|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

আল্লাহর রাসূল দ.'র প্রবল সমালোচনাকারী এমনকি অবমাননাকারীদের সাথে রাসূল দ. ও তাঁর সাহাবী রা. গণের সময়কালে কী কী ঘটেছে সেটা আমরা দেখতে পারি-
১. তাদের বছরের পর বছর ধরে কিছুই করা হয়নি। এভাবেই তাদের স্বাভাবিক জীবদ্দশা শেষে মৃততুবরণ করেছে।
২. তাদের অনেকেই ইসলাম ধর্ম নিজে এসে গ্রহণ করেছেন। হাসসান বিন সাবিত রা., ক্বাব বিন যুহায়ের রা. এমনি দুজন কবি। 
হিন্দা রা. রাসূল দ.'র বিরুদ্ধে ২৩ বছর যাবৎ যুদ্ধ করেছেন, 
তাঁর দ. চাচা হামজা রা.'র কলিজা আক্ষরিক অর্থেই চিবিয়েছেন যুদ্ধক্ষেত্রে, 
বিকৃত কবিতা ও অবমাননা করেছেন জীবনভর,
২৩ বছর পর মক্কা বিজয়ের দিন বিনা প্রশ্নে ক্ষমা পেয়েছেন। ক্ষমার জন্য কোন শর্তও ছিল না। তিনি স্বত:প্রণোদিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করতে এসেছেন,
রাসূল দ. তাঁকে ইসলামে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তবু তাকে কোন দন্ড দেননি,
এর পরও হিন্দা রা., রাসূল দ.'র সবচে বড় একজন অবমাননাকারী, নিজের ঐকান্তিক দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
৩. অবমাননাকারী কিছু মানুষকে যুদ্ধরত অবস্থায়, বন্দী অথবা হত্যা করাই যেখানে অপশন, হত্যা ও আহত না করে বন্দী করা হয়েছে।
৪. কিছু অবমাননাকারী কবিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে কী শর্তে এটা জানলে পাথরেরও চোখ ফেটে যাবে। তাদের শর্ত ছিল, পড়তে লিখতে জানে না, এমন মুসলিমদের পড়াতে লেখাতে হবে। ব্যস। তারা মুক্তি পেয়েছে। মুসলিম না হয়েই ফিরে গেছে।
৫. কিছু অবমাননাকারী যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধরত অবস্থায় মৃততুবরণ করেছে।
৬. কিছু অবমাননাকারীকে হত্যা করা হয়েছে। যে কোন অবস্থায়।
এইযে ছয়টা পয়েন্ট, এর মধ্যে কোনটা গ্রহণ করতে হবে, কীভাবে গ্রহণ করতে হবে, কোন্ পরিস্থিতিতে, কার নির্দেশনায়, এ বিষয়ও ইসলামে স্পষ্ট।
বাংলাদেশ ইসলামের কোন শত্রু দেশ নয়। দারুল হারব নয়। দারুল আমান। এদেশে ধর্ম অবমাননার আইন আছে। এদেশে যারা ধর্ম অবমাননা করে, তাদের ক্ষমা করে দেয়া ইসলাম সম্মত। তাদের আজীবন সুযোগ দিয়ে নিজের মত করে স্বাভাবিকভাবে মৃততুবরণ করতে দেয়াও ইসলাম সম্মত। তাদের ইসলাম গ্রহণ করতে দেয়াও ইসলাম সম্মত। তাদের মুসলিম হিসাবে একবার রিজেক্ট করাও ইসলাম সম্মত। তাদের বন্দি করা ও সশ্রম কারাদন্ড দেয়াও ইসলাম সম্মত। এবং বন্দি করে সশ্রম কারাদন্ড দেয়ার বিধান দারুল আমান বাংলাদেশে আছে। মামলা করো। জেলে ভরো। বেরিয়ে যাক। নিজের মত থাকুক। আলোচনা করুক। সমালোচনা করুক। কুৎসা যেন না রটায়। মিথ্যা অপবাদ যেন না দেয়। গালাগালি যেন না করে। যদি করে, তবে আবার মামলা করো। আবার জেলে ভরো। তাহলে হত্যা কেন? তাহলে হত্যা কারা করে? যারা এদেশকে দারুল হারব মনে করে, যারা এদেশের নিয়ম মানাকে কুফর মনে করে, তারাই করে। 
এরাই কি এদেশের ষোল কোটি মুসলিম? এরাই কি প্রকৃত মুসলিম আর আমরা ভেসে এসেছি? আমরা কুরআন হাদীসের কিছুই জানি নাই? হত্যা প্রকৃত ইসলামিক নির্দেশদাতা শাসক ছাড়া আর কারো করার অধিকার নেই। হত্যার জন্য সুনির্দিষ্ট বিচারের প্রয়োজন। সুনির্দিষ্ট পন্থার প্রয়োজন।
কারা করে? যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বকে স্বীকার করে না। বাঙালি জাতি মানে না। আইন মানে না। নাগরিকত্ব মানে না। যারা স্বাধীনতার বিরোধী ছিল আছে থাকবে তারাই শুধু করে ও করেছে। এদের সংখ্যা বাংলাদেশে কত? এদের চেনা কি খুবই কষ্টকর? এদের মতবাদের গোড়া কি ইসলামে মিশেছে, নাকি অন্য কোথাও? যেখানে মিশেছে, সেটা খুজে বের করা কি খুবই কষ্টকর?
