![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পিআইএ (পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স) এর ডমেস্টিক ফ্লাইট থেকে নেমে লাউঞ্জ পর্যন্ত যেতেই বুঝলাম কুছ তো গড়বড় হে। প্রথমত, আমার সহযাত্রীদের পাকিস্তানের পশ্চিম উইংয়ের পাঞ্জাবি সিভিলিয়ান লেবাস ধারণ চেষ্টার হাস্যকর ব্যর্থতা। দ্বিতীয়ত, পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় হল বাঙ্গালী। কিন্তু পুরো এয়ারপোর্টে তাদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। গত বছরের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যখন এসেছিলাম তখন ব্যাপারটা এরকম ছিল না। অবশ্য আজকের শিডিউল অনুযায়ী চিন্তা করলে এই পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক বলে চালিয়ে দেয়া যায়। তবুও শুধু একবেলার প্রোগ্রামের জন্য সবাই সরকারি দায়িত্ব ফেলে চলে যাবে তা মেনে নেয়া কষ্টকর। আমি সকালের ফ্লাইটে এসেছি, আর প্রোগ্রাম সম্ভবত বিকেলে। এর জন্য পুরো দিন ছুটি কাটানো ঠিক স্বাভাবিক কার্যকলাপের খাতায় ফেলা যায় না। অবশ্য পূর্ব পাকিস্তান নাকি সপ্তাহখানেক ধরে স্বাভাবিক নেই। কেন্দ্র থেকে তো জন্ম থেকেই বিচ্ছিন্ন, মার্চের শুরু থেকেই অঞ্চলটি প্রশাসনিকভাবেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়ী যে দলের পুরো পাকিস্তানের দায়িত্ব নেয়ার কথা সেই দল শপথ গ্রহণ ছাড়াই পূর্ব উইংয়ের দায়িত্ব তুলে নিয়েছে। এই মুহূর্তে পশ্চিম উইংকে এতিম শিশু বললে অত্যুক্তি করা হবে না। সামরিক শাসনের এতিমখানায় যে গণতন্ত্র পুরো পাকিস্তানের জন্য মুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছিল সেই লক্ষ্মীকে পায়ে ঠেলে দেয়াটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা পশ্চিম পাকিস্তানের নিসাড় ও মূঢ় জনগণই ভাল বলতে পারবে। গঙ্গা পাড়ের মানুষের চেয়ে সিন্ধু তীরের জড়বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষগুলো যে সহজেই ইন্সটিটিউশনালাইজড হয় তা তো হাজার বছর আগেই প্রমাণিত। তাছাড়া পশ্চিম পাকিস্তানের প্রভুভক্তি জগদ্বিখ্যাত, এক সময় তারা ব্রিটিশদের দালালি করেছে আর এখন করছে আমেরিকার। জনগণও ১৯৫৮ থেকে নিষ্ঠার সাথে তাদের সামরিক প্রভুদের নির্দেশ পালনে অভ্যস্ত। সময়ে সময়ে প্রভু লাথি-গুতা মারলেও পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণ লালাভর্তি জিহবা বের করে হাসিমুখে পাকিস্তানের জাতীয় আসমানী কিতাব সামরিক শাসন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে প্রভুভক্তির প্রমাণ দিয়ে চলেছে। সেই তুলনায় বাঙ্গালীরা নিমকহারাম, কথায় কথায় আন্দোলন করে। বাছ-বিচার ছাড়াই যখন যে তখতে বসে তাকেই লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। সোজা ভাষায় গিয়াসউদ্দিন বলবনের 'বুলগাকপুর'। বাঙ্গালীদের অনুপস্থিতিতে উর্দুভাষী কর্মচারীরা ঠেকার কাজ চালালেও তাতে যে স্বতঃস্ফূর্ততা নেই তা ঠিক টের পাওয়া যাচ্ছে, যেন ক্লাসের সবচেয়ে অমনোযোগী ছাত্রকে দাড় করিয়ে রিডিং পড়তে বলা হয়েছে। আর তৃতীয়ত, বিমানবন্দরে আগতদের চেয়ে প্রত্যাগতদের সংখ্যাধিক্য। যে ফ্লাইটগুলো পশ্চিম থেকে তথাকথিত পাঞ্জাবী সিভিলিয়ান বহন করে নিয়ে আসছে ফিরতি পথে তাতে চড়ে অবাঙ্গালী সিভিলিয়ানরা পদ্মার বিমাতাসুলভ আচরণে তিষ্ট হয়ে সিন্ধুর নিরাপদ ক্রোড়ে ফিরে যেতে ব্যস্ত। তাছাড়া রিসিভ করতে আসা স্থানীয় দৈনিকের সাংবাদিক যেভাবে খাঁটি ব্রিটিশ কায়দায় হাত বাড়িয়ে বলল, "ওয়েলকাম টু বাংলাদেশ," তাতে বুঝলাম জরুর কুছ গড়বড় হ্যায়, "বাংলাদেশ কেন? পাকিস্তান নয় কেন?"
