নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবিষ্কারের নেশায়

রাকিব হোসেন ফুহাদ

এ ধরা ক্ষনিকের জন্য যেতে হবে চলে ক্ষনিকের মাঝে অসীম রহস্য উন্মোচন করে যাব বলে, যাহা আমি শিখিয়াছি এ ধরায় এসে তার চেয়ে ভাল কিছু করে যাব সাবইকে ভালবেসে। তোমরা যেখানে দেখাবে আমায় এক মুঠো মাটি আমি সেখানে খুজে বেড়াব যা সোনার চেয়েও খাটি। তোমরা যেখানে উড়াইয়া দিবে এক মুঠো ছাই আমি তাহাতে খুজে বেড়াব অসীম রহস্যের পাই।

রাকিব হোসেন ফুহাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭টি উপায়ে বৃদ্ধি করুন আপনার স্মরণশক্তি, শানিয়ে নিন মেধা প্রাকৃতিক উপায়ে

০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

আপনি হয়তো খেয়াল করে দেখেবেন কিছু লোক চমৎকার ভাবে মনে রাখতে পারছে কোন ঘটনা বা বিষয়বস্তুর পুঙ্খনাপুঙ্খ। আবার খুব সহজেই শিখে নিচ্ছে নতুন কিছু। আর আপনি মনে মনে আক্ষেপ করেন সেই লোকের মতো কেন আপনার স্মরণশক্তি নেই? তবে কি আপনার মেধা কম! না, আপনার মেধা অবশ্যই কম না। সকলে একভাবে মনে রাখতে পারে না। কারণ, সবার মস্তিষ্কের গঠন একরকম নয়। তবে কয়েকটি সহজ কৌশলে আপনিও বাড়িয়ে নিতে পারেন মেমোরি পাওয়ার।



১। ব্যায়াম করুন আর শরীরকে রাখুন সচল:

ব্যায়াম শুধু আপনার শরীরকেই সচল করে না, এটি আপনার মস্তিষ্ককেও সচল রাখে। স্থূলতা এবং অতিরিক্ত ওজন আপনার ব্রেইনের জন্যও ক্ষতিকর। নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কিংবা শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো সচল না থাকলে রক্তবাহী নালীগুলো চর্বি জমে। ফলে স্বাভাবিক রক্তচলাচল ব্যহত হয়। মস্তিষ্কে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবারাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মস্তিষ্কের কোষগুলোও। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন, সচল রাখুন আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো।



২। মানসিক চাপ কমিয়ে আনুন, বিষন্নতা দূর করুন:

রাগ, ক্ষোভ বা উদ্বেগ আপনার ব্রেনকে কিছু সময়ের জন্য স্থবির করে দেয়, যা আপনার স্মরণশক্তি কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে। মানসিক চাপের মধ্যে বিষন্নতা সবচেয়ে মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। বিষণ্নতা আপনার মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা ক্ষমিয়ে ফেলে এবং রক্তে করটিসলের লেভেল বাড়িয়ে দেয়। করটিসেলের লেভেল বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়, বিশেষ করে হিপ্পোক্যাম্পাসের। যেখানে শর্টটার্ম মেমোরি সংরক্ষিত থাকে। তাই বিষণ্নতা সহ সকল মানসিক চাপ যতদূর সম্ভব কমিয়ে ফেলুন।

৩। পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চত করুন:

একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক আট ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। একটা চমৎকার ঘুম আপনার মস্তিষ্ককে অধিক কার্যকরী করে তোলে। ঘুমের সময় সাম্প্রতিক সময়ের তথ্যগুলোকে মস্তিষ্কসংরক্ষণ করতে থাকে। আর ঘুমকে বলা হয় মেমোরি চার্জার। ঘুমের সময় আপনার মেমোরি পরবর্তী স্মৃতি ধরার জন্য প্রস্তুত হয়। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারেন।



৪। বিষয়গুলো লিখে রাখুন:

যে বিষয়গুলো স্মৃতিতে রাখতে চান তা লিখে ফেলার অভ্যাস করুন। একবার লেখা নাকি বিশবার পড়ার সমান। এটার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। লেখার সময় মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তপ্রবাহের পরিমান বাড়ে। তাই লিখে রাখুন ডায়রিতে, ইমেইলে বা ব্যক্তিগত ব্লগে।



৫। গান শুনুন:

অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন- স্মৃতির সাথে গান শোনার কী সম্পর্ক? গবেষকরা দেখিয়েছেন কিছু সংগীত স্মৃতিশক্তি বাড়াতে উপকারি। ব্যাপারটা এই রকম: কোন ঘটনার সময় আপনি যদি কোন গান শুনেন তবে পুনরায় সেই গান শোনার সময় সেই ঘটনার আবহের স্মৃতি আপনার মস্তিষ্কে জেগে উঠবে।



