নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হরতাল : তুমি কার কে তোমার!!!!

রাজশাহীশিলা

রাজশাহীশিলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াত ইস্যুতে পিছু হটেছে ইসি

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ইস্যুতে সরকারের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সরকার যদি জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে তবেই জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি।



বৃহস্পতিবার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ জামায়াত ইস্যুতে ইসির এ অবস্থানের কথা জানান।



কাজী রকিব বলেন, ‘সরকার দলটিকে নিষিদ্ধ করলে আমরা তাদের নিবন্ধন বাতিল করবো। আমাদের ওপর আদালতের নির্দেশ থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’



জামায়াতের নিবন্ধন ইস্যুতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ইসির দীর্ঘ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।



এ সময় নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ, আবদুল মোবারক উপস্থিত ছিলেন।



আইন অনুযায়ী জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যপার বলেও মন্তব্য করেন সিইসি।



মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি ও দলটি নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত ৫ নভেম্বর থেকে শাহবাগে সরকার সমর্থকরা টানা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।



এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সরকারের মন্ত্রী, সরকারি দলের সংসদ সদস্য ও নেতারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আলোচনায় নিয়ে আসেন।



এর প্রেক্ষিতে জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে ইসির বৈঠককে তাত্পর্যপূণ মনে করে রাজনৈতিক মহল। তবে শেষ পর্যন্ত পিছু হটে নির্বাচন কমিশন।



বুধবার নির্বাচন কমিশনার মো. জাবেদ আলী কমিশন সচিবালয়ে জানিয়েছিলেন, ‘সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ধারা বৃহস্পতিবার পর্যালোচনা করা হবে।’



কমিশনে জমা দেয়া জামায়াতের গঠনতন্ত্র সংবিধানের ৭, ৩৮ ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৬৬ ধারার সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ হওয়ায় এর সংশোধনে চার বার চিঠি দেয় ইসি। এ ব্যাপারে জামায়াত কমিশনে যে জবাব দাখিল করে তাকে সন্তোষজনক মনে করেনি ইসি।



এ কারণে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের নির্দেশনা মোতাবেক জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়টি পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।



তবে বৃহস্পতিবার সিইসি জানান, ‘আজকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল বিষয়ে বৈঠকে কথা হয়নি। আজকে আমরা মূলত আরপিও নিয়ে বসেছি। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধনের কাজটি তাড়াতাড়ি শেষ করা হবে।’



জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের ব্যপারে কমিশন কী ব্যবস্থা নিয়েছে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘আজকে এ নিয়ে আমাদের কোনো কথা হয়নি। তবে সবগুলো পদ্ধতিই লেনদি প্রসেস, সরকার নিষিদ্ধ করলে আমরা নিবন্ধন বাতিল করবো। আইনেও তা বলা হয়েছে।’



প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামোতে নির্বাহী বিভাগের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীই সব নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেয়ার একক ক্ষমতা রাখেন। এ কারণে রাজনৈতিক নীতি নির্ধারণী বিষয়ে সরকারের মন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।



জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার মতের ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেন। তার নীতি হল আইনী ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্যেই জামায়াতকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.