![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রোম
ভেঙ্গেছে সাম্রাজ্যস্বপ্ন, ছত্রপতি হয়েছে উধাও;
শৃঙ্খল গড়ার দুর্গ ভূমিসাৎ বহু শতাব্দীর।
'সাথী আজ দৃঢ় হাতে হাতিয়ার নাও' -
রোমের প্রত্যেক পথে ওঠে ডাক ক্রমশ অস্থির।
উদ্ধত ক্ষমতালোভী দস্যুতার ব্যর্থ পরাক্রম
মুক্তির উত্তপ্ত স্পর্শে প্রকম্পিত যুগ যুগ অন্ধকার রোম।
হাজার বছর ধ'রে দাসত্ব বেঁদেছে বাসা রোমের দেউলে,
দিয়েছে অনেক রক্ত রোমের শ্রমিক-
তাদের শক্তির হাওয়া মুক্তির দুয়ার দিল খুলে,
আজকে রক্তাক্ত পথ; উদ্ভাসিত দিক।
শিল্পী আর মজুরের বহু পরিশ্রম
একদিন গড়েছিল রোম,
তারা আজ একে একে ভেঙে দেয় রোমের সে সৌন্দর্যসম্ভার,
ভগ্নস্তূপে ভবিষ্যৎ মুক্তির প্রচার।
রেমের বিপ্লবী হৃৎস্পন্দনে ধ্বনিত
মুক্তির সশস্ত্র ফৌজ আসে অগণিত,
দুচোখে সংহার স্বপ্ন, বুকে তীব্র ঘৃণা
শত্রুকে বিধ্বস্ত করা যেতে পারে কিনা
রাইফেলের মুখে এই সংক্ষিপ্ত জিজ্ঞাসা।
যদিও উদ্বেগ মনে, তবু দীপ্ত আশা
পথে পথে জনতার রক্তাক্ত উত্থান,
বিস্ফোরণে বিস্ফোরণে ডেকে ওঠে বান।
ভেঙে পড়ে দস্যুতার, পশুতার প্রথম প্রাসাদ
বিক্ষুব্ধ অগ্ন্যুৎপাতে উচ্চারিত শোষণের বিরুদ্ধে জেহাদ।
যে উদ্ধত একদিন দেশে দেশে দিয়েছে শৃঙ্খল
আবিসিনিয়ার চোখে আজ তার সে দম্ভ নিষ্ফল।
এদিকে ত্বরিত সূর্য রোমের আকাশে
যদিও কুয়াশাঢাকা আকাশের নীল,
তবুও বিপ্লবী জানে, সোভিয়েট পাশে।।
একটি মোরগের কাহিনী
একটি মোরগ হঠাৎ আশ্রয় পেয়ে গেল
বিরাট প্রাসাদের ছোট্ট এক কোণে,
ভাঙা প্যাকিং বাক্সের গাদায়
আরো দু'তিনটি মুরগীর সঙ্গে।
আশ্রয় যদিও মিলল,
উপযুক্ত আহার মিলল না।
সুতীক্ষ্ণ চিৎকারে প্রতিবাদ জানিয়ে
গলা ফাটাল সেই মোরগ
ভোর থেকে সন্ধে পর্যন্ত-
তবুও সহানুভূতি জানাল না সেই বিরাট শক্ত ইমারত।
তারপর শুরু হল তাঁর আঁস্তাকুড়ে আনাগোনা;
আর্শ্চর্য! সেখানে প্রতিদিন মিলতে লাগল
ফেলে দেওয়া ভাত-রুটির চমৎকার প্রচুর খাবার!
তারপর এক সময় আঁস্তাকুড়েও এল অংশীদার-
ময়লা ছেঁড়া ন্যাকড়া পরা দু'তিনটে মানুষ;
কাজেই দুর্বলতার মোরগের খাবার গেল বন্ধ হয়ে।
খাবার! খাবার! খানিকটা খাবার!
অসহায় মোরগ খাবারের সন্ধানে
বার বার চেষ্টা ক'রল প্রাসাদে ঢুকতে,
প্রত্যেকবারই তাড়া খেল প্রচণ্ড।
ছোট্ট মোরগ ঘাড় উঁচু করে স্বপ্ন দেখে-
'প্রাসাদের ভেতর রাশি রাশি খাবার'!
তারপর সত্যিই সে একদিন প্রাসাদে ঢুকতে পেল,
একেবারে সোজা চলে এল
ধব্ধবে সাদা দামী কাপড়ে ঢাকা খাবার টেবিলে ;
অবশ্য খাবার খেতে নয়
খাবার হিসেবে!
জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ
১৮ মাঘ, ১৪২০ বঙ্গাব্দ।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১
জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: মুগ্ধ আমরা সবাই।
২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪২
জোবায়েদ-অর-রশিদ বলেছেন:
পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ !
ভালো থাকুন।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮
জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: আপনিও সুস্থ থাকুন।
৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৯
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮
জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ, অভি আপনাকেও।
৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯
জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদের উত্তরে ধন্যবাদ।
৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
অন্ধকারের আলোকিত বাসিন্দা বলেছেন: বালের পোস্ট!
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫১
জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:০৩
আফ্রি আয়েশা বলেছেন: সেই পিচ্চি কালে পড়ে ছিলাম , সুকান্ত মনে করিয়ে দিলেন অনেক দিন পর . . .
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১
জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ রইল।
৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৫০
খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার শেয়ার করার জন্য।
++++++++++++++++++++
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১২
জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: খুবই ধন্যবাদ।
৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দ্বিতীয়টা অসাধারন লাগলো।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩৬
জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: দুইটাই অসাধারণ।
৯| ১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১:৪২
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: বরাবরের মতই ভাল লেগেছে। শেয়ার করে পড়ার সুযোগ করে দেবার জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১:৪৭
জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মুগ্ধপাঠ