নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।
বাঙালি বড় আজব জাতি,
সবটাতে তার বড্ড মাতামাতি।
এজন্যে তাদের হুজুগে বলে,
নিত্য আবেগে সদা ভেসে চলে।
হঠাৎ আজব এক রোগ এলো,
চিকিৎসাহীন রোগে মৃত্যু হলো।
ভয়ে সবাই আতঙ্কিত হয়,
উপায় খোঁজে, বাঁচার উপায়।
শুধু বাঙালির কোন ভয় নাই,
ঈশ্বর ভরসায় স্বান্তনা খুঁজে পায়।
ঝড়ে বক মরে, ফকিরে লাফায়,
দোয়া তাবিজে নাকি করোনা পালায়!
করোনা নাকি খুব জাত চেনে,
মুসলিমদের নাকি সে গুরু মানে।
মুর্খ লোকেদের অলীক ভরসা,
কোথায় পায় এত সাহস সহসা!
দলে দলে লোক ওয়াজ শুনতে যায়,
বাড়িতে বাড়িতে ডিজে পার্টি দেয়।
বিয়েবাড়িতে চলে দারুন হৈচৈ মজা,
একই আচরণে চলে রাজা সহ প্রজা।
মন্ত্রী মশাইগণ বেজায় সাহসী,
চিন্তা নাই কোন সদা হাসিখুশি।
চলছে ইশকুল, কলেজ পুরোদমে,
পড়তেই হবে ,টানলেও যমে!
কোন কিছুতেই নেই কোন মানা,
দেশটা যে বড্ড দলকানা।
হবে না তাদের ই কোন ক্ষতি,
ইমানদার হলে তবে মুক্তি।
হায় করোনা হায় করোনা,
ধরলে তো কাউরে ছাড়েনা।
এটুকু বোধ কবে হবে?
হাজার মৃত্যুর দামে যখন মূল্য দেবে?
১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬
ইসিয়াক বলেছেন:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্তে অভিভাবকদের স্বস্তি
দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তের এক সপ্তাহ পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণায় অভিভাবকেরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে তাঁরা বলছেন, এটা আরও আগেই নেওয়া উচিত ছিল।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
গৃহিণী জেবা মাহবুবা দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরই নিজের সন্তানকে স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে জানতে পারলাম স্কুল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এ খবরে স্বস্তি পাচ্ছি। তবে আরও আগে করা উচিত ছিল। বাচ্চারা তো ছোট, ওদের বোঝানো হয় সতর্ক থাকার জন্য কিন্তু স্কুলে যাওয়া–আসা পর্যন্ত কত মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়, কোত্থেকে কী হয়, বেশ আতঙ্কিত ছিলাম।’
সরকারি কর্মকর্তা ফুয়াদ আউয়াল প্রথম আলোকে বলেন, ‘চারদিকে যে অবস্থা, তাতে চিন্তিত ছিলাম। গত সপ্তাহ থেকেই আমি আমার দুই ছেলেকে স্কুলে দেওয়া বন্ধ করেছিলাম। আমাদের এখানে তো মানুষ ওতটা স্বাস্থ্যসচেতন না। কোত্থেকে কীভাবে ছড়ায় চিন্তা হচ্ছিল। স্কুল বন্ধের ঘোষণায় দেখলাম আমার অন্য সহকর্মীরাও বেশ খুশি হয়েছে।’
যেসব অভিভাবক স্কুলে সন্তানদের পাঠাচ্ছিলেন, তাঁরাও বেশ চিন্তিত ছিলেন। আজ সকালে ধানমন্ডির স্কলার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রাঙ্গণে অভিভাবকেরা করোনাভাইরাসের বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। সেখানও সবাই কথা স্কুল বন্ধ করার কথা বলছিলেন। অভিভাবকেরা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছিলেনও স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। স্কুলের পরিচালক রেজাউল করিম প্রথম আলোকে সকালে জানিয়েছিলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁরা পদক্ষেপ নেবেন।
আদিবা হাসানের দুই ছেলে পড়ে রাজধানীর মিরপুরের দুটি স্কুলে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্তে বেশ স্বস্তি বোধ করছেন। এই গৃহিণী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভাইরাস ছড়ানোর খবর যেভাবে পাচ্ছি, তাতে বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। অপেক্ষায় ছিলাম এই সিদ্ধান্তের।’
স্কুলে মেয়েকে পাঠানো নিয়ে দোটানায় ছিলেন ব্যাংকার সুমাইয়া ফয়েজ। গত বুধবার থেকে তিনি মেয়েকে আর স্কুলে পাঠাননি। আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণায় তিনি বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। বেশ চিন্তায় ছিলাম কী করব না করব।’
৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। সেদিনের পর থেকেই অভিভাবকেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অনেকে নিজে থেকেই সন্তানদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দেন। স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে আসছিল। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, চুয়েটসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন শুরু করেছেন। আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এ সময় কোচিং সেন্টারও বন্ধ থাকবে। ছুটির এই সময় শিক্ষার্থীদের বাসায় থাকতে হবে।
২| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: একমাত্র আল্লাহই রক্ষাকর্তা ।
১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮
ইসিয়াক বলেছেন: বিদেশ থেকে এলেই বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
বিদেশ থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের অবশ্যই বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এতে কোনো মাফ নেই। সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আজ সকালে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কেউ যদি এর ব্যত্যয় ঘটান, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিদেশে প্রশিক্ষণ শেষে যাঁরা আসবেন, তাঁদেরও বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। যদি তাঁর কারণে অন্য কারও সমস্যা হয়, তাহলে তাঁকেও আইন মোকাবিলা করতে হবে।
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৬
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: রক্ষা করুণ মহা আল্লাহ
১৬ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০
ইসিয়াক বলেছেন: যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হচ্ছে
যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় ১৬ মার্চ থেকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ (ট্রায়াল) শুরু হতে যাচ্ছে। দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের (এনআইএইচ) তত্ত্বাবধানে ওয়াশিংটনের সিয়াটলের হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউটে এক রোগীর ওপর পরীক্ষামূলকভাবে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।
এনআইএইচ ও মডের্না ইনকের যৌথ সহযোগিতায় এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে, যা ৪৫ জন রোগীর ওপর পর্যায়ক্রমে প্রয়োগ করা হবে। ভ্যাকসিনে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না, সেদিকই বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।
বিশ্বের নানা ল্যাবরেটরিতে বেশ কয়েকটি রিসার্চ গ্রুপ কোভিড-১৯-এর জন্য কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করে যাচ্ছে।
কিছু রিসার্চ গ্রুপ সাময়িক (টেম্পোরারি) ভ্যাকসিনের জন্য কাজ করছে, যা স্থায়ী ভ্যাকসিন তৈরির আগে মাস চারেক পর্যন্ত রোগীকে সুস্থ রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্রে একটি পরীক্ষামূলক ওষুধের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে।
দুই শীর্ষ মার্কিন চিকিৎসক জানান, একটি পরীক্ষামূলক ওষুধের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়।
মোট ১৫ জন গুরুতর অসুস্থ রোগীর ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে এবং প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানা গেছে।
