নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হতাশাগ্রস্ত মানুষের কদর্যতাই একমাত্র অস্ত্র।

ইসিয়াক

যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।

ইসিয়াক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানা অজানা-১[ভিস্তিওয়ালা]

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩


মুঘল সম্রাট বাবরের ছেলে হুমায়ুন চৌসার যুদ্ধে শের শাহের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন এক খরস্রোতা নদীতে। জলের প্রচণ্ড স্রোতে যখন হুমায়ুনের প্রাণ ওষ্ঠাগত, এক ভিস্তিওয়ালা তাঁর জীবন বাঁচিয়েছিলেন। হুমায়ুন তাঁকে কথা দিয়েছিলেন, যদি কখনও তিনি দিল্লির তখতে বসতে পারেন, ওই ভিস্তিওয়ালা যা উপহার চাইবেন, তাই দেবেন। পরে যখন হুমায়ুন সম্রাট হলেন, আর সেই ভিস্তিওয়ালা তাঁর কাছে চেয়ে বসলেন সম্রাটের সিংহাসন। বাদশাহ হুমায়ুন নিজের মুকুট পরিয়ে দিলেন ভিস্তিওয়ালার মাথায়, তাঁকে বসালেন নিজের সিংহাসনে। তখন ভিস্তিওয়ালা সম্রাটকে আলিঙ্গন করে ফিরিয়ে দিলেন তাঁর মুকুট আর সিংহাসন।
উল্লেখ্য যে সেই ভিস্তিওয়ালার নাম ছিলো “ভিস্তিওয়ালা নাজিম”
ঊনবিংশ শতাব্দীর ঢাকা শহরে ছিল সুপেয় পানীর বেশ অভাব। ভারতবর্ষের অন্যান্য অঞ্চলের মতই ঢাকায়ও খাবার পানির জন্য নির্ভর করতে হত খাল, নদী বা কুয়ার উপর৷ একই পদ্ধতি ছিল কলকাতা শহরেও৷ নিরাপদ পানির জন্য তাই শহর অধিবাসীদের অনেক দূরে দূরে ঘুরে বেড়াতে হত৷ ঢাকার নাগরিকদের নিরাপদ পানির জন্য সাধারণত শীতলক্ষা ও বুড়িগঙ্গা নদীর পানির উপর নির্ভর করতে হত। শহরে যেসব কুয়া ছিল তাতেও ছিল সুপেয় পানীর অভাব। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী লোকেরা তাই এক বিশেষ পেশাজীবি শ্রেণীর লোকদের মাধ্যমে নিজেদের পানি সংগ্রহ করতেন। তাঁদের কাঁধে ঝুলানো থাকত ছাগলের চামড়ার এক মশক। এই মশক দিয়েই টাকার বিনিময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা পানি সরবরাহ করত। এদেরকে বলা হত ভিস্তি বা সুক্কা। ভিস্তি আবে ভিস্তি হাঁক দিয়ে প্রতি বাড়ি গিয়ে তাঁরা পানি দিয়ে আসত।
ভিস্তিওয়ালাদের ‘ভিস্তি আবে ভিস্তি’ হাঁকে এক সময় শুধু ঢাকা নয় কলকাতা কিংবা দিল্লির রাস্তা মুখরিত থাকত। সময়ের পরিক্রমায় সেই হাঁক আর শোনা যায় না। কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে সেই পেশা এবং ভিস্তিওয়ালারা। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে- গত শতাব্দির বিশের দশকের মাঝামাঝি ঢাকার রাস্তাতেও ভিস্তিওয়ালার আনাগোনা ছিল।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায় -
ভিস্তি অর্থ পানি বয়ে নিয়ে যাবার জন্য ব্যবহৃত চামড়ার থলি। শব্দটি এসেছে পার্সি ‘ভেস্ত’ বা ‘বেহস্ত’ থেকে; যার অর্থ স্বর্গ। কারবালার প্রান্তরে যুদ্ধের মধ্যে পানি বহন করে নিয়ে যাওয়ার সময় হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হোসেন (রা.) তীরের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে স্বর্গলাভ করেন। সেই ঘটনা থেকেই এমন নামকরণ হয়েছে বলে মনে করা হয়। কালো চামড়ার বালিশের মতো ‘মশক’ ভরে যারা পানি দিয়ে যেত তাদের বলা হতো ভিস্তি। অনেকে ভিস্তিওয়ালাও বলতেন।