এদের মতবাদের গোড়া সেখানে, যেখানে বলা হয়েছে, ধর্ম যে অবমাননা করবে, সে পরবর্তীতে মুসলিম হলেও তার উপর তলোয়ার। এটা ধর্ম নয়। একটা ধর্মের ভিতরে, একটা ইসলামের ভিতরে প্রতিটা বিষয় খুবই বিস্তারিত রয়েছে। এর বহু অপশন রয়েছে। সকল অপশনের মধ্যে খাটুক বা না খাটুক, সর্বক্ষেত্রে সবচে চরম অপশনটা যারা বেছে নেয়, তাদেরই বলা হয়েছে চরমপন্থী। আর রাসূল দ. কতশতবার বলেছেন, আমি মধ্যপন্থী, আমার উম্মাহ (দলভুক্ত অনুসারী) মধ্যপন্থী।
কী সেই মধ্যপন্থা? কীভাবে বোঝা যাবে মধ্যপন্থা?
ইসলামে ধর্ম বোঝা ও ধর্ম প্রয়োগ করার সুনির্দিষ্ট নিয়ম আছে।
কোন একক উদ্ধৃতির উপর নির্ভর করে কেউ ধর্ম প্রয়োগ করতে পারবে না, ধর্ম বুঝতেই পারবে না।
একক উদ্ধৃতি থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
উদাহরণ দিই,
আমাদের কাছে কুরআন ও সহীহ্ হাদীসের মর্যাদা প্রায় সমান। 
কুরআনে আছে, 
যেখানেই কাফির পাও, হত্যা করো। - এই আয়াত যদি আমরা একক আয়াত হিসাবে গ্রহণ করতাম, তাহলে পৃথিবীর কোন মুসলিম প্রধান দেশেই কোন অন্য ধর্মাবলম্বী থাকতো না। আর এই বিষয়টা একবার চিন্তা করেন, কতখানি অ্যাবসার্ড!
প্রকৃতপক্ষে এই আয়াতের একমাত্র অর্থ হল, যখন কাফিররা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত রয়েছে সেই মুহূর্তে যুদ্ধের ক্ষেত্রের মধ্যে যেখানেই কাফির পাও সেখানেই হত্যা করো। আয়াতটি এসেছেও যুদ্ধক্ষেত্রে।
এই আয়াতের পরও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সাথে একত্রে বসবাস করেছেন, এই আয়াতের পরও তিনি মক্কায় সমস্ত ধর্মাবলম্বীদের সাথে একত্রে থেকেছেন, তাদের সবকিছু ক্ষমা করে দিয়েছেন। 
তাই একক উদ্ধৃতি আমাদের মিসলিডই করতে পারে শুধু।
দেখুন, কুরআনের আয়াত অনুযায়ী-
১. মানুষকে  সিমেন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
২. মানুষকে ওভারি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
৩. মানুষকে মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
৪. মানুষকে পানি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
৫. মানুষকে ঝুলন্ত রক্ত-মাংসপিন্ড থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
৬. মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে।
৭. মানুষকে সর্বোত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করা হয়েছে।
৮. মানুষকে তার সাধ্যের অতিরিক্ত কোন কিছু দিয়ে দেয়া হয়নি সৃষ্টির পর থেকে।
যে কোন একটি আয়াত থেকে যদি আমরা এ বিষয় বুঝতে যাই, আমরা শুধু কনফিউজডই হব। এরচে বেশি কিছু আমরা হতে পারব না। 
অথচ বিষয়টা কত সরল! মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে সিমেন ও ওভারির যৌথ অবস্থা থেকে। আর সিমেন ও ওভারির সবচে বেশি পরিমাণ উপাদান হচ্ছে পানি। আর সিমেন ও ওভারির পানি সহ প্রায় সকল উপাদান ভূমি তথা মাটি থেকে এসেছে। আর এই সিমেন ও ওভারিতে যখনি নিষেক হয় তখন তা ঝুলন্ত রক্ত-মাংসপিন্ডের মত হয়ে যায় দিনে দিনে। পরবর্তীতে তা মানুষের রূপ পরিগ্রহণ করে গর্ভের ভিতরে। যখন মানব সন্তান ভূমিষ্ট হয়, তখন সাধারণত পাওয়া অন্যান্য পশু ও পাখির চেয়ে মানুষের সন্তান দুর্বল থাকে। যেমন, বাছুর, ঘোড়ার শাবক, ছাগশাবক জন্মের পরই ছুটতে পারে। হাঁস বা টার্টল শাবক জন্মের পরই পানির দিকে চলে যায়। মানব শিশুর ভালবারেবিলিটি এসব থেকে অনেক অনেক বেশি। দুর্বল করে সৃষ্টি করলেও দৈহিক প্রায়োগিকতায় মানুষকে সর্ব্বোত্তম অবয়বে সৃষ্টি করা হয়েছে- এর প্রমাণ দেয়ার কিছু নেই, জগতের একমাত্র সভ্য প্রাণী একমাত্র সকল প্রাণীর উপরে প্রাধান্য সৃষ্টিকারী প্রাণী হল মানুষ। আর মানুষকে সাধ্যের অতিরিক্ত কোনকিছু দেয়া হয়নি এর একটা মানে হল, মানুষ এইযে বিষয়গুলো, এগুলো খুব সহজেই অনুধাবন করতে পারবে।