এই প্রতিষেধকের গবেষণা দলে ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভিস মেডিকেল সেন্টারের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ জর্জ থম্পসন। করোনায় আক্রান্ত এক মার্কিন নারীর ওপর প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রতিষেধক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। ওই নারীর শরীরে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভিস মেডিকেল সেন্টারের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ জর্জ থম্পসন গত শুক্রবার এক বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, রোগী (নারী) মারা যাবেন। তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি। হাসপাতালে ভর্তির ৩৬ ঘণ্টা পর চিকিৎসকেরা তাঁকে রেমডেসিভির দিয়ে চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেন। এই ওষুধ “আইভি” বা ইনজেকশনের মাধ্যমে সরাসরি রক্তে প্রবেশ করানো হয়। এটি শরীরে থাকা “আরএনএ পলিমেরাজ” নামের একটি এনজাইম বিকল করে দেয়। অনেক ভাইরাস নিজেদের অনুলিপি তৈরি করতে এই এনজাইম ব্যবহার করে। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকেরা কোনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ছাড়াই এই প্রতিষেধক ব্যবহারের জন্য এফডিএর কাছ থেকে বিশেষ বিবেচনায় ব্যবহারের অনুমতি পেতে সক্ষম হন। “রেমডেসিভির”র ক্ষেত্রে আরও পরীক্ষা করা দরকার।’
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ জর্জ থম্পসন বলেন, ওষুধটির কারণে নির্দিষ্ট কিছু রোগীর লিভারে বিষক্রিয়া হতে পারে। অন্য সংস্থাগুলো আরও কিছু পরীক্ষামূলক ওষুধ নিয়ে এগিয়ে আসছে, যা বেশি কার্যকর হতে পারে।
চিকিৎসক চাইল্ডস ‘রেমডেসিভির’ সম্পর্কে বলেন, ‘ড্রাগের কোনো ক্ষতিকর প্রভাব আছে কি না, তা নির্ধারণ করতে আমাদের কিছুটা সময় লাগবে।’
মার্কিন জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটসের তথ্য অনুসারে, ‘রেমডেসিভির’ সুরক্ষা ও কার্যকারিতা মূল্যায়নের জন্য ইউনিভার্সিটি অব নেব্রাস্কা যুক্তরাষ্ট্রের নির্ধারিত কিছু হাসপাতালে ভর্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের ওপরে নিয়ন্ত্রিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে।
নিউইয়র্ক কার্যত স্বেচ্ছা-অবরুদ্ধ
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত মানুষের সংখ্যা এর মধ্যে ৬১ ছাড়িয়ে গেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ জনের বেশি লোকের কোনো সমাবেশ না করার নির্দেশনা জারি হয়েছে। নিউইয়র্ক কার্যত স্বেচ্ছা-অবরুদ্ধ নগরীতে পরিণত হয়েছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বার-রেস্তোরাঁয় যাতায়াত সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের কর্মঘণ্টা বাড়িয়ে টানা ১২ ঘণ্টা কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নগরীর হাসপাতালগুলোয় করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আগে যেমনটা ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি লোক এই ভাইরাসে আক্রান্ত বলে এখন বলা হচ্ছে। নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো বলেছেন, এমন পরিস্থিতি আগে কখনো দেখা যায়নি। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিমানবন্দরগুলোতে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল স্থাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
নিউইয়র্কের মেয়র ডি ব্লাজিওর নির্বাহী আদেশে নগরীর হোটেল-রেস্তোরাঁয় সেবা সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। তবে ডেলিভারি সার্ভিস থাকছে।
নিউইয়র্কে এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এই অঙ্গরাজ্যে গতকাল রোববার রাত পর্যন্ত ৭২৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
নিউইয়র্কের মতো নিউজার্সি ও কানেকটিকাটে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুরো শিক্ষাবর্ষে আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।
নিউইয়র্কের কুইন্স ডিসট্রিক্ট বরো প্রেসিডেন্টের বিশেষ নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। এই নির্বাচন ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পাবলিক অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্ক ও নিউজার্সির কোনো কোনো এলাকায় সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপে নগরীর চেহারা ভুতুড়ে হয়ে উঠেছে। সর্বত্র বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। লোকজন ঘরে বসে খোঁজ নিচ্ছেন একে অপরের। কী হচ্ছে বা কী হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে সবাই জল্পনাকল্পনা করছেন।
