নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং জগতে প্রথম ঢুকলাম...

জীবনের পথে চলা নবীন এক পথিক...

রাফীদ চৌধুরী

জীবনকে সাজাতে চাই সুন্দর বাগিচায়... তাই করি যা মনে চায়... live it love it ENJOY it!!

রাফীদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আনমন...(১২) প্রথম পর্ব

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫০

বেশ কিছুদিন চলে গেল এর মাঝে। টার্ম ফাইনাল গেল, অ্যাডভার্টাইজ ডিপার্ট্মেন্টের অজস্র কাজ শেষ করতে হল এর মাঝে। গীটার, গান করা প্রায় লাটে উঠেছে। জনি, হিমেলরা তো ঝাড়ি দিচ্ছে গীটার না বাজালেও প্র্যাকটিস প্যাডে অন্তত আয়! কিন্তু আমি তো আর সময় বের করতে পারছিই না। দিনে অফিসের কাজ করো আর রাতে পড়াশোনা করো! তার উপর আবিষ্কার করলাম অর্ধেক লেকচারই খাতার মাঝে নেই! মেজাজ খারাপ করে শোভনের লেকচার ফটো তুলে পড়া শুরু করতে হল…



যাই হোক, এক্সাম শেষ হলো। সেমিস্টার গ্যাপের ছুটি চলছে। তাই এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করার মতো টাইম পাচ্ছি।



মামা কই রাখবো? রিকশাওয়ালার ডাক শুনে ঘোর ভাংল যেন। ভাড়া মিটিয়ে গীটারটা কাধে নিয়ে ফুটপাথে উঠে দাড়ালাম। ঘড়িতে সময় সাড়ে পাচটা বাজে। তানিয়ার আসার কথা এখন। হঠাৎ তানিয়া ফোন দিয়ে বলল এদিকে আছি কিনা! আমিও বহুদিন পরে এসেছিলাম প্যাডে। বহুদিন পর অনেক গান কভার করছিলাম। যেহেতু এদিকেই আছি তাই তানিয়াকে চলে আসতে বললাম।



সেদিনের পর থেকে তার সাথে ভালোই কথা হয় আমার। এর মানে এই না যে সারাদিন কথা বলি। বরং দু তিন দিন পর পর। আর কথা হয় রাজ্যের সব বিষয় নিয়ে! যত সমস্যা আছে সব নালিশ করে যাই তার কাছে। সে এসব শুনে মাঝে মাঝে হেসে উঠে, আর আমারো মেজাজ ভালো হয়ে যায়!



ট্রাফিক সিগনালের নিচে দাঁড়িয়ে পড়ন্ত বিকেলের সূর্যটা দেখছিলাম… লাল টকটকে বলয়ের মতন… বিকেলের হলুদাভ মিষ্টি আলোয় আসেপাশের গাছগুলো সোনালী রঙ্গে মেতে উঠেছে। এমন সময় দেখলাম তানিয়াকে…



লাল কালোয় একটা জামা পরা মেয়ে হারমোনিয়াম নিয়ে হেটে আসছে। তানিয়া না হয়েই যায় না! কাছে এসে হাপাতে থাকল! কি ব্যাপার কাছে ছিলে নাকি? তুমি দেখি তাড়াতাড়ি চলে আসলে! বলতে বলতে আমাকে খেয়াল করে দেখল, আর সাথে সাথেই চেচিয়ে উঠল!



কি ব্যাপার তোমার না গিটার বাজানো নিষেধ? এটা এক্ষুনি ফালাও!

হোল্ড অন! গীটারকে নিয়ে এভাবে কথা বলবে না! গীটার অনেক প্রিয়…



এ জিনিসটার জন্য তোমার হাতের ব্যাথা আবার ফিরে আসতে পারে… কটমট করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।

তোমার হারমোনিয়াম নিয়ে এভাবে বললে কেমন লাগবে? হু? আমার কাছে গীটার তেমনি প্রিয়! যেমন তোমার কাছে হারমোনিয়াম!