সমস্যাটা আমাদের উপলব্ধিতে। 
একক উদ্ধৃতি তাই শুধু মিসলিড করে। শুধু ভুলের সম্ভাবনা তৈরি করে। মানুষের ইসলাম বিষয়ক ভুল তখনি হবে, যখন সে নিজে থেকে কোন কিছু বোঝার চেষ্টা করবে। অন্তত ভুল হবার সম্ভাবনা মাত্রাতিরিক্তভাবে বাড়বে। 
এজন্য ইসলাম অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে, 
১. কুরআন থেকে বুঝতে হবে প্রথমে কুরআনের অন্য সকল আয়াতের আলোকে। 
২. এরপর কুরআনের এ বিষয় সংশ্লিষ্ট প্রতিটা আয়াতের অবতরণের প্রেক্ষিত পর্যালোচনায়। 
৩. এরপর হাদীস থেকে- হাদীসের মধ্যে রাসূল দ. এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কী বলেছেন তা থেকে। (এই রাসূল দ. নিজে থেকে কিছুই বলেন না, তিনি যাই বলে থাকেন তাই সরাসরি ওয়াহয়ি হয়ে থাকে)
৪. এরপর রাসূল দ. এ বিষয়ে কী করেছেন তা থেকে। 
৫. এরপর রাসূল দ. এ বিষয়ে কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে সম্মতি দিয়েছেন তা থেকে।
৬. তারপর এ বিষয়ে রাসূল দ.'র আলোকে চার খলিফা রা. ও আহলে বাইতে রাসূল দ. কী করেছেন তার আলোকে। (আমার পরে তোমরা আমারই মত করে অনুসরণ করো খুলাফায়ে রাশিদুনকে যাঁরা মাহদি; আমি কুরআন ও আহলে বাইত রেখে যাচ্ছি, যারা নূহ আ.'র কিশতিরূপী আহলে বাইতে আরোহণ করবে তারা মুক্তি পাবে যারা আশ্রয়গ্রহণ করবে না তারা ডুবে যাবে।)
৭. এরপর সমগ্র সাহাবাদের জীবনে এর প্রতিফলন কেমন ছিল সেই আলোকে। (আমার এক একজন সাহাবা হলেন অন্ধকার রাতের আকাশের এক একটা নক্ষত্রস্বরূপ, যে কোন এক নক্ষত্র ঠিকভাবে অনুসরণ করলেই লক্ষ্যে পৌছে যাওয়া যাবে)।
৮. এই সমস্ত কিছুর আলোকে বিষয় নির্ধারণ ইতোমধ্যে করে দিয়ে গেছেন তাবিয়ি ও তাবে তাবিয়িদের মধ্যে চার মাজহাবের প্রতিষ্ঠাতা। এই মাজহাবের প্রতিষ্ঠাতাদের যে কোন একজনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী যখনি কোন যথাযথ আলিম আগের সাতটি পয়েন্টের আলোকে কোন জ্ঞান অর্জন করেন, তখনি তিনি তার অনুসিদ্ধান্ত জানানোর অধিকার পান। এই অনুসিদ্ধান্তকে বলে ইফতা/ফাতওয়া আর ইফতা যিনি দেন তিনি হলেন মুফতি।
তাই একজন মুফতিই পারেন ইসলামের কোন্ বিষয়টা সঠিক তা জানাতে। আর সেই মুফতিই সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা রাখেন, যিঁনি প্রকৃত মধ্যপন্থী (মডারেট) ইসলামকে বুঝতে পেরেছেন ও তার সঙ্গ, সঙ্ঘ পেয়েছেন।
ইসলামের জ্ঞান এমনি একটা ছাঁকনির ভিতর দিয়ে আসে, যেন 'যেখানে কাফির পাই সেখানেই হত্যা' আমরা না করি। এ কাজ যদি আমরা করতাম, তবে এতদিনে ১৪০০ বছরে হয় ইসলাম বিলুপ্ত হতো নয়তো ইসলাম ছাড়া অন্য সবকিছু বিলুপ্ত হতো, এটা ইসলামের নীতির মধ্যে পড়ে না বলেই কিছুই বিলুপ্ত হয়নি।
এই মধ্যপন্থা একটা মনোবৃত্তি, যা শুধুমাত্র সঠিক সংঘায়ন, সঠিক সংগ লাভ, সঠিক ব্যাখ্যা লাভের আবর্তে থাকলে অর্জন করা সম্ভব। নিজের মত করে কখনোই নয়। একা একা কখনোই নয়। একা একা অথবা ভুল সঙ্গ/সংঘ লাভের ফলে তিনটার যে কোন একটা ঘটাই ৯৯% ক্ষেত্রে বাস্তব-
১. ইসলামকে আঁকড়ে ধরার সংজ্ঞায়নের দিকে গিয়ে ইসলামের যে কোন ক্ষেত্রের সবচে চরম উদাহরণটাকেই সর্বক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাওয়া। যেমনটা করছে শত শত চরমপন্থী দল।
