![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে অনড় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ডাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিক্ষকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রক্টরীয়াল বডি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চলবে ।
বুধবার দুপুরে শিক্ষক সমিতি শিক্ষকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতা ও গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে অসত্য তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগ করে ভিসিকে পদত্যাগের জন্য ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়।
এর পর বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন পদত্যাগের ঘোষণা দেন। বিকেল ৫টার দিকে ছাত্রলীগের ৪০-৫০ জন নেতা-কর্মী ভিসির পদত্যাগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
সন্ধ্যা ৬টার ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ভিসির কার্যলয়ের সামনে অবস্থা নেন। পরে রাত ১১টার অবস্থানরত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেন ভিসি।
ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, ‘শিক্ষার্থীদের অনুরোধে আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছি।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল মালেক হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিত্সকেরা সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।
ওই সময় ভিসির বাড়ির সামনে থাকা অ্যাম্বুলেন্সটি আনতে চালক বাচ্চু মিয়াকে নির্দেশ দেন কর্তব্যরত চিকিত্সক। কিন্তু চিকিত্সাকেন্দ্রে অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হয়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে আব্দুল মালেক মারা যান।
রাত নয়টার দিকে আব্দুল মালেকের মরদেহ মওলানা ভাসানী হলের সামনে আনা হলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুর ও একটি কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেন।
এরপর তারা ভিসির বাড়ির সামনে একটি অ্যাম্বুলেন্স ও দুটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন। কয়েকজন ভেতরে ঢুকে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করে। তারা ভিসির রান্নাঘরসহ কয়েকটি কক্ষে ঢুকেও ভাঙচুর চালান।
পরে ট্রেজারের বাসভবন, ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষের বাসভবন, আবাসিক শিক্ষকদের বাসভবন, প্রশাসনিক ভবন, রেজিস্ট্রার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেইটে ভাঙচুর চালান। শিক্ষার্থীরা টায়ার জ্বালিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন। রাত ১১টার দিকে তারা অবরোধ তুলে নেন।
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩২
আহ্সান হাবীব বলেছেন: উনার যাওয়া- না যাওয়া নিয়ে আমার তেমন কোন মাথা ব্যাথা নাই।
কারন শীত শেষে এমনিতেই জাবি থেকে অতিথি পাখি চলে যায় ( রিলেটেড জোক )
কিন্তু উনি সাধারন শিক্ষার্থীদেরকে জড়িয়ে যে মিথ্যাচারটি করলেন তার দায়ভার কে নিবে? তার দায় স্বীকার করে মাফ চাইলেই তো হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৩
কালীদাস বলেছেন: স্যাররে নিয়া জাবিতে নাটক কম হইল না দুই বছরে। স্যারের সাথে যোগাযোগ নাই মেলা বছর, নাহলে বলে আসতাম ঢাবিতেই আপনার আসল জায়গা, অন্যের জন্য নিজেরে কষ্ট দেয়ার মানে হয় না।