এখন সে ব্যাপারটা ধরতে পারল যে গীটার নিয়ে কিছু বললে আমার মনের মাঝে লাগে। অন্য দিকে তাকিয়ে রইল।

তো হঠাৎ এখানে?



এখনি দেখতে পাবে… বলে হাটা শুরু করল। আর আমি তাকে ফলো করে গেলাম। একটা পাচতলা বিল্ডিঙ্গের তিন তলায় গিয়ে থামলাম আমরা। আমার দিকে ঘুরে দাড়ালো সে।



শোনো। আমি… এখানে ছোট ছোট বাচচাদের গান শেখাই। বেসিক আরকি। তাই ভাবলাম… অপ্রস্তুত দেখালো তাকে,

তুমি শিওর আমি আসতে পারবো?

হা অবশ্যই। মজা পাবে বাচচাদের দেখলে। হেসে বলল সে।



দড়জা খুলে ভেতরে ঢুকলাম আমরা। সাথে সাথে দশ পনেরোটা ছোট ছোট ছেলেমেয়ে উঠে দাড়ালো। চেচিয়ে উঠল সবগুলো একসাথে, গুড আফটারনুন মিস!



তাদের বলার ভংগি দেখে হাসি পেলো আমার। হঠাৎ করেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। একসাথে যত পিচ্চিপাচ্চা ছিলাম সব দলবেধে ঘুরে বেড়াতাম!



হুশ! মুখে আঙ্গুল দিল তানিয়া। আজকে তোমাদের দেখতে মেহমান এসেছে দেখেছো! তাই কেউ কোন দুষ্টুমি করবে না! তোমরা সবাই কতো ভালো গান গাইতে পারো দেখিয়ে দিবে তাকে বুঝেছ!

একটা ছেলে উঠে দাড়ালো। মিস আমি গাইবো! আমরা সবাই রাজা!



হেসে ফেললাম আমি! তানিয়াও হেসে ফেলল। ছোট ছোট ছেলেমেয়ের ভিড়ে তানিয়াও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। তাদের সাথে মিশে গেছে যেন। যেন বড আকারের কোন বাচচা মেয়ে! তার দিকে তাকিয়ে দেখতে থাকলাম, কিভাবে একেকজনকে পাশে বসিয়ে মনোযোগ দিয়ে শিখাচ্ছে। মেয়েটা আসলেই অনেক কিছু পারে! অন্যরকম এক শ্রদ্ধাবোধ হল তার জন্য। অনেকেই হয়তো শেখায়, কিন্তু সে যেভাবে মায়া দিয়ে শেখাচ্ছে…



আপনি কি গিটার বাজান? মিষ্টি সুরেলা একটা গলা বেজে উঠল যেন। শার্ট ধরে টানছে কেউ। তাকিয়ে দেখি একটা ফোকলা মেয়ে! বেশি হলে ৭ বছর বয়স হবে। ছোট দুটি বেনী যেন শিঙ্গের মত বেড় হয়ে আছে। অবাক চোখে সে তাকিয়ে আছে আমার কালো গীটারের ব্যাগের দিকে।

হেসে মেয়েটার ফোলা ফোলা গালদুটো টিপে দিলাম। হ্যা, তুমি শুনবে?



হ্যা! আশেপাশে থেকে দৌড়ে আসল কতগুলা। অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলাম ছোট্র এক জটলার দিকে। সবার মাঝে আমি আর সবাই গোল হয়ে দাড়িয়া আছে। আমার গীটার বাজানো দেখবে! হকচকিয়ে গেলাম, তানিয়ার দিকে তাকালাম। সে বাকা হয়ে দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, হাত দুটো ভাজ করা, হাসিতে বিগলিত হয়ে গেছে তার মুখ। ইশারা করলো যেন বাজাও!



