্রাণ থেকেও নিকটে অবস্থান করেন। আয়াত রয়েছে, 
আল্লাহর নূরের উপমা এমনি, যেমন এক দীপাধার (যাকে খলিফা উমার রা. বলছেন বুক, আমরা অনেকেই অনুভব করছি বুক বা দেহ হিসাবে।)  এর ভিতরে এক ফানুস, মুক্তার মত জ্বলজ্বলে (হার্ট।) এর তেল যা নিজে জ্বলে না অপরকে জ্বালায় (অক্সিজেন), এই তেল আসে এমন যাইতুন/অলিভ গাছ থেকে যা প্রাচ্যেও পাওয়া যায় না, প্রতীচ্যেও না (বৃক্ষাকৃতির ফুসফুস) এবং সেই হার্টের ভিতরে, সেই জ্বালানীর মাধ্যমে যে নূর জ্বলে, সেটাই আল্লাহর নূর। 
আল্লাহর ফুৎকার যে রূহ রূপে আদমকে প্রজ্বলিত করে, তা তো আমরা দেখিই। সেই একই কথার দ্যোতনা এখানেও।
আলো বা নূর এর ধারণা ইসলামেও প্রখর। তাই বুখারী শরীফে রাসূল দ. কে বলতে শুনি, হে আল্লাহ, আমার ডানে নূর দান করুন, বামে নূর দান করুন, সামনে নূর দান করুন, পিছনে নূর দান করুন, উপরে ও নিচে নূর দান করুন। নূরে নূরান্বিত করুন।
কিন্তু সব আলোই কি তিনি?
তা নয় বলেই হয়ত এই আয়াত, নূরুন আলা নূর।
আলোকের উপর উচ্চতাপ্রাপ্ত আরো আলোকমালা রয়েছে।
 
যে ঈশ্বর প্লেটো থেকে আইনস্তাইন পর্যন্ত বিশ্বাসী বিজ্ঞানীদের কাছে নিষ্ক্রিয় পর্যবেক্ষক ও সংঘটনের উৎস, সেই ঈশ্বরই রবীন্দ্রনাথের কাছে পূর্ণ অস্পৃশ্য। তাকে ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না, এমনকি অনুভবও করা যায় না। শুধু নয়নে নয়নে রয়। নজরুলের কাছে আবার তিনিই বিরাট এক শিশু। আনমনে খেলতে থাকা। লালনের কাছে তিনি এমনি এক পড়শী, যাকে একদিনও দেখা যায় না। নিজের প্রতিকৃতির আয়না-শহরে লুকায়িত। আবার এই লালনেই তিনি কত না রূপে প্রতিভাত! কখনো ইলাহাল আলামীনগো আল্লাহ বাদশা আলমপনা তুমি! তুমি ডুবায়ে ভাসাতে পার। ভাসায়ে কিনার দাও তারো। রাখো মারো হক তোমারো। তাইতে তোমায় ডাকি আমি! আবার এই নিরম্বু আল্লাহকে যখন লালন ধরতে পারছেন না, তখনি আশ্রয় নিচ্ছেন মাধ্যমের। আইন ভেজিলেন রাসূলআল্লাহ, মনরে পড় সদায়, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। লা শারিক জানিয়া তাকে, পড় কালাম দেলে মুখে। মুক্তি পাবে থাকবে সুখে। দেখবিরে নূর তাজাল্লা। তাই ইলাহাল আলামীন রূপে লালনের আল্লাহকে আমরা পাই চরম প্রতাপশালী রূপে যার কাছে অসহায় সমর্পণ ছাড়া কিছু করার নাই। আবার সেই অননুভবীয় আল্লাহকে তিনি যখন রাসূলাল্লাহর স্রেফ আদেশ রূপে পান, সেখানেও হয়রান হয়ে যাই। এই দুইটা রূপেই ব্যক্তিগতভাবে আল্লাহকে চিনি। সুপ্রিম মহাপ্রভু। যিনি বর্ণিত হন প্রেরিতর মাধ্যমে। তারপরও লালনের মেটে না। অচিন পাখির কনসেপ্টে নিজেকে তার সাথে যুক্ত করেন। পারলে তিনি শেকল দিতেন পাখির পায়। পারলে রূপটা দেখে নিতেন। 
আবার যখন তিনি তুমি আপনি আল্লা ডাকো আল্লা বলে! কে জানে তোমার অপার লীলে! বলেন, তখন সব চুরমার হয়ে যায়। ভয় পেয়ে দগদগে বেপরোয়া আগুন থেকে মানুষ যেভাবে পালায়, আমরাও এই কথা, এই ধারণা থেকে পালাই। কত সহজেই লা মওজুদা ইল্লাল্লাহর সড়গড় বয়ান দেয় মানুষ, যত কল্লা তত আল্লা বলে। যত কল্লা তত আল্লা সুস্পষ্ট অংশীবাদীতা- যদি এর অংশীবাদীতা ভিনে অন্য কোন ব্যাখ্যা অতি স্পষ্টভাবে না থেকে থাকে।
কোথায় অংশীবাদ আর কোথায় খোদায়ী রহস্য তা অভেদরূপে দৃষ্ট হয় রূমীর নারী পুরুষ তো বাহানামাত্র, খোদা স্বয়ং নিজেই নিজের সাথে প্রেমলীলায় মত্ত- এই আজব বয়ানিতে। এই আজব বয়ানি আবার সেই সর্বেশ্বরবাদে নিয়ে যায়, সর্বভূতে বিরাজমানতায় নিয়ে যায়, অথবা নিদেনপক্ষে ব্রহ্মার স্বপ্নের বালুচরে সমুদ্রের জলরাশিতে ভাসতে থাকা মায়ায় অথবা নজরুলের বিরাট শিশু, আনমনে তে নিয়ে যায়।
আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম, আমাকে খাওয়াওনি। আমি বিবস্ত্র ছিলাম, বস্ত্রাবৃত করোনি। এই কথামালায় অথবা মুমিন আল্লাহর নূর দিয়ে দেখে আর আরিফ আল্লাহর চোখ দিয়ে দেখে। আরিফের হাত আল্লাহর হাত হয়ে যায় আরিফের পা আল্লাহর পা হয়ে যায়- এইসব কথায় যত না আক্ষরিকতা পাই, তারচে বেশি পাই প্রতীকতা।
শেষপর্যন্ত আল্লাহকে, আল্লাহর বর্ণনাকে স্রেফ প্রতীকতায় পর্যবসিত করতে হয়। যেমনভাবে বৃহদ কুলবৃক্ষ পরিণত হয় সমগ্র সৃষ্টিজগতে... তেমনিভাবে আরশিল্লাহ, কুরসি, লওহ কালাম পরিণত হয় অঘ্রাণিত ধারণায়। 
আর আল্লামা ইকবালের মুহাম্মাদের প্রতি যদি সানুরাগ আনুগত্য করে থাক তো আমি তোমার, এই সৃষ্টিজগত আর কীইবা? লওহ-কলম তোমার... এই কথার দ্যোতনায় সেই অব্যাখ্যাত আল্লাহর রহস্য মুহাম্মাদি চাদরে, মুহাম্মাদি জবানিতেই লুক্কায়িত। 
এই কারণেই কি প্রতিনিধির বাক্যই প্রভুর বাক্যে পরিণত?
কারণ তাঁর অনুভূতি ধারণ করা অবাস্তব, অগ্রহণযোগ্য...
এই কারণেই কি-
কালিমের (মূসা কালিমউল্লাহ) কামনা নয়,
নয় তূরে সিনা'য় উচ্চারিত বাসনা (আল্লাহকে এ লোকেই স্বচক্ষে দেখার সাধ),
আমার কামনা মুহাম্মাদ,
আমার প্রতীক্ষিত আবাসস্থল মদীনা?
কথিত খোদারহস্যভেদী মানবসকল বা আরেফিন বা আরেফগণ বা নির্বাণপ্রাপ্ত সাধুগণ বা কামিল বা ফানাফিল্লাহ বাকাবিল্লাহগণের বিষয়ে এই কথা, 
ইন্দাহা জান্নাতুল মা'ওয়া... সেই মহা বড়ইবৃক্ষ সিদরাতুল মুন্তাহার পাশেই আছে জান্নাতুল মা'ওয়া। এমন এক বেহেস্ত, যা পৃথিবীতেই আছে? কারণ সিদরাতুল মুন্তাহাই তো সৃষ্টিজগত হওয়ার কথা। সিদরাতুল মুন্তাহা বহুশাখাবিভক্ত। বহু তার ফল। ঠিক যেমন সৃষ্টিজগত। সিদরাতুল মুন্তাহা পেরুতে পারে না জিব্রাইল, কারণ কি এই যে, সৃষ্ট সৃষ্টি পেরুতে পারে না? এই কারণেই কি রাসূল দ. কে বলতে শুনি, আমার ঘর আর আমার মসজিদের মিম্বর, এই দুই ও তার মধ্যবর্তী অঞ্চলই জান্নাতুল মাওয়া? এই কারণেই কি আমরা বলি, জান্নাতুল মাওয়া মদীনা? এরই আরো অতুল সমাধান দেন গাউসে আজম আবদুল ক্বাদির জিলানী রা. এই বলে যে, আরিফ বা খোদাতত্ত্বজ্ঞাত মানুষ যে অবস্থানে থাকে, তার সেই মানসিক অবস্থানই জান্নাতুল মাওয়া। যা এই পৃথিবীতেই প্রাপ্য?
খোদার পরিচয় বিষয়ে, খোদার রহস্য বিষয়ে যার মন শান্ত হয়, যার সমস্ত তৃষ্ণা মিটে যায়, তাকেই কি সবচে প্রশান্ত বলা যায়? আর জান্নাতের কনসেপ্ট তো শান্তিরই কনসেপ্ট। এই কি এই পৃথিবীতেই শান্তিতে থাকা... হয়ত।
শেষ পর্যন্ত আমি শুধুই আল্লাহ বলতে এক মহামহিম প্রভু আছেন যার কোন অংশী নেই এবং যিনি সর্বক্ষমতাবান তার দাস আমি ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়, এই কনসেপ্টে বিশ্বাস রাখি। 
একটু শান্তি পাই শুধু সেই ভাবনায় যে, আমার করে ফেলতে হবে না। আমার হাতেই সব নয়। নাটাই অন্য কারো হাতে। 
এই লেখাটা ক্লান্ত হয়ে নিজের জীবন থেকে পালানোর আরেকটা প্রয়াস। শুধুই ভাবনার প্রকাশ। প্রথম পোস্ট শেষ। এবার দ্বিতীয়টা। 'কবিতা'য় কুঞ্চিত হই। কুণ্ঠিত হই। লজ্জিত এবং চিন্তিত হই। তারপরও মাঝে মাঝে লিখে ফেলি। ফেলে দিতে চা্ই, মায়া লাগে। কবিতার জন্য আলাদা পোস্ট রাখতে বিব্রত লাগে। উপরের বিষয়টা নিয়ে মন্তব্য করলে ভাললাগবে। কৃতজ্ঞ লাগবে। আর কবিতাটা নিয়ে কিছু বললেও সলজ্জ কৃতজ্ঞতা রইবে। যেকোনকিছু। নিজের ভিতর থেকে টেনে টেনে অক্ষর বের করলে এক ধরনের শান্তি লাগে। নিজের কাছ থেকেই পালানো যায়। পলায়নের দ্বিতীয় কিস্তি: 
 
অরিন্দমের সাতকাহন
আমি সকল সম্ভাবনাকে এলিমিনেট করেছি,
ছোট ছেলেকে এলিমিনেট করার সময় সে
ইনিয়ে বিনিয়ে ট্রাফিক পুলিশের হাত  ধরে 
কী যেন বলছিল!
ছি! মাঝরাস্তায়?
