নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বদরের প্রান্তরে যে প্রভূ মূমিনের পাশে ছিল অবিচল,হাজারো বছর ধরে রহম ও করমে সেই প্রভু আজও আছে অবিকল।

রাজু

রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আধুনীক বিয়ে & কাঠ-মোল্লা

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১৩

কল্লোল সাহেব ইদানিং তার ফ্যামিলি নিয়ে চিন্তিত। তার স্ত্রীর শরীরটা ভাল যাচ্ছেনা,২ মাস ধরে বিছানায় শোয়া। কল্লোল সাহেবের ইচ্ছা তাদের একমাত্র সন্তান রবিনকে বিয়ে দিয়ে সংসারে বউ এনে শেষ বয়েসে একটু নাতি নাতনীর মুখ দেখে যাওয়া। তা ছাড়া সংসারে এখন দেখা শোনার একজন লোক দরকার।
কল্লোল সাহেবের চিন্তার মাঝে ঘরে রবিন প্রবেশ করলেন,,,
- বাবা রবিন,,, তোমার সাথে আমার কিছু আলাপ ছিল।
- জি,বাবুজি।
- তোমাকে আমি বিবাহ করাতে চাই,মরার আগে বউমা দেখে যেতে চাই,নাতি নাতনীকে চকোলেট খাওয়াতে চাই,নাতি নাতনীকে ছাদে নিয়ে রংধনু দেখাতে চাই।
- ইয়ে মানে বাবুজি,,,,
- শোন আমি আর কথা শুনতে চাই না,তোমাকে ১ সপ্তাহের মধ্যে বিবাহ দিতে চাই। তোমার মামা তোমার জন্য পাত্রী দেখছে,তোমার কোন পছন্দ থাকলে জানাতে পার।
- জি বাবুজি, আমি এখন আসবো?
- জি আসো।
|
|
- শোন,,,
- জি বাবুজি।
- ইদানিং তোমাকে চ্যাগাইয়া চ্যাগাইয়া হাঁটতে দেখি,আমার বন্ধু রাশেদ পাইলস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। কোন সমস্যা থাকলে দেখাতে পার।
- জী বাবুজি।
|
কল্লোল সাহেব বেশি টেনশনে থাকলে ফেসবুকে ঢুকেন,ফেসবুকে ঢুকলে টেনশান কমে যায়।
কল্লোল সাহেব মুক্তমনা মানুষ,মানব ধর্মে বিশ্বাসী,আমেরিকায় সমকামিতা আইন পাশ হওয়ায় তিনি প্রো পিকে রংধনুর ছবি দিয়েছেন।
এ জন্য কত গুলো কাঠ মোল্লা ছাগু কল্লোল সাহেবকে অনেক গালাগালি করছে,কল্লোল সাহেব মোটেও এতে রাগ করেনি,বরং অনেক খুশি।ছাগুদের মনের ভেতর আগুন লাগাতে পারার জন্য। কল্লোল সাহেবের এমনিতে সমকামিতা পছন্দ না,কিন্তু এটা যেহেতু ইসলাম বিরোধী তাই সবার সামনে প্রকাশ করছেন তিনি সমকামিতা সাপোর্ট করেন,একে মানবতা বলা হয়।
|
ইসলামপন্থিদের গায়ে আগুন ধরাতে তাই সমকামিতার পক্ষে আরো দু চার লাইনের একটি স্ট্যাটাস লিখলেন।
|
|
পরের দিন সকাল ১১ টায় রবিন এসে কল্লোল সাহেবের ঘুম ভাঙ্গালেন।
- বাবুজি তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে?
- বাবা এই সাত সকালে কিসের সারপ্রাইজ দেবা?
- চোখ বন্ধ করে আমার সাথে সামনের রুমে চল।
রবিন কল্লোল সাহেবের চোখের উপর হাত রেখে সামনের রুমে নিয়ে গেলেন।
- বাবুজি এই দেখ তোমার ছেলের লাইফ পার্টনার,দারুন না বাবুজি?
কল্লোল সাহেব দেখলেন রংধনু ছাপ দেয়া টি শার্ট পড়া একটি ছেলে তার সামনে দাড়িয়ে আছে,ছেলেটির বুকে লেখা, FCUK myself.
কল্লোল সাহেব বুঝতে পারলেন তার ছেলে রবিন কেন এত দিন চ্যাগাইয়া চ্যাগাইয়া হাটত।
কল্লোল সাহেব মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন....

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

আলী বলেছেন:

এই মন্তব্যটি মুছে ফেলা হয়েছে, মন্তব্য করার সময় ব্লগ ব্যবহারের শর্তাবলীর দিকে খেয়াল রাখুন । শর্তাবলী

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৯

খোলা মনের কথা বলেছেন: হাহাহা অসাধারণ ও যৌতিকতার লেখা। সবার ক্ষেত্রে এমন বাস্তবিক সময় আসলে সঠিক অবস্থান বুঝা যেত। ধন্যবাদ আপনাকে

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

রাজু বলেছেন: apnakeo dhonnobad.sathei thakun.

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৪

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
+++++

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৮

রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.