![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের জ্ঞানের পেয়ালা কখনো সম্পূর্ণ নয় আর একেবারে শূণ্যও নয়। তাই তৃষ্ণা মেটানোর সাধনায় ক্লান্তির অবকাশ নেই।
মাঝে মাঝে আমার নিজের ভাগ্যকে নিজেরই বিশ্বাস করতে মনে চায় না। বয়স আমার এতটাও কম না। কুড়িতে পা দিয়েছি। গড় আয়ু হিসাব করলে আমার জীবনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ তো শেষ করে ফেললাম। তবুও এ দীর্ঘ সময়ে মুক্ত বিহঙ্গের মত কি জীবন জগতটাকে দেখতে পেরেছি কিনা এ প্রশ্নের উত্তর দিতে লজ্জাবোধ করি। প্রাইমারিতে থাকতে ঘরের চার দেয়াল আর হাইস্কুল বা কলেজে রেসিডেন্সিয়ালের চার দেয়াল এর মধ্যেই ছিল আমার বিচরণ, ছিমছাম ভাবে সাজানো, আমার মায়ের আলনার মত গোছানো ছিল আমার জীবন।
কিন্তু প্রকৃতি বা বিধাতা যে যাই বলুন না কেন, তার না মানুষের জীবনে একটু ঢেউ না দেখলে ভালই লাগে না।সেটা আনন্দের হোক বা দুঃখেরই হোক, ঢেউ আসবেই। আমার বেলায় হয়ত সেটা আনন্দেরই ছিল। শিক্ষাবোর্ড থেকে চিঠি এল আমার কলেজে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের উপহারস্বরুপ সারা বাংলাদেশ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থীকে চীন সফরে নিয়ে যাওয়া হবে আর সেই সৌভাগ্যবানদের মধ্যে আমিও একজন।আয়োজন করেছিল যৌথভাবে চীন সরকার আর একটি বাংলাদেশী সংগঠন ।
তো এত বড় একটা খবর পেয়ে আমার জীবনের দিবাস্বপ্ন অধ্যায় শুরু হল। পাসপোর্টসহ যাবতীয় ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নিয়েছিল আমাদের আয়োজনকারী সংগঠন। আর আমরা কেবল কলেজে বসে বসে দিন গুনছিলাম। আর দিবাস্বপ্ন নিয়ে না হয় নাই বলি। যাই হোক শেষমেশ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এল। ১৭ই মে,২০১৮। খুবই সাধারণ একটা দিন। সবদিনের মত ঐদিনও ছিল গ্রীষ্মের সূর্যের তীব্র দহন, ক্লান্ত মানুষে ভরা রাস্তা, ঢাকার নিয়মিত জ্যাম তবুও কেন যেন একটু অন্যরকম একটা পুবের বাতাস বইছিল। হয়ত আমার দিবাস্বপ্ন ! হয়ত সত্য! জানি না..। আচ্ছা এমন কথা কি আপনারাও শুনেছেন -পুবের বাতাসের নাকি অনেক জোর! ঝড়ো তান্ডবে নাকি পৃথিবীর সব কলংক, দূর্বলতাকে ধুয়ে নিয়ে যায়!? আপনার হয়ত ভাবছেন সামান্য এক ভ্রমণ বৃত্তান্তের ভুমিকাতে এত আহামরি অনুভূতির জোয়ার না ভাসালেই নয়? কিন্তু কি করব বলুন ....? জোয়ারটা যে বিধাতার সেই ঢেউ ঢেউ খেলার ফল। আর সেই ঢেউ যে এত ভারি হয়ে আমার উপর আছড়ে পড়বে তা হয়ত বোঝার বয়স আমার তখনও হয়নি।
©somewhere in net ltd.