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ রাষ্ট্রীয় সুদের হার শূন্য ঘোষণা করেছে।
গতকাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন দেশের কোথাও ৫০ জনের বেশি লোকের কোনো সমাবেশ না করার নির্দেশনা জারি করেছে। হোটেল, রেস্তোরাঁ, ক্লাব, বারের সেবা সীমিত করেছে। সতর্ক করে বলা হচ্ছে, পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোববার হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, করোনাভাইরাস পুরোই তাঁর নিয়ন্ত্রণে আছে। তাঁর এই দাবির সমালোচনা করেছে মার্কিন গণমাধ্যম।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেক্সাস ডিজিসের পরিচালক ডা. অ্যান্থনি ফাউসি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘আমরা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছি। আমরা ভয়াবহ এক জটিল সময় পার করছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সড়ক-মহাসড়ক থেকে নগরকেন্দ্র পর্যন্ত একদম ফাঁকা। আমেরিকার ভয়াবহতম বিপর্যয় ছিল ২০০১ সালে বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা। করোনাভাইরাসের চলমান বিপর্যয়ের কাছে এখন সেই ঘটনাও ম্লান হতে চলছে। পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা কেউ বলতে পারছেন না। কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে কেউ দেখতেও যেতে পারছেন না। হাসপাতালে যাওয়ার পর করোনাভাইরাস ধরা পড়লে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা করে নেওয়া হচ্ছে।
নিউইয়র্কে একাধিক বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে নিউইয়র্কে সিটিতে স্কুল সোমবার থেকে বন্ধ হবে। কমপক্ষে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। মেয়র বিল ডি ব্লাসিও রোববার এই তথ্য জানিয়েছেন।
মেয়র বিল ডি ব্লাসিও বলেন, ২০ এপ্রিলের পর স্কুল খোলার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যথার্থ বলেছেন ।।
১৬ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২
ইসিয়াক বলেছেন: ভালো থাকুন ।সুস্থ থাকুন । সতর্ক থাকুন আপনজন নিয়ে।
শুভকামনা সেলিম ভাই।
৫| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন:
১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭
ইসিয়াক বলেছেন: যে কারণে আমেরিকায় করোনার ঝুঁকি বেশি
আমেরিকাজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৩ মার্চ হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে ইউরোপীয় দেশ থেকে আমেরিকায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ট্রাম্প।
সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময় করোনা ঠেকাতে ৫০ বিলিয়ন ডলার সাহায্য তহবিল ঘোষণা করেন ট্রাম্প। আমেরিকায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭০১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪০ জন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে বা ঝুঁকি সত্ত্বেও অনেক মানুষ চিকিৎসকের কাছে যাবেন না। কারণ আমেরিকায় ১০ মিলিয়নের বেশি মানুষের স্বাস্থ্যবিমা বা এ দেশে থাকার বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। তাই তাঁরা দরকার থাকলেও স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারছে না। এ কারণে এই দেশের প্রতিটি মানুষ করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন।