আবার অন্য সূত্রে জানা যায়,
এক সময় যখন শহরগুলোতে পাইপলাইন দিয়ে জল সরবরাহের ব্যবস্থা ছিল না, তখন ভিস্তিওয়ালাদের ওপরই নির্ভর করতে হত শহুরে মানুষকে। ছাগলের চামড়ায় তৈরি একধরনের ব্যাগে তাঁরা জল ভর্তি করে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পৌঁছে দিতেন। এই বিশেষভাবে তৈরি ব্যাগকে বলা হত ‘মশক’। ভিস্তিওয়ালাদের মশকে জল থাকত ঠান্ডা। ‘বেহেশত’ একটি ফার্সি শব্দ, যার বাংলা অর্থ ‘স্বর্গ’। এই ‘বেহেশত’ থেকে ‘ভিস্তি’ কথাটি এসেছে। পশ্চিম এশিয়ার সংস্কৃতি অনুযায়ী মনে করা হয়, স্বর্গে রয়েছে প্রচুর নদী, খাল আর বাগান।একটা সময় মানুষের বিশ্বাস ছিল, ভিস্তিওয়ালারা জল নিয়ে আসেন স্বর্গ থেকে। স্বর্গের জল তাঁরা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেন বলে স্বর্গের দূতও বলা হত তাঁদের।

