নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনকে সাজাতে চাই সুন্দর বাগিচায়... তাই করি যা মনে চায়... live it love it ENJOY it!!
ট্রান্সপোর্টশীপটার হলওয়েতে জড়ো হয়েছে সবাই। একেবারে সামনের সারিতে শীপটির ক্যাপ্টেন দাঁড়িয়ে আছে। তার সব ব্যাজ খুলে ফেলা হয়েছে। তাকে দেখলে মনে হচ্ছে যে কোন মুহুর্তে উলটে পরে যাবে।
সারির মাঝের দিকে মেঝেতে হাটু গেড়ে বসে আছে ফ্লেন। মাথার পেছনে হাত দেয়া। আশেপাশে স্পেস আর্মাডারা টহল দিচ্ছে। কেউ নড়েচড়ে উঠলেই ব্লাস্টারের ডগা দিয়ে খোচা দিচ্ছে। অন্যরা রুমে রুমে তল্লাসি করছে, মূল্যবান যা কিছু পাচ্ছে নিজেদের মাঝে ভাগ বাটোয়ারা করে নিচ্ছে।
তার পাশেই মেঝেতে পরে আছে ক্লব আর রুনিন। ক্লবকে দেখলে মনে হচ্ছে এখনি জ্ঞান হারাবে। রুনিন এক আর্মাডার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলো, কিন্তু তাকে তারা বরণ করে নিলো ব্লাস্টারের মোক্ষম ঘা দিয়ে!
পালাতে হবে! মনে মনে ঠিক করে নিলো ফ্লেন। যেভাবেই হোক এখানে মরা চলবে না। আশেপাশে দেখতে থাকল সুযোগের আশায়, চারটা পাইরেট সামনে পিছনে টহল দিচ্ছে। ডানে বায়ে আপাতত কেউ নেই।
রুনিন! চাপা গলায় ডাকলো সে।
কে ডাকে? তারচেয়েও ফ্যাসফ্যাসে গলায় জবাব দিলো সে। আশেপাশে তাকাচ্ছে।
আরেহ এদিকে! আমার কিউ কার্ডটা দাও!
কিউকার্ড! উন্মাদের মতো তাকালো রুনিন। কিউকার্ড দিয়ে কি করবি রে ছোড়া! দেখতে পাচ্ছিস নে আর্মাডা সব দখল করে ফেলেছে, এখন তুই ইউনিট খরচ করতে চাস?
এতো কথা বলছিস কেন তুই? আরেকটা ঘা পরলো রুনিনের পিঠে। দুটো আর্মাডা এসে ধরলো তাকে, পকেট তল্লাসি করে বের করলো কিউকার্ডটা!
এটা কি! কিভাবে কাজ করে? উলটে পালটে দেখতে থাকলো তারা। এই বল এটা কি!
মনে মনে সুযোগ খুজলো ফ্লেন। কিউকার্ডটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে এর মাঝে থেকে হাই ভোল্টেজের ইলেক্ট্রিক শক বেরিয়ে আসে। অত্যাধুনিক সিকিউওরিটি ফিচার এটা। যা ভেবেছিলো তাই! একটু পরে ওবাবারে বলে উলটে পরে গেল স্পেস আর্মাডাদুজন। মাটিতে পরে থেকে থেকে কাপছে।
বিশৃংখলা দেখা দিল সারিটার মাঝে। বাকি দুজন ছুটাছুটি করে ব্লাস্টার থেকে রশ্মি ছুড়ে মারতে থাকল এদিক ওদিক। এই সুযোগে কিউকার্ডটা নিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে টেবিলের তলায় লুকোলো সে। সামনের গার্ডটা সরে যেতেই ছুট লাগালো দরজার দিকে। পেছন থেকে চিৎকার চেচামেচি ও রশ্মি ছুটে এলো তার দিকে। কিন্তু পরোয়া করলো না।
দরজা বন্ধ করে কিউকার্ডটা সিকিউরিটি পেনেলে ঠেসে ধরল সে। ২২ শ ভোল্টর শকে সাথে সাথে দরজার চিপগুলো পুরে অকেজো হয়ে গেল। যত কারিগরিই দেখাকনা কেন এখন আর কেউ দরজা খুলতে পারবে না!
দ্রুত পা চালালো ফ্লেন। অন্য সব আর্মাডা এখানে চলে আসতে পারে। ডকটা কোনদিকে মনে করার চেষ্টা করলো। কোনভাবে একটা স্কাউটশীপ নিয়ে পালাতে পারলে হয়!