ব্যাগ থেকে গীটারটা বেড় করলাম। আলতো করে প্লাকিং বোলালাম। ছেলেমেয়েগুলো এই প্লাকিঙ্গের সুরে কি যেন গাইল দল বেধে বুঝতে পারলাম না। আমিও ভাব দেখালাম তাদের এই গানটাই গিটারে বাজাচ্ছি! শেষ হলে সবাই তালি দিয়ে চিৎকার করে উঠল! তাদের কান্ড দেখে প্রচন্ড হাসি পেল আমার!



গীটারের তারে স্ট্রোক পরতে ফিরে তাকালাম, ছোট্র মেয়েটা তারে হাত বোলাচ্ছে।

নাম কি তোমার? হেসে জিজ্ঞেস করলাম।

সাদিয়া… আলতো সুরে বলল।



না তার নাম শিঙ্গা! প্রত্যেক দিন মাথায় শিং বানিয়ে আসে! কতগুলো ছেলে ভেঙ্গালো তাকে। সাদিয়া উঠে দৌড় দিল তাদের মারতে। হাসতে হাসতে ফেটে পরলাম আমি।



তানজিল, তুমি কি পারো দেখাও তো! তানিয়ার পাশে থাকা ছেলেটাকে বলল সে। এই ছেলেটা অন্যদের চেয়ে একটু লম্বা, চুলগুলো সোজা সোজা। তার ভাবভংগি দেখে মনে হল সে তার মিসকে এতক্ষণ প্রোটেক্ট করে রেখেছিল! এখন্ সে আমাকে দেখাবে কি বাজাতে পারে সে।



সামনের হারমোনিয়ামে বসে আমরা সবাই রাজা গাইলো সে। তার সাথে বাকি পিচ্চিরাও। সুর তো দূরের কথা সবাই মিলে গানটাকে এমন জগাখিচুরি বানালো যেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ শুনলে চিনতে পারতো না এটা তার লিখা কোন গান কিনা!



সে শেষ করে আমাকে বলল গাইতে। ঢোক গিললাম! আমি শেষ পর্যন্ত গীটারে আমরা সবাই রাজা তুলব! জনি হিমেল তুহিন যদি শোনে তাহলে হাসতে হাসতেই হার্টফেইল করবে! তানিয়ার দিকে অসহায় চোখে তাকালাম।



তানজিল এত সুন্দর গাইল আর তুমি কিচ্ছু পারো না! ছি ছি! ফাইজলামি করে বলল সে, তানজিলের পিঠে হাত বুলিয়ে দিল। আর তানজিল বিজয়ী চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, যেন বলেছে দেখলে আমি জিতেছি!



আর সহ্য হল না, যা থাকে কপালে… কয়েক সেকেন্ড চিন্তা করে দেখলাম কি কর্ড হতে পারে গানটার… তারপর বাজাতে শুরু করলাম…





কিছুক্ষণ পর। আমি আর তানিয়া মুখোমুখি বসে আছি। পিচ্চিদের ক্লাশ আগেই ছুটি দিয়ে দিয়েছে তানিয়া। সে কাগজ পত্র গোছাচ্ছে। আমি তখনো ফুসছি।



কি করলাম আমি! শেষ পর্যন্ত এই গান? হাহুতাশের সুরে বললাম। প্লিজ কাউকে বলো না এটা। আমার মান সম্মানের প্রশ্ন…



হাহা! হাসল তানিয়া। হাসলে তার গালে টোল পড়ে… পুরোনো দিনের একটা পাওয়ার বাল্বের আলোতে তার চুলগুলো সোনালী রঙ ধারণ করেছে। অদ্ভুত সুন্দর লাগছে তাকে…