জনাব আমীর খসরু অবাক হয়ে বললেন, "আপনি জানেন না! আজ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন। আজ বিকেলের পর থেকে পূর্ব পাকিস্তান ইতিহাস। সারা দেশের মানুষ জানে।"
"কোন দেশ? বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তান?"
"দুই দেশই। পশ্চিম পাকিস্তানে ইয়াহিয়ার ডায়রিয়া শুরু হয়ে গেছে, কসাই টিক্কা খানকে ডাক্তার বানিয়ে পাঠাচ্ছে।"
"আমি কিন্তু পাকিস্তানের ভিসা নিয়ে এসেছি। তাহলে ঢুকি কিভাবে?" আমীর খসরু হাত নেড়ে বললেন, "এগুলো টেম্পোরারি টেকনিক্যালিটি, মাস খানেকের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার পর ঠিক করে দেয়া যাবে। ততক্ষণ পাকিস্তানের ভিসা দিয়েই কাজ চালান।"
"অভয় দিচ্ছেন?"
"উহু, গ্যারান্টি দিচ্ছি৷ আমাদের অফিসে সিদ্ধান্ত হয়েছে আজকের ঘোষণার পরই পত্রিকার ঠিকানা অংশটা শুদ্ধ করে নিব। আমার কথা বিশ্বাস না হলে অফিসে চলুন, নিজ চোখে সব দেখবেন।"
খসরু সাহেবের প্রবোধ বাণী শুনে তার ছোট আকারের দ্বিচক্রযানে সওয়ার হলাম। কিন্তু এয়ারপোর্ট থেকে পত্রিকা অফিস যাত্রাটা পিণ্ডি থেকে ঢাকা যাত্রার মত সুগম ছিল না। রাজপথে তখন মানুষের ঢল নেমেছে। নিশিতে ধরা স্বপ্নাচ্ছন্ন মানুষ দলবেধে দ্বিতীয় রাজধানীর দক্ষিণ মুখে যাত্রা করছে৷ এক নজর দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেকের পায়ে জুতো না থাকলেও অধিকাংশ মানুষই লাঠি বহন করছে, যেন আরেকটা বাস্তিলের পতন ঘটতে চলেছে। থেমে থেমে অসংখ্য অস্ফুট কণ্ঠের শ্লোগান শোনা যাচ্ছে। খসরু সাহেবের দ্বিচক্রযানটির রাস্তায় চলার কথা থাকলেও তা রাস্তা ছেড়ে বহমান মানব রথকে জায়গা করে দিয়েছে।
"কি বুঝলেন?" রাস্তার ধার দিয়ে সতর্কতার সাথে দুই চাকার শকটকে সামলে চালাতে চালাতে খসরু সাহেব প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। আমি বাহনের পিছনের অংশ ধরে তাল সামলাতে সামলাতে বললাম, "স্রোতের শেষ না হয় বুঝলাম রেসকোর্সে, কিন্তু এর শুরু কোথায়?"