অন্ধকার একটা গলিঘুপচি ঘরে এগুতে থাকল সে। এখন সে গোডাউন সেক্টরের দিকে চলে এসেছে। করিডোরের মাথায় একটা হলোগ্রাফিক স্ক্রিনে দেখে নিল কোথায় আছে সে। মাথার উপর লাল বাতি ক্রমশ জ্বলছে, আর সাইরেনের সতর্কবার্তা কান ঝালাপালা করে দিচ্ছে তার।
হলোগ্রাফিক স্ক্রীনটা থেকে ঘুরতে যাবে এমন সময় দড়াম করে দড়জাটা খুলে গেল! দুটি বেন্ডিট দাঁড়িয়ে সেখানে।
কে তুই! ব্লাস্টারটা এগিয়ে ধরলো তার দিকে। হাত মাথার উপর তোল! দ্রুত হিসেব কশে নিল ফ্লেন, কাপা কাপা ভঙ্গিতে হাত তুলল মাথার উপর। দোহাই লাগে, আমাকে মেরো না!
তুই এখানে কি করছিস! সবাইকে না হলওয়েতে জরো করা হয়েছে! ব্লাস্টারদিয়ে খোচা দিতে উদ্যত হল একজন।
বিশ্বাস করো, আমি ওদিকেই যাচ্ছিলাম, পথে মদ্ধ্যে হলওয়ে থেকে ব্লাস্টারের রশ্মির আওয়াজ পেয়ে এখানে লুকিয়েছি! বিশ্বাস করতে পারবে না এখানি কি খুজে পেয়েছি! বলতে বলতে দেয়ালের দিকে পেছাতে থাকল ফ্লেন। মুখে প্রচন্ড ভীত চেহাড়াটা ধরে রেখেছে।
কি খুজে পেয়েছিস? আগ বাড়ল বেন্ডিটটা।
এটা! পেছনে হলোগ্রাফিক স্ক্রীনটাতে হাতের ছোয়া লাগল ফ্লেনের, স্ক্রীনটার পাশে একটি আর্টিফিশিয়াল গ্রেভিটি জেনারেট করার লিভার ছিল আগেই খেয়াল করেছিল সে। লিভারটা উপরের দিকে উঠিয়ে দিল।
সাথে সাথেই এই করিডোরের গ্রেভেটি বন্ধ হয়ে গেল, ব্যান্ডিটরা কিছু বোঝার আগেই দেখা গেল আকাশে উড়ছে!
ঝাপ দিয়ে অন্যপাশে সরে গেল ফ্লেন, একটা হাতল ধরে নিজেকে সামলে চলছে। একটা বেন্ডিট তার দিকে ব্লাস্টারের রশ্মি ছুড়ে মারল, সেটা বরং তার জন্যে হীতে বিপরীত হয়ে উঠল। আর্টিফিশিয়াল গ্রেভিটি উঠে যাবার ফলে ব্লাস্টারের পিছুধাক্কার জন্যে বেন্ডিটটি পেছনের দিকে একটি মেটাল বিমের উপর আছড়ে পরল, তার ব্লাস্টারটি শুন্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
*****
দৈনন্দিন রুটিনের কোন পরিবর্তন নেই জিমের জন্যে। রোজ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে সে। এখানকার ভারি বাতাসের জন্যে ঘুমের মাঝে ছটফট করতে থাকে সে। ম্যালো ড্রয়েডটা প্রত্যেকদিন ঘুম থেকে উঠার পর একই স্বরে সম্ভাষণ জানায় তাকে, আবহাওয়া, রেডিয়েশন সম্পর্কে ধারণা দেয়। কতদিন এখানে থাকবে কিছুই জানে না সে। তার বন্ধুরা কোথায় আছে কিছুই জানে না । এমনকি এখানকার বিজ্ঞান একাডেমির বার্তার মাঝে লিওদের ফিউজিটিভ হিসেবে দেখাচ্ছে। সকল পডকাস্টে তাদের ধরিয়ে দেবার জন্যে বলা হচ্ছে। গ্যালাক্সিতে কি কি চলছে কিছুই ঠিক বুঝতে পারে না জিম।
