নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রবিউল রবি

কোনটে বাহে জাগো

রবিউল ইসলাম রবি

কোনটে বাহে জাগো › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছবিটার মানে কি জানেন ?

১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

নিচের ছবিটা আমরা অনেকেই ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেখেছি কিন্তু ছবিটার আসল রহস্য হয়তো অনেকেই জানিনা-
আসুন জেনে নেই ছবিটার মানে কি??........

এই ছবিটা হচ্ছে বিশ্বের বিখ্যাত এবং পৃথিবী কাপানো ছবিগুলোর মাঝে একটা। এই ছবিটা তুলেছিলেন ফটোগ্রাফার কেভিন কার্টার । এই ছবিটি তুলেছিলেন ১৯৯৪ সালে সুদানে জাতিসংঘের খাদ্য গুদামের কাছে।এই ছবিটার মানে হচ্ছে ‘একটা শকুন অপেক্ষা করছে ছোট্ট একটা শিশুর মৃত্যুর জন্য।কারন মৃত্যুর পর শকুনটা এই শিশুটার শরীরের মাংস খাবে।’
তখন এই ছবিটা দেখে দুনিয়ার মানুষ চমকে উঠেছিল। তবে শিশুটার শেষ পরিণতি কি হয়েছিল, তা কেউ জানতে পারেনি। এমন কি কেভিন কার্টার ও না,কেননা ছবিটি তোলার পরপরই তিনি স্থানটি ত্যাগ করেন।
এই ছবিটা পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিল।কিন্তু এই ছবিটিই কার্টাররের চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল।ছবিটি তোলার পার থেকে তিনি অন্য রকম হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন।ছবিটি তোলার ৩ মাস পর ১৯৯৪ সালের ২৭ শে জুলাই মাত্র ৩৩ বছর বয়সে কেভিন কার্টার আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছিলেন।তাঁর আত্মহত্যা করার কৌশলটি ও ছিল অনেক রহস্য পূর্ণ।তিনি তার গাড়ি নিয়ে চলে যান ব্রাম্ফটেন বলে এক এলাকায় যেখানে তার শৈশবের কেটেছে | তারপর তার গাড়ি চালু রেখে গাড়ির এক্সিট পাইপের সঙ্গে একটি নল লাগিয়ে, তার ওপর প্রান্ত চেপে ধরেন নিজের নাকে | সেই নল দিয়ে বেরিয়ে আসা কার্বন মনোক্সাইড সোজা আশ্রয় নেয় তার ফুসফুসে |এর ফলেই তার মৃত্যু হয়।
কেভিন কার্টার
আত্মহত্যার কারন হিসাবে তার সাথে থাকা বিখ্যাত চিত্রসাংবাদিক “জোআঁও সিলভা জানিয়েছেন, ”কার্টার ছবি তুলে আসার আগে সেই শকুনটাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়ে আসেন।তবে ভয়ে সেই বাচ্চাটিকে ধরেননি।কারন তিনি এই ভেবে ছিলেন শিশুটি কোনো ভয়ানক রোগে আক্রান্ত হয়েছে |তবে ছবি না তুলে যদি বাচ্চাটিকে নিকটবর্তী ত্রাণশিবিরে নিয়ে গেলে শিশুটি হয়তো বেঁচে যেত এই হতাশায় ও অনুশোচনায় তিনি আত্মহত্যা করেন!”
আত্মহত্যার আগে তিনি একটা নোট লিখে গিয়েছিলেন,
“I’m really, really sorry. The pain of life overrides the joy to the point that joy does not exist… depressed … without phone … money for rent … money for child support … money for debts … money!!! … I am haunted by the vivid memories of killings and corpses and anger and pain … of starving or wounded children, of trigger-happy madmen, often police, of killer executioners … I have gone to join ken if I am that lucky.”
বি ডি মর্নিং ডট কম প্রকাশিত:জুন ১৩, ২০১৫
আয়শা বৃষ্টিঃ
http://www.bdmorning.com/featured/6497

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:০৫

বিলোয় বলেছেন: দুঃখজনক

২| ১৭ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

রিকি বলেছেন: অনেক বেশি pathetic..... ঘটনাটা সম্পর্কে জানতাম। শেয়ারের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

৩| ১৮ ই জুন, ২০১৫ রাত ১:১৫

প্রামানিক বলেছেন: কি দারুণ রহস্য এই ছবিতে প্রকাশ হয়েছে।

৪| ১৮ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

মোঃ কাওছার হোসেন ঠাকুরগাঁও বলেছেন: আমি দক্ষিণ আফ্রিকার মালিতে বামাকো শহরে এয়ারপোর্টের কাছে আছি, এ এলাকার ছোট বাচ্চাদের দেখলে এত খারাপ লাগে যে কি বলবো, সাহায্য করতে পারিনা কারণ নিজের হাতেই তো ফাঁকা, ফ্রান্স অনেকটাই দায়ী এ অবস্হার জন্য

৫| ১৮ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

হাইপারসনিক বলেছেন: লোমহর্ষক কথা....!

৬| ১৮ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

এই স্বাধীনতা চাইনি আমি বলেছেন: হায়রে মানুষ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.