আগেকার দিনে যুদ্ধের সময় জল রাখতে ভিস্তিওয়ালার মসক ব্যবহার করা হত। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনে দুর্গগুলোতে জলের সরবরাহ করা হত মশক থেকে।
জলভর্তি মশক থাকত ঢাকার টমটম গাড়িতে। কলকাতার সঙ্গে ভিস্তিওয়ালাদের সম্পর্ক খুব পুরোনো। কাঁধে মশক নিয়ে ভোরবেলা থেকেই মহানগরীর পথে পথে ঘুরে বেড়াতেন তাঁরা। রান্না আর স্নানের কাজে লাগত তাঁদের সরবরাহ করা জল। ১৯৪০-৫০ সাল পর্যন্ত কলকাতার কয়েকটি রাস্তা ধোয়ার কাজেও ভিস্তিওয়ালাদের জল কাজে লাগত। কলকাতা আর ঢাকাতে ছিল আলাদা ভিস্তিপল্লি।
এখন অবশ্য পাল্টে গেছে পরিস্থিতি। কর্পোরেশনের জল মোটর পাম্পের সাহায্যে পৌঁছে যাচ্ছে কলকাতার বাড়িতে বাড়িতে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভিস্তিওয়ালাদেরও বেছে নিতে হচ্ছে অন্য পেশা।
দ্য লাস্ট ওয়াটারম্যান’ হিসেবে ভিস্তিওয়ালারা ইতিহাসখ্যাত। এদের ফারসিতে বলা হতো ‘সাক্কা’। পুরান ঢাকার সিক্কাটুলীতে ছিল তাদের বাস। সাক্কা থেকেই যে সিক্কাটুলী বুঝতে অসুবিধা হয় না। দিল্লিতেও এই পেশাজীবীরা ছিলেন। সেখানেও রয়েছে সাক্কেওয়ালী গলি। থ্যাবড়া নাক, মাথায় কিস্তি টুপি ও মিশমিশে কালো চাপ দাড়িওয়ালা ভিস্তির সন্ধান সাহিত্যেও পাওয়া যায়।
শামসুর রাহমানের ‘স্মৃতির শহরে’ তাদের উল্লেখ রয়েছে। রবীন্দ্র ও সুকুমার সাহিত্যেও রয়েছে তাদের উপস্থিতি।
পুরনো ঢাকায় ভিস্তিওয়ালাদের বেশ প্রভাব ছিল। আলাদা পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় তারা থাকতেন। পঞ্চায়েত প্রধানকে বলা হতো ‘নবাব ভিস্তি’। জিন্দাবাহার চৌধুরী বাড়ির জমিদারকন্যা আমেতুল খালেক বেগম ভিস্তিওয়ালাদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে লিখেছেন: ‘সকাল বেলা ভিস্তি আসত বিরাট মশকে ভরে পানি কাঁধের ওপর ঝুলিয়ে।... ভিস্তির সেই বিকট গলা। মশকের মুখটা খুলে চেপে ধরে কলসিতে পানি ঢেলে রাখত। বিরাট সেসব কলসি, মাটির মটকায়ও পানি রাখা হতো।... ভিস্তিওয়ালাদের ব্যাগগুলো ছিল চামড়ার। ব্যাগগুলো তৈরি হয় মূলত ছাগলের চামড়া দিয়ে।’
‘কোম্পানী আমলে ঢাকা গ্রন্থ’ থেকে জানা যায়, ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট হেনরি ওয়াল্টারস তাঁর ১৮৩০ সালের আদমশুমারি ‘সেনসাস অব দ্য সিটি অব ঢাকা’য় মুসলমানদের যে পেশাভিত্তিক তালিকা তৈরি করেছিলেন, তাতে ১০টি ভিস্তি গৃহের উল্লেখ রয়েছে। ভিস্তিরা ছিলেন সুন্নি ধর্মাবলম্বী। সুন্নি হওয়া সত্ত্বেও সেকালে মহররমের মিছিলে রাস্তার দুই পাশে প্রতীক্ষারত ও রৌদ্রক্লান্ত দর্শকদের মধ্যে পানি বিতরণ করতেন ভিস্তিরা।
ঢাকাকেন্দ্রের পরিচালক আজিম বক্শ ভিস্তিদের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল-দুপুর তারা পিঠে পানিভর্তি চামড়ার ঢাউশ ব্যাগ নিয়ে রাস্তায় পানি ছিটাত, যাতে ধুলা না ওড়ে। তাদের কাঁধে ঝুলানো থাকত ছাগলের চামড়ার মশক। এই মশক দিয়েই টাকার বিনিময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা পানি সরবরাহ করত। ষাটের দশক পর্যন্ত ছিল তাদের কর্মকাণ্ড। তারপর হারিয়ে যায়।’
পরে ঢাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ পানির অপ্রতুলতার প্রতি খেয়াল রেখে নবাব খাজা আবদুল গণি ১৮৭৪ সালে চাঁদনীঘাটে ওয়াটার ওয়ার্কস প্রতিষ্ঠার জন্য দুই লক্ষ টাকা চাঁদা প্রদান করেন। তাঁর এই বদান্যতায় ১৮৭৮ সালে ঢাকা পৌরসভায় গড়ে ওঠে ঘরে ঘরে পানি সরবরাহের আধুনিক সুবিধা। আরো পরে ১৯৬৩ সালে ঢাকা ওয়াসা প্রতিষ্ঠিত হলে নগরবাসীর নিরাপদ পানির চিন্তা দূরীভূত হয়। এর সঙ্গে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় ভিস্তিদের পেশাদারী জীবন। আবেদন কমতে থাকে ভিস্তিওয়ালাদের। তারাও বাধ্য হয়ে অন্য পেশায় নিজেদের জড়িয়ে নেন।
তবে কলকাতায় আজো ভিস্তিওয়ালাদের চোখে পড়ে।
ঢাকার দিন বদলেছে। তবে আধুনিক ঢাকায় এখন আছে আধুনিক ভিস্তিওয়ালা। তারা পাইপলাইনে বাড়ি বাড়ি পানি দেন কিংবা পানি সরবরাহ করেন। এখন ভিস্তির ব্যবহার নেই, তবে পানি সরবরাহের কাজটি কিন্তু ঠিকই আছে। সদরঘাট, ইসলামপুর, পাটুয়াটুলীর লোকজন পানি সরবরাহকারীদের ‘ভারওয়ালা’ বলেন। তারা পানি ভর্তি টিনের জার ভারে বহন করেন। ওয়াইজঘাটের বুলবুল ললিতকলা একাডেমির (বাফা) পাশে রয়েছে ছোট্ট একটি কল। এখান থেকে ভারওয়ালারা পানি নিয়ে পাটুয়াটুলী, ইসলামপুর, সদরঘাটের দোকানগুলোতে সরবরাহ করেন।
পাত্র ভেদে ভারওয়ালারা পানির দাম পান। আবার মাসিক চুক্তিতেও তারা পানি সরবরাহ করেন। সূত্রাপুরের হেমেন্দ্র দাস রোডের একটি পানির কলে দেখা গেল সারি ধরে কলস রাখা হয়েছে। অথচ আশপাশে কেউ নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সরবরাহ নলে পানি আসে দুপুর ১২টার পর। সে সময় একটা একটা করে কলস ভরা হয়। সেগুলো পৌঁছে দেয়ার কাজ করেন কলসওয়ালারা। আবার নগরের বাজারগুলোয় রয়েছে পানি সরবরাহের হাঁড়িওয়ালা। তাদের কাজ বাজারের মাছ আর সবজি বিক্রেতাদের কাছে পানি সরবরাহ করা। টিনের পাত্রে ভার দিয়ে পানি সরবরাহ করেন এ পেশার লোকেরা। প্রতি টিন পানির দাম ৫ টাকা।

