নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিচ্ছুটি বলার নাই.......

জটিল ভাই

ঝটট্রিল সব জটিলতা

জটিল ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিতাড়িত শয়তান হতে মুক্তির পথ

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২০

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)

(ছবি নেট হতে)

বিতাড়িত শয়তান হতে মুক্তির ১টি পথ যা আমি আমার পোস্টের শুরুতে প্রয়োগ করে ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছি। শুধু শয়তান বিতাড়িত করার মানে শয়তান বিলীন করে দেওয়া নয়। শয়তানের পুচ্ছদেশে আগুন ধরানোও একটি অন্যতম সফলতা। বেশ কিছুদিন ধরে অনেক ব্লগারই আমাকে শয়তান তাড়ানোর জন্য আরোকিছু লিখতে বলেছেন। কিন্তু ইদানিং সময়ের বড্ড অভাবে তা করা হচ্ছে না। এমনকি ব্লগেও বেশি আসতে পারছি না। তাই আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এরই মাঝে আপনাদের অনুরোধে শয়তান তাড়ানোর আরোকিছু উপায় নেট হতে পেয়েছি যা নিম্নে পেশ করছি।

১। এটি আমার পোস্টের প্রথম লাইন যা ব্যবহারে বিশেষ উপকার পাচ্ছি।

২। আযান শুনলেও শয়তান দুরে সরে যায়।

৩। সকাল-সন্ধ্যায় যিকর, শয়নকালে যিকর, ঘরে প্রবেশকালে যিকর, কুরআন মাজীদ, বিশেষ করে সূরা ফালাক্, নাস, বাক্বারাহ, আয়াতুল কুরসী ইত্যাদি পাঠ করলে শয়তান পলায়ন করে। নামাযে শয়তানের কুমন্ত্রণা বুঝলে প্রথমােক্ত দুআ পড়ে বাম দিকে তিনবার থুথু মারলে তা দূর হয়ে যাবে। (মুসলিম ৪/ ১৭২৯)।

৪।

قُلْ أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ الَّتِي لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ، مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَبَرَأَ وَذَرَأَ وَمِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنْ السَّمَاءِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَعْرُجُ فِيهَا، وَمِنْ شَرِّ مَا ذَرَأَ فِي الْأَرْضِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا، وَمِنْ شَرِّ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ طَارِقٍ إِلَّا طَارِقًا يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَا رَحْمَانُ

উচ্চারণঃ আউযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মা-তিল্লাতী লা য়্যুজাবিযুহুন্না বাররুউ অলা ফাজিরুম মিন শাররি মা খালাক্বা অবারাআ অযারাআ, অমিন শাররি মা য়্যানযিলু মিনাস সামা-ই, অমিন শাররি মা য়্যা’রুজু ফীহা, অমিন শাররি মা যারাআ ফিল আরয্বি অমিন শাররি মা য়্যাখরুজু মিনহা, অমিন শাররি ফিতানিল লাইলি অন্নাহার, অমিন শাররি কুল্লি ত্বা-রিক্বিন ইল্লা ত্বা-রিকাই য়্যাতরুকু বিখাইরিই ইয়া রাহমান।

অর্থঃ আমি আল্লাহর সেই পরিপূর্ণ বাণীসমূহের অসীলায় (আল্লাহর নিকট) আশ্রয় প্রার্থনা করছি যা কোন সৎ বা অসৎ ব্যক্তি অতিক্রম করতে পারে না সেই বস্তুর অনিষ্ট হতে যা তিনি সৃষ্টি করেছেন, সেই বস্তুর অনিষ্ট থেকে যা আকাশ থেকে অবতরণ করে এবং যা তার প্রতি উত্থিত হয়। যা তিনি পৃথিবীতে সৃষ্টি করেছেন ও যা পৃথিবী হতে নির্গত হয়। (আশ্রয় চাচ্ছি) রাত্রি ও দিবার বিভিন্ন ফিতনা হতে এবং প্রত্যেক নিশাচরের অনিষ্ট হতে যে কোন কল্যাণ ছাড়া রাত্রি কালে আসে যায়। হে করুণাময়! (মুঃ আহমাদ / ৪১৯, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১০/ ১২৭)।

শয়তান যেভাবে আসমান থেকে বিতাড়িত হয়

ফেরেশতাদের রাজ্যে প্রবেশ করা সহজ ব্যাপার নয়। শয়তানকে যদিও প্রবল প্রতাপ দেওয়া হয়েছে, তবু শয়তান সেখানে গিয়ে অদৃশ্য খবর সংগ্রহ করতে পারে না। তবে শয়তান এর জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখে। কিন্তু মহান আল্লাহ সে অনুমতি তাকে দেননি। শয়তান আল্লাহর ক্রোধের শিকার হয় এবং জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ডের আঘাতে আকাশ থেকে দূরে নিক্ষিপ্ত হয়। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আমি (আল্লাহ) প্রত্যেক বিতাড়িত শয়তান থেকে আকাশকে নিরাপদ করে দিয়েছি।’ (সুরা : হিজর, আয়াত : ১৭)
ইবনে আব্বাস (রা.) উল্লিখিত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, একসময় আকাশে শয়তানের প্রবেশাধিকার ছিল। শয়তানরা আকাশে গিয়ে ফেরেশতাদের কথোপকথন থেকে গায়েব বা অদৃশ্যের কিছু খবরাখবর শুনত। পরে সেগুলো পাদরি বা জ্যোতির্বিদদের কাছে বলত। ঈসা (আ.)-এর জন্মের পর প্রথম তিন আসমানে তাদের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হয়। আর মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মের পর সব আসমানে শয়তানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। এর পর থেকে যখনই কোনো শয়তান ঊর্ধ্বাকাশে উঠতে চেষ্টা করে, জ্বলন্ত আগুন বা উল্কা তাকে ধাওয়া করে। (তাফসিরে রাজি : ৯/১৬৯, কাশশাফ : ২/১৮৮)