২. ইসলামেই থাকা, কিন্তু এর সকল নিয়ম কানুন ও সকল বিষয় এবং সকল দিককে সম্পূর্ণ পথভ্রষ্ট জানা। নিজের মত শুধু জীবনযাপন করে মারা যাওয়া। অর্থাৎ সর্বদিক দিয়ে ইসলামের কালিমা ও কুরআন ছাড়া আর কিছু না নেয়া ফলত ঈমান, আক্বিদা ও আমলের দিক দিয়ে পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়া ফলত ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাওয়া। কেননা, ইসলাম নিজের মত ইন্টারপ্রিটেশনের কোন বিষয় নয়, বরং নিজ জীবনে প্রয়োগের বিষয়। নিজ জীবনে প্রয়োগের ক্ষেত্রে ব্যর্থতাও ক্ষমার্হ্য। কিন্তু বিশ্বাসে বিচচুতি ক্ষমার্হ্য নয় বরং তা পরকালে অবিশ্বাসী অথবা মুনাফিক হিসাবে ওঠার পথ তৈরি করে। 
৩. ইসলাম থেকে সচেতনভাবেই বেরিয়ে যাওয়া।
যখন কেউ ইসলামেই থাকে, আর ইসলামেই থেকে ইসলামের সমস্ত নিয়মের মধ্যে শুধু সবচে চরমটা গ্রহণ করে তা প্রায়োগিক হোক বা না হোক, তা এক্ষেত্রে খাটুক বা না খাটুক, তখনি সে মুসলিম থেকে বেরিয়ে যায়, রাসূল দ.'র ধর্ম থেকে বেরিয়ে যায়। তার উম্মাহ থেকে বেরিয়ে যায়।
২৩ বছরের শেষে কে বলেছিলেন, দেড় লক্ষ সাহাবীর সামনে, মক্কায়, হে মানবজাতি! (হে বিশ্বাসী নয়, হে মুসলিম জাতি নয়, পুরো মানবজাতি!) তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না, অতীতে অনেক জাতি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে বিলীন হয়ে গেছে!
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কোনটা? ধর্মেরই ভিতরে থাকা যে কোন বিষয়ের তথ্যাবলীর মধ্যে সবচে চরমটাকে নিয়ে সর্বক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করাই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি।
কেন রাসূল দ. বলেছেন, এক সময় কিছু মানুষ কুরআন পড়তে পড়তে চেহারা উজ্জ্বল করে ফেলবে, (কিন্তু তারা এর অর্থ অনুধাবনে ব্যর্থ হয়ে) তলোয়ার নিয়ে আপন প্রতিবেশীকে 'শিরককারী' বলে মারতে উদ্যত হবে, এবং যে মারতে উদ্যত হবে, সেই মূলত মুশরিক!
ইসলাম মানুষের সহাবস্থানে বিশ্বাস করে না? ইসলাম মানুষকে বর্বর করেছে? তাহলে কোন্ ইসলামের মহানবী দ. ২৩ বছরের সমগ্র প্রচার শেষে দেড় লাখ সাক্ষীর সামনে বলেছেন, হে মানবজাতি! আজ থেকে তোমাদের পরস্পরের সম্পদ, সম্মান, রক্ত ও প্রাণ পরস্পরের জন্য সম্পূর্ণরূপে হারাম!
কে বলেছেন, আমি কি তোমাদের কাছে আমার বাণী স্পষ্ট করে পৌছে দিয়েছি? তোমরা কি সাক্ষ্য দিচ্ছ? তবে আমার এ বাণী সবার কাছে পৌছে দাও!
কোন্ বাণী কে পৌছায়? কে বিকৃত করে? কেন করে? তার উদ্দেশ্য কী? সে যদি জেনে না থাকে, কেন জানেনা? তাকে যারা জানায়, তারা ভুল কেন জানায়? ইসলামের ভিতরে চরমপন্থা তথা ইসলাম বহির্ভূত মতবাদের শুরু কোথায়? আর ইসলামের বাইরে ইসলামকে সম্পূর্ণ আউট অভ কনটেক্সচুয়াল কম্বিনেশনে গিয়ে কে এর ব্যাখ্যা দেয়? কে ইসলামকে হত্যাকারী একটা প্রাচীণ গোঁড়া বিপ্লব হিসাবে প্রদর্শন করে?  
 ৪৩ টি
    	৪৩ টি    	 +১৪/-১
    	+১৪/-১  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  সকাল ১১:৩৯
০২ রা মার্চ, ২০১৫  সকাল ১১:৩৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রাফাভাই, এরা জানেও না, আর জানলেও তা তাদের মনে কোন প্রভাব তৈরি করেনি। 
এরা ক্ষমার উদারতা শেখেনি, শাস্তির ভয়াবহতা শিখেছে।
এরা সহাবস্থানের সৌম্য শেখেনি, বিজয়ের রক্তাক্ততা শিখেছে।
বিজয় যে শেষ পর্যন্ত একক অবস্থানকে আনে না, বরং সহাবস্থানকে আনে, এটাই তারা ভুলে গেছে।
২|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১২:২১
০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১২:২১
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন!