এদিকে এখনও কিছু ভিস্তিওয়ালা নিয়মিত জল সরবরাহ করেন মধ্য কলকাতার কয়েকটি গৃহস্থ বাড়ি আর দোকানে।
কলকাতার জনা চল্লিশেক ভিস্তিওয়ালা এখনও বাঁচিয়ে রেখেছেন তাঁদের পারিবারিক পেশা। তাঁদের বেশিরভাগই আদতে বাস করেন বিহারের কাটিয়ারে। মধ্য কলকাতায় ঘর ভাড়া করে থাকেন তাঁরা। প্রত্যেক ঘরে অন্তত দশজন করে মানিয়ে গুছিয়ে থেকে যান। মহম্মদ আনসার, মহম্মদ জারিফুল, মহম্মদ রেজাউলের মতো ভিস্তিওয়ালাদের থেকে এখনও জল কিনে খান কিছু লোক। হোটেলেও যায় এঁদের জল। সকাল-বিকেল তাঁরা পুরসভার ট্যাপ কল আর টিউবওয়েলের জল মসকে ভরে ঝড়-বৃষ্টি-রোদ উপেক্ষা করে জল পৌঁছে দেন। একটি মশকে জল ধরে ৩০ লিটারের কাছাকাছি। রফি আহমেদ কিদওয়াই রোড, বৃন্দাবন দাস লেন, মারকুইস স্ট্রিট, ইলিয়ট রোড, মার্কুইস স্ট্রিটের বাড়ি এবং দোকান মিলিয়ে একেকজন ভিস্তিওয়ালা দিনে দুবেলা মোটামুটি ৩০টি বাড়িতে জল পৌঁছে দেন। এর জন্য মাসে চারশো টাকার মতো খরচ হয় একেকটি পরিবারে।

বাংলা সাহিত্যে ভিস্তিওয়ালা
বাংলা সাহিত্যে ভিস্তিদের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুকুমার রায়, শামসুর রাহমান, হুমায়ূন আহমেদের রচনায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জুতা আবিস্কার কবিতায় ভিস্তিওয়ালাদের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। তিনি লিখেছেন- তখন বেগে ছুটিল ঝাঁকে ঝাঁক, একুশ লাখ ভিস্তি পুকুরে বিলে রহিল শুধু পাঁক, নদীর জলে নাহিকো চলে কিস্তি।
সুকুমার রায় তার ন্যাড়া বেলতলায় ক’বার যায়? ছড়ায় ভিস্তিদের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন এভাবে লাখোবার যায় যদি সে যাওয়া তার ঠেকায় কিসে? ভেবে তাই না পাই দিশে নাই কি কিচ্ছু উপায় তার? এ কথাটা যেমনি বলা রোগা এক ভিস্তিওলা
ঢিপ্ ক’রে বাড়িয়ে গলা প্রণাম করল দুপায় তার।
শামসুর রাহমান তার শৈশবের স্মৃতি স্মরণ করতে গিয়ে ভিস্তিদের চিত্রায়িত করেছেন এভাবে, ‘রোজ মশক ভরে দুবেলা পানি দিয়ে যেত আমাদের বাড়িতে। কালো মোষের পেটের মতো ফোলা ফোলা মশক পিঠে বয়ে আনত ভিস্তি। তারপর মশকের মুখ খুলে পানি ঢেলে দিত মাটি কিংবা পিতলের কলসীর ভেতর। মনে আছে ওর থ্যাবড়া নাক, মাথায় কিস্তি টুপি, মিশমিশে কালো চাপদাড়ি আর কোমরে জড়ানো পানিভেজা গামছার কথা।


