নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দাও, বিবেকের যত্ন নাও !

রফিকুল ১৯৯০

মুক্তমনা লেখক ও বিজ্ঞান কর্মী, প্রকৃতির ছাত্র !

রফিকুল ১৯৯০ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব মহাকাশ সপ্তাহ ২০২৫ ও ফিরে দেখা জীবনস্মৃতি

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:২০

মানব কল্যাণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবদান উদযাপন এবং মহাকাশ বিজ্ঞানে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে জাতিসংঘ ১৯৯৯ সালে অক্টোবর মাসের ০৪ থেকে ১০ অক্টোবরকে ‘বিশ্ব মহাকাশ সপ্তাহ’ ঘোষণা করে। প্রতিবছর অক্টোবরের ০৪ থেকে ১০ তারিখ বিভিন্ন দেশে ‘বিশ্ব মহাকাশ সপ্তাহ’ হিসেবে উদযাপিত হয়। বিশ্বব্যাপী এই আয়োজনের সমন্বয়ক ওয়ার্ল্ড স্পেস উইক এসোসিয়েশন।
প্রতিবছরের ন্যায় “Living in Space.” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এই বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব মহাকাশ সপ্তাহ ২০২৫। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মাঝে মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করতে বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে এই সপ্তাহ উদযাপিত হচ্ছে।
প্রতিবছর বিশ্ব মহাকাশ সপ্তাহ আসলেই আমি স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি। জীবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ও লক্ষ্য পরিবর্তনের সাথে জড়িত ঘটনার ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরনো স্মৃতি হাতড়ায়। ফিরে দেখি ২০০৭ সাল। ওয়ার্ল্ড স্পেস উইক এসোসিয়েশনের আয়োজনে এক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বের আরোও আটটি দেশের শিক্ষার্থীদের সাথে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ওজনহীনতার অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে মহাকাশ ভ্রমণের সুযোগ লাভ করেছিলাম। ভিসা জটিলতায় শেষ অবধি মূল প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে না পারলেও জীবনের মোর ঘুরে গিয়েছিল এই অপূর্ণ অর্জনের পর। বাস্তবিক জীবন-মানুষ-সমাজকে জেনেছি-চিনেছি নতুনভাবে, নবউদ্যোমে নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার কৌশল শিখেছি, বিজ্ঞানের প্রতি নতূন রূপে ভালোবাসা ও বিজ্ঞান আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত করে আগামী প্রজন্মের জন্য কিছু করার আগ্রহ ও প্রচেষ্টার শুরু তখন থেকে।
বিশ্ব মহাকাশ সপ্তাহের এই সময়ে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি প্রয়াত এফ. এর. সরকার স্যারকে, যিনি জৌতির্বিজ্ঞানের প্রতি ভালোলাগা থেকে প্রতিষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশ এস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি নিয়মিত বিশ্ব মহাকাশ সপ্তাহ উদযাপন করতেন। বিশেষ করে স্যারের গ্রামের বাড়ি সিরাজগন্জের এনায়েতপুরে ব্যাপক আয়োজনের মাধ্যমে মহাকাশ সপ্তাহ উদযাপিত হতো।
আমি বিশ্বাস করি আগামী প্রজন্ম হবে বিজ্ঞানমনস্ক। আমাদের আগামী প্রজন্মভাবে বিজ্ঞানের প্রতিটি বিষয়কে নতুনভাবে উপলব্ধি করবে, চর্চা করবে। বাড়িতে বাড়িতে বই পাঠ হবে, গ্রামে গ্রামে পাঠাগারে বিজ্ঞান বই চর্চার আসর বসবে। মোহাম্মাদ আবদুল জব্বার স্যারের ’তারা পরিচিতি’ পড়ে গভীর রাতে আকাশের তারা গুনবে; স্টিফেং হকিংয়ের ‘দ্যা থিওরি অব এভরিথিং’ পড়ে মহাবিশ্বের জন্ম রহস্য জানবে; ড. জামাল নজরুল ইসলাম স্যারের ‘দি আলটিমেইট ফেইট অব দ্য ইউনিভার্স’ পড়ে মহাবিশ্বকে নতুনভাবে জানবে, স্বপ্ন দেখবে; ড. এ. এম. হারুণ-উর-রশীদ স্যারের ‘ফিরে ফিরে দেখা আমাদের এই মহাবিশ্ব’ পড়ে নিজেকে খুঁজবে; বিজ্ঞান বক্তা আসিফ ভাইয়ের ‘ভবিষ্যতে যাওয়া যাবে, যাবেনা পিছন ফেরা’ পড়ে মহাবিশ্ব ও এর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাববে, ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী স্যারের ‘থাকে শুধু অন্ধকার’ পড়ে নিজেকে হারাবে মহাবিশ্বের অজানা রহস্যে। এছাড়াও জৌতির্বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের অন্যান্য বই পড়ে জ্ঞান সমৃদ্ধ করবে।

অপেক্ষা সে সময়ের…………………………….









মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:২৭

বিজন রয় বলেছেন: আপনি বিশ্বাস করেন আগামী প্রজন্ম হবে বিজ্ঞানমনস্ক।

বর্তমান বাংলাদেশে কি এটা সম্ভব?

যেদেশে অংকের শিক্ষককে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হয়, যে দেশে বিজ্ঞান শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানো হয়, যে দেশে শিক্ষককে কান ধরে ওঠবোস করানো হয়, যে দেশে সবকিছুর উর্ধে ধর্মকে বসানো হয়েছে, যে দেশে নারীকে বেশ্যা বল শুরু হয়েছে সেদেশে কিভাবে সম্ভব?

বলবেন আশা দেখতে দোষ কি।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:৩০

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম ।

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০০

ava951robinson বলেছেন: শিক্ষককে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হয়, যে দেশে বিজ্ঞান শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানো হয়, যে দেশে শিক্ষককে কান ধরে myWisely

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.