  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১২:৫৪
০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১২:৫৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ভাই।
৩|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১২:৩৪
০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১২:৩৪
সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: এদের পাছায় কুঞ্চি পেটা করতে হবে প্রতিদিন ৩ বার এভাবে বছর ১০ চললে ঠিক হলেও হতে পারে। সুন্দর উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ ।
  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১২:৫৬
০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১২:৫৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দিনে তিনবার পাছায় কঞ্চিপেটা করার মাধ্যমে দশ বছর চালানোর আইন করা হোক, তখন এটাকে অবশ্যই সমর্থন করব।
খুবই মজার আইন হবে।
হাহাহা, কেমন আছেন ভাই।
৪|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১২:৫৭
০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১২:৫৭
জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: সহমত। 
কিন্তু উগ্রবাদী নাস্তিক যারা উস্কানী ছড়ায় এদের সচারাচার আমরা বিচার দেখি না, আর যে দেশে আইন আছে কিন্তু বিচার নেই সে দেশ বিশৃঙ্খলা হতে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
তাই সবার আগে আমাদের দেশের সরকারকে সচেতন হতে হবে।
  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১:১২
০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১:১২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন:  যে দেশে আইন আছে কিন্তু বিচার নেই সে দেশ বিশৃঙ্খলা হতে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
এটাই হল দশ কথার এক কথা জিয়া ভাই।
সব সমস্যা এই একটা মোড় পর্যন্ত এসে আটকে যায়। সমাধানের আলোক আর দেখে না।
৫|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১:০৪
০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১:০৪
শোভন মোস্তাফিজ বলেছেন: ভাই,আপনারা এত বুঝেন কিন্তু এই টুকু বুঝেন না যে কারো  ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘত দিলে আমাদের সাধারন মুসলিমদের কতটা কষ্ট লাগে।
দুঃখ জনক হলেও সত্য ঈন্ডিয়ান নাস্তিক হোক আর বিডি নাস্তিক হোক,তাদের মাঝে অনেকেই আল্লাহ, নবী (সঃ) কে নিয়ে চরম অবমাননা করে।
  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১:১০
০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১:১০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমাদের মুসলিমদের এতটাই কষ্ট লাগে যে, আমরা ঘুম হারিয়ে ফেলি, তন্দ্রা হারিয়ে ফেলি, হারিয়ে ফেলি নিজেকেও এবং এক সময় উন্মাদের মত হত্যার জন্য উঠে যেতে চাই।
ঠিক একজন সুসন্তান তার মায়ের জন্য যে আবেগ রাখে, আমরা প্রত্যেকে আমাদের নবী দ.'র জন্য তারচেও বেশি ভালবাসা ও আবেগ রাখি।
এই দুর্বলতার সুযোগই তারা নিতে চায়। আমরা যদি একে শক্তিতে পরিণত করতে পারি, তথ্যতে পরিণত করতে পারি, সহনশীলতায় পরিণত করতে পারি, তবে বিষয় সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে।
৬|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১:২০
০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১:২০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: “মনে রেখো যদি কোন মুসলমান কোন অমুসলিম নাগরিকের উপর নিপীড়ন চালায়, তাদের অধিকার খর্ব করে, তার কোন বস্তু জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়, তাহলে কেয়ামতের দিন আমি আল্লাহর আদালতে তার বিরূদ্ধে অমুসলিম নাগরিকদের পক্ষ অবলম্বন করব।” (আবু দাউদ)
৭|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১:৪০
০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১:৪০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার একটা পোস্ট।  আশা করি যদি কেউ পড়েন, তিনি উপকৃত হবেন। সমস্যা হচ্ছে, এখন কেউ পড়তে চায়  না।
  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৩:১৩
০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৩:১৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কাল্পনিক ভালোবাসা ভাই, 
তবু বলে যাওয়া। শুধু বলে যাওয়া। 
আসে আসুক সময় চলে যাওয়া, তবু বলে যাওয়া।
৮|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১:৪১
০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১:৪১
এম এম করিম বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
অনেক তথ্যবহুল।
++++
  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৩:১৪
০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৩:১৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সময় নিয়ে পড়াতে অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকুন অনেক অনেক।
৯|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১:৪৬
০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১:৪৬
রিপেনডিল বলেছেন: রাসূল দ. বলেছেন, এক সময় কিছু মানুষ কুরআন পড়তে পড়তে চেহারা উজ্জ্বল করে ফেলবে, (কিন্তু তারা এর অর্থ অনুধাবনে ব্যর্থ হয়ে) তলোয়ার নিয়ে আপন প্রতিবেশীকে 'শিরককারী' বলে মারতে উদ্যত হবে, এবং যে মারতে উদ্যত হবে, সেই মূলত মুশরিক!
এটা কোন হাদিস?
  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৩:১৫
০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৩:১৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এই মুহূর্তে আমার কাছে রেফারেন্স নেই। তবে নিশ্চিত থাকুন, প্রয়োজনে দেয়া যাবে।
পৃষ্ঠার সংখ্যা আর বইয়ের নাম মনে না থাকলে তো আর হাদীস বলা বন্ধ হয়ে যাবে না।
১০|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১:৫৫
০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ১:৫৫
সোহানী বলেছেন: অনেক মনোযোগ দিয়ে আপনার এ চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী লিখাটা পড়লাম। এক কথায় অসাধারন লিখেছেন লিসানী ভাই। এভাবে যদি সবাই ইসলামকে ব্যাখ্যা দিত তাহলে আজ দেশে দেশে এ অবস্থা হতো না।
খুব দু:খ লিসানী ভাই, আমাদের এ চমৎকার ধর্ম কিছু অযোগ্য/গোড়াঁ লোকের যাঁতাকলে পড়ে বাকীরা সবাই ভুল বুঝছে বা বিপদে পড়ছে। 
পোস্টটা স্টিকি করা খুবই প্রয়োজন অন্তত এ সময়ে। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৩:১৬
০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৩:১৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আহা, আপু, এভাবে যদি সবাই বুঝতো! সবতো প্রস্তুতই ছিল, শুধু আমাদের মন প্রস্তুত নেই।
অসহনশীলতার কোন্ পর্যায়ে চলে গেছি!