তথ্য সূত্রঃ
https://www.bongodorshon.com
http://itibritto.com
http://www.kholakagojbd.com
https://www.risingbd.com ও অন্যান্য।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২৬

কল্পদ্রুম বলেছেন: কত পেশাই হারিয়ে গেছে।সামনেও হারাবে।কয়েক বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট লেখকদের উপর একটা লেখা পড়েছিলাম।তারাও হারিয়ে যাচ্ছে।ঢাকার ভিস্তিওয়ালারা কি বাঙ্গালি ছিলেন?

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

ইসিয়াক বলেছেন:



ঠিক বলেছেন ভাইয়া, সময়ের সাথে সাথে অনেক পেশাই হারিয়ে গেছে।সেই সাথে নতুন পেশার উদ্ভব হয়েছে।
# আমি ভিস্তিওয়ালাদের সম্পর্কে যতদুর জেনেছি তাতে তারা স্থানীয় বাঙ্গালি ছিলেন কিনা তা বলতে পারবো না। চমৎকার মন্তব্যে ভালো লাগা জানবেন। লাইকে অনুপ্রাণিত হলাম। নিরন্তর শুভকামনা।

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭

জোবাইর বলেছেন: ভিস্তিওয়লার বেশে প্রথমে লেখককে চিনতে পারি নাই :|! পরে খেয়াল করে দেখলাম এটাতো আমাদের কবি "ভোরের পাখি" :)। জানা-অজানা তথ্যের চমৎকার সিরিজ নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য অভিনন্দন! ভিস্তিওয়ালা সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।

তবে ভিস্তিওয়ালা না দেখলেও আমরা ৮০'র দশকের শুরুর দিকেও পুরাতন ঢাকা ও চট্টগ্রামের শহরের অনেক অঞ্চলে বাসায় বাসায় পানি সরবরাহকারী শ্রমিক দেখেছি। এরা কিছু টাকার বিনিময়ে মেইন রোডের ওয়াশার পাইপ থেকে পানি নিয়ে যেসব বাসায় ওয়াশার লাইন নেই সেখানে পৌঁছে দিত। এরা চামড়ার মোশক ব্যবহার করতো না, গোয়ালাদের মতো কাঁধে করে বয়ে আনতো।

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

ইসিয়াক বলেছেন:


হা হা হা ভাইয়া আমাকে এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলেন :(
পোস্ট ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন এখনো কোথাও কোথাও পানি সরবরাহকারী শ্রমিকদের দেখা যায়। বিশেষ করে কাঁচা বাজার ও মাছের বাজারে।
পাঠে মন্তব্যে ও লাইকে কৃতজ্ঞতা রইলো।শুভকামনা।

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩

জুন বলেছেন: ভিস্তিওয়ালা নিয়ে জানতাম তবে তাদের নিয়ে এত সুন্দর লেখায় নতুন কিছুও জানা হলো বৈকি ইসিয়াক। অনেক ভালোলাগা রইলো।
+

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

ইসিয়াক বলেছেন:


পাঠে মন্তব্যে ও লাইকে অনেক অনেক অনুপ্রাণিত হলাম। পাশে থাকার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা রইলো।ভালো থাকুন সবসময়।
শুভেচ্ছাসহ শুভকামনা রইলো।

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: দারুন তথ্যবহুল ঝরঝরে লেখা। অনেক কিছু জানা ছিল না- নতুন করে জানলাম।

এমন পোস্টের জন্য ভাল লাগা রইল

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

ইসিয়াক বলেছেন:



মন্তব্যে মুগ্ধতা রইলো ভাইয়া।ভালো লেগেছে জেনে মনটা খুশিতে ভরে গেলো ।
কৃতজ্ঞতা রইলো।

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা আমাদের র্নিমাতারা কবে বুঝবে
কি অমূল সব কাহিনী রত্ন পথে প্রান্তরে....
সভ্যতার এগিয়ে যা্ওয়ার একটা বড় অংশ নিয়ে কাজ নেইই.. প্রজন্ম জানবে কি করে?