দীর্ঘশ্বাঃস ফেলে উঠে বসল জিম। ভোর হতে আরো কয়েক ঘন্টা বাকি। সমুদ্রের শো শো গর্জনটা নিয়মিত কানে বেজে যাচ্ছে। লিনেনের জামাটা গায়ে দিয়ে কাঠের কুড়েটা থেকে বের হয়ে এলো সে। বাড়িটার সামনেই ধু ধু বালিয়াড়ি, এর সামনেই দিগন্তহীন সমুদ্র।
মাস্টার শুপ্রভাত! একঘেয়ে স্বরে বলে উঠল ম্যালো। আজ ১৫ তারিখ, ৩০১৭ সাল, আমরা আছি হিক্টর কন্সটেলেশনে এজাক্স গ্রহপুঞ্জের থেকে ১৭ আলোকবর্ষ দূরে। আজকের তাপমাত্রা…
উফ তুমি চুপ করবে! ধমকে উঠল জিম। একই কথা প্রতিদিন শুনতে শুনতে কান পচে যাচ্ছে তার। আজ প্রায় চার মাস হয়ে গেল এই গ্রহে আটক আছে সে। সেটাও হচ্ছে রেঞ্জারশীপটা থেকে কাকতলীয়ভাবে পুনরুত্থান হবার পরে। এখনো সে জানে না কিভাবে সে ঐ রেঞ্জারশীপে এসে পরলো। কিভাবে সোলারেক্স থেকে এত দূরে ছিটকে পরল। তার বন্ধুরা শুধু বেচে আছে ধারণা করতে পারল সে।
যদি মারা যেত তাহলে বিজ্ঞান একাডেমি তাদের ধরিয়ে দেবার জন্যে পডকাস্ট করতো না…
মাস্টার কিছু খাবেন? ডিয়াড্রা বীন আছে কিছু…
চোখ মটকে পেছনে তাকালো জিম, দেখলো হলুদ সেন্সরগুলো দিয়ে ড্যাব ড্যাব চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে ম্যালো।
ম্যালোকে কোন জাঙ্কশপে ফেলে আসতে মন চেয়েছে তার বহুবার, কিন্তু কেন যেন হয়ে উঠে নি। হয়তো একা একা এই নিঃস্বংগ জায়গায় থাকতে চাচ্ছে না আনমনে… হোক না শুধু মাত্র একটা যন্ত্রই না কেন।
যাও খাবার রেডি করো। ম্যালোকে আদেশ দিয়ে সমুদ্রের দিকে ফিরল সে। আজ কাজ থেকে ফিরে একটা ড্রয়েড স্পেশালিস্টের কাছে নিয়ে যাবে ম্যালোকে, মনে মনে ঠিক করলো সে। যদি তাকে সাথে রাখতেই হয় তাহলে পূর্ণভাবে সচল হিসেবেই রাখবে সে। মাঝের মেমোরি ইউনিট হারানোর কারণে সে একই কথা বারবার বলে, যা শুনতে শুনতে কান পচে যাচ্ছে তার।
*****
সকাল সকাল ফ্যাক্টরিতে পৌছে গেল জিম। কাপড়ের মাঝে ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাজ লাগিয়ে জার্ম নিস্ক্রিয় করার গেটের ভেতরে ঢুকে পরল। এই হিক্টর কন্সটেলেশনে ঢুকে পরার পরে আটকে পরে এখানে জিম। এখানে কয়েক বছর পর পর ট্রান্সপোর্ট শীপ আসে আউটার ওয়ার্লড থেকে। এর কারণ মাত্রাতিরিক্ত দূরত্ব পৃথিবী থেকে জায়গাটার। হাইপার ডাইভ দিয়ে পৌছানো ও প্রায় অসম্ভব, কারণ এত লম্বা সময় ধরে কোন অত্যাধুনিক স্পেসশীপই হাইপার ডাইভ ধরে রাখতে পারবে না। কালের আবর্তনে চতুর্থমাত্রার মাঝে আটকে যাবে।
নিজের নিয়মিত রুটিন ইন্সপেকশনে বের হলো জিম। এখানে সে একজন নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ার। পাওয়ার কোম্পানী তার কাজের দক্ষতা দেখে আর চাকরির ব্যপারে দ্বিমত করে নি। দিনের বেলা এখানে কাজ করে আর খোজ খবর করতে থাকে এখান থেকে পালাবার।