৬। পুষ্টিকর খাবার খান:

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে ভিটামিন যুক্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তাজা ফলমূল, গাঢ় সবুজ শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, গমের রুটি প্রভৃতি প্রোটিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। পরিমান মতো বিশুদ্ধ পানি পান করুন। প্রচুর চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন। বিশেষ করে বাসি-দূষিত খাবার খাবেন না। ওগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আর ধূমপান ও মাদক সেবন থেকে বিরত থাকুন। এগুলো আপনার মস্তিষ্কের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর।



৭। অন্যকে শেখান:

নিজে যা শিখতে চাচ্ছেন। তা একবার শিখে নিয়ে অন্যকে শেখান। আরজনকে শেখাতে গিয়ে দেখবেন আপনার জানার ঘাটতিগুলো ধরতে পারছেন। আবার চর্চাও হবে আরেক জনকে শেখানোর মাধ্যমে। নতুন কিছু বিষয়ে আপনার কোন চিন্তা আরেকজনের সাথে শেয়ারও করতে পারেন। তাহলে আপনার স্মৃতিতে তা স্থায়ী হবে। লোকটাকে দেখা মাত্রই বিষয়টি আপনার স্মৃতিতে আসবে।



চর্চা আর প্রচেষ্টার মাধ্যমে সব কিছু অর্জন সম্ভব। একটু চেষ্টা করলেই বাড়িয়ে নিতে পারেন স্মৃতিশক্তি, মনে রাখার ক্ষমতা। সুস্থ থাকুন।

- See more at: Click This Link

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২

বোকামানুষ বলেছেন: প্রায়ই অনেক কিছু ভুলে যাচ্ছি :(

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩

রাকিব হোসেন ফুহাদ বলেছেন: ভাই ভুলে তো সবাই যায় তবে ঘটনা গুলো লিখে রাখবেন। দেখবেন আপনি ভুলে গেলেও কোন সমস্যা নেই আপনার লেখাগুলো পরবর্তী প্রজন্মও পড়তে পারবে। আজ হয়ত আপনার লেখার কোন মূল্য কারো কাছে থাকবেনা, কিন্তু এই লেখাই একসময় বিশ্ব বিখ্যাত লেখায় ঠাই পাবে।

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৯

জীবন দা বলেছেন: মানুষের চিন্তাশক্তির দুর্বলতা কোনো কিছু ভুলে যাওয়ার জন্য দায়ী। মানসিক চিন্তা-ভাবনা করার ব্যাপারে সতর্কতা এই বিষয়ে আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। মানুষের মন হরহামেশাই নানা বিষয়ে ভাবতে থাকে। কখনো কখনো পূর্বে ভাবিত কোনো বিষয়ে হঠাৎ করে আবার ভাবতে চাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয়। এটি তাৎক্ষণিকভাবে মস্তিষেকর ওপর চাপ সৃষ্টি করে, যার ফলে কোনো কিছু হঠাৎ মনে করা সহজতর হয়ে ওঠে না। এই বিষয়টি দুর্বল চিন্তাধারার সাথে সম্পৃক্ত। ডা. হেনরি নাইট মিলার তার ‘প্র্যাকটিক্যাল সাইকোলজি’ গ্রন্থে লিখেছেন, মানুষের মনে কখনো দ্বিমুখী ভাবধারা এক সাথে প্রকাশ পায় না।

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

জীবন দা বলেছেন: বহু ক্ষেত্রে অধিকতর জ্ঞান অর্জন ভালো সব স্মৃতিশক্তির কিছুটা বিলুপ্তি ঘটাতে পারে। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। মানুষের মস্তিষেকর সব তরঙ্গই একসাথে কোনো কিছু মনে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু যখন অনেক জ্ঞানের চাপ মস্তিষেকর তরঙ্গে প্রবাহিত হতে থাকে তখন স্বাভাবিকভাবেই মানুষ কিছু কিছু ব্যাপার ভুলে যেতেই পারে। নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক এ আর গিলিল্যান্ড এ ব্যাপারে সর্বপ্রথম যুক্তি দাঁড় করান যে, মানুষের অর্থবহ চিন্তার প্রাবল্য মস্তিষক উর্বর করে তুলতে থাকলে, স্মৃতিহীনতা কাজ করতে পারে দ্রুত। একে তিনি দ্রুত স্মৃতিশক্তির অকর্মণ্যতাবলেন। অতিরিক্ত পাঠ্যাভ্যাসজনিত স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া সমস্যা কমাতে জ্ঞানার্জনের একঘেয়েমি কাটানো উচিত। বিশেষ করে বিনোদনমূলক কার্যক্রম, টিভি দেখা, খবরের কাগজ পড়া, খেলাধুলায় মনোনিবেশ করা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.