১১|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ২:১০
০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ২:১০
হাসান রাব্বি বলেছেন: সুন্দর ও জ্ঞানগর্ভ লেখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।আসলে আমরা সওয়াবের জন্য কুরআন হাদিস পড়ি কিন্তু বুঝার জন্য পড়ি না।
  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৩:১৭
০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৩:১৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রাব্বি ভাই এজন্যই তো এত পিছিয়ে আছি। সওয়াব তো হবেই, বুঝে সে অনুযায়ী এগুলে সেই সওয়াব যে আরো বাড়বে!
তার সাথে আমরা পাবো ভুল না করার সুযোগ- পথভ্রষ্ট না হওয়ার সুযোগ।
১২|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ২:১৫
০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ২:১৫
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই। নাগরিকদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দান একটি ফৌজদারি অপরাধ এবং এজন্যে দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তির বিধান আছে। সরকার কি এই অপরাধে অভিযুক্তদেরকে শাস্তি বিধান করতে পেরেছে? তাই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ছাড়া আর উপায় কি?
মনে রাখবেন, আমার প্রাণপ্রিয় বাব-মা বা প্রিয়জনের হত্যাকারীকে যদি রাষ্ট্র উপযুক্ত শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তবে আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও তার শাস্তির ব্যবস্থা করব - নয়ত আমার কলিজা ঠাণ্ডা হবেনা।
  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৩:২০
০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৩:২০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এমন ক্ষিপ্ত হচ্ছি আমরা। 
এর দায় কি শুধু আমাদের হবে?
আজকে আমরা ক্ষিপ্ত হয়ে শান্ত থাকছি। কিছু করছি না।
অপরপক্ষে কিছু মানুষ এর ফায়দা তুলছে।
বলার সময় কোন লাগাম থাকবে না কেন? নিজে মানুষ, আর আমরা কোন প্রাণীই কি নই? ধর্ম মানুষ কি আন্তরিকভাবে গ্রহণ করে না? সমস্ত অন্তর দিয়ে?
কিন্তু তাদের নীতিহীনতা তাদের বিবেকের উপর জয়ী হয়েছে বলেই তারা বছরের পর বছর ধরে এ ঘৃণার্হ্য কাজ করে যাচ্ছে।
আর আমরা পরিণত হচ্ছি আবেগের শিকারে।
১৩|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ২:৪৬
০২ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ২:৪৬
গেন্দু মিয়া বলেছেন: সুন্দর ও যুক্তিযুক্ত আলোচনা।
  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৩:২০
০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৩:২০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই।
১৪|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৩:৫৫
০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৩:৫৫
নবীউল করিম বলেছেন: চমৎকার। আপনার লেখা সব সময়ই সুন্দর হয়।
আমার কথাঃ
যে জ্ঞান অগণিত মানুষকে আঘাত দেয়,যে জ্ঞান অন্যের চিন্তাকে সন্মান দূরে থাক অসন্মান থেকে দূরে রাখে না,সে জ্ঞান মুক্তচিন্তার হয় কি করে?উপমহাদেশের অন্তত দেড়শ কোটি মানুষের বিশ্বাস(হিন্দু-মুসলিম)নিয়ে যে তাচ্ছিল্য করে,তামাশা করে,মিথ্যা ও জাল গল্প সাজিয়ে বলাৎকার করে সে পূজনীয় হয় কি করে?
কাওকে সন্মান করা না করা যার যার অধিকার,অসন্মান করার কোনও অধিকার কারোরই নেই।
এই মৃত্যুটা হচ্ছে,শরীরের যে কোনও একটা অংশ যদি বিষাক্ত বা দুষিত হয়ে যায় অর্থাৎ যদি ক্যানসার হয় তাহলে,সেই অংশকে কেটে ফেলে দেওয়াই প্রানের দাবী। যেমন প্রতিদিন অসংখ্য মা,বোনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা অঙ্গ ক্যানসার আক্রান্ত হবার কারনে(আমি স্তনের কথা বলছি)কেটে ফেলে দিতে হচ্ছে।ব্যাপারটা প্যেথেটিক এবং স্যাড ও প্রচণ্ড আবেগের,কিন্তু এই কষ্ট ও মায়া বিসর্জন দিয়ে মেনে না নিলে প্রাণ থাকবে কি?
অভিজিতের মতো জ্ঞান পাপী সমাজ এবং দেশের জন্য ক্যানসার বিশেষ।এদেরকে কেটে ফেলে না দিলে সমাজ ও দেশ পুড়োটাই বিষাক্ত হয়ে যাবে।কোনও একটা আঙ্গুলে বা হাতে গেংগ্রিন হলে,সেই অংশ কেটে ফেলাই জ্ঞানের পরিচয়,আফসোস বা বিলাপ করাটা মূর্খের কাজ।এখানে মানবিকতার কোনও অবকাশ থাকতে নেই।বৃহৎ স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্র এবং বিষাক্ত স্বার্থ ত্যাগ কোরতে বাঁধা আসে কোন দায় ও বিবেক থেকে?