তবু এটার ছিরিছাঁদ ভালই-
বড়টাকে তো চেনাই যেত না।
পথে পথে ঘুরত।
না তারে, না সে কাউরে চিনত।
বড় দয়া করেছি। ওটাকেও।
মারিয়াকে এলিমিনেট করেছি নিতান্ত বাধ্য হয়ে।
এ কাজটা আমাকে কষ্ট দিয়েছিল খুব।
তবু। ভবিতব্য বলে কথা!
মারিয়া মানুষটা ভালই ছিল।
শান্তমুখে উল-বোনা উল-বোনা নাম তার।
তবু। মেয়েতো! দিলাম এলিমিনেট করে।
হুহু। বহুকষ্টে ভবিতব্যকে এলিমিনেট করেছি।
জানি তো। ভবিষ্যত হল একটা-
অ্যাবোমিনেশন। মাইগ্রেন।
জানিনা আবার? ভবিতব্য হল অনেক সময় ধরে-
প্রস্ফুটিতব্যর জন্য প্রতীক্ষা। তারপর-
অতি অল্প সময়ের জন্য সেই প্রতীক্ষিত ক্ষণ আসা।
তারপর অতি দ্রুত ক্ষয়। জড়তা। হায় পাখি!
তোর ভবিতব্যে তীব্র ওড়াওড়ি-
ছিল মাত্র দিন কতকের, পালক ধূসর, পাখি বুড়ো, যায় ওড়ার কথা,
সেও পঁচে সার হয়ে রয় মাটির তলায়?
কুল-জাম হয়ে জন্মায়? জানিতো। এইজন্যই
আমি ভবিতব্যকে এলিমিনেট করেছি।
সকল সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী
সকল সৌকর্যের প্রতীক্ষা দীর্ঘস্থায়ী
সকল সৌম্যের পচন চিরস্থায়ী
হ্যালিলুইয়া!
তাই প্রত্যাশা আর সুখকে গলাটিপে এলিমিনেট করেছি!
ওরা অপেক্ষা করায় অনেক বেশি,
দেয় সামান্যই,
আর চলে যায় অপ্রত্যাশিতভাবে
যাবার সময় একটা গর্ত কোথায় যেন রেখে যায়। অমোচনীয়।
আমি সবকিছুকে এলিমিনেট করেছি-
শুধু দুইটা স্বচ্ছ্ব ডানা নিয়ে একটা কী যেন নেচে বেড়ায় সামনে।
শুভ্র। ছোট্ট। বেপরোয়া।
উৎসর্গ: 
আল্লাহতত্ত্ব- রাফাত নূর, ঘুড্ডির পাইলট। প্রিয় ঘুপাভাই।
অরিন্দমের সাতকাহন- হাসান মাহবুব। হামাভাই। অন্তর্যাত্রার যাত্রী। 
 ৭১ টি
    	৭১ টি    	 +৩/-০
    	+৩/-০  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ৯:৫৬
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ৯:৫৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই অনেক ধন্যবাদ। ছিরিছাঁদ ছাড়া আবোলতাবোল কথা আরকী! আরো একটু ছিল, সেটা সেভ করে রাখতে পারিনি।
২|  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ৯:৫৬
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ৯:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: তার সৃষ্টির মতোই তিনি দুর্বোধ্য সুন্দর!
  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ৯:৫৬
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ৯:৫৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অসাধারণ! অসাধারণ! একেই বলে মামুন ভাইয়ের বিখ্যাত সিঙ্গল লাইনার।
৩|  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:১৯
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:১৯
অনিক্স বলেছেন: osadharon likhesen. shanto hoye koyekbar porte hobe hmm.
  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:২৯
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:২৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। এম্নি ভাবনাগুলো একত্র করা। এটা ঠিক সিদ্ধান্তমূলক পোস্ট নয়।
৪|  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:৩১
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:৩১
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: সকাল বেলায় ব্লগে আল্লাহ তায়ালার পবিত্র নাম দেখে ভাল লাগল ।  আপনাকে ধন্যবাদ । আছেন কেমন ? ব্লগে তো আর আগের মত পাই না ! 
মামুন রশিদ বলেছেন: তার সৃষ্টির মতোই তিনি দুর্বোধ্য সুন্দর ।
আমার আক্কীদা ও বিশ্বাস মতে তিনি সৃষ্টি থেকে অনেক গুনে সুন্দর! মাখলুক কি কখনও খালেকের মত হতে পারে ?
আল্লাহ তায়ালার গুনাবলী অনাদী অনন্ত । তাই এর গভীরতা বা ব্যাপ্তি মাপা আমাদের দ্বারা সম্ভব না ।এর পরও ওনার গুনাবলী- সিফত  এগুলো চিন্তা করার কথা হাদীসে বলা হয়েছে । তার দয়া, ক্ষমতা - প্রজ্ঞা - বড়ত্ব - মায়া - মমতা - অভিনব সৃষ্টির ক্ষমতা  আরো কত কি ! 
কিন্তু ওনার জাত -সত্বা নিয়ে চিন্তার কথা হাদীসে নিষেধ আছে, যেহেতু তা মানবের বোধশক্তির ঊর্ধে ।
সুরা আল ইমরাণের প্রথম পাতার (৩/৪/ ৫/৭ আয়াতের দিকে ) 'আয়াতে মুহকামাত' ও 'আয়াতে মুতাশাবিহাত' এর কথা আছে । কোরাণ হাদীসের যে সব বর্ননায় আল্লাহপাকের হাত , চেহারা, চলা - ফিরা এসব কথা এসেছে, সেগুলো সম্পর্কে ওলামায়ে কেরামের সিদ্ধান্ত এগুলো আয়াতে মুতাশাহিবার অর্ন্ত্ ভুক্ত । তাই আমাদের কথা এগুলো আমরা বিশ্বাস করলাম।
আল্লাহপাক  যেমন তিনি তেমনই ! কোন কিছুই তার তুলনীয় নয়, কোন বর্ননা - বিশ্লষণই ওনার বর্ননা সঠিক ভাবে করতে সক্ষম না। উনি এসবেরই অনেক অনেক ঊর্ধে ।
  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:৩৩
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:৩৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: প্রতিটা কথার সাথে সহমত ভাই। আসলে এই লেখাটা শুধু প্রচলিত কথার দ্যোতনা। নিজের কথা বলেছি সামান্যই। নিজের ভাবনার কথা বলতে গেলে দালিলিকভাবে এই কথাগুলোই বলতাম, অবশ্যই।
আলহামদুলিল্লাহ খুব ভাল আছি।
৫|  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:৫১
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:৫১
দিশার বলেছেন: সুরা আর রহমান আয়াত ২৬ এবং ২৭
ভূপৃষ্টের সবকিছুই ধ্বংসশীল।
একমাত্র আপনার মহিমায় ও মহানুভব পালনকর্তার সত্তা ছাড়া।
এখানে ৪ টি অনুবাদে "সত্তার" জায়গায় চেহারা বলা হয়েছে। একমাত্র বাংলায়  "চেহারা" অনুবাদ টি "সত্তায়" রুপান্তরিত হয়েছে
লিসনি ভাই আমি এই  আয়াত এর অনুবাদ, পিচকাল , ইউসুফ আলী, সহিহ, সব জায়গায় "ফেস" পেয়েছি। 
যদি ধরে নেই কোরানে  আল্লাহর হাত পা রূপক অর্থে ! তবু তার কথা বলার বেপার টা  কিন্তু "আকার" এর দিকে ইঙ্গিত করে . নিরাকার কোন মহাশক্তি কিন্তু কথা বলবে না, সরাসরি চিন্তা ভাবনা মেনিপুলেট করবে। তাই না ?
  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১১:০২
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১১:০২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আল্লাহর মুখ বা চেহারার কথা বহুবার আছে। কুরআনে, হাদীসে, পপুলার ইসলামিক কালচারে।
যেভাবেই অনুবাদ করি না কেন, মূল বিষয়টা কিন্তু রয়েই যায়। 
আর সাকার নিরাকারের প্রসঙ্গ যদি তুলি, তাহলে তো শেষ হবেই না। শেষ না হোক, অনেক কথা তো বলা যাবে পাশাপাশি। 
হয়ত চিন্তাশক্তি মেনিপুলেট করাই কথা বলা!
কানে ওয়েভ আকারে আসেনি, কিন্তু মস্তিষ্ক ইন্টারপ্রেট করছে কানের ওয়েভ আকারে আশা শব্দ রূপে।
আর নিরাকারও তো শক্তি অথবা শক্তির আধার। 
শব্দ বা কথা হল ওয়েভ।
ওয়েভ হল প্রবাহিত শক্তি।
শক্তি তো প্রবাহিত শক্তির অণ্বয়ের মাধ্যমে শব্দরূপেও কথা সৃষ্টি করতে পারেন।
ও, আরেকটা বিষয়, সরোগেট মাদার।
সরোগেট মাদার নিয়ে একটা রূপক হাদীস আছে।
কিয়ামাতের পূর্বে দাসীর গর্ভে মুনিব জন্মাবে। দাসী এখানে পেইড কর্মচারী রূপে বিবেচনা করলে, সরোগেট মাদার কিন্তু হাইলি পেইড হয়ে থাকেন। তাঁদের বিন্দুমাত্র অসম্মান করছি না। তাঁরাও মা। গর্ভধারিণী। কিন্তু সরোগেট মাদারের বিষয়টা ছিল এমন মনে হওয়ায় বললাম।
৬|  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:৫১
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:৫১
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: সব পদার্থের মূলে আছে পরমাণু, তারপর প্রোটন-নিউট্রন-ইলেক্ট্রণ, তারপর আরো অনেক ছোট ছোট মৌলিক কণিকা, যেমন আলোক-কণিকা ফোটন। সুতরাং সবকিছুর মধ্যে আলো বা নূর বিদ্যমান। 
কবিতা ভালো লাগল, কেমন যেন ডেম-কেয়ার টাইপের।
  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১১:০৪
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১১:০৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: চমৎকার! সবকিছুতেই নূর বিদ্যমান। সঠিক কথা বলেছেন ভাই। দারুণ।
কবিতা ভাললাগায় কৃতজ্ঞবোধ করছি। ড্যাম কেয়ার... একটু হলে ক্ষতি কী হা হা হা। আসলে কবিতাটা তো আমার জবানি নয়। এম্নি লেখা।
৭|  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১১:০৩
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১১:০৩
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: নিরাকার মহা শক্তি কি কথা বলতে অক্ষম ?
আল্লাহ পাকের কথা বলা, চলা, হাত চেহারা এ সবই ওলামাদের সিদ্ধান্ত মতে আয়াতে মুতাশাবিহার অন্তর্গত । 
هُوَ الَّذِيَ أَنزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُّحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ فَأَمَّا الَّذِينَ في قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاء الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاء تَأْوِيلِهِ وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُ إِلاَّ اللّهُ وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ يَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ كُلٌّ مِّنْ عِندِ رَبِّنَا وَمَا يَذَّكَّرُ إِلاَّ أُوْلُواْ الألْبَابِ (3:7)  
3:7 (Asad) He it is who has bestowed upon thee from on high this divine writ, containing messages that are clear in and by themselves - and these are the essence of the divine writ - as well as others that are allegorical(مُتَشَابِهَاتٌ ). [5] Now those whose hearts are given to swerving from the truth go after that part of the divine writ [6] which has been expressed in allegory, seeking out [what is bound to create] confusion, [7] and seeking [to arrive at] its final meaning [in an arbitrary manner]; but none save God knows its final meaning. [8] Hence, those who are deeply rooted in knowledge say: "We believe in it; the whole [of the divine writ] is from our Sustainer - albeit none takes this to heart save those who are endowed with insight. 
