নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(ছবি নেট হতে)
আজ ব্লগ না থাকলে কবেই আত্মহত্যা করতে হতো। জ্বী আমার কথাই বলছি। আমার মতো উপযোগহীণ গর্দভ টক্সিক ব্যক্তি বেঁচে আছি শুধু ব্লগের জন্যে। কিভাবে? তবে বলছি শুনুন।
ছোটবেলা হতেই আমি একটু আহম্মক টাইপের। এমনই আহম্মক, যে যা বলে তাই বিশ্বাস করতাম। আমি ছেলে না মেয়ে সেটাই বুঝেছি জ্ঞাণ হবার বহু বছর পরে। যদিও ছোটকালে অনেকেই হাফ-লেডিস ডাকতো। কিন্তু ব্যপারটা নিয়ে আমি গর্বই করতাম। ভাবতাম, আমি টু ইন ওয়ান পাওয়ারের মানুষ। তারপর দিনে দিনে বয়স বাড়লো ঠিকই, কিন্তু ম্যাচুরিটি জিনিসটা আর এলো না। বরং গুয়ার্তুমিটাই বৃদ্ধি পেতে থাকলো। যখন একটু-একটু বুঝলাম যে আমাকে কেউই তেমন মূল্য দেয় না তখন হতে গুয়ার্তুমিটা বাড়তে লাগলো। আর তখন হতেই সমাজের বিরুদ্ধে চলার একটা চাপা জেদ গড়ে উঠলো। তারই রেশ ধরে সম্মানি ব্যক্তিদের টার্গেট করা শুরু করলাম। কেউ যখন কাউকে সম্মান করছে দেখি তখনই আমার গায়ে জ্বালা ধরে যায়।
এই টার্গেটের প্রথম শিকার হলেন মসজিদের ইমাম সাহেব। যেখানে বা যেই সমাজেই যাই, সেখানেই ইমাম সাহেবদের বিশেষ সম্মান দেখে গায়ে আগুন ধরা শুরু করে। বুঝিনা, যেখানে লোকে আমায় কানা পয়সার দামও দেয় না, সেখানে হুজুরদের আর মসজিদের এতোই কদর! এ দেখেই আমি ধর্মবিদ্বেষী হয়ে যাই। আর তখন হতে সুযোগ পেলেই মসজিদ আর ইমাম নিয়ে গজগজ করি। ইমাম সাহেবগণ যেহুতু মাদ্রাসায় পড়েছেন তাই মাদ্রাসা নিয়েও আমার গা জ্বালাপোড়া করে। মোটকথা সমাজে যখন দেখি ধর্ম যেখানে সম্মান সেখানে, তখনই আমার মাথাটা কেমন করে উঠে। হাজার পেগ মারলে বা হাজার কলকি টানলেও মাথা ততোটা টাল হয় না। যদিও এসব করার কারণে ইয়ের পাশে যেমনি মাছি ভোঁ ভোঁ করে, আমার পাশেও তখন কিছু মাছি জুটেছে। কিন্তু তাতে সুখে ছিলাম না। ধর্মবিদ্বেষী আচরণের জন্যে এলাকায় কুত্তা দৌড় দৌড়াইতে শুরু করলো। আমাকে দেখলেই এখন লোকে লাঠি নিয়ে তেড়ে আসে। কর্মক্ষেত্রেও এই কারণে খুব একটা সুবিধা করতে পারলাম না। আর তখনি দিশারি হয়ে এলো এই ব্লগ।
একমাত্র এই ব্লগেই আমি মন খুলে আমার যতো আহাম্মকি চিন্তা-ভাবনা সব শেয়ার করতে পারি। নয়তো কবেই পাগল হয়ে রাস্তায় ঘুরতাম বা পাবনা থাকতাম। যদিও প্রথমে শুনেছিলাম ব্লগে লিখে ডলার-ডুলার কামানো যায়, সেই লোভেই ব্লগে আসি। কিন্তু এসে দেখি সেসব কিচ্ছু নাই। তবে হাফ-লেডিস হয়ে লোকের সঙ্গে যা বলার সুযোগ পাইনি, ভার্চুয়ালি তা বেহায়ার মতো লিখার সুযোগ পেয়ে যাই। এতে অবশ্য লাভও হয়। একজন অবশ্য আমার গাঢ়ের প্রেমে পরে বলে গাঢ় বেশ! আর সে থেকেই তিনি কিছু ডলার-ডুলার দেওয়া শুরু করেন। সেই লোভে আমি আমার বৌ বাচ্চার ছবিও ব্লগে দেওয়া শুরু করলাম যদি ডলার-ডুলার বাড়ে।
এরপর হতেই এভাবেই আমার চলছে। মাঝে করোনাতে চাকরি গিয়ে বেকার হয়ে পরি। কিন্তু তখনও দেখি মাদ্রাসা পড়ুয়ারা অবাক করে দিয়ে মৃত্যুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জনসেবায় এগিয়ে আসছে। এ দেখে আমার শরীরে যারপরনাই জ্বালা ধরে যায়। আর ধিক্কার দেই কেনো মাদ্রাসাগুলো বন্ধ হয় না! যেখানে স্কুলে পড়ে আমি বেকার সেখানে কেনো মাদ্রাসা পড়ুয়ারা সম্মানিত হবে?