সেবাস্তিয়ান নামের এক ব্যক্তির হাতের ত্বক শুষ্ক হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ফেটেও গেছে। হাত অতিরিক্ত ধোয়ার কারণেই এমন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় হাত ধুয়ে নিই। এটা এখন অভ্যাস। কারণ ছোটবেলা থেকে জানি, যদি আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি, তাহলে কোনো চিকিৎসকের কাছে যেতে পারব না।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেবাস্তিয়ান মাত্র তিন বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে মেক্সিকো থেকে আমেরিকায় আসেন। আমেরিকায় বৈধ কাগজপত্রবিহীন প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে এই সেবাস্তিয়ান একজন। আমেরিকার নাগরিকত্ব নেই মানেই দেশটিতে স্বাস্থ্যসেবার কোনো সুযোগ নেই।
সেবাস্তিয়ান বলেন, ‘আমি চিকিৎসকের কাছে যাই না। যদি কোনো কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ি, তাহলে মা ঘরেই নানা টোটকা দিয়ে তা সারিয়ে তোলার চেষ্টা করতেন। বেশি অসুস্থ হলেই স্কুল ফাঁকি দিতে হতো।’
সম্প্রতি সেবাস্তিয়ানের এলাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ বিষয়ে সেবাস্তিয়ান বলেন, সব খবরই তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেখছে। কিন্তু বাস্তবে তাঁদের কিছুই করার নেই। তিনি বলেন, ‘বৈধ কাগজপত্রবিহীন হওয়ায় মেডিকেলে যাওয়াটা অনেক কঠিন এখানে। তারপরও যদি যেতে হয়, তাহলে দেশ থেকে বহিষ্কার করে দেওয়ার ঝুঁকি থাকে। আমার পরিবার অপরাধী নয়, তবে এটা ঠিক আমাদের বৈধ কাগজপত্র নেই। এ কারণেই আমাদের চিকিৎসকের কাছে যাওয়াটা অনেক ভয়ের ব্যাপার।’
আমেরিকায় বৈধ কাগজপত্র থাকুক আর না থাকুক, যে কারও জন্যই দেশটিতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াটা অনেক ব্যয়বহুল ব্যাপার। আমেরিকায় প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ মানুষের কোনো স্বাস্থ্যবিমা নেই। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ সময় নানা কারণে সংখ্যাটা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। আর স্বাস্থ্যবিমা ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে তাদের খরচ হয় কয়েক শ ডলার।
২৮ বছর বয়সী লিসা রুবিও চাকরি করার কারণে স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা পান। তিনি বলেন, ‘ফ্লুর সময়ে আমরা অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ি। এ ক্ষেত্রে আমার শিশু সন্তানকে চেক করার জন্য প্রতিবার চিকিৎসককে ১০০ ডলার করে দিতে হয়। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে কাশির কারণে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু চিকিৎসক বলেছেন, এটা ভাইরাসের কারণে। তাই কোনো ওষুধ প্রেসক্রাইব করা যাচ্ছে না। চিকিৎসক প্রেসক্রাইব না করলেও কিন্তু বিমা থেকে তাঁর বিল কেটে নেওয়া হবে।
গত বছর পর্যন্ত লিসার কোনো স্বাস্থ্যবিমা ছিল না। গত বছরই লিসা এ কারণে মহাবিপদে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। বুকে খুব ব্যথা হয়েছিল। কিন্তু আমার বিমা সুবিধা ছিল না। তাই অর্থ খরচের ভয়ে এই ব্যথা বারবার এড়িয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এর দুই সপ্তাহ পর একদিন মধ্যরাতে আমার ফুসফুস কাজ করা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে আমাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সে সময় চিকিৎসক বলেছিলেন, ব্যথা নিয়ে যদি আগেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতাম তাহলে এমনটা হতো না।’
আমেরিকায় জনস্বাস্থ্য কর্মীদের যেকোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। করোনার এই সংকটের কারণে তা আরও বহুগুণ বেড়ে যাবে। এ ছাড়া আমেরিকায় এ ধরনের কোনো কর্মীকে বেতনসহ অসুস্থতাজনিত ছুটি দেওয়ার বিধান নেই।
দাতব্য সহায়তায় পরিচালিত একটি মোবাইল ক্লিনিকের পরিচালক ও চিকিৎসক রবি গ্রাভোস শাহ বলেন, ‘আমি রোগীদের নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। কারণ তাঁরা অসুস্থ অবস্থায় এসে সামান্য চিকিৎসা নিয়েই আবার কর্মক্ষেত্রে ফিরে যান। কারণ এ ছাড়া তাঁদের আর কোনো উপায় নেই। তাঁদের খাবারসহ যাবতীয় খরচের অর্থ জোগানেরও ওই কাজ ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। করোনাভাইরাসের এই সময়েও এই পরিস্থিতির হয়তো কোনো পরিবর্তন হবে না।’