  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১১:০৭
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ১১:০৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দারুণ আলাপ ভাই। ধন্যবাদ।
আয়াতে মুতাশাবিহাত:
অর্থ:
১. রূপক আয়াত।
২. দুর্বোধ্য আয়াত।
৩. এমন আয়াত যার আলোকে কোন শরয়ী অথবা আক্বাঈদের সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।
৪. যাকে শানে নুযূল এবং সামগ্রিক প্রামাণ্য বিষয় ছাড়া ব্যাখ্যা করা যাবে না।
৫.যার সরলার্থ ধরা যাবে না।
৮|  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ১:০৮
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ১:০৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: নি:সন্দেহে দারুন একটা পোষ্ট। অনেকভালো লাগল। এই ধরনের পোষ্টে যারা ভালো জানেন তারা যদি অংশগ্রহন করেন তাহলে একটা প্রানবন্ত আলোচনা হতে পারে এবং আমরাও অনেক চমৎকার বিষয় সম্পর্কে জানতে পারি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লিসানী ভাই। পোষ্ট প্রিয়তে নিলাম।
  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:২৬
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:২৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই আপনার আন্তরিকতা একেবারে স্পর্শ করে গেল। 
এই বিষয়ে তাত্ত্বিক আলোচনা হোস্ট করা সুখকর হবে, এই দোয়া করি। কারণ এতে মানুষের ধৈর্য্য খুব দ্রুত নাশ হয়। দেখা গেল বাজে আলাপ শুরু হয়ে যেতে পারে।
তাও দিশারভাই- সাইবার অভিযাত্রী ভাই শুরু করেছিলেন, ফ্রুটফুল হবে আশা করি।
৯|  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ১:০৯
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ১:০৯
দিশার বলেছেন: ৩ঘ. যেকোন ধরণের কল্পিত বা মিথ্যা পোস্ট বিশৃঙ্খলা তৈরীর উদ্দেশ্যে খবরের আকারে প্রকাশ করা হলে 
এই  কারণ দেখায়ে আমার পোস্ট মুছে ফেলসে। কি ব্লগিং করব এখানে বলেন ? আমি মিথ্যা, কল্পিত কি খবর দিসি ? 
মুক্ত চিন্তা ভাবনা যদি করা না যায় তাইলে কি ব্লগ এটা ? সাধে কি এখান থেকে ব্লগার রা চলে যায়? ২ বছর আগের সামু  আর এখন কার সামু র ভিতর আকাশ পাতাল তফাত।
  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:২৯
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:২৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই প্রথমত সামু হল সাধরণ ব্লগারদের ব্লগ। এখানে সবাই যা খুশি তাই করে। 
আমরা আহত হলে নানা সময় সামু ছেড়ে যাই। যাবার সময় কেউ ছাগুদের ব্লগ বলে, কেউ নাস্তিকদের ব্লগ বলে, কেউবা রাডিকাল-তোষী বলে।
তবে দেশের পরিস্থিতির কারণে সাম্প্রদায়িক বিতর্ক তৈরি হতে পারে এমন পোস্ট তারা সরিয়েই থাকে।
আপনার লেখাগুলো মডারেট ধরনেরই হয়, কিন্তু সেখানে আলোচনা সাম্প্রদায়িকতা পর্যন্ত গড়িয়ে যায়, তা আপনার দ্বারা হোক বা মন্তব্যকারীদের দ্বারা। বিষয়টা দেশের জন্য আসলেই ভাল না ভাই।
দেখলেন তো, এখনো আমাদের সবাইকে মানুষ নাস্তিক বলে।
এই আরোপিত দোষ কাটতে অনেক সময় লাগবে।
আর, ব্লগ ছেড়ে যাবার কথা ভাববেন কেন? 
১০|  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৩:৩৪
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৩:৩৪
fagolbaba বলেছেন: ভাই চেষ্টা করছিলাম পড়ার ধর্যে কুলাইলো না । Sorry !
  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:৫৮
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:৫৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই ব্যাপার না!
আন্তরিক ধন্যবাদ। আসলে ইস্টিসান ছাড়া লেখাতো...
১১|  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:০১
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:০১
বোকামন বলেছেন:  
পোস্ট বুকমার্কড 
শান্ত সময়ে পড়বো । 
আস সালামু আলাইকুম ।
  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:২০
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:২০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ওয়া আলাইকুম সালাম ভাই। আশা করি খুবই ভাল আছেন। 
শান্ত সময়ে পড়লে অনেক ভাল লাগবে। ধন্যবাদ এতোগুলো।
১২|  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১০:০৯
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১০:০৯
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: বিশ্লেষণ ভালো হইছে ।
 তবে বেশ কিছু শব্দ যেমন,মুতাজিলা, সালাফি এইগুলা মুসলমান ছাড়া আর কারো পক্ষে মনে হয় বুঝা সম্ভব নয় । এইধরনের বেশীরভাগ লেখায় ই লেখকরা এমন শব্দ ব্যাবহার করেন, এর আগেও লক্ষ্য করেছি । এসব শব্দের পাশে তাই একটু কস্ট করে বাংলা অর্থ লিখে দিলে বুঝতে আরো সুবিধা হয় । পাঠক তার আগ্রহ হারায় না । 
ধন্যবাদ । 
  ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ৯:৩১
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ৯:৩১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আসলেই তো! 
আমি ভাই সব সময় চেষ্টা করি ক্লিয়ার করতে। তার পরও রয়েই যায়।
মুতাজিলা (শব্দের শাব্দিক অর্থ মধ্যপন্থী... তবে তারা কুরআন এবং বিবেককে গ্রহণ করায় ইসলামের একটা ক্ষীণধারায় পরিণত হয়েছে। নিজস্ব বাছবিছারকে তারা হাদীস, সম্মিলিত মতামত বা ইজমা'র উপরে স্থান দিয়েছেন এবং এইসব কারণে ক্ষীণধারায় পরিণত হয়েছেন। তবে আজকাল বিশ্বে মুতাজিলাদের একটা বিষ্ফোরণ ঘটেছে হিজবুত তাহরীর দ্বারা।)
সালাফি/আহলে হাদীস (যাকে সরলভাবে ওহাবী বলা হয়। সৌদি সরকার যে মতবাদের উপর ক্ষমতা দখল করেছে এবং যে মতবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করে সারা পৃথিবীতে)
ভাল আছেন আশা করি ভাই।
১৩|  ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:৫৯
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:৫৯
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: ম্যালা কষ্ট করছেন, প্রিয়তে নিলাম। পরে পড়ব
  ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ৯:৩২
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ৯:৩২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই। পড়লে আরো ভাললাগবে।
১৪|  ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:২২
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:২২
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ লিসানী ভাই,  মুতাশাবিহা আয়াতের মানে সুন্দর ভাবে বলে দেবার জন্য । আর আল্লাহর হাত, চেহারা, চলা-ফিরা, বলা এসব বিষয় মুতাশবিহার অন্তর্ভুক্ত, চাই কোরাণে পাকের আয়াত হোক বা হাদীস শরীফে বর্ণিত হোক ।  ৩:৭ এ বলা আছে এসব মুতাশাবিহা বিষয়ে অতিরিক্ত অনুসন্ধান করবে তারাই যাদের অন্তরে বক্রতা আছে । এই পোষ্টে দিশারের মন্তব্যও সেরকম, আল্লাহ ( নিরাকার কোন মহাশক্তি) কথা কিভাবে বলেন ?  অথচ  নিরাকার কোন মহাশক্তি - কেই বিভিন্ণ ধর্মে সৃষ্টিকর্তা বলা হয়ে থাকে । আর যিনি এতকিছু সৃষ্ট করেছেন , করতে পারেন , তিনি কি শব্দ ও কথা সৃষ্টি করতে পারেন না ?     নিরাকার কোন মহাশক্তি কি কথা বলতে অক্ষম ? তাহলে দিশার তাকে মহা শক্তি বলছেন কেন ? 
আমাদের সলফ ও মুরুব্বীরাও অনেক সময় এসব বিষয়ে বিশ্লষণ করেছেন, তবে নিজে থেকে নয়, কেউ অপব্যাক্ষা করলে বা ফালতু কথা বললে তার জবাব দেবার জন্য ।
যতডূর মনে পড়ে, আপনি একবার তকদীর নিয়ে পোষ্ট দিয়েছিলেন, আমি আলোচণায় যেতে চাই নি । অথচ একজন ক্যাচালবাজ হিসেবে এ বিষয়ে-ই ক্যাচাল করা যায় সবচেয়ে বেশী ! এরপরও ভয় পাই । একই ভাবে আল্লাহর সত্ত্বা নিয়ে আলোচনাও ভয় পাই, এড়িয়ে যাই । কিন্তু আল্লাহ কথা বলেন কিভাবে : এ জাতীয় বুদ্ধিহীন প্রশ্ন কেউ করে বসলে উত্তর  দেওয়াও দরকার মনে করি ।
আর মুতাজিলা শব্দটি এসেছে  ' ইতাজিল' বা পৃথক হয়ে যাও থেকে । The origin of this term-which has the sense of 'those who separate themselves,  : Click This Link 
হাসান বসরী থেকে ( এবং আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত ) থেকে   এদের নেতা পৃথক হয়ে গিয়েছিল । এরা মুলত যুক্তির মারপ্যাচে ভগ্যকে অস্বীকার করে । বর্তমানের হিজবুত তাহরীরের সাথে এদের  চিন্তা ভাবনার মিল অসাধারণ ।
  ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:৩৬
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:৩৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: পুরো কমেন্টটা দারুণ কথা ভাই। 
খেয়াল করেছেন হয়ত, আমি এই পোস্টে নিজের কথা কিছুই প্রায় বলিনি। বলিনি, কারণ আল্লাহর গড়নতত্ত্ব আমার বিষয় হতে পারে না। আমি বান্দা, তার দাস। সর্বতোভাবে সেই একমেবাদ্বিতীয়মের দাস। তিনিই আমার সবকিছুর পূর্ণতায় আছেন, তিনিই আমার জন্য যথেষ্ট- এরচে বেশি আর কী লাগে!
তিনি কেমন, তিনিই যদি চান, তো প্রকাশিত করার ক্ষমতা রাখেন। সেটা পরকালেও। এটুকুই যথেষ্ট।
মুতাজিলারা তাহলে হাসান বসরী রা.'র সময়ে পৃথক হয়! হ্যা, তাকদীর নিয়ে তাদের নানা সমস্যা আছে। আসলে তারা অকারণ ফিলোসফিকে ইসলামে এনেছিলেন। 
আর এই বিষয়গুলো আলোচ্য মনে করি সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে।
যদি অতি সাবধানে অতি সন্তর্পণে করা যায়, তাহলে এই আলোচনাগুলো আল্লাহর অস্তিত্বে অবিশ্বাসীদের চোখ খুলে দিতে সহায়তা করতে পারে।
আসলে নিয়্যতই তো  সবকিছু অঙ্কুর।
একটা মজার ইনফো সম্ভবত আপনি জানেনই, হিজবুত তাহরীর যে শুধু মুতাজিলাদের সাথে মিল রাখে তাই নয়, বরং তারা সালাফি এবং মুতাজিলা মিলিয়ে একটা হাইব্রিড তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছে এবং মুতাজিলাদের প্রেইজ করে। মুতাজিলাদের নিয়ে আলোচনা করে। তাদের অনেক অনেক বিষয় দারুণভাবে গ্রহণযোগ্য বলার মাধ্যমে মূলত মুতাজিলায় দাখিল হয়।
১৫|  ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:১৩
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:১৩
মুদ্দাকির বলেছেন: সামুতে কিছু লেখা পড়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়, সেই রকম একটা লেখা। অসম্ভব বিক্ষিপ্ত ভাবে সরল একটা কথা লেখা, দারুন!!!!
আসলে কি, একটা সময় ছিল বা এখনও সূরা নূর এর ৩৫ নং আয়াতটা পড়লেই কেমন যেন নিজের কল্পনা চিন্তা সকল কিছু, চার পাশের পরিবেশ কেমন যেন হেংগ হয়ে যায়, মনে হয় যেন পৃথিবীর কোন নির্জন পাহাড়ের চুড়ায় আমি একা!!!