নিজের দোষ ঢাকতে সব দোষ সমাজের উপর দেওয়া শুরু করি। সমাজ যদি এসব মসজিদ-মাদ্রাসা বন্ধ করে আমার মতো হাফ-লেডিসদের কদর করতো, তবে না কতো ভালো হতো! তবেইতো আমরা সম্মান পেতাম। আমার চোখে আমার মতো হাফ-লেডিস ছাড়া আর বাকিসব অপ্রয়োজনীয়। আমিই একমাত্র আরাধ্য। যদিও এসব কথা বাস্তবে বললে কুত্তা দৌড়ানি অনিবার্য, তাই ব্লগেই এসে এসব বলে পরিবেশ দূষিত করি। ব্লগেই পারি কবিতা না বুঝেও অন্যের কবিতার সমালোচনা করতে। ছবি না বুঝেও অন্যকে ছবি তোলা শিখাতে। গল্প না বুঝেও বিজ্ঞের মতো জ্ঞাণ ফলাতে। রাজনীতি না জেনেও রাজনীতি নিয়ে ফরফর করতে।
সেজন্যে ব্লগ কর্তৃপক্ষকেও আন্তরিক ভালবাসা যে উহারা আমাদের মতো আহম্মকের দায়িত্ব নিয়েছেন। ভার্চুয়ালি একখন্ড পাগলাগারদ লালন-পালন করছেন। আমাদের বেঁচে থাকার রসদ যোগাচ্ছেন। আমাদের মতো অপ্রকৃতস্থ হাফ-লেডিসদের মহান দায়িত্ব নিয়াছেন। আর এতোসবের পরও যারা আমাদের মতো হাফ-লেডিসের কদর করেন না, তাদের জন্যে নিচের লাইনগুলো। যদিও লাইনগুলো ফেইসবুক হতে মেরে দিয়েছি, তবুও আমি এগুলো নিজের বলেই চালিয়ে দেবো। এই অধিকার আমায় ব্লগ দিয়াছে। তাইতো আজও ব্লগকে এতো ভালবাসি…..