পোষ্টে ++++

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০১

ইসিয়াক বলেছেন:

আসলেই ভাইয়া সভ্যতার এগিয়ে যাওয়ার একটা বড় অংশ নিয়ে তেমন একটা কাজ নেই। এগুলো আমাদের স্বর্ণালী অতীত।
মন্তব্যে ভালো লাগা জানবেন প্রিয় ব্লগার। শুভেচ্ছা সহ শুভকামনা রইলো।
ভালো থাকুন সবসময়।

৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসিয়াক,




সমৃদ্ধ লেখা ।

আমাদের একদম ছোট্টবেলায় ভিস্তি দেখিনি বটে যা দেখেছি তা সিনেমাতে। তবে মহল্লায় মহল্লায় বড় রাস্তায় থাকা মিউনিসিপ্যালিটির সকলের জন্যে ব্যবহৃত পানির কল থেকে গোয়ালাদের মতো কাঁধে করে টিনের ভাড়ে "উড়িয়া" দের ঘরে ঘরে পানি টানতে দেখেছি। ভিস্তিওয়ালাদের মতোই এদের নাম ছিলো " উড়িয়া" কারন এই লোকগুলো এসেছিলো এবং আসতো ভারতের উড়িষ্যা থেকে। শুকনো- জীর্ণ দেহ, ময়লা চামড়ার রং, পাংশু মুখ । দেখলে মায়া হতো খুব।

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৭

ইসিয়াক বলেছেন:


শ্রদ্ধেয় প্রিয় ব্লগার,
আপনার মন্তব্য আমাকে সব সময় অনুপ্রেরণা জোগায়।পাশে থাকা, চমৎকার মন্তব্য ও লাইকের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা সতত।

৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এক অজানা তথ্য জানলাম । ছোটকালে দেখেছি বাজারে চায়ের দোকানে কাঁধে ভার বয়ে পানি দিতো একটা লোক

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

ইসিয়াক বলেছেন:

মন্তব্যে ভালো লাগা প্রিয় মহী ভাই।
শুভকামনা।

৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২২

রাজীব নুর বলেছেন: ভিস্তিওয়ালা বুঝলাম। বিস্তারিত জানলাম।
ভালো একটা পোষ্ট দিলাম।

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১০

ইসিয়াক বলেছেন:

এই তো আমি এসে গেছি বন্ধু্ , জীবিকার পিছনে ছুটতে ছুটতে ব্লগে সময় কম দিতে পারছি।মন্তব্যের উত্তর দেরিতে দেওয়ার বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।

৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: নাজিম সাহেবের সাহস আছে সে রাজার মুকুট চেয়ে নিয়েছে। রাজাও দিয়ে দিয়েছেন। গ্রেট।

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

ইসিয়াক বলেছেন:

নাজিম সাহেব অনেক বড় মনের মানুষ ছিলেন নিশ্চয়।তিনি দুদিনের মাথায় রাজ মুকুট ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।আর যে দুই দিন রাজা ছিলেন শোনা যায় যে সে সময় তিনি অনেকেন মনের ইচ্ছা পূরণ করেছিলেন।

১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ২:২২

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: মনোরম লেখা। ভিস্তিওয়ালার কাহিনি পড়েছিলাম অনেক কাল আগে। তবে ভিস্তিওয়ালা কিন্তু সঙ্গেসঙ্গেই সিংহাসন ফিরিয়ে দেননি, তার বেশ ব্যক্তিত্বও ছিল বোঝা যায়।

হুমায়ূনের বোন গুলবদন বেগমের "হুমায়ূননামা" থেকে জানা যায়, ভিস্তিওয়ালা, যার নাম গ্রন্থটিতে বলা হয়েছিল নিযাম কিংবা সম্বল, প্রায় দুই দিন রাজকীয় ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন; এ সময়ে তিনি সবার অনুরোধ মঞ্জুর করেছিলেন এবং সাক্ষাতকারও দিয়েছিলেন। :)

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

ইসিয়াক বলেছেন: এস এম মামুন অর রশীদ আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম
চমৎকার মন্তব্যে ভালো লাগা জানবেন। শুভকামনা।

১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম পোষ্ট আরো দিবেন।

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪১

ইসিয়াক বলেছেন:

ঠিক আছে বন্ধু। অনুপ্রাণিত হলাম।

১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: বন্ধু আপনি কোথায়? মন্তব্যের উত্তর দিবেন না। পোস্ট দিয়ে হুট করে উধাও হয়ে যান কেন?