আসলে কোন কিছুর অস্তিত্ত্ব স্বিকার করা আর উপলব্ধি এক জিনিশ না, যেমন ধরেন অতি ক্ষুদ্র ব্যাক্টিরিয়া লক্ষ লক্ষ আপনার আমার সাথেই আছে, শরিরেই আছে, সারাক্ষনই থাকে, জন্ম - মৃত্যু বিদ্যমান কিন্তু আমরা  কখনই উপলব্ধি করিনা। বা প্রোটন নিউট্রন, ইলেক্ট্রন, বোসন, পজিত্রন সব কিছুই আপনাকে আমাকে তৈরি করে কিন্তু এটি উপলব্ধি করার ক্ষমতা আমাদের নাই। এক সময় হয়ত সবই উপলব্ধি করতে পারবো।
আল্লাহের অস্তিত্ত্ব অস্বিকার করতে পারলে হয়ত একেবারেই দুঃসচিন্তা মুক্ত হয়ে শান্তিতে থাকতাম, কিন্তু যখন দেখি সামান্য ইনসুলিন আর গ্লুকাগনের কুল কিনারা করতে পারি না, বা ইলেক্ট্রন কেন নিউত্রন আর প্রটনকে কেন্দ্র করে ঘুরে, কেই বা ঠিক করল কে কাকে কেন্দ্র করে ঘুরবে????? তখন মনে হয় আল্লাহতে বিশ্বাস করাতেই শান্তি!!!!!!! 
আল্লাহ কে উপলব্ধি আমরা করতে পারবো, ব্যাপারটা খুবই সিম্পল, তবে এই হিউম্যান ফর্মে হয়ত পারবো না, যদি নিজেকে কম্পিউটারের সাথে তুলনা করি তাহলে আমার হিউম্যান ফর্মের হার্ডডিস্ক ১০০ কিলোবাইট, প্রসেসর ১০ কিলোবাইট, আর আল্লাহকে উপলব্ধি করতে লাগবে ১০০ কোটি ট্রিলিওন টেরাবাইটের প্রসেসর আর ১০০০০০০ কোটি ট্রিলিওন টেরাবাইটের হার্ডডিস্ক। এই আপগ্রেড উনি আমাদের করবেন, যদি আমরা তাকে বিশ্বাস করি, সিম্পল। এ্যটলিস্ট সূরা নূর আয়াত ৩৫ পরলে এই রকমই ছোট মনে হয় নিজেকে। বা উলটা ভাবে বলতে গেলে এই রকমই বিশাল মনে হয় তাঁকে। সোজা কথা আল্লাহর তাত্ত্বিক চিন্তা শুধু মাত্র নিজের ব্রেইন কে হ্যাংগ করার জন্য দারূন।
আসসালামুয়ালাইকুম  
  ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১২:০৪
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১২:০৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই এরকম একটা কমেন্ট পেলে এমন দশটা পোস্ট করার উৎসাহ পাওয়া যায়। এমন একটা কমেন্ট দশটা পোস্টের রসদ। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা গ্রহণ করুন।
তিনি যাকে চাইবেন, তাঁকে নিজের বিষয়ে জানাবেন। তিনি যতটুকু চাইবেন, ততটুকু নিজের বিষয়ে জানাবেন। তিনি জানাতে চান, জানতে প্রস্তুত হতে হবে।
রাসূল দ. তো বলেছেনই, আমি অনুসন্ধানীর ভিতরে, অনুসন্ধানী আমার ভিতরে।
অনুসন্ধান করতে করতে যে তাঁর ভিতরে প্রবেশ করবে (ফানাফির রাসূল দ.) সে তো প্রকারান্তরে রাহমাতাল্লিল আলামীনের ভিতরে প্রবেশ করল।
জগৎসমূহের প্রতি রহমতের ভিতরে যে প্রবাহিত হবে, সে তো অবশ্যই দয়াময় মহাপ্রভু মহাপ্রেমিক মহাআরাধ্য আল্লাহর পরিচয় পাবে।
ভাইরে আপনার এই কমেন্টে ভাললাগায় শুধু একটা পুরনো কথা নতুন করে বলা, এক মা হারা সন্তানের কাছে তার সন্তান যতটা প্রিয় ওই মুহূর্তে, মহান আল্লাহর কাছে সব সময় তারচে বেশি প্রিয় তার বান্দা।
যার কাছে আমরা এতই প্রিয়, তিনি কি আমাদের নিরাশ করতে পারেন? শুধু চাইতে হবে তাঁকে। যতটা চাইব, ততটাই পাবো।
১৬|  ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  ভোর ৫:৪২
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  ভোর ৫:৪২
খেয়া ঘাট বলেছেন: এতো চমৎকার একটা লিখা ভাইজান। এরকম সুন্দর লিখা পড়ার যে সৌভাগ্য হলো তাতে কী পরিমাণ যে খুশি তা বলে বোঝাতে পারবোনা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনাকে হায়াতে তাইয়্যিবা দান করুন।
""আল্লাহপাক যেমন তিনি তেমনই ! কোন কিছুই তার তুলনীয় নয়, কোন বর্ননা - বিশ্লষণই ওনার বর্ননা সঠিক ভাবে করতে সক্ষম না। উনি এসবেরই অনেক অনেক ঊর্ধে ।""
  ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ১:১৯
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ১:১৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, যত স্রষ্টার দিকে তাকাই, তত ওয়াইড হয়। যত সৃষ্ট মতবাদের দিকে তাকাই, তত ন্যারো হয়। এই অ্যাঙ্গেল বা দৃষ্টিভঙ্গির পারস্পরিক সমন্বয় বড় কষ্টকর। তবে অনেকেই এর সমাধান করে গেছেন। খুবই ভালভাবে করে গেছেন। যাঁরা করে গেছেন, তাঁদের মধ্যে যাঁরাই পুস্তকঘাঁটা স্কলার তথা গণিতবিদ- তাদের ভঙ্গিমাগুলো ন্যারো হতে থাকে। ন্যারো হলেও স্পষ্ট হয়। যাঁরাই হৃদয়ঘাঁটা স্কলার তাদের দৃষ্টিভঙ্গিগুলো ওয়াইড হতে থাকে। আর যতই ওয়াইড হয়, ততই অস্পষ্ট হয়, যতনা তাঁর চোখে, তারচে বেশি তার ভাবনা নিয়ে ভাবার চোখে।
আসলেই ভাই, স্রষ্টা তো সৃষ্টির কাছে অধর থাকবেনই, এটাই প্রথম শর্ত। আর দ্বিতীয়তে আসে তাঁর করুণা।
তিনি করুণা করলে লয় হয় অনেক কিছুই। তবে তাঁকে দেখা বা তাঁকে বোঝা তো অনেক দূর, তাঁর মিস্টিরিয়াস ওয়েটুকু বোঝা আসল বিষয় মনে হয় আমার কাছে।
কৃতজ্ঞ বোধ করছি ভাই। এইসব কথা আলাপের মত কাউকে পেলে খুব ভাল লাগে। মুক্তির স্বাদ পাই পোড়া জিহ্বায়।
১৭|  ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  ভোর ৫:৫৪
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  ভোর ৫:৫৪
দিশার বলেছেন: লিসনি ভাই আপনের জন্য একটা গান,
আশেক বিনা ভেদের কথা কে আর পুছে ?
মন খারাপ লাগতেসে আমার পোস্ট ডিলিট  করে দেবার জন্য . কত কষ্ট করে পড়াশুনা করে একটা পোস্ট লিখি। এর পর থেকে ব্যাক আপ রাখব। 
  ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ১:২১
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ১:২১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অবশ্যই ব্যাকআপ রাখবেন! ব্যাকআপ রাখা অতি দরকার, কিন্তু আমাদের পক্ষে তা মনে রাখা কষ্টকর। পোস্টের ব্যাকআপ আমিও রাখি না। এটা নিয়ে সমস্যা হয়।
আপনার ব্যাকআপের একটা পথ কিন্তু আছে। ওয়েব্যাক নামে একটা ওয়েবসাইটের কথা তো জানেনই। 
কিছুই হারায় না। সব রয়ে যায়। অসাধারণ একটা বিষয়।
আসলে তাঁর জন্য অনুসন্ধানটাই আসল কথা।
১৮|  ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  ভোর ৬:৩৬
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  ভোর ৬:৩৬
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: 
আল্লাহ দেখতে কেমন তা বুঝার ক্ষমতা তিনি নিজেই আমাদেরকে দেন নি। তাই তিনি আমাদের ভাবনার অনেক অনেক ঊর্ধে। 
সামগ্রিক অনেক আলোচনা আপনার পোষ্টে উঠে এসেছে। কেউ কিন্তু নিজের কল্পনা শক্তি দিয়েও আল্লাহর বর্ণনা তুলে আনতে পারেন নি। সৃষ্টিকর্তার অপার এই রহস্য নিয়ে লালানই বোধয় বেশি ভেবেছেন আমার দেখা। লালনও বারে বারেই হতাশ হয়েছেন কোন কিছুর কূলকিনারা না পেয়ে ও শেষ পর্যন্ত সৃষ্টিকর্তার কাছে হার মেনেছেন। 
সুন্দর একটি পোস্ট দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানবেন  লিসানি ভাই। 
++++++++++++++++++ 
  ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ১:২৪
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ১:২৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: শোভন ভাই কৃতজ্ঞতা রইল অনেক। মূলত বিষয়টা এমনি।
তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়, লালন কিনারা করতে পেরেছিলেন। আবার যখন দেখি তিনিই বলছেন,
কী কালাম পাঠাইলেন আমার সাঁই দয়াময়...
তখন তাঁর মধ্যেই দেখি সংশয়বাদের ঘনঘটা। 
অতি উচ্চ স্তরের সাধকদের প্রত্যেককেই সংশয়বাদের ভিতর দিয়ে উত্তরণ করতে হয়েছে।
তবে এই স্তরটা পেরিয়ে যেতে পারলে স্পষ্ট হয়ই। স্পষ্টতা আসে অনুসন্ধানের প্যাটার্নের ভিতর থেকে। 
১৯|  ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ৮:৪৪
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ৮:৪৪
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: লালন সৃষ্টি কর্তা নিয়ে কতটুকু ভেবেছেন, সেটা ভাববার বিষয়, তবে যৌনতাকে নিয়ে লালন বিশেষভাবে ভাবনা চিন্তা করেছেন সেটা নিশ্চিত । তার মতবাদ জুড়েই ছিল যোনতা, হতে পারে যৌনতাই তার খোদা !
  ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:৪০
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:৪০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই ক্যাচালে ধন্যবাদ। দারুণ এক প্রসঙ্গ।
লালন এ বিষয়টা নিয়ে আসলেই কি বিশেষ কিছু বলেছেন? আমার ততটা তো মনে হয় না। একেবারে খুব বেশি পড়িওনি, খুব একটা জানিও না, কিন্তু আমার তো মনে হয় না।
বাউলদের মধ্যে আজকাল বা অনেক আগে থেকেই কিছু পৈশাচিক প্রথা আছে। এই প্রথাগুলো সব বাউলদের মধ্যে নাই। যারাই এই পৈশাচিক প্রথায় চর্চা করে, তারা নি:সন্দেহে বিপথগামী।
এর বাইরে লালনে এই সম্পর্কিত যে বিষয়গুলো দেখি, সেগুলো তো যৌনতা নয়, বরং আত্মোপলব্ধি।
যেমন, 'উর্দ্ধরতি সাধনা' শুনতে খুবই ইয়ে টাইপের বিষয় মনে হয়।
আসলে এটা তো অতি ভাল বিষয়। এই সাধনা বলতে তিনি যা বোঝাতেন, তা বুঝতে তো গন্ডগোল।
উদ্ধরতি সাধনা হল আত্মনিয়ন্ত্রণের কঠিনতম ধাপ। এখানে নিজের সচেতন মনকে ধ্যানের মাধ্যমে অচেতন মনের এমন একটা স্তরে প্রভাব রাখতে সহায়তা করে, যা অকল্পনীয়। 
এই সাধনার মূল কথা হল, মানুষ সচেতনভাবে যে বিষয়গুলো পারে না, সে বিষয়গুলো পারা। যেমন, নিজের শরীরের পেপটিক জুস (হজম) তৈরি নিয়ন্ত্রণ, রাগের নিউরোট্রান্সমিটারগুলো উৎপাদন নিয়ন্ত্রন, প্রশান্তির নিউরোট্রান্সমিটারগুলো উৎপাদন বৃদ্ধি, একইভাবে স্ব-ইচ্ছায় নিজস্ব প্রচেষ্টায় ধ্যানের এক কঠিনতম ধাপে গিয়ে প্রজনন-ফ্লুইডগুলো তৈরি করার প্রক্রিয়া সাঙ্ঘাতিকভাবে কমিয়ে দেয়া।
দেখুন, প্রজনন ফ্লুইডগুলোই কিন্তু রাগ-ক্রোধ-হিংসা-শারীরিক অস্থিরতা এবং মানসিক বিকৃতি ও বিকৃতরুচি এমনকি মনের-চোখের-শরীরের পাপের এক অন্যতম মূল উৎস। 
ধ্যানসাধনাকালীন সময়ে অথবা অবিবাহিত অবস্থায় তার এই উদ্ধরতি সাধনা একজন সাধককে নিজের মনের 'হাওয়া' বা কামনা বাসনাকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মনকে এক ভাবনায় এক দিকে রাখতে সহায়তা করে।
উর্দ্ধরতি সাধনা বা যাই বলি না কেন, এটা কিন্তু শুধু লালন করেননি। এটা ইসলামের অনেক আগে থেকেই মহামানবরাও করে এসেছেন, পৃথিবীর নানা দেশের নানা অঞ্চলের নানা গোত্রের মানুষও করে এসেছেন।
এতে শারীরিক কোন ক্ষতিও নেই। এবং এই সাধনার ক্ষেত্রে অপ-পদ্ধতিও নেই।
এর বাইরে যেসব বিষয়কে যৌনতা বলতে পারেন, তার মধ্যে কিছু কথা হয়ত মিস-ইন্টারপ্রেট করা হতে পারে। 
অশ্লীলতা সকল ভাল বিষয়কে ধুয়ে মুছে নষ্ট করে দেয়। অশ্লীলতা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তবে সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে গভীর ভাবনা বরং মহান ইবাদত। দুটা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। 
তার বাইরেও যদি কিছু থেকে থাকে, জানলে খুশি হব।
২০|  ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  ভোর ৫:০৩
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  ভোর ৫:০৩
অপু কাউসার বলেছেন: নিয়ে রাখলাম, পড়ে তারপর কথা বলবো ।
  ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:০৩
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:০৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ রইল। আশা করি আলাপ হবে।
২১|  ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:৫৮
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:৫৮
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: লিসানী ভাই, অনেক ধন্যবাদ । লালন সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা ছিলা না, আপনার কথা থেকে জানলাম । কিছু জানার সুখটুকু অভিনব । আবারো ধন্যবাদ।
আপানার এখানে মন্তব্যের পরপরই লালন নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়ে ব্যান খাই, সাময়িক, পোষ্টাইতে পারছি না, তবে কমেন্ট হালাল আছে । সাময়িক ব্যান অবশ্য আঘেও খেয়েছি তবে, সামুর দয়ায় ছাড়া পেয়েছি । আমার এই নিকটাকে সামু বেশ কিছুটা দয়া করছে । আল্লাহ ভারসা ।
লালন নিয়ে একটা পোষ্ট আমার আগেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল :  
..'কামাচার বা মিথুনাত্মক যোগসাধনাই বাউল পদ্ধতি। বাউল সাধনায় পরকীয়া প্রেম এবং গাঁজা সেবন প্রচলিত। বাউলরা বিশ্বাস করে যে, কুমারী মেয়ের রজঃপান করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক তৈরি হয়। তাই বাউলদের মধ্যে রজঃপান একটি সাধারণ ঘটনা। এছাড়াও তারা রোগমুক্তির জন্য স্বীয় মূত্র ও স্তনদুগ্ধ পান করে। সর্বরোগ থেকে মুক্তির জন্য তারা মল, মূত্র, রজঃ ও বীর্য মিশ্রণে প্রেমভাজা নামক একপ্রকার পদার্থ তৈরি করে তা ভক্ষণ করে। একজন বাউলের একাধিক সেবাদাসী থাকে। এদের অধিকাংশই কমবয়সী মেয়ে। (বাংলাদেশের বাউল : পৃষ্ঠা ৩৫০, ৩৮২)
লেখক: ডক্টর আহমদ শরীফ
Click This Link পোষ্টে পেলাম, আসলেই কি তথ্য সঠিক ?  
বাংলাদেশের বাউল  বইটা কারো কাছে আছে ?
বইটা কোথায় পাওয়া যাবে কেউ বলতে পারেন ? 
এছাড়া কারো কাছে কি নির্ভরযোগ্য তথ্য বা সরাসরি কোন রেফারেন্স আছে ?
পরকীয়া প্রেম, সেবাদাসী  এবং গাঁজা সেবন এগুলো তো সম্ভব, কিন্তু মল-মুত্রের বিষয়টা মানতে পারছি না ।
বাউল সাধকরা গাজা খায় জানতাম, বাউলরা গু খায়- এটাও বিশ্বাস করতে হবে ? 
এসবের মানে কি ? 
?  
----------------------------------------শেষ ---------------------------
যাই হোক ইসলামের বিষয়গুলো আমি খুব ভালভাবে জানার জন্য হাজার হাজার ঘন্টা সময় খরচ করেছি, বাউল বা অন্য ধর্ম সম্পর্কে খরচ করেছি খুবই কম । তাই এ সব বিষয়ে কনফিডেন্টলি কিছু বলি না ।
ইসলামের কোন বিসয় নিয়ে সামান্য কনফিউশন হলেও ঘন্তার পর ঘন্টা সমর বের করে বিষয়টা বুঝার চেষ্টা করি । ( আল্লাহ কে কে সৃষ্টি করেছে ? ভাগ্য কি ? আল্লাহর সত্ত্বার প্রকৃতি কি : এই তিনটি প্রশ্ন ছাড়া )
  ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১০:৪২
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১০:৪২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনার শেষের তিনটা প্রশ্নের মধ্যে দুটা আমিও ভাবি না। শুধু ভাগ্য নিয়ে ভাবি।
যাই হোক, আসলে এই ধরনের কিছু পাপাচার যে রয়ে গেছে সেটাও ব্লগ থেকেই জেনেছি। নিশ্চিত করে বলতে পারি না। আর এদের মধ্যে অনেকেই বিবাহ সম্পর্কর বাইরে আকৃষ্ট। এটা জানি।
২২|  ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৩:১৫
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৩:১৫
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: তবে লালন সম্পর্কে আপনি যা বললেন তা সব যোগ সাধকদের সাথেই মিলে । হিন্দু যোগী বা বৌদ্ধা ধ্যান সাধক - এদের সাধনার পদ্ধতিও এরূপ । ধ্যান-মেডিটেশন - যপ : ফলশ্রতিতে আত্ম নিয়ন্ত্রণ ।মুসলিম সুফীদের মাঝেও ধ্যান ও আত্ম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টা আছে ।
সুফী ও হিন্দু - বৌদ্ধ সাধকদের পার্থক্য হচ্ছে এক সত্ত্বার কাছে আত্মসমর্পণ করা ও না করার মাঝে।
 এক সফটওয়ার ফার্মে আমার এক শিখ স হ কর্মী  ছিল, বলদেব সিং । সে বাংগালী, কলকাতার । তার কাছে থেকে তার ধর্মের অনেক কিছু শুনেছি । শিখ ধর্মেও সুফী -পীরদের মত একটা কালচার আছে । তার গুরু তাকে একটা জপ দিয়েছে, আর সেটা দিয়ে সেও সাধনা করত ।
আমার যা বুঝে এসেছে সাধনার মুল বিষয় হচ্ছে নিজের মাঝের সত্ত্বাকে জাগিয়ে তুলে মন্দ বিষয় গুলোর উপর জয়ী হওয়া ।  এভাবে নিজের ভিতরের সত্ত্বাকে আরো শক্তিশালী করে ধীরে ধীরে দৈহিক বিষয় রোগ শোক এমনকি পারিপার্ষিক বিষয়গুলোও নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার চেষ্টা করা । আর অভিজ্ঞতায় -ও দেখা যায় একেক মানুষের ভিতর একেক রকম আত্মিক শক্তি লুকিয়ে থাকে, তাকে বাড়ানো - কমানো যায়, তা দিয়ে অনেক কাজও করে নেওয়া যায় ! ( অনেঐ হয়ত মানবে না ) তবে ব্যাবসায়ী ও সেকুলার পীর কোয়ান্টামের গুরুজীর বাণীও এটাই, "চাইলেই পাবে।"
তবে মুসলিম সুফীদের মত পথ হচ্ছে ঠিক এর বিপরীত । সাধনার মুল বিষয় হচ্ছে নিজের মাঝের সত্ত্বাকে বিলীন করে দিয়ে, আল্লাহর সত্ত্বার সামনে পুরাপুরি সমর্পণ করে   আল্লাহর দয়া ও সাহায্যে মন্দ বিষয় গুলোর উপর জয়ী হওয়া, ভাল বিষয়গুলো অর্জন করা । 
২৩|  ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৩:৩৮
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৩:৩৮
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: তবে কোন মতবাদের মুল প্রবক্তার সাথে অনুসারীদের ব্যাপক পার্থক্য থাকতে পারে ! যেমন মুসলিম সুফী সাধক আব্দুল কাদের জিলানী, খাজা মীনুদ্দীন চিশতী ছিলেন অতি উচু মানের সধাক । খুবই নিয়ন্ত্রিত ও আল্লাহর অনুগত জীবন যাপন করেছেন, কিন্তু তাদের আোনেক অনুসারী বা দাবীদার তাদের পথে না চলে, গান- বাদ্য ও মাদক আসক্ত দেখা যায় । যাি হোক সেটাও দৃষ্টি ভংগী ও মতবাদের বিষয় । আমি নিজেও চিশ্তিয়া তরীকার ছাত্র বা মুরীদ গত ১২ বছর ধরে, তবে আমাদের লাইন আলাদা । শরীয়ত প্রধান ও দেওবন্দী ধারার আমরা সাধনা করি, জিকির -শোগল চালাই । সেটা এখানে আলোচ্য বিষয়ও না ।
মুল বিষয় হচ্ছে বর্তমান বাউলরা হয়ত লালনের পথে নেই, সেটাই । তবে লালনের পথ ও মত কি , তিনি স্রষ্টার সাধনা কিভাবে করেছেন, তা আমার জানা নেই । স্রষ্টার উপলব্ধি তার কাছে কেমন সেটাও আমি জানি না । তবে প্রচলিত মুসলিম ধারার সাথে তার কোন মিল ছিল না সেটা খুব স্পষ্ট । মুসলিম বিশ্বাসে আপনি স্রষ্টার কাছে সমর্পণ না করা পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য না, নিজেকে বিলীন করে আমি ও আমিত্বকে শেষ করে,  তবেই স্রষ্টার পথে চলতে হবে । আর নিজেকে ও নিজের মতকে বিলীন করার স্বীকৃত রূপই হল মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহর গোলামী ও অনুসরণ । 
কুল ইন কুন্তুম তুহিব্বু -----
বলে দিনে , যদি তোমরা আল্লাহে ভালবাস তবে আমার অনুগত্য কর ..
আল্লাহ তোমাদের ভাল বাসবেন আর গোনাহ সমুহকে ক্ষমা করবেন 
এছাড়া অন্য যত সাধনাই আপনি স্রষ্টাকে সামনে রেখে করেন, ইসলাম বলবে আপনি নিজের মতকে অনুসরণ করছেন, আত্ম পুজা করছেন, গোলামী করছেন না । সেটা নিজেকে , নিজের সত্ত্বাকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা হতে পারে, এক সত্তাত্বার কাছে বিলীন করার চেষ্টা না। তা দিয়ে এ জগতে কিছু অর্জন হতে পারে,  মৃত্যুর পরে জগতে তা কিছু দিবে না!