"বাংলাদেশের প্রতি প্রান্তের স্রোত এসে এই সাগরে মিলেছে। উৎসের খোঁজে আপনাকে ১৯৪৮ সনে যেতে হবে।"
বুঝলাম ভদ্রলোক স্বাধীনতা উত্তর জিন্নাহর রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার দিকে ইঙ্গিত করছেন। ঢাকার রাস্তায় মানুষের ঢল আমাকে শেকসপিয়ারের বিখ্যাত নাটকের কথা মনে করিয়ে দিল৷ নাটকের শুরুতে রোমের জনগণ কাজ ফেলে বিজয়ী সিজারকে এক নজর দেখার জন্য ছুটে যায়৷ রাজ্য জয় তখনও অপরিপূর্ণ হলেও মানুষের মন জয় করে শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। দুই হাজার বছরের পূর্বের মার্চের মত আজও প্রিয় নেতার ভাষণ শুনতে মানুষ জমায়েত হচ্ছে, পার্থক্যটা সংখ্যা ও উদ্দেশ্যের। রোম ছিল উপনিবেশবাদের প্রতীক, আর পূর্ব পাকিস্তান আধুনিক কার্থেজে পরিণত হয়েছে। শেখ মুজিব সমসাময়িক হ্যানিবাল, যার ভয়ে রোমের মতই পশ্চিম পাকিস্তানি জান্তা থরহরি কম্পমান। তাকে প্রতিহত করার জন্য পিণ্ডি শাসকবর্গ বালুচিস্তানের কসাই টিক্কা খানকে স্কিপিও আফ্রিকানাস রূপে পূর্ব পাকিস্তানে প্রেরণ করছে। একমাত্র এই রোমান জেনারেলই হ্যানিবালকে রুখতে সমর্থ হয়েছিল, হয়ত প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানেরও একই অভিপ্রায়। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি যা দাড়াচ্ছে তাতে পূর্ব পাকিস্তান কার্থেজের পরিণতি বরণ করলে অবাক হবার কিছু নেই, অন্তত ইতিহাস তাই বলে।
ইতিহাস এক আজব চিড়িয়া, মানব জাতি তারও এক কাঠি বাড়া। ১৯৪৭ সালে মুসলিম ভ্রাতৃত্বের দোহাই দিয়ে গঠিত অকার্যকর পাকিস্তান রাষ্ট্র যখন উন্নত মস্তক ও পঙ্গু দেহ নিয়ে খাবি খাচ্ছে তখন মধ্যপ্রাচ্যে একই ভাবে গড়ে ওঠে সংযুক্ত আরব প্রজাতন্ত্র। পার্থক্য হল পাকিস্তান মরছে তিলে তিলে আর সংযুক্ত আরব প্রজাতন্ত্র এক ঘায়েই কাবু। সিরিয়া যেমন পাকিস্তানের উদাহরণ থেকে শিক্ষা নিতে ব্যর্থ হয়েছে তেমনি পাকিস্তানের পাঞ্জাবি শাসকগোষ্ঠীও নিজেদের স্বার্থে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম ভ্রাতৃত্বের ব্যর্থতাকে জোর করে না দেখার ভান করে চলেছে। কিন্তু মুক্তো বাঁধতে প্রয়োজন মজবুত সুতো, পাকানো কাগজের স্থায়ীত্ব পানিতে ডুব দেয়া পর্যন্ত। মানুষকে বাঁধে সংস্কৃতি, ধর্ম নয়। সংস্কৃতির পরীক্ষায় পাকিস্তান প্রথম ভাষার প্রশ্নেই ধরাশায়ী। এরপর থেকে দিন দিন সাম্রাজ্যবাদের বিষদাঁত যত উন্মোচন হতে থাকে দুই উইংয়ের শিক্ষা ও সংস্কৃতির খাঁই বাড়তে বাড়তে 'মুসলিম ভ্রাতৃত্ব' বুলিটিকে ঠুনকো বানাতে শুরু করে।
খসরু সাহেব মিথ্যা বলেননি। তার পত্রিকার ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য অফিসে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তাছাড়া আজকের ভাষণ কাভার করার জন্য কে যাবে তা নিয়েও বিবাদ চলছে। সম্পাদক সাহেব নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত, আমার কাছে ক্ষমা-টমা চেয়ে একাকার অবস্থা, "আপনাকে ঠিকভাবে খাতির করতে পারছি না, কিছু মনে করবেন না ভাই। আজকে স্বাধীনতার ঘোষণাটা হয়ে যাক আপনাকে স্বাধীন দেশের সবচেয়ে বড় হোটেলটাতে খাওয়াবো। আজকের গোস্তাখিটা নিজগুণে ক্ষমা করে দেবেন।"
"আমাকে নিয়ে ভাববেন না। একজন সঙ্গী পেলেই আমি খুশি।"
সম্পাদক সাহেব মাথা চুলকে বললেন, "কাকে যে পাঠাব বুঝছি না। সবাই ভাষণ শুনতে চায়। রেডিওতে অবশ্য শোনা যায়, কিন্তু সামনাসামনি শোনার ব্যাপারই আলাদা। আমি নিজে যাব, তাই কাউকে মানা করতে পারছি না। কি যে করি?"