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩

ইসিয়াক বলেছেন:


কি আর করবো,কোন কাজে অযুহাত দেওয়া আমার পছন্দ নয়।তবুও বলছি নিজের ব্যস্ততা বেড়ে যাবার কারণে ব্লগে সময় দিতে পারছি না।দেরিতে প্রতিমন্তব্যে আসার জন্য সত্যি দুঃখিত।

১৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সময় নিয়ে আসছি....

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

ইসিয়াক বলেছেন:

আজ ক’দিন অনেক ফাঁকি দিয়েছেন প্রিয় দাদা। এবার কিন্তু ফাঁকি দিলে হবে না। অপেক্ষাতে থাকলাম হে হে হে.......

১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১৬

রামিসা রোজা বলেছেন:
অনেক অজানা জিনিস জানলাম , সে জন্য আপনাকে
ধন্যবাদ ‌।

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬

ইসিয়াক বলেছেন: রামিসা রোজা আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম।

পাঠে মন্তব্যে ও লাইকে কৃতজ্ঞতা রইলো।
শুভকামনা জানবেন।

১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২৭

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: প্রথমে হুমায়ূনের "বাদশাহ নামদার" পড়ে ভিস্তিওয়ালাদের সম্পর্কে জেনেছিলাম। আজ আরও অনেক কিছুই জানলাম। ধন্যবাদ :)

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭

ইসিয়াক বলেছেন: ক্ষুদ্র খাদেম আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম।
মন্তব্যে ভালো লাগা। লাইক ও পাঠে অনুপ্রাণিত হলাম।

১৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মশকওয়ালা, টাঙ্গাওয়ালা, বায়স্কোপওয়ালা, কুলফীওয়ালা ইত্যাদি অনেক 'ওয়ালা' কালের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলানো সম্ভব না হলে হারিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক, তবে মন অনেক সময়ে মানতে চায় না। অতীতের অনেক স্মৃতি মনকে নষ্টালজিক করে দেয়। খুব ভালো করেছেন লিখে। অনেক অজানা জিনিস জানলাম। বাকীগুলো নিয়েও একে একে লিখেন।

প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যে সামু'র দিকে এক ঝলক তাকিয়ে আলোচিত পাতায় আপনার লেখাটা চোখে পড়লো, তাই ক্ষণিকের জন্য লগ ইন করা। ব্যস্ততা কমুক.......তারপরে আবার দেখা হবে। টেইক কেয়ার।

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৫০

ইসিয়াক বলেছেন:

আমি কিন্তু খুবই সম্মানিত বোধ করেছি। আপনার ব্যস্ততার মধ্যে এতো আন্তরিকতায় আমি সত্যি মুগ্ধ। আমি আছে আপনার অপেক্ষায়....
অন্য কিছু নিয়ে হাজির হবো পরের পোস্টে। নিরন্তর শুভকামনা।

১৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২১

ওমেরা বলেছেন: ভিস্তিওয়ালা সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

ইসিয়াক বলেছেন:

পাঠে ও মন্তব্যেকৃতজ্ঞতা রইলো আপু ।
শুভকামনা।
শুভবিকাল

১৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভিস্তিওয়ালারা এখন ইতহিাস। +++++

১৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১১

তারেক ফাহিম বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট, প্রিয়তে রাখলাম সময় করে পড়ে নিয়ে জানাবো।

২০| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০০

ঢুকিচেপা বলেছেন: ইসিয়াক ভাই চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে খুব সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন।
বিষয়টি জানা ছিল না।

ধন্যবাদ।

২১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঢাকা-কোলকাতার ভিস্তিওয়ালাদেরকে নিয়ে চমৎকার একটি ঝরঝরে আলোচনা করেছেন। খুবই সমৃদ্ধ একটা পোস্ট লিখেছেন, এজন্য অভিনন্দন!
"ঢাকার ভিস্তিওয়ালারা কি বাঙ্গালি ছিলেন?" - কল্পদ্রুম এর এ প্রশ্নের উত্তরে আমার যতদূর মনে পড়ে, ওরা পুরনো ঢাকার কুট্টি সম্প্রদায়ের লোক ছিলেন।
পোস্টে ভাল লাগা + +।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.