ইসলাম ছাড়া আর কিছু নিয়ে যে আসবে সে ক্ষতিগ্র স্হ হবে।
  ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:৫৬
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:৫৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমি একটা লম্বা লেখার মাঝখানে আছি দেখে আপাতত জয়েন করতে পারিনি। 
আপনি আলোচনা চালালে খুশি হব, ওটা থেকে বিরত হয়েই এখানে চলে আসব।
২৪|  ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:২৯
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:২৯
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: হুম. অপেক্ষা ...
  ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:৫৩
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:৫৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আপনার ইসলামী আন্দোলন বিষয়ক একটা পোস্ট এর টাইটেল দেখে থমকে গেছি। থমকানো এখনো কাটছে না।
নিশ্চই আল্লাহ বিস্ময়ের অন্তরালে বৃহত্তর বিস্ময় লুকিয়ে রাখেন।
২৫|  ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:০৮
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহ...
এত বেশী মশলা দিছেন সালুন মজা না হইয়া ইপায় নাই 
এখন কোন মশলা রাইখা কোনটার আলাপ করি 
যে কোন শব্দের মানে তার মৌলিক অর্থেই লুকানো থাকে। নয় কি?
সন্ধি বিচ্ছেদে বা শব্দ- বিচ্ছেদ ও সংযোগ বিশ্লেষনে তার চলতি অর্থ বা মৌলিক অর্থ সুন্দর ভাবে বোঝা যায়। 
আল্লাহ কে কি সেইভাবে বিশ্লেষন করে দেখেছেন?
এবং কলেমার মৌলিক বিশ্লেষন, যেই বিশ্লেষন সেই সময়ের আরববাসী বুঝলেও আমরা এতকাল পরে, এত শিক্ষার পরেও অনুভবে ধারন করতে পারছি না-সেই দিন বদলের, কাল বদলের, আত্ম জাগৃতির সত্য অনুভবের সাথে মিশে একে অপরের পরিপূরক হয়ে যায়।
আমাদের উপমহাদেশে বিশ্বাস এবং আবেগটা অনেক ক্ষেত্রেই সত্যকেও ঢেকে ফেলেছে! শৈশবের ধারন করা জ্ঞানকেই আমরা চূড়ান্ত ধরে নেই! যা ভাংতে গিয়ে প্রায় অসম্ভব বলেই মনে হয়।
অথচ সেই জ্ঞানে প্রচুর অজানা, অনেক ভুল ধারনা, শোনা কথা, লোক কথা, বংশ পরম্পরার দোষগুন, অনুভবের ভুল, পারিপার্শিকতার ভুল, এইরকম হাজারো ভ্রান্তি আর চলতি বিশ্বাসে মাখামাখি।
অথচ যখন সামনে এগুতে থাকে একজন নিত্য নতুন জ্ঞান মার্গের স্পর্শে তার এতদিনকার জানাশোনার বিশ্বাসের ভীত গুলো কেঁপে ওঠে! সে চমকে যায়! সে ভীত হয়! সে শিহরিত হয়!
কিন্তু শংকা আর অজানা ভীতি তাঁকে আকড়ে রাখে!
সে থেমে যায়। থেমে যেতে চায়। আর জেনে কাজ নেই। এই বিষয়ে হাদীসে মানা করা আছে! বেশি বুঝে কাজ নেই!!! এইরকম ভাবালুতায় নিজেকে আড়াল করে ডুবে থাকে অর্বাচনী অনুভবে।
সত্যের শুরু থেকে যদি আসেন এই যাবতীয় ভাবালুতা এক ফুৎকারে উড়িয়ে দিতে হবে। কারণ সত্যের মাঝামাঝি কোন কিছু নেই। হয় সত্য নয় মিথ্যা। হয় আলো নয় অন্ধকার। 
মধ্যবর্তী অবস্থা গুলো যে হয়না তা নয়- কিন্তু রাত আর দিন হয় পৃথক স্বত্তা। ভিন্নকে ভিন্ন বলেই জানতে হবে। সুবাহ বা সন্ধ্যা তার মাঝামাঝি মানতে দোষ নেই। কিন্তু আমি কি দিনে যাব না রাতে রব তার কিন্তু ব্যপক অর্থ আছে।
আলোর কাছে যেতে হলেতো ষ্পষ্ট হতেই হবে। যিনি আলোর দিশারি তিনি কি প্রচলিত বোধকে ছুড়ে ফেলে দেন নি? সব সৎ সত্য সুন্দরকে ছাড়া বাকী সবকে ত্যাগ করেছেন। এবং হেরা পর্বতের দীর্ঘ ধ্যান সাধনায়, পরম সত্যের সন্ধান লাভ করেছেন। 
এখন তিনি যদি প্রচলিত বোধকেই ধরে থাকতেন-যেভাবে আমরা বাপে করতো, দাদায় করতো ভেবে বিভিন্ন বিশ্বাস বা ইজমকে আঁকড়ে থাকি-তবেতো আমরা সেই পরম সত্য থেকেই বঞ্চিত হতাম।
যাকগে- 
যেই কলেমা, বা যে বাক্য নিয়ে আমাদের কথা- সেই বাক্য আজ এত ম্লান কেন? আমরা হাজার লাখোবার পড়ছি কেউ তেড়ে আসছেনা। দেশ ছাড়া করছে না। ক্ষমতার মসনদের লৌভ দেখিয়ে সেই বাক্য বলা থেকে বিরত করতে চাইছে না!!!
তবে কি আমরা সেই বাক্য, বাক্যের অর্থই ভুলে গেছি? 
নইলে সেই বাক্য আমাদের জাগায় না কেন?ৎ
যেই বাক্য দিয়ে প্রথম শপথ গ্রহন করতে হয়- সেই শপথকেই আমরা অস্বীকার করছি কেন?
কি ক্ষেপেছেন? 
আর ভাই আল্লাহ তত্বে কি বাক্য নিয়া টানাটানি। !!!
এ যে শুরুতেই বলেছি- দুটো যেম মিলেমিশে আছে। সেই সত্যকে আসুন অনুসন্ধান করি। সেই সত্যকে ধারন করি। সেই সত্যকে পেলেই আল্লাহ তত্ত্ব আরো বেশি স্পষ্ট হয়ে আসবে। 
আর অবশ্যই আপনার ভুবন আপনারই। তারে নিয়েই ডুবে দেখুন না। কি বিশাল সেই সাম্রাজ্য। এক বা'য়ের নুকতা দিয়ে যে বিশালতর জগতের শুরু তাঁর শেষ দেখতে পেরে কতজনে??????? 
ইসমে আল্লাহর জগততো পইরাই রইছে !!!
... তাই অত শত ভুবনের খবর দিয়ে কাজ কি?  যদি না দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন!
 যদি না দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন!
ভাল থাকুন। আপনার মতোই কি লিখতে কি লিখেছি আপন মনে  
 
  ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:৪২
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:৪২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমাদের উপমহাদেশে বিশ্বাস এবং আবেগটা অনেক ক্ষেত্রেই সত্যকেও ঢেকে ফেলেছে! শৈশবের ধারন করা জ্ঞানকেই আমরা চূড়ান্ত ধরে নেই! যা ভাংতে গিয়ে প্রায় অসম্ভব বলেই মনে হয়।
অথচ সেই জ্ঞানে প্রচুর অজানা, অনেক ভুল ধারনা, শোনা কথা, লোক কথা, বংশ পরম্পরার দোষগুন, অনুভবের ভুল, পারিপার্শিকতার ভুল, এইরকম হাজারো ভ্রান্তি আর চলতি বিশ্বাসে মাখামাখি।
বাঁধিয়ে রাখার মত কথা। 
সত্যের মাঝামাঝি কোন কিছু নেই।
অসাম!
... তাই অত শত ভুবনের খবর দিয়ে কাজ কি?  যদি না দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন!
 যদি না দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন!
... আপনে খারাফ! বহুৎ খারাফ 
এই কমেন্টটা আমার পাওয়া বেস্ট কমেন্টগুলোর একটা। এইখানে কথা বলার মত কোন কিছুই বাকি নাই। 
সবকিছু ছেড়েছুড়ে একদিকে গিয়ে মাতাল হবার পরই তো চোখ খোলে। আর সেই যে খোলা চোখ, সেই খোলা চোখে আদিগন্ত পর্দাহীন ধরা দেয়। এটাই তো সবচে মজার বিষয়। এই বিষয়ের লোভ দেখিয়েই তো ধ্যানীরা টুপ করে চোখ বন্ধ করে ফেললেন।
আরো কিছু থ্যাঙ্কু নিয়ে নেন। জমা করা আছে।
২৬|  ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:০৯
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অট : আপনার ঈগলে ছবিটা দারুন লাগতো। ঈগল কিসের প্রতীক জানেনতো  
 
কমেন্ট পরা শেষে মুছে দিয়েন 
  ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১০:৫২
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১০:৫২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: থ্যাঙ্কু ভাইডি! 
আমারও সবচে ফেভারিট ঈগলের ওই ছবিটা।
কমেন্ট মুছার কিছু নাইরে ভাই। 
ঈগল কীসের প্রতীক ঠিক জানি না। আমেরিকা বহু ব্যবহার করে।
আমি ব্যবহার করি সম্পূর্ণ নিজস্ব কারণে। খুব কড়া একখান যুক্তি আছে ওটার ব্যাকগ্রাউন্ডে। এবং প্রতীকতা।
২৭|  ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ২:৪৫
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ২:৪৫
বেলা শেষে বলেছেন: 112 Al-Ikhlas
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। 
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
 الإخلاص ﴿
    
   
﴿ بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ﴾
قُلْ هُوَ اللَّـهُ أَحَدٌ ﴿١﴾ اللَّـهُ الصَّمَدُ ﴿٢﴾ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ﴿٣﴾ وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ ﴿٤﴾
  ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১০:৫১
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১০:৫১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কথাতো সঠিক এবং সুন্দর বলেছেন। তবে আমাদের উচিত জাকির নায়েক বাদে আরো কিছু জানা। মুক্তভাবে জানা। শুধু জাকির নায়েক আমাদের তলিয়ে দিতে পারে।
২৮|  ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  ভোর ৫:২৪
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  ভোর ৫:২৪
মেলবোর্ন বলেছেন: গত এক মাস যাবত টেকনিক্যল পড়া পড়তে পড়তে আর কয়েকটা আইটি প্রো এবং আডমিন এক্সাম দিয়ে  মাথা হ্যং করে ছিল সামুতে এসে পোস্ট গুলোতে চোখ বুলাতেই পেয়ে গেলাম এই পোস্ট। 
যদিও অনকে চিন্তা জাগানিয়া এই পোস্ট, তবুও সেটা আত্বা ও মনে প্রশান্তি আনার মত তাই  ভালো লাগলো। 
  ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১০:৪৯
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১০:৪৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাইরে আপনাকে কতদিন ঠিকমত দেখি না! এখন কারণ ক্লিয়ার হল। কিছু মানুষ শান্তি। তাদের উপস্থিতি শান্তি। আল্লাহর রহমত।
২৯|  ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:১৭
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:১৭
অপু কাউসার বলেছেন: ভাই আমি আপনার লেখায় অবিভূত, আপনি যে এই বিষয়ে অনেক অনেক চিন্তা-ভাবনা করেন, অনেক অনেক প্রঞা রাখেন, এটা খুবই এপ্রিসিয়েটিবল, তবে  আপনার লেখার কিছু এপ্লিকেশন করে ফেলেন প্রার্থনা দিয়ে.....