গ্যালিলিও যেদিন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, "আমি আবারো বলছি, সূর্য স্থির, পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে। আমাকে শাস্তি দিয়েও সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর প্রদক্ষিণ করাকে আপনারা বন্ধ করতে পারবেন না, পৃথিবী আগের মতোই ঘুরতে থাকবে", সেদিন ওনার কথায় সবাই হেসেছিল। বিচার সভায় গ্যালিলিওর চরম শাস্তি হয়েছিল। বাকিটা ইতিহাস।
সতীদাহর মতো জঘন্য এক সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে যেদিন রাজা রামমোহন রায় রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, সেদিন সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ওনাকে হাস্যস্পদ করেছিল। বাকিটা ইতিহাস।
সিগনেট থেকে প্রকাশিত বিভূতিভূষণের "পথের পাঁচালী"-র সংক্ষিপ্ত সংস্করণ "আম আঁটির ভেঁপু"-র জন্য ছবি আঁকতে আঁকতেই সত্যজিতের মনে হয়েছিল, তিনি যদি কোনোদিন সিনেমা তৈরি করেন, তবে এটাই হবে তার প্রথম সিনেমা। সিনেমার শুটিং যখন শুরু হয়, তখন শুধু প্রযোজকরাই নন, তৎকালীন বিখ্যাত পরিচালকরাও তাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করেছিল। অনেকে তো ওনাকে পাগল পর্যন্ত বলেছিল। বাকিটা ইতিহাস।
একটা কথাই মনে রাখবেন, হাজারটা লোকও যদি একটা পুকুরকে সমুদ্র বলে, রাতারাতি পুকুরটা সমুদ্র হয়ে যায় না।
তাই প্রশ্ন এটা নয় যে পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে আপনি কত শতাংশ। প্রশ্ন এটাও নয় যে আপনি কতটা গুরুত্ববহ। প্রশ্নটা হচ্ছে আপনি ঠিক নাকি ভুল।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৫
জটিল ভাই বলেছেন:
একদম ঠিক বলেছেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্যে আন্তরিক জটডলবাদ গ্রহণ করুন প্রিয় ♥♥♥
২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: লোকে যত কিছুই বলুক না কেন আমি মাথা মোটা গর্দভ (মামোগ) হয়েই ব্লগে বিচরণ করবো । আমি বেহায়া, আমার আবার লজ্জা কীসের শুনি
পোস্ট প্রিয়তে রাখলাম। মনে রাগ জমা হলে, এটা খোলে পড়বো , হয়তো কিছুটা উপশম হবে। হাহাহা।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৪
জটিল ভাই বলেছেন:
অবশ্যই। যে যাই বলুক, তাতে আমার কিচ্ছু যায়-আসে না। শুধু আমার গাঢ়প্রেমী "গাঢ় বেশ" বললেই আমি খুশি
লিখবোনা ভেবেও লিখলাম। এখন দেখার বিষয় টেকে কিনা। ইসলাম আক্রমণ করে লিখলে সমস্যা নেই। কিন্তু এসব লিখলেতো আবার ব্যক্তি আক্রমণ হয়ে যায়! সত্যিই সেকুলাস, বড়ই অদ্ভূত এই ব্লগ!
আন্তরিক জটিলবাদ জানবেন প্রিয় আভী ♥♥♥
৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: সত্যিই সেকুলাস, বড়ই অদ্ভূত এই ব্লগ!
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১১
জটিল ভাই বলেছেন:
সত্যিই ভাই। জটিলবাদ জানবেন ♥
৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৪
রবিন.হুড বলেছেন: জটিলবাদ জানাই।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১১
জটিল ভাই বলেছেন:
বহুদিন বাদে। আপনার জন্যেও আন্তরিক জটিলবাদ প্রিয় ভাই ♥♥♥
৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২৫
এ পথের পথিক বলেছেন: মাশাাআল্লাহ্, খুব সুন্দর লিখেছেন । একদম চপোটাঘাত ।
সুন্দরভাবে, গুছিয়ে প্রতিউত্তর করা যায় তা শিখলাম ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:২২
জটিল ভাই বলেছেন:
জাযাকাল্লাহ্। আপনি বলছেন চপোটাঘাত। বাট সেতো বলবে দুষ্টামি। তার গাঢ়প্রেমী বলবে ক্রাইম। আর উনারা বলবেন ব্যক্তি আক্রমণ!
জটিলবাদ প্রিয় ভাই ♥
৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৬
বাকপ্রবাস বলেছেন: জটিল ভাই এখন বাকিটা ইতিহাস হবার লাইনে আছেন
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৩
জটিল ভাই বলেছেন:
হাহাহাহাহা....... দিন-দুনিয়ার খবর ঠিকভাবে রাখেননি ভাই?
জটিলবাদ
৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারণ সুন্দর লিখেছেন! ❤️
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২০
জটিল ভাই বলেছেন:
অসংখ্য জটিলবাদ জানবেন প্রিয় ভাই
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:২৯
রাসেল বলেছেন: সুন্দর সমালোচনা। মানুষ তখনই মিথ্যা প্রচার করে, যেখানে তার ব্যক্তিগত লাভ থাকে অথবা সত্য বললে ক্ষতির আশংকা থাকে।