সারাটা দিন তার সময় গেল বিভিন্ন রিয়্যেক্টরগুলো ঘুরে ফিরে দেখতে দেখতে। প্রত্যেকটা চেকলিস্ট বুঝিয়ে দিল রিয়্যেক্টর ম্যানেজারদের। নিজের কাজ শেষ করে যখন নিজের অফিস রুমটাতে প্রবেশ করলো তখন ক্লান্তির চুরান্ত পর্যায়ে পৌছে গেছে সে। চেয়ারের মাঝে শরীরটা ডুবিয়ে দিতেই গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল সে।
***(ফ্লেন)
প্রাণপনে দৌড়াচ্ছে ফ্লেন। পেছনের একটার পর একটা গেট জ্যাম করে আবারো ছুট দিচ্ছে। শেষ দড়জাটা আটকানোর সময় কানের পাশ দিয়ে একটা রশ্মি ছুটে গেল। কপাল তার খুবই ভালো যে তীব্র গরমের একটা হল্কা ছাড়া আর কিছুই তার অনুভব করতে হয় নি।
তার লক্ষ্য হচ্ছে যত তাড়াতাড়ি পারে নিচের ডেকে চলে যাওয়া। হঠাৎ করেই তার মাথায় নতুন একটি প্ল্যান এসেছে। এখান থেকে পালাতে হবে। আর এই ট্রান্সপোর্টশীপের ইমার্জেন্সির জন্যে রাখা ছোটখাট বিটলশীপগুলো সব ব্যন্ডিটেরা পাহাড়া দিয়ে রেখেছে। এবং খুব দ্রুতই এখান থেকে পালাতে হবে। দুপদাপ করে একেক লাফে তিন চারটা সিড়ি পেরুতে লাগল সে। সিড়ি থেকে নেমেই বায়ের একটা কড়িডোর পেরুলো, সামনের আর দুটো দড়জা পেরুতে পারলেই একটা ট্রুপারশীপ পাবে সে…
দড়জা খুলেই ধাক্কা খেয়ে মেঝেতে পরে গেল ফ্লেন। হাত থেকে ব্লাস্টারটা ছুটে গেছে। মাটিতে এক গড়ান দিয়ে উঠে দাড়ালো, শত্রুকে মারতে প্রস্তুত। কিন্তু সেখানে কয়েক জন দাঁড়িয়ে আছে।
আরে তুই! চোখ কপালে উঠল রুনিনের। তুই এখানে কি করছিস!
আরেহ! পরিচিত মুখ দেখে স্বস্থি পেল ফ্লেন। যদিও একটু আগে তারাই তাকে ডাকাতি করতে এসেছিল, কিন্তু শেষপর্যন্ত যে ব্যন্ডিটদের দেখা পায়নি এটাই বেশি।
তোকে তো সারাটা শীপ ধরে তন্য তন্য করে খুজছে, দুটো ব্যন্ডিটকে নাকি মেরে ফেলে এসেছিস? হাসিতে একান ওকান হয়ে উঠল ক্লবের।
আমি কিছু করি নি। হাপাতে হাপাতে বলল ফ্লেন, নিজের দোষেই মরেছে, শুন্যগ্রেভিটিতে ফায়ার করতে গেল কেন! যাহোক, আমাকে এখান থেকে পালাতে হবে। আগ বাড়তে গেল সে। কিন্তু তার হাত ধরে ফেলল চিকন লোকটা, এদের তৃতীয় জন।
কোথায় যাবি তুই। সব ডকিং স্টেশনে পেট্রোল দিচ্ছে পাইরেটরা।
এটা বাদে। মুচকি হাসল ফ্লেন। সামনের গ্লাসউইন্ডো দিয়ে দেখা যাচ্ছে মাঝারি সাইজের একটা ট্রুপারশীপ, লাইফলাইন দিয়ে আটকে আছে এই ট্রান্সপোর্টশীপটার সাথে।
রুনিনের মুখ হা হয়ে গেল। তুই স্পেস পাইরেটের শীপ নিয়ে পালাবি? তোর মাথা কি নষ্ট?
চিকনজন হাত তুলল। এটাই সবচেয়ে ভালো আইডিয়া! প্রায় সব ব্যান্ডিটরা এই মূহুর্তে লুট করছে, আর এই শীপ নিয়ে আমরা যদি পালাতে পারি তারা কি বিটলশীপগুলো নিয়ে আমাদের তাড়া করবে?