আপনার লেখা পড়ার সময় বার বার আমার মাথায় একটি কথাই উকি দিয়েছে, "হেদায়েত দেয়ার একমাত্র মালিক এক আল্লাহ", কথাটির পরম সত্য   উদাহরন পেলাম আপনাকে দিয়ে।
আপনাকে একটি অনুরোধ করবো, সেটা হল 'প্রার্থনা' করুন....আপনার যেভাবে ভালো লাগে, কারন 'তিনি' সবই বুঝেন ।
আমি যে কারনে খোদা বিলিভ করি, এই বিষয়ে ২/১ দিনের মাঝেই পোষ্ট দিবো, আমার ওখানে আসবেন।
  ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১০:৪৫
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১০:৪৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আশা করি পোস্ট করেছেন। 
আর আল্লাহর সাথে আমার খুবই ভাল সম্পর্ক।
আপনি সেটা কল্পনাও করতে পারবেন না 
মজা করলাম। কিন্তু আসলেই সত্য কথা বলেছি। হা হা হা।
মালিকের প্রতি সবসময় প্রার্থণারত থাকাই কাজ। এটাই করি। এরপর সব দুই নম্বুরি কাজ।
৩০|  ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:৩৩
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:৩৩
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন:  ভাই আপনার ইসলামী আন্দোলন বিষয়ক একটা পোস্ট এর টাইটেল দেখে থমকে গেছি। থমকানো এখনো কাটছে না। নীচেরটা-তাই না ? 
আল্লাহ তায়ালার অপার কুদরত প্রকাশিত হল, ইসলামী আন্দোলনের নেতা কাদের মোল্লার বিচার কার্যে !  
জী ভাই , ফাসি পিছানোতে আমি বিশেষ কুদরত দেখছিনা, রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই । তবে আওয়ামী লীগের পল্পটা-পল্টি, এমন তামাশা আকারে জনসমক্ষে প্রকাশ হওয়া আমার কাছে বিশেষ কুদরতের প্রকাশ আর কি!   মন্তব্য ৮ এ বলেছি!
পোষ্টে ক্লাইমেক্স - এন্টি ক্লাইমেক্স ভালা পাই । আর আমি কওমী -হেফাজতি হিসেবে জামাত ও আওয়ামি দুইটার -ই বিরোধী, তবে ভোটের কালে বি এন পি, এটা কিছুটা হলেও মোল্লা বান্ধব !
  ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ১২:৫৩
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ১২:৫৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: 'ইসলামী আন্দোলন' বিষয়টা আমাকে অনেক সুন্দরভাবে ভাবিয়েছে।
অসুবিধা কিছু নাই। শুধু ভাবিত হয়েছি। ধন্যবাদ।
আর বিএনপি আওয়ামীলীগ নিয়ে আমার তেমন কিছু বলার নাই। আপনার কথা সত্যি, বিএনপি মোল্লা-বান্ধব।
৩১|  ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:৪৬
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:৪৬
নবীউল করিম বলেছেন: লিসানি ভাই সালাম নিবেন। এই রকম একটা লেখা কেন এতো দেরিতে আমার চোখে পড়লো ভেবে পাই না!
খুব সুন্দর ভাবে আপনার মনের দ্বিধা দ্বন্দ্ব,বিশ্বাস,প্রশ্ন গুলোকে ছাপার অক্ষরে উপস্থাপন করেছেন। এক কথায়  অসাধারণ............
আপনি কি ইমাম গাজ্জালির(রঃ) বই গুলো পড়েছেন? আরেকটা বিখ্যাত বই Dialectical materialism by  Karl Marx and Friedrich Engels এবং Timelessness And the Reality of Fate by Harun Yahya? প্লিজ কিছু মনে করবেন না এই প্রশ্ন করার জন্য।
যদি পড়ে থাকেন তবে( মনে হয় পড়েছেন) ইচ্ছা আছে আলোচনাটা আগানোর। আপনার লেখাটা পড়ে মনে হল যে, Dialectical materialism এবং Timelessness And the Reality of Fate বই দুইটা মিস হয়ে গেছে( আমার ভুল হবার সমূহ সম্ভাবনা আছে)।
ভালো থাকবেন শুভ কামনায়...............
  ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ১২:৫৬
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ১২:৫৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
অবাক বিষয় কী, আমরা আসলে কভার করে শেষ করতে পারি না। একটা জীবন কেটে যাবে, প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো পড়া হবে না। ইমাম গাজ্জালী র. বা হারুন ইয়াহিয়া কারো একটা বইও পড়া হয়নি এখন পর্যন্ত।
পড়ব ইনশাআল্লাহ।
আসলে এখানে আমার সংশয়ের কথা কিন্তু বলিনি। বড়জোর হয়রান হওয়ার কথা বলেছি। ভিতরে সংশয় নেই ভাই। কারণ সংশয় অবিশ্বাসের জন্মদাতা।
আপনার সাথে কথা বলতে আমার অসম্ভব ভাল লাগল ভাই। কৃতজ্ঞতা জানুন আবারো। এসব বিষয়ে আলোচনা করতে ভাল লাগবে খুব।
৩২|  ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:৫৮
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:৫৮
নবীউল করিম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্!
ব্লগ কালচারটা এমন যে এখানে আলোচনার ধারাবাহিকতা থাকেনা শেষ পর্যন্ত।
আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে ইমাম গাজ্জালি একমাত্র মুসলিম দার্শনিক যে ইসলামকে এবং মানুষের সাব কন্সাস মাইন্ড কে দার্শনিক ভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। শুধু তাই না, উনি মানুষের মনে যে যে মানবিক দুর্বলতা, অসুস্থতা, দ্বিধা, দ্বন্দ্ব ইত্তাদি আছে, যেগুলো সমন্দধে ব্যাক্তি নিজেই জ্ঞাত না, সেগুলি কে অত্যন্ত সুন্দর ও সঠিক ভাবে তুলে ধরেছেন এবং সমাধানও বাৎলে দিয়েছেন!
 
উনার বই না পড়লে যে কোনও মানুষের পক্ষে বুঝা সম্ভব না যে,প্রত্যেকটা মানুষের ভিতরে আর একটা অবয়বহীন মানুষ অত্যন্ত শক্ত ভাবে ঘাপটি মেরে থাকে!
আমি Dialectical materialismবইটার কথা এজন্য বলেছি যে, ঐ বইয়ে দান্দিকতা নিয়ে এতো সূক্ষ্ম কথা আছে যা না পড়লে জানা সম্ভব না। মজার ব্যাপার হচ্ছে উনার দান্দিকতার বিচার বিশ্লেষণ যে একদমই ভুল সেটা আপনি প্রমান কোরতে পারবেন যদি ইমাম গাজ্জালির কিমিয়ায়ে সালাত ও ইহিয়াওউল উলুমিদ্দিন পরেন। সাথে বর্তমানে নতুন ভাবে আবিষ্কৃত “বস্তু” এবং “সময়ের” অস্থিত্তহীনতা সম্বন্ধে জানতে পারবেন Timelessness And the Reality of Fate বইটাতে।
আপনার লেখাটার মধ্যে এমন অনেক দ্বন্দ্ব, দ্বিধা প্রশ্ন আছে যার অনেকগুলোরই সহজ সরল উত্তর আপনি পেয়ে যাবেন ঐ বইগুলো পড়লে, আমার বিশ্বাস! বিশেষ করে Dialectical materialism ও Timelessness And the Reality of Fate।
আমি কোনও সংশয়ের কথা বলি নাই! আর সংশয় মানুষের মনে থাকে না, এটা আমি ঠিক মেনে নিতে পারলাম না? সংশয় থাকে বলেই তো এতো বাত বিবাদ, মতবাদ! সে যাক গে......
হয়তো আপনি জানেন, তারপরও বলছি, ইমাম গাজ্জালি রঃ এর ঐ দুইটা বই কিন্তু ভ্যাটিকানে যেখান থেকে বিশপদের কে পরাশুনে করিয়ে সনদপত্র দেওয়া হয়, সেই কোর্সের অবশ্য পাঠ্যসূচী।
আমি মনে করেছি আপনি খুব সুন্দর একটা লেখা আবার উপহার দিবেন আপনারই উপরে উল্লেখিত লেখার পটভূমিতে। আর আমারও জানাটা আরও সমৃদ্ধ হবে এই লোভে এতো প্যাঁচাল পারলাম!
আমার যে কোনও ভুলের জন্য ক্ষমা প্রাত্থি।  ............... ভালো থাকবেন শুভ কামনায়
  ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:৩১
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:৩১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমি মন্তব্যের চেয়ে আলোচনা বেশি কামনা করি। মন্তব্য কামনা করি উৎসাহের আশায়, ভুল শুধরে নেয়ার আশায়। আর আলোচনা কামনা করি ঋদ্ধ হবার আশায়। যদি আলোচনা করেন তো সরাসরি কৃতজ্ঞ থাকবো। 
ব্লগ কালচার আলোচনা চালানোয় ভাল জায়গা। ফেসবুক থেকে অনেক ভাল।
ইমাম গাজ্জালী র. কে সুমহান একজন মুজাদ্দিদ, অর্থাৎ ইসলামের একেবারে মহানতম পুনর্গঠনকারীদের একজন হিসাবে জানি, আর মানি তিনি একজন উচ্চতর মুজতাহিদ, এর বাইরে তাঁকে অনন্যসাধারণ সূফি হিসাবে জানি, তার বাইরে আর দুটা পরিচয় তো রয়েই গেছে, নাক্ষত্রিক শিক্ষক ও স্কলার পাশাপাশি দারুণ দার্শনিক। 
মূর্খতা দেখুন, এই পরিচয়গুলো জানি, অথচ তাঁর লেখা বা তাঁর প্রকৃত অনুসিদ্ধান্তগুলো জানি না। 
দোয়া রাখবেন, যেন প্রকৃত পড়ালেখাগুলো চালাতে পারি। যেন অতল সাগরে ডুব দিতে পারি।
মজার কথা বলি? আমার ব্লগের নামই কিন্তু স্পেস-টাইম। এবং এই নামটা দিয়েছি স্পেস-টাইম-কাজা-কদর-বিজ্ঞান-বোধ এবং পাশাপাশি মহাচেতনাকে ধরার চেষ্টার অংশ হিসাবেই। কিছু কিছু উপলব্ধি আছে, যা এখনো লেখাই হয়নি। অথচ সেই কথাগুলো নিয়ে আলোচনার জন্যই ব্লগে আসা। সবার সাথে কথা বলে শেখা ও বোঝার দরজা উন্মোচিত করা। 
স্পেস-টাইমের ব্যাখ্যা দিয়ে যেভাবে কাজা-কদর বোঝা যায়, অন্যভাবে তা বোঝা যায় না। যেভাবে আল্লাহর রহস্যের উপর দৃষ্টি দেয়া যায়, অন্যভাবে যায় না। 
ভাই নিশ্চিন্তে ইনফরমেশন জানাবেন। আমরা তো সবাই সব প্রয়োজনীয় বিষয় জানি না, একজন অন্যকে জানালেই জ্ঞানের হক আদায় হয়। যেমন, ইমাম গাজ্জালী র.'র বই যে পাদ্রীদের পড়ানো হয়, তাও জানতাম না। 
আর এই পোস্টটার মূল বিষয় কি এখনো স্পষ্ট হয়নি ভাই... আসলে আমি যা বিশ্বাস করি, সেটা এই পোস্টের উপজীব্য নয়, যা শুনেছি ও জেনেছি সেগুলোই উপজীব্য। 
আমার বিশ্বাস তো আমার কাছে জমাই আছে। অটল। অবিচল।
আল্লাহ-তত্ত্ব নিয়ে আরো আলাপ অবশ্যই করতে চাই, তবে সেটা সাবধানে। নৈর্ব্যক্তিকভাবে। যদি নিজের কথা বলেই ফেলি, তাহলে খুব রূঢ়ভাবে বলা হবে, আল্লাহ তিনিই, যিনি আল্লাহ্ । তার আর কোন পরিচয়ের দরকার নেই। দাসের সাথে প্রভুর ভালবাসা ও আদেশের সম্পর্ক। এর বাইরে আর কোন সম্পর্কের দরকার নেই।
আপনি আরো কিছু জানাবেন এই আশায় রইলাম। এবং বইগুলো সুযোগ পেলেই পড়ে ফেলছি... অবশ্যই। 
শুভকামনায়।
৩৩|  ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:৫৪
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:৫৪
স্যার ... বলেছেন: আর আল্লাহর সাথে আমার খুবই ভাল সম্পর্ক।
 আপনি সেটা কল্পনাও করতে পারবেন না 
 মজা করলাম। কিন্তু আসলেই সত্য কথা বলেছি। 
তারমানে আপ্নি যা দোওয়া করেন তাই কবুল হয়- এমনটা হলে জানাবেন। আমার কেন জানি এমনটা মনে হচ্ছে। 
আপনি ভালো থাকবেন।
  ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১০:৫৫
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  রাত ১০:৫৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: না ভাই। আল্লাহ মাফ করুক। 
মুস্তাজাবুদ-দা'ওয়াত হলেন তাঁরা। রাসূল-নবী-সাহাবা-নবী পরিবার- উচ্চতম ওয়ালিউল্লাহগণ (সিদ্দিক-শহীদ-সালিহ-মু'মিনুন)। আমরা বড়জোর তাঁদের আনুগত্য করি।
তোমরা যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছ, আনুগত্য করো আল্লাহর, আনুগত্য কর এই রাসূল দ.'র এবং আনুগত্য করো তোমাদের (প্রকৃত) নির্দেশদাতাদের।
এখানে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক মানে হল তাঁর প্রতি সমর্পণ, তাঁর প্রতি ভালবাসা। তাঁকে উপলব্ধি করার চেষ্টা এবং পাশাপাশি তাঁর সহায়তা কামনা করে মাঝে মাঝে তা পাওয়া বা তাঁর প্রতি বিশ্বাসী ও দাস হিসাবে বিনাশর্তে তাঁকে মেনে নেওয়া, কখনো কখনো তাঁর কাছ থেকে দাস হিসাবে গৃহীত হবার ইঙ্গিত পাওয়া।
আল্লাহ মাফ করুক, কোন কিছু নিয়েই অহংকার রাখা উচিত নয়। যার অন্তরে বিন্দুমাত্র অহংকার রয়েছে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না- রাসূল দ. বলেছেন। 
আর রাসূল দ. বলেছেন, সৎকর্ম মানুষকে ইমপ্রেস করার জন্য দেখালে তা ছোট শিরক! 