যারা ঘটনাটাকে শুধু মাত্র ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে  তদন্ত হবার আগেই ও সঠিক না জেনেই বিচার করছে এবং মাতোম করছে,আসলে তাঁরাই আসল সাম্প্রদায়িক।এরা তাঁরা যারা,সুযোগের অপেক্ষায় থেকে সাম্প্রদায়িকতার বাষ্প ছড়িয়ে নিজেদের কুৎসিত আদর্শ চরিতার্থ কোরতে মুখীয়ে থাকে।এরা অযোগ্য এবং কাপুরুষ।সততার মুখোমুখি এরা কখনোই হতে পারবে না।
মিথ্যার মুখোশ পড়ে সততার অভিনয় করাটাই এদের এক মাত্র অস্ত্র,নিজের অস্থিত্তকে প্রকাশ কোরতে।যেমন অনেক মানুষ দাড়ি,টুপি আর আলখেল্লা পড়ে মৌলানা সাজে! এরা কপট,শঠ,ধূর্ত!এরা সবাই একই চরিত্রের ভিন্ন ভিন্ন রুপ!সাধারণ মানুষ বুঝে না,ধোঁকা খায়?আর এরা,এটাই চায়।
অভিজিতের মতো নষ্ট চরিত্রের জ্ঞান পাপীদের মরদেহ এমনিতেই মেডিক্যালের শিক্ষণীয় কাজে ব্যাবহিত হওয়া উচিৎ,মানব কল্যাণে।যেমন অনেক ডাকাতের,খুনির মরদেহ ব্যাবহার হয়।যারা তার মরদেহ দান করা হয়েছে বলে আহ্লাদে বিগলিত,এটাও তাদের প্রতারণার একটা ধূর্ত রাজনীতি!যে বা যারা এই কাজ করেছে,সে তথাকথিত জঙ্গি হউক বা অকথিত লীগ হউক,আইনের দৃষ্টিতে অন্যায় করেছে কিন্তু বুঝে হউক বা না বুঝে,বৃহত্তর দৃষ্টিতে সঠিকই করেছে।
"The world will not be destroyed by those who do evil, but by those who watch them without doing anything." - Albert Einstein.
১৫|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৪:৩২
০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৪:৩২
রিপেনডিল বলেছেন: হাদিসটা জানা থাকলে ফেসবুকে শেয়ার দিতাম, রেফারেন্স ছাড়া দিলে অনেকে প্রশ্ন করতে পারে।
১৬|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৪:৪৫
০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৪:৪৫
তোমোদাচি বলেছেন: বরাবরের মত চমৎকার পোষ্ট
১৭|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৪:৪৮
০২ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৪:৪৮
টিভি পাগলা বলেছেন: গোড়া নাস্তিককে যখন দেখছি আসরের ওজু দিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ে, তখন নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারি না। 
সবই আল্লাহর ইচ্ছে।
১৮|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  রাত ৯:১৬
০২ রা মার্চ, ২০১৫  রাত ৯:১৬
এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: খুব ভাল লাগল। চমৎকার গঠনমূলক আলোচনা। অবিশ্বাসীকেও যা মানতে হবে.........
১৯|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  রাত ৯:৫১
০২ রা মার্চ, ২০১৫  রাত ৯:৫১
আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: উফ লিসানী ভাই, অসম্ভব দারুণ এটা পোস্ট...! ইচ্ছে করছে ভাই চিৎকার করে লেখার প্রত্যেকটা লাইন সবার কাছে বলি...!! 
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আপনাকে তথ্যবহুল এবং বিশ্লেষণী লেখাটি দেবার জন্যে।।।
২০|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  রাত ৯:৫৪
০২ রা মার্চ, ২০১৫  রাত ৯:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন সাবলীলতায় সহজ বোধ্যতায় সত্যকে মধ্যমপন্থাকে তুলে ধরেছেন।
তারা কিন্তু এই সহজতাকে সরলতাকে ক্ষমাপরায়নতাকে দুর্বলতা ভাবে!
তাদের পূর্বাপর ইতিহাস আপনা ভালই জানেন- দেখুন তাই নয়কি?
