![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্পাদকঃ বিপ্লবীদের কথা (মাসিক পত্রিকা), সম্পাদকঃ www.biplobiderkotha.com, সাধারণ সম্পাদকঃ বিপ্লবী গবেষণা সংসদ।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, দেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিচারপতি ছিলেন আবু সাঈদ চৌধুরীর। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্ববিবেক জাগ্রতকারী বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর অবদান বাঙালি জাতি কোনোদিন বিস্মৃত হতে পারবে না। http://www.biplobiderkotha.com
৭১-এ মুজিবনগর সরকারের কান্ডারি যেমন ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও তাজউদ্দীন আহমদ, তেমনই ইউরো-আমেরিকায় সেই ঐতিহাসিক লগ্নে বাংলাদেশ সরকারের কান্ডারি ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী সপরিবারে জেনেভায় অবস্থান করছিলেন। বাংলাদেশের ভয়াবহ পরিস্থিতির সংবাদ জানতে পেরে তিনি শীঘ্রই লণ্ডন চলে আসেন এবং বৃটেনে অবস্থানরত সর্বস্তরের বাঙালির সভা আহ্বান করেন। সে সভাতেই বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম কমিটি/পরিষদ নামে চারটি আঞ্চলিক কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়াও বিশটি শহরে বিশটি সংগ্রাম কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তখন বৃটেনে প্রায় ৭০ হাজার প্রবাসী বাঙালি ছিলেন। বিশটি শহর কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ সর্বপ্রকার কর্মকাণ্ড মনিটরিং করার জন্য ‘এ্যাকশন কমিটি ফর দি পিপল্স রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’ এবং স্টিয়ারিং কমিটি অব দি পিপল্স রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’ নামে দুটি কমিটি গঠন করা হয়। ১১নং গোরিং ষ্ট্রিট, লণ্ডনে এ কমিটি গুলোর সদর দপ্তর এবং কেন্দ্রীয় কমিটি নামে অভিহিত ছিল। এসব কমিটির মূল ব্যক্তি ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী।
লণ্ডনের হামব্রোজ ব্যাংকে ‘বাংলাদেশ ফান্ড’ নামে একটি একাউন্ট খোলা হয়। প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী এবং বৃটিশ এম.পি জন স্টোন হাউস উক্ত এ্যাকাউন্ট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। আর এ ফান্ডের এ্যাকাউন্টেট জেনারেল ছিলেন জনাব মজিবুর রহমান।
বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ‘বাংলাদেশ মিশরের’ দপ্তর খোলা হয় এবং যথারীতি সেখানে সকল কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড চলতে থাকে। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের ৯/১০ মাস ব্যাপক কাজকর্ম মূল নায়ক ছিলে তিনি। ১৯৭২ সালের ১০ইং জানুয়ারি তিনি বাংলার মাটিতে পা রাখেন। প্রবাসে অবস্থান করে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই অসামান্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী জন্ম ১৯২১ সালের ৩১ জানুয়ারি। টাঙ্গাইল জেলার নাগরবাড়ির এক জমিদার পরিবারে। তার পিতা আব্দুল হামিদ চৌধুরী। তিনি পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার ছিলেন।
আবু সাঈদ চৌধুরী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তারপর ইংল্যান্ড থেকে ব্যারিস্টারি পাস করেন। ১৯৬০ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং ১৯৬১ সালে হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। ১৯৬৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন।
একাত্তরের মার্চ মাসে তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অধিবেশনে যোগদানের জন্য জেনেভা যান। সেখানে জেনেভার একটি পত্রিকায় দু’জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু সংবাদ দেখে ২৫ মার্চ পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক শিক্ষা সচিবকে পাকিস্তান দূতাবাসের মাধ্যমে প্রেরিত এক পত্রে লেখেন, “আমার নিরস্ত্র ছাত্রদের উপর গুলি চালানোর পর আমার ভাইস চ্যান্সেলর থাকার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। তাই আমি পদত্যাগ করলাম”।
১৯৭১ সালে জাতিসংঘের অধিবেশনে তিনি প্রথম বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতার পর তিনি ঢাকায় ফিরে আসলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন। ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৩ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন।
১৯৮৭ সালে ৬৬ বছর বয়সে তিনি লন্ডনে মারা যান।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:০৬
তারিক হাসান তারিক হাসান বলেছেন: বাংলাদেশের প্রথম নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি।
অর্থাৎ সংবিধান অনুসরণ করে।
আবার ইতিহাস দেখলে অন্য একটা বিষয় চলে আসে তা হল: শেখ মুজিবর রহমানকে হত্যা করে যে মন্ত্রী পরিষদ গঠন করা হয়েছিল তিনি তার সদস্য ছিলেন।