টাকসন এলাকায় দাতব্য সহায়তায় পরিচালিত এই মোবাইল ক্লিনিকে সপ্তাহে প্রায় ৫০ জন রোগীর চিকিৎসা করানো হয়। যারা অন্য মেডিকেলে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য রাখেন না, তাঁরাই এই ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন।
রবি গ্রাভোস শাহ আরও বলেন, করোনাভাইরাস আসার আগে অসংখ্য রোগী এইচআইভি ও অন্যান্য যৌন রোগের লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা করাননি। স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা নেই বলেই তাঁরা এই জটিল রোগ নিয়েও তা এড়িয়ে গেছে। ফলে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আমেরিকায় জনস্বাস্থ্য সংকটের এটা একটা বড় উদাহরণ হতে পারে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের মতো ভয়াবহ এই ভাইরাস আসার পরও এই পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই করোনাভাইরাসের সময়ও কোটি মানুষ স্বাস্থ্যবিমা নেই বলে চিকিৎসা না নেয়, তাহলে এর পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠবে। হয়তো আমেরিকার প্রতিটি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবেন।
৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩০
মা.হাসান বলেছেন: নাই এর সাথে পায়-এর মিল আরোপিত মনে হল। ক্ষতির সাথে মুক্তির বদলে গতি হলে বেশি মানায় মনে হয় ।
দুইদিন পর অভিভাবকরা আন্দোলন করবেন স্কুল খুলে দেওয়ার জন্য।
স্কুল শিক্ষকরা একুশে ফেব্রুয়ারি , ১৭ই মার্চ, ২৬ শে মার্চ সহ অনেক সরকার নির্ধারিত ছুটি ভোগ করতে পারেন না , স্কুলে দায়িত্ব থাকে । আমরা স্কুলের ছাত্র থাকার সময় দেখেছি গোটা রোজার মাস স্কুল ছুটি থাকত ।এখন লেখাপড়ার মান বেড়েছে , ছাত্রদের জিপিএ ফাইভ এর সংখ্যা বেড়েছে, শিক্ষকদের দায়িত্ব বেড়েছে, স্কুল অনেক কম ছুটি থাকে । ভাইরাসের কারণে স্কুল ছুটি থাকায় স্কুলের শিক্ষকরা কয়েক দিনের জন্য হলেও একটু ছুটি কাটাতে পারবেন।
আমি স্কুলের ছাত্র থাকার সময় আমাদের একজন খুব প্রিয় এবং ওই এলাকার বিখ্যাত একজন শিক্ষক (উনি ছাত্রদেরকে আপনি করে বলতেন) কোন কারনে খুব রেগে যেয়ে সে আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন আপনারা কি জানেন আপনাদের বাবা-মা আপনাদেরকে কেন স্কুলে পাঠায় ? একজন ছাত্র কেরাদানি দেখিয়ে বলল , যেন আমরা লেখাপড়া শিখে মানুষ হতে পারি । স্যার তখনো উত্তেজিত, বললেন কখনো না, আপনাদের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসা করে দেখবেন।
আপনাদের বাবা-মা আপনাদের কে স্কুলে পাঠায় আপনাদের যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ।
স্যারের কথা তখনও বিশ্বাস করতাম এখনও বিশ্বাস করি । যে বাসায় বাবা-মা দুজনেই চাকরি করেন তারা অলরেডি ঝামেলায় পড়ে গিয়েছেন । যে বাসায় শুধু একজনকে দিনের বেলা সারাদিন বাচ্চাদের যন্ত্রণা সহ্য করার সঙ্গে ঘরের কাজ ও সারতে হবে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে আন্দোলন শুরু করবেন।
২০ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৪১
ইসিয়াক বলেছেন: পাঠে ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইলো ভাইয়া্।
ভালো তাকুন। সুস্থ থাকুন
সতর্ক থাকুন সবসময়।
৭| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: করোনা নিয়ে ভয় নেই।
জনগনের মধ্যে করোনা আতঙ্ক কমাতে হবে। আতঙ্ক খুব বেশি হয়ে গেছে।
২০ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৪৩
ইসিয়াক বলেছেন: নিম্নবিত্তের মানুষেরা চরম ভোগান্তিতে পড়বে।
এদের অবস্থার কথা ভাবলে গা শিউরে ওঠে।
ধন্যবাদ বন্ধু্
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: এইদেশের লোকজন হুজুগে পাগল একটা জাতী। কিছু একটা পেলেই হল?