সে খেয়াল করলো যে তার দিকে অপলকভাবে তাকিয়ে আছি। চোখ সরিয়ে নিল, মেঝের দিকে তাকিয়ে আছে… বাচচাদের জন্যই তো বাজালে… এত আক্ষেপ করো না… আলতো সুরে বলল। এক হাত দিয়ে আরেক হাত ধরে রেখেছে। আদুরে ভঙ্গি… আমার খুব প্রিয়।



হ্যা… বাচচাগুলো অনেক কিউট।



হুম! মাথা ঝাকালো। সামনের টেবিলটার উপর বসল। আমার দিকে তাকিয়ে আছে। গীটার হাতে ধরে কিভাবে আঙ্গুলগুলো নাড়াচ্ছি তা দেখছে। তুমি না এই গান তুলোনি কখনো? তাহলে কিভাবে পারলে…



আন্তাজ করে নিয়েছি কি কর্ড হতে পারে… আমি তো আর ট্যাব দেখে বাজাই না…

ট্যাব কি?

ট্যাব? কিভাবে বুঝাবো বুঝতে পারলাম না। বাদ দাও ওসব বুঝবা না!



স্রাগ করল সে। পুরোনো আমলের কাঠের জানালাটা দিয়ে এক দৃষ্টিতে বাইরে তাকিয়ে থাকল আনমনে। বাইরে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে আকাশে… যে কোন মুহুর্তে ভারি বর্ষণ শুরু হয়ে যাবে। মানুষজন ছুটাছুটি করছে হয়তো আপণ নিড়ে ফিরে যাবার জন্যে… বৃষ্টির আগে সব ব্যস্ততা বেড়ে যায়… রাস্তার ফুটপাথের দোকানীরা তাদের পসরা গুটাচ্ছে আসন্ন মেঘের ভয়ে… জানালার পাশে দাড়ালাম… অপূর্ব সে দৃশ্য… অবশ্য দেখার মত যদি একটা মন থাকে…তাহলে।



এই আমার জীবন বুঝলে? হালকা গলায় বলল তানিয়া। মা মারা যান অনেক ছোট বেলায়। ছয় বছর হবে তখন আমার… তেমন কিছুই মনে নেই আর। মার অনেক ইচ্ছে ছিল আমি যেন রবীন্দ্রসংগীত শিখি। তিনি নাকি রবীন্দ্রগীতি অসাধারণ গাইতেন… তাই বাবা আমাকে ছোটবেলা থেকেই গান শেখাতেন…



কি বলব বুঝতে পারলাম না। অপলক চোখে তাকিয়ে রইলাম তার দিকে।

আমার বাবা, গান ছায়ানট, এই বাচচাদের গান শেখানো এসবই আমার জীবন… আলতো করে বলল সে। গলা কেপে উঠল তার। আমি খুব সিম্পল থাকতে পছন্দ করি। জীবনে খুব বেশি কিছু কখনো চাই নি, যখন বুঝতে পেরেছি যেটা পারবো না কখনোই, সেটা থেকে দূরে সরে এসেছি… এত দিন অন্তত পেরেছি…



নিচের দিকে তাকিয়ে থাকল কিছুক্ষণ। ভাবছে। তার মন খারাপ করা কথা শুনে আমার মন খারাপ হয়ে গেল। আহারে ব্যচারির মনে কত কষ্ট! এতদিন আড়াল করে রেখেছে সব সময়।



মুখ তুলে তাকালো সে। এখন আর নিজের সাথে লড়াই করে আর পারছি না সাগর। অনেক ক্লান্ত আমি। একবার মনে হয় হোক না যা হচ্ছে, আরেকবার মনে হয় এমন তো হবে না… এমন তো হবার নয়।



তোমার সাথে আছি আমি তানিয়া… তুমি একা নও এই লড়াইতে! আমিও তোমার পাশে থাকবো…

এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল সে। তার চোখে ভাসছে কৃতজ্ঞতা আর… সাথে অন্যকিছুও…