তাই সবদিক দিয়েই কর্মফলে আমি জাহান্নামী। তবে তাঁর অপার মহিমায় আমার ভরসাও অপার। এটাই হল তাঁর সাথে সম্পর্ক।
আল্লাহর সাথে সম্পর্কের সবচে সাধারণ উদাহরণ হল, সর্বাবস্থায় তাঁর উপর খুশি থেকে ফলশ্রুতিতে নিজের উপর তাঁকে খুশি করে নেয়া।
আর ভাই আমার পরিচিত কিছু মানুষ আছেন যাঁরা আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। আপনি নিশ্চিন্তে মেইল করতে পারেন, তাঁরা বিনাশর্তে দোয়া করতে পছন্দ করেন, আপনি বিষয় উল্লেখ করে মেইল করতে পারেন। আমি সেটা ডাইভার্ট করে দিব। প্রয়োজনে শুধু যার জন্য দোয়া করতে হবে তাঁর নাম, বয়স ও সংক্ষিপ্ত ঠিকানা বললেই হবে। ইঙ্গিতে সমস্যা বললেও চলবে। না বললেও অসুবিধা নেই।
[email protected]
আমি মেইলে অনিয়মিত। প্রচন্ড অনিয়মিত।
একটা আলোচ্য বিষয় আছে, তাঁরা আশা করেন, প্রতিবার দোয়ার জন্য ৭০ বার আন্তরিকভাবে প্রশান্তমনে যে কোন দরুদ শরীফ পড়া হবে (যিঁনি দোয়া করতে বলবেন তিনি/তাঁরা আগেই পড়ে রাখবেন)। 
খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান সাঞ্জারি চিশতী রা. বলেছেন, একজন আরিফ (খোদাতত্ত্বজ্ঞাত) কখনোই কারো কোন আশা ফিরিয়ে দেন না।
তাঁদের মধ্যে কেউ যদি আরিফ থেকে থাকেন, তিনি বা তাঁরা অবশ্যই দোয়া করবেন।
পুরাই আউট অভ টপিক হয়ে গেছে... বিষয়টা এভাবে আসায় আমি লজ্জিত।
৩৪|  ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:১৭
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:১৭
অপু কাউসার বলেছেন: ভাই বিশ্বাস করা আর না করাটা আপনার বেপার, তবে আমার বাস্তব একটা ঘটনা বলি, "আমি যে কারনে খোদা বিলিভ করি" এই টপিকের উপর আমি চার চার বার লিখতে বসেছি, চার বারই আমার পিসি তে প্রোবলেম হয়েছে।
হয়তো খোদাকে নিয়ে লেখার মত নলয়েজ এখনও হয়নি বা লিখতে বসলে শরিয়তে বাইরে চলে যেতে পারি, এই হেতু হল না।
যাই হোক, সংক্ষেপে দুটি কথা বলি ::
মানুষের ভাবনা-চিন্তার একটা সীমা আছে, কিন্তু খোদা নিরাকার বা তার কোন সীমা নেই বা অসীম, সুতরাং লিমিটেড  হিউমেন ব্রেইন দিয়ে আনলিমিটেড খোদাতত্ব কে কোন ভাবেই ট্রেস করা সম্ভব নয় ।
কুরান-হাদিসে আললাহু তালার যে পরিচয়টা দেয়া হয়েছে, এতে এটা স্পষ্ট যে তিনি নূর বা আলো, পার্টিকেল বডি বা বস্তু নয় আর আমরা খুব ভালোকরেই জানি যে আলো একপ্রকার শক্তি এবং শক্তি কে ধ্বংস যেমন করা যায় না, তেমনি সৃষ্টিও করা যায় না। সুতরাং ইসলাম ধর্মের খোদা জন্ম-ধ্বংস নিয়মের মাঝে পরেন না । আর এই কথাগুলো খুবই সুন্দর ভাবে দেয়া আছে সুরা 'ইখলাস' এ। একটু ভাবলেই সব ক্লিয়ার হয়ে যায়।
  ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৩:২৩
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৩:২৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনার অনুসিদ্ধান্তটাই আমার অনুসিদ্ধান্তরে ভাই। কী, বিশ্বাস হয়তো? এটাই বিশ্বাস করি। তিনি আলোক হয়ে থাকতে পারেন, এটা তাঁর সক্ষমতার অধীনে। আর আলোক হল বিশুদ্ধ শক্তি। 
তবে এই তত্ত্ব নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। তিনি তাই তিনি যা। কুরআনে যা আছে, রাসূল দ. এ বিষয়ে যে ব্যারিয়ার দিয়েছেন, সেটাই যথেষ্ট।
আর হয়ত মহান রাব্বে জুল জালাল আপনার ওই পোস্ট করতে বাঁধার সম্মুখীন করে মূলত কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পাপ থেকে রক্ষা করলেন! তিনিই তো রক্ষাকর্তা। তাই সরল বিশ্বাসে থাকাই আমাদের জন্য সবচে জরুরি, যে সারল্য বিশ্বাসের সাথে যায়, ততটুকু।
কৃতজ্ঞতা রইল আবারো আলোচনায় অংশ নেয়াতে।
৩৫|  ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৩:৪৮
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৩:৪৮
নবীউল করিম বলেছেন: পোস্টটার মূল বিষয় বুঝেছিলাম বলেই অনেকগুলো সূত্র ধরিয়ে দেবার চেষ্টা করেছি! আমি মনে করেছি এই প্লাটফর্মটা শুধুই আমার ও আপনার মধ্যে না। অনেকেই আপনার লেখাটা পড়েছে ও পড়বে এবং আমাদের আলচনাটাও খেয়াল করবে।বস্তুত আপনি নিজেও তাই ভেবেছেন বলেই যা শুনেছেন,যেভাবে শুনা যায় প্রায় সে ভাবে লেখেছেন।
 
আলোচনা করার চিন্তা মাথায় রাখি নাই, কারন এই লেখা যারা পরছে তাঁদের মধ্যে কার কতটুকু জানা আছে এবং কে কতটুকুই বা জানার ইচ্ছা রাখে, সেটা আমার জানা নাই। তাই আমার সামান্য বুঝ থেকে যদি আমি এই খোলা জায়গায় মন্তব্য করি, তবে বিভ্রান্ত হবার সমূহ সম্ভাবনা থাকে! 
সূফীদের একটা কথা আমি খুব মেনে চলার চেষ্টা করি............... হাতীর খাবার পিঁপড়ার মুখে দিয়ো না! 
আপনি নিশ্চয়ই মানেন,সবার বুঝ সমান না। আপনার লেখাটার মধ্যে দর্শনটাই আসল, অন্তত আমার তাই মনে হয়েছে। তাই আমি ঐ বইগুলোর সূত্র ধরে দিয়েছি মাত্র। 
আমি খোলা জায়গায় ধর্মীয় আলোচনা করা নিরাপদ মনে করি না। সবাইতো আর সব কিছু নিতে পারে না ভাই............... ভুল হোলে ক্ষমা করবেন। 
যাযাকাল্লাহ খায়ের.........
৩৬|  ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৬:০৪
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৬:০৪
এস  বাসার বলেছেন: জগতের সব ভাবনার শেষ ভাবনা হলো স্রস্টার ভাবনা। যতই ভাবি, ততই কূল কিনারা হারিয়ে ফেলি..........
ইদানীং রাতে ঘুমানোর আগে কেবলি মনে হয়, চলে যে যাব তার প্রস্তুতি কতটা হলো, ভেবে ভেবে অস্থির হয়ে উঠি....... নাহ , কোন রকম প্রস্তুতি নেই, তবে কি শুণ্য হাতেই বিদায়....................
৩৭|  ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪  সকাল ১১:২৮
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪  সকাল ১১:২৮
ডট কম ০০৯ বলেছেন: আল্লাহর নূরের উপমা এমনি, যেমন এক দীপাধার (যাকে খলিফা উমার রা. বলছেন বুক, আমরা অনেকেই অনুভব করছি বুক বা দেহ হিসাবে।) এর ভিতরে এক ফানুস, মুক্তার মত জ্বলজ্বলে (হার্ট।) এর তেল যা নিজে জ্বলে না অপরকে জ্বালায় (অক্সিজেন), এই তেল আসে এমন যাইতুন/অলিভ গাছ থেকে যা প্রাচ্যেও পাওয়া যায় না, প্রতীচ্যেও না (বৃক্ষাকৃতির ফুসফুস) এবং সেই হার্টের ভিতরে, সেই জ্বালানীর মাধ্যমে যে নূর জ্বলে, সেটাই আল্লাহর নূর।
দারুন ভাবনা কখনো এমন ভাবে ভাবিনি।
আসলে আল্লাহর রুপের শেষ নাই বলে আমার ধারণা যে যা ধরে এগিয়ে যাবে সে সব শেষে তারেই পাবে।
আল্লাহ মহান আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা লা শরিক লা ইলাহা।
যারা এটা মানতে পারে না বা বুঝতে চায় না তাদের জন্য কেবলি সমবেদনা।
৩৮|  ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪  সকাল ১১:৫৭
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪  সকাল ১১:৫৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নিঃসন্দেহে ইন্টারেস্টিং একটা পোস্ট, অনেক আলোচনা আছে। সময় নিয়ে খুঁটিনাটি ধরে পড়ার ইচ্ছা রাখি। 
শুভেচ্ছা। 
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ৯:৩৩
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩  সকাল ৯:৩৩
খেয়া ঘাট বলেছেন: পরে সময় নিয়ে শান্ত মেজাজে পড়তে হবে।