দাঁড়াও! আমরা মানে…
ধীরে ধীরে হাসি ফুটে উঠল রুনিন আর ক্লবের মুখে। বিশাল থাবা দিয়ে তার পিঠ চাপড়ে দিল রুনিন। ভালো বুদ্ধি বের করেছিস সার্বি! এখান থেকে পালানোর এটাই একটা পথ…
কিন্তু আমাদের তো অপারেটর নেই! এক চোখের উপরে বসা সবুজ গগলসটিকে আরেকটু উপরে তুলল সে। চালাবে কে?
আমি চালাতে পারব। বলল ফ্লেন। ভাইসরয় ভ্লাদিমির সিরোভের স্কয়ার হিসেবে থাকার জন্যে তাকে যথেষ্ঠ ট্রেনিং নিতে হয়েছে। মোটামুটি স্পেসশীপের কন্ট্রোলগুলোর সাথে পরিচিত সে।
কিন্তু আমি তোমাদের সাথে নিব কেন? শেষবার যখন আমাদের দেখা হয়েছে তখন তোমরা আমাকে ডাকাতি করতে এসেছিলে…
শেষবার যখন আমাদের দেখা হয়েছে, তার কথা কেড়ে নিল রুনিন। তখন তোর কিউকার্ডটার ভোল্টেজে দুইজন ব্যন্ডিট মাটিতে পরে কাপছিল, আর কিউকার্ডটা তারা পেয়েছিল আমার পকেটে থেকে। তিক্ত কণ্ঠে বলল সে। তারা ভেবে নিয়েছে তাদের বন্ধুদের আমি মেরেছি। মাটিতে থুতু ফেলল।
কিউকার্ডটা আমার কাছ থেকে না নিলে এই দিন তোমার দেখতে হতো না… সমান ভাবে তেড়ে গেল ফ্লেন।
গাইজ! দুজনেরই কাধে হাত রাখল ক্লব। তোমরা খেয়াল করছো কিনা জানি না, ব্যান্ডিটেরা প্রচুর সংখ্যায় নামছে সিড়ি দিয়ে… সামনের হলোগ্রাফিক স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে বলল সে।
স্পেসের দোহাই আমাদের এখুনি পালাতে হবে! চিৎকার করলো রুনিন। আমরা তোর সাথে যাচ্ছি, কথা শেষ। সামনের দিকে ঠেলে দিল ফ্লেনকে। চল!
ফ্লেনের দ্রুত ভেবে দেখল তারাই সঠিক। তার প্রমাণও পেল সে সামনের দড়জাটা পার করার পরে। সে ভেবেছিল কোন ব্যন্ডিট থাকবে না। কিন্তু দেখা গেল কয়েকটা ব্যন্ডিট ঘুটি খলছে জাহাজটার সামনে বসে।
হুংকার করে তেড়ে গেল ক্লব, রুনিন আর সার্বি। ক্লবের হাতে ছোট একটা আর্মড গান, রুনিনের হাতে এম্বার শিখার ড্যেগার, সার্বির লোটে পাথরের একটা অস্ত্র, যেটা ফ্লেন কখনো খেয়াল করে দেখে নি।
তার জামার হাতায় বসানো আছে ছোট্র একটি নল, খেয়াল না করলে বোঝাই যায় না। একচোখের গগলস দিয়ে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করছে সার্বি, আর নল থেকে ছোট ছোট হলদে রঙের রশ্মি ছুটে যাচ্ছে সেদিকে।
দেরি না করে ব্লাস্টারটা হাতে তুলে নিল ফ্লেন। কিছুক্ষনের মাঝেই দখল করে ফেলল ব্যন্ডিটদের ট্রুপারশীপটা।
চিৎকার করে হাসছে রুনিন, তার নকল দাত সব বের হয়ে গেছে হাসির চোটে। শেষ পর্যন্ত পাইরেটদের শীপ কব্জা করলাম আমরা!
চিলতে হাসি ফুটে উঠল ফ্লেনের মুখেও। এযাত্রা কোনভাবে বেচে গেল বোধহয়। দ্রুত অপারেটিং রুমে ঢুকে পড়ল সে। ইঞ্জিন স্টার্ট দিয়ে পেসার সেন্সর অন করে দিল। শূন্যে ভাসতে থাকল জাহাজটা। ততক্ষনে ডকিং গেইটে প্রচুর পাইরেট জমা হয়ে গেছে। উপরের দিকে তাকিয়ে হাত ছুড়ছে। কেউ কেউ রশ্মি ছুড়ে মারল।
কিন্তু ততক্ষনে তাদের নাগালের বাইরে চলে এলো শীপটা।
আগের পর্ব
©somewhere in net ltd.