মাথা নাড়লো। যাক! অনেক ভারী ভারী কথা বললাম। কিছু মনে করো না। অনেক কষ্ট তো? কাউকে বলতে পারি না… বাবা যথেষ্ঠ করে… আমাকে নিয়ে এমনি অনেক ভাবে… ভাবতে ভাবতে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তাকে আর কষ্ট দিতে সাহস পাই না। তাই তোমাকে বলি… আলতো হাসল সে। মাথা বাকিয়ে তার মনভুলানো হাসিটা অনেক প্রিয় আমার… আমিও ফিরতি হাসি পাঠালাম।



কোন চিন্তা করো না! যত সমস্যা হবে আমাকে বলবে! আমি চেষ্টা করবো যতখানি পারি…



আমি জানি! মিষ্টি করে হাসলো সে। গিটারের দিকে তাকালো। এই জিনিসটা কিভাবে বাজাও তুমি?



দেখবে? কাছে এসে বসলাম। আলতো করে কর্ড বাজালাম। সি কর্ড বাজানো থেকে শুরু করেছি আমি। ব্যাসিক কর্ডগুলো শিখলে অনেক গানই বাজানো শুরু করা যায়। সি জি এ মাইনর আর এফ কর্ডের প্রগ্রেসান বাজালাম। তবে আগে তোমার ফিঙ্গার প্র্যাকটিস করতে হবে। তাহলে আঙ্গুল গুলো অনেক ক্লেয়ার হয়ে যাবে, কর্ড ধরতে পারবে।



হাত বাড়ালো সে। গিটারটা তার হাতে দিলাম। আমার অনুকরণে সি কর্ড ধরতে চাইলো, কিন্তু পারলো না। বা রে! অনেক কঠিন তো! দূর থেকে দেখলে সহজই মনে হয়!



আরেহ প্র্যাকটিস করলে সহজই হয়ে যাবে। এখন তো আমার এডভান্স কর্ডও না দেখে ধরতে কোন অসুবিধা হয় না।



আবার সি ধরতে গিয়ে পারলো না। তার পাশে গিয়ে বসলাম। আমার আঙ্গুল দিয়ে তার আঙ্গুল এ স্ট্রিঙ্গের ফ্রেটে বসিয়ে দিলাম। এরপর আলতো করে তারে স্ট্রোক করলাম। সি কর্ডের সুন্দর মেলোডি ভেসে এল গিটার থেকে।



বাহ পেরেছি! হাসল সে।

হ্যা… যদিও আমি ধরে রেখেছি বলে।

হয়েছে ছাড়ো! আলতো অভিমানে বলল সে। হাত ছেড়ে তার গাল টিপে দিলাম। লক্ষি মেয়েটা!



এমন সময় দুপ করে বাতিটা নিভে গেল। সারা দুনিয়া অন্ধকার হয়ে গেল চোখের সামনে। জানালা দিয়ে মাঝে মাঝে আকাশে বিজলি চমকাচ্ছে, তার আলোতে হঠাৎ হঠাৎ তানিয়ার মুখটা দেখতে পারছি।

কি হলো!



কারেন্ট চলে গেছে। বাইরে তাকিয়ে দেখলাম তুমুল বর্ষণ শুরু হয়ে গেছে। একেবারে কুকুর বেড়াল বৃষ্টি।

হায় হায়! এখন যে বেড় হতে পারবো না! কি হবে! বাসায় যেতে দেরি হয়ে যাবে যে!

কি আর করা! আমরা বোধহয় আটকে গেলাম এখানে! হেসে বললাম আমি।













আগের পর্ব

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আলাপনগুলো '-' অথবা '>' চিহ্ন দিয়ে দিতে পারতেন ! পড়তে খুব সমস্যা হচ্ছে !
ভালো থাকুন ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩২

রাফীদ চৌধুরী বলেছেন: পরের বার থেকে ব্যাপারটি মাথায় থাকবে!
ধন্যবাদ! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.