ইসলামের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত কারো কারো মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ঊর্ধ্বাকাশে যদি শয়তানদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকে, তাহলে আদি পিতা আদম (আ.) ও আদি মাতা হাওয়া (আ.)-কে জান্নাতে শয়তান কিভাবে প্ররোচিত করল? এ প্রশ্নের জবাব ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কথায় রয়েছে। অর্থাৎ একসময় যেহেতু ঊর্ধ্বাকাশে শয়তান প্রবেশ করতে পারত, তাই বলা যায় যে আদম (আ.)-এর ঘটনা তার প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ হওয়ার সময়ের আগের। তখন পর্যন্ত শয়তানদের আকাশে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ ছিল না। পরে পর্যায়ক্রমে ঊর্ধ্বাকাশে শয়তানদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়।

বুখারি শরিফে বর্ণিত একটি হাদিস থেকে জানা যায়, কখনো কখনো ফেরেশতারা আকাশের নিচে মেঘমালার স্তরে আসতেন এবং আকাশের খবরাদি পরস্পর আলোচনা করতেন। শয়তানরা শূন্যে আত্মগোপন করে এসব সংবাদ শুনত। মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের পর উল্কাপাতের মাধ্যমে এই সুযোগও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটা করা হয়েছে ওহির হেফাজত ও বিশেষ সুরক্ষার তাগিদে।

এ আলোচনা থেকে কয়েকটি বিষয় জানা যায় :
প্রথমত, শয়তান দুনিয়ার মানুষকে যেভাবে বিভ্রান্ত করে থাকে, মহাকাশের বাসিন্দা বা ফেরেশতাদের সেভাবে বিভ্রান্ত করতে পারে না। বরং মহাকাশে উঠতে চাইলে গতিপথ রুদ্ধ করা হয়।
দ্বিতীয়ত, শয়তানের প্ররোচনামুক্ত থাকায় ফেরেশতাদের মধ্যে পাপাচার বা আল্লাহর অবাধ্যতার কল্পনাও জাগ্রত হয় না।
তৃতীয়ত, ঊর্ধ্বাকাশের কোনো খবরাখবর শয়তানের পক্ষেও জানা সম্ভব নয়।
চতুর্থত, নবী-রাসুলদের কাছে প্রেরিত ওহি ছাড়া ঊর্ধ্বজগতের কোনো বার্তা জানা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।

শয়তান হতে বাঁচতে

শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন। আল্লাহ তাআলা মানুষকে শয়তান থেকে আশ্রয় চাইতে বলেছেন। যখন মানুষ কোরআন তেলাওয়াতের মতো ইবাদত করবে তখনও। শয়তানের অনিষ্টতা ও কুমন্ত্রণা থেকে নিরাপদ থাকা ছোট-খাটো কোনো বিষয় নয়। যেকোনো সময় যেকোনো দোয়া পড়া যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল সা. আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি ছোট থেকে ছোট বিষয়েরও দোয়া শিখিয়েছেন।

لا الهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيْكَ لَهْ، لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَئ ٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণ : লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া ’আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।
অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা কেবল তাঁর জন্যই। তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান।

অথবা আউজুবিল্লাহ পড়বেন اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
উচ্চারণ : আ‘ঊযুবিল্লাাহি মিনাশ শাইতাানির রজীম।
অর্থ : আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।

أَعُوذُ بِاللهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
উচ্চারণ : ‘আউজুবিল্লাহিল আজিম ওয়া বিওয়াঝহিল কারিম ওয়া সুলত্বানিহিল কাদিমি মিনাশ শাইত্বানির রাঝিম।’
অর্থ : ‘আমি মহান আল্লাহর কাছে; তাঁর মহানুভব চেহারার কাছে; তাঁর অনাদি-অনন্ত কর্তৃত্বের কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই।’

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:২৩

নতুন বলেছেন: أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ

শয়তানের কন্সেপ্টটার সাথে নিচের গানের খুব মিল আছে...

তুমি সর্প হইয়া দংষন করো ওঝা হইয়া ঝাড়ো...

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৮

জটিল ভাই বলেছেন:
কন্সেপ্ট ভিত্তি করেইতো প্রতিটি সৃষ্টি :)

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হে রব শয়তান হতে আমাদের হিফাজত করুন।

ওহে শয়তান
যারা শয়তান তাদের ঘাড়ে ভর কর গিয়া।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৮

জটিল ভাই বলেছেন:
আল্লাহ্ সকলকে শয়তান হতে হিফাযত করুন। আমিন।

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০২

আমি সাজিদ বলেছেন: কিছু মনে করবেন না। আমি অন্য একটি বিষয় জানতে চাচ্ছিলাম। আপনার শেষ পোস্টে এক নারী ব্লগার মেয়েদের ষোল বছর বয়সে বিয়ে দিতে চান। আমি এই বিষয়ে আপনার মনোভাব জানতে চাই। কারণ এর প্রতিবাদ আপনি করেন নাই। বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে এই ব্লগের অন্য কর্মজীবী নারী ব্লগারদের মনোভাবও জানতে চাই। কারণ বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। মেয়েদের বিয়ের বয়স ষোল বছর হওয়া উচিত কিনা? ষোল থেকে কমিয়ে কেউ তেরো বলে নাকি সেটাও তো জানা দরকার।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭

জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাই, আপনার প্রতি নজরানাস্বরূপ সাম্প্রতিক পোস্টটি। আশা রাখি সেখানেি আপনার উত্তর পাবেন ইনশাল্লাহ্ ♥♥♥

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.