তারপরও আমাদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা আর চর্চার মাধ্যমেই  আপনার কথা মতোই ...আমরা যদি একে শক্তিতে পরিণত করতে পারি, তথ্যতে পরিণত করতে পারি, সহনশীলতায় পরিণত করতে পারি, তবে বিষয় সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে।  
++++++++++++++++++++++++++++
২১|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  রাত ১০:০১
০২ রা মার্চ, ২০১৫  রাত ১০:০১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্টে ।তথ্যবহুল পোস্ট । পোস্টে +
২২|  ০২ রা মার্চ, ২০১৫  রাত ১০:০৭
০২ রা মার্চ, ২০১৫  রাত ১০:০৭
নস্টালজিক বলেছেন: লিসানী ভাই, আপনার এই পোস্ট-টা অসাধারণ। কঠিন অনেককিছু সহজের বুঝিয়ে বলার প্রচেষ্ঠা ছিলো আর সেই চেষ্ঠা সার্থক।
মধ্যমপন্থা। আর সেই মধ্যমপন্থা আসলে কি সেটা বুঝে জীবন যাপন করা-খুব কঠিন নয়। কিন্তু এই অর্থ-নির্ভরশীল(মানি ওরিয়েন্টেন্ড) যাপিত জীবনে সেটাই আপাত দৃষ্টিতে প্রবল হয়ে উঠেছে।
আপনাকে স্যালুট দিলাম একটা।
শুভেচ্ছা জানবেন।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
২৩|  ০৩ রা মার্চ, ২০১৫  রাত ১:১২
০৩ রা মার্চ, ২০১৫  রাত ১:১২
ওয়ালী আশরাফ বলেছেন: তথ্য নির্ভর লিখনীর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৪|  ০৩ রা মার্চ, ২০১৫  রাত ১:২৮
০৩ রা মার্চ, ২০১৫  রাত ১:২৮
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন:  সুন্দর উপস্থাপন। ইসলামকে না খোঁচালে বুঝি মুক্তমনা হওয়া যায় না? বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনার, কাজ করার তো অনেক ব্রাঞ্চ পড়ে আছে। 
আর একটা কথা না বলে পারছি না, এসব মৃত্যুর দায়ভার ব্লগগুলোর অ্যাডমিন আর মডারেটররা কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। হিট সিকাররা এসব ব্লগ প্রমোট করে যাবেন। আর ঘটনার পর ব্লগ, পোস্ট রিমুভ করে সমালোচনামূলক একটি পোস্ট ঝুলিয়ে দিলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। 
অনেক পোস্ট তো রিমুভ হয়। অনেক ব্লগারের লেখা প্রথম পাতায় যায় না। তাহলে এগুলো বহাল তবিয়তে থাকে কিভাবে? সরিষার মধ্যে ভুত থাকলে সেই সরিষা দিয়ে আর যাই হোক ভুত তাড়ানো যায় না।  
২৫|  ০৩ রা মার্চ, ২০১৫  ভোর ৬:৪৮
০৩ রা মার্চ, ২০১৫  ভোর ৬:৪৮
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: একক আয়াতের অসদ্ব্যবহার করেই চরমপন্থিরা ভীরু মুসলিমদের বিপথে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। যারা ভুল দীক্ষা দিচ্ছে, তারা হয়তো একক আয়াতের সামনের এবং পিছনের কাহিনী জানে, কিন্তু যাদের দীক্ষা দিচ্ছে, তাদের কাছে সেটা উহ্য রাখা হয় নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য। আর এই কারণেই ইসলামের মূল মন্ত্র থেকে, নবী (সাঃ) এর বিদায়ী হজ্জের ভাষণের মর্মার্থ থেকে আমরা অনেকেই সড়ে এসে পড়েছি আর পরিণত হয়েছি গরু খাওয়া মুসলমানে। 
চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন, যা এই সময়ে দারুণ দরকার হয়ে পড়েছে মানুষের অনুধাবনের জন্য। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমরা পোস্ট পড়ি কিন্তু অনুধাবন করি না, বুঝার চেষ্টা করি না। ফলে শিক্ষাটাও নেয়া হয় না। অনেকে আবার না পড়েই একটা মন্তব্য ছুঁড়ে দিয়ে যায়। 
আপনার লেখাটাকে ফেবুতে শেয়ার করে দিলাম। 
২৬|  ০৩ রা মার্চ, ২০১৫  সকাল ৮:১৩
০৩ রা মার্চ, ২০১৫  সকাল ৮:১৩
কয়েস সামী বলেছেন: পোস্টে ভাল লাগা।
২৭|  ০৩ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ২:৩৮
০৩ রা মার্চ, ২০১৫  দুপুর ২:৩৮
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: খুব মনোযোগ দিয়ে পোস্ট পড়লাম, জানা হলো অনেক বিষয়
২৮|  ০৩ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৩:১৮
০৩ রা মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৩:১৮
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অনুধাবন করার মত একটা পোস্ট! জাজাকাল্লাহ খায়র ভাই।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সহীহ বুঝ দান করুন, আমিন।
২৯|  ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫  রাত ১১:৩৩
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫  রাত ১১:৩৩
আলাপচারী বলেছেন: পূর্ণাঙ্গ ভালো লেখা। অভিনন্দন !
৩০|  ১৩ ই মার্চ, ২০১৫  দুপুর ২:২৫
১৩ ই মার্চ, ২০১৫  দুপুর ২:২৫
গ্রীনলাভার বলেছেন: স্লো পয়জনিং।
৩১|  ৩১ শে মার্চ, ২০১৫  সন্ধ্যা  ৭:২৮
৩১ শে মার্চ, ২০১৫  সন্ধ্যা  ৭:২৮
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। ভাল্লাগছে। ++
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মার্চ, ২০১৫  সকাল ১১:০৯
০২ রা মার্চ, ২০১৫  সকাল ১১:০৯
রাফা বলেছেন: আমরাতো ছোট বেলায় পড়া সেই বুড়ির কাহিনি জানি।
এই ধর্মান্ধ গোষ্ঠি কি তা জানে অথবা মানে ?আমার ধর্মকে ব্যাবহার আমাকে ছোট করার কোন অর্থ খুজে পাইনা।কিছুদিন পর নিজেকে মুসলিম বলে পরিচয় দিতে লজ্জিত না হোতে হয়।
ধন্যবাদ,গোলাম দস্তগীর লিসানি।