"এরকম হলে সবাই যাক, এরকম ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হওয়া থেকে কে বঞ্চিত হতে চায়। নাগরিক হিসেবে সবারই সেই অধিকার আছে বৈকি।"
"তা ঠিক। কিন্তু ঘোষণার পরও তো কাজ রয়েছে। সবাই আন্দোলন বা স্ফূর্তিতে মেতে গেলে কালকের কাগজের কি হবে? ঢাকার বাইরের মানুষ-জনকে তো জানাতে হবে। আপনি নিজেও সাংবাদিক, এই উভয় সংকট মোকাবেলা করার একটা বুদ্ধি বাতলে দিন।"
"আমি ফ্রিল্যান্সার…"
"আপনার দাওয়াত থেকে শুটকি ভর্তা আইটেমটা বাদ দিলাম। আমাকে বিপদ থেকে উত্তরণের পথ দেখাতে পারলে এই অসাধারণ স্বাদের বস্তুটা চেখে দেখার সুযোগ পেতেন। এমনকি লন্ডনের কুলিনারি ম্যাগাজিনেও একটা আর্টিকেল ছেপে কিছু পয়সা কামাতে পারতেন…"
"একটা প্রস্তাব দিয়ে দেখতে পারেন। যাদের যাবার ইচ্ছা তারা যাক, কিন্তু ঘণ্টাখানেকের ভেতর ফেরত আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাক। এতে আপনার শ্যাম ও কুল দুইই রক্ষা পেল, কি বলেন?"
"আজকে কারো কুল রক্ষার মানসিকতায় নেই, রাধা আজ শ্যামের সাথেই যাবে। আপনার কথাই সই, আজকে শ্যামই জিতুক। আপনি আমার গাড়িতে চলুন।"
"গাড়ি কি রাস্তায় চলবে? আসার পথে মটর সাইকেল চলার পথও তো পাচ্ছিলাম না।"
সম্পাদক সাহেব মাথা নেড়ে বললেন, "তাহলে পদগুলোই সম্বল। মাইলখানেক হাটতে পারবেন তো?"
"তা অবশ্য পারব।"
জনসমুদ্রে এক বিন্দু জলকণার মত সম্পাদক সাহেব ও তার অফিস স্টাফদের সাথে অপেক্ষারত, আমি সংবাদের আশায় আর তারা স্বাধীনতার। সম্পাদক সাহেব একটু পর পর পাঞ্জাবীর খুট দিয়ে চশমা পরিস্কার করছেন, হয় প্রিয় নেতাকে ভালভাবে দেখার জন্য নয়ত ভেতরের অস্থিরতাকে ঠিক সামাল দিতে পারছেন না। এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে লাঠি হাতে যে জনতাকে শ্লোগান দিতে দিতে এপানে আসতে দেখেছিলাম তাদের সাথেই যেন নিজের নিয়তি সপে দিয়েছি। ঢাকার আকাশে তখন সামরিক কপ্টার বিচ্ছিরি শব্দ করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই সময় প্রটেকশন সহ একটা বিমান রেসকোর্সের উপর দিয়ে উড়ে গেল। অস্থির জনতা বিমানকে লক্ষ্য করে তাদের লাঠিগুলো ছুড়ে দেয় যেন সেগুলো দিয়েই বিমানকে ভূপতিত করবে। সম্পাদক সাহেব আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে বললেন, "টিক্কা আসছে।" শেখ মুজিব আসলেন নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুক্ষণ পর। শেখ মুজিবের আগে গোল-গাল চেহারার একজন মানুষ ডায়াসে উঠলেন, "উনি তাজউদ্দীন আহমেদ, যার ভয়ে ভুট্টো ছয় দফার বিতর্ক থেকে পিঠটান দিয়েছিল", আমীর খসরু চিনিয়ে দিলেন। এরপর শেখ মুজিব ডায়াসে দাড়ালেন, তার দৃষ্টি সমাবেত জনতার দিকে নিবদ্ধ হল। আজকে মার্চের সাত তারিখ, রোমান ক্যালেন্ডারে নানস, পনেরো মার্চ আইডস। আজকে কি কেউ শেক্সপিয়ারের গনতকারের মত বলবে, "Beware the Ides of March!
ছবি সংগ্রহঃ সংগ্রামের নোটবুক
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩১
জাতিস্মরের জীবনপঞ্জী বলেছেন: চতুর্মাত্রিকে
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা আগে কোথাও পড়েছি মনে হচ্ছে।