নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই রকম পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি যেখানে সবাইকে সমান দৃষ্টিতে দেখা হবে। যেখানে থাকবে না কোন পাপ পঙ্কিলতা।

ইসিয়াক

সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।

ইসিয়াক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানা অজানা-২ [সাঁওতাল জনগোষ্ঠী-প্রথম পর্ব ]

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯


মাটির ঘরে থেকেছেন কখনো? মাটির ঘরে থাকার মজাই আলাদা যারা থেকেছে তারা জানেন।বিশেষ করে তীব্র শীতে ঘরের ভেতরটা থাকে বেশ উষ্ণ। আবার প্রচণ্ড গরমেও ঘরের ভেতর থাকে তুলনামূলক শীতল।
ছবির গ্রামটি কেমন দেখাচ্ছে বলুন তো? দারুণ সুন্দর না?
কি অপরূপ! সিগ্ধ কোমল,মিষ্টি একটা গ্রাম।ঠিক যেন শিল্পীর আঁকা ছবি।এই ধরনের গ্রামগুলোতে সাধারণত আদিবাসী জনগোষ্ঠী সাঁওতালদের বাস। আমরা জানি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ উপজাতিক জনগোষ্ঠী সাঁওতাল। তারা মূলত রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও বগুড়া জেলাতে বাস করে। আসুন তাঁদের সম্পর্কে জানি। তিন পর্বের আজ প্রথম পর্ব দেওয়া হলো।
সাঁওতাল শব্দটির প্রচলন
সাঁওতাল.,সান্তাল,হড় ( মানুষ ), হর (উচ্চারনে ভুল লেখা হড় হবে ),সান্দাল, সন্থাল, সান্থাল, সান্তাড় প্রভৃতি অভিধায়ও অভিহিত হয়ে থাকে।
ধারণা করা হয় সংস্কৃত সামান্ত পাল (সীমান্ত রক্ষক) শব্দটি মধ্যযুগে 'সামন্ত আল' শব্দে পরিণত হয়েছিল। প্রাচীন মেদেনীপুরের একটি অংশের নাম ছিল সাওন্ত বা সামন্তভূমি। এই শব্দই সাঁওতালদের ভিতরে শাওনতার হিসেবে প্রচলিত হয় বেশ আগে থেকে। কালক্রমে সাওন্ত>সাওন্তাল বা শাওনতার থেকে সাঁওতাল শব্দটির প্রচলন হয়।

গোত্র
সাঁওতালদের গোত্র-উপগোত্র
আফগানিস্তানের অংশবিশেষের নাম ছিল কান্দাহার বা গান্ধার। আর সমগ্র সিন্ধু প্রদেশের নাম ছিল চায় চাম্পা। চাম্পা অঞ্চলে সান্তালদের ছিল ১৪টি গোষ্ঠীর ১৪টি কেল্লা বা গড়। এই গড়গুলো হলো—
১.কুটামপুরি গড় (হাঁসদা গোষ্ঠী)
২. ময়নামতী গড় (হাঁসদা গোষ্ঠী)
৩. কঁয়ড়া গড় (কিস্কু গোষ্ঠী)
৪. চাম্পা গড় (মুর্মু গোষ্ঠী)
৫. যায়রি গড় (হেমবম গোষ্ঠী)
৬. বাদোলী গড় (মাণ্ডি গোষ্ঠী)
৭. চায়গড় (সরেন গোষ্ঠী)
৮. সিমগড় (টুডু গোষ্ঠী)
৯. লুই বাড়ি লুকুই গড় (টুডু গোষ্ঠী)
১০. হারবালোয়ং গড় (বাস্কে গোষ্ঠী)
১১, বানসারিয়া গড় (বেসরা গোষ্ঠী)
১২. জাঙ্গেকোডে গড় (চঁড়ে গোষ্ঠী)
১৩. বামাগড় (পাউড়িয়া গোষ্ঠী)
১৪. হলংগাড়া গড় (বোয়ালি গোষ্ঠী)
বর্তমানে সাওঁতালদের মোট ১২টি গোত্রের নাম পাওয়া যায়। এই গোত্র গুলো হলো— কিস্কু, হাঁসদা, মুর্মু, হেমব্রম, মাণ্ডি, সরেন, টুডু, বাস্কে, বেশরা, চঁড়ে, পাঁউরিয়া ও বেদেয়া। এদের ভিতরে বর্তমানে বেদেয়া গোত্রের লোক দেখা যায় না। এদের ভিতরে কিছু গোত্র কিছু কিছু বিশেষ কাজে দক্ষ ছিল। এই সকল গোত্রের লোকেরা কাজের সূত্রে বিশেষ নামে অভিহিত হতো।
সরেন সেপাই: সরেনরা একসময় সৈনিক হিসেবে কাজ করতো।
কিস্কু রাপাজ: রাজ্য চালনায় সুদক্ষ ছিল। এই কারণে এদেরকে এই নামে অভিহিত করা হতো।
মাণ্ডি কিসাঁড়া বা কিলিপসাড়: মাণ্ডিরা কৃষিকাজ করতো বলে এদেরকে এই নামে অভিহিত করা হতো।
মুর্মু ঠাকুর: পৌরিহত্য করতো বলে, এদেরকে এই নামে অভিহিত করা হতো।
এছাড়া অন্যান্যরা পৃথক নাম না পেলেও, তারাও বিশেষ কাজে পারদের্শী ছিল। যেম হেমব্রমরা করতো দেওয়ান-এর কাজ, বাস্কেরা করতো ব্যবসা, হাঁসদা এবং টুডু-রা ছিল লোহার কর্মকার। এই গোত্রের লোকেরা নাকাড়া জাতীয় মাদল বাজনাতেও দক্ষ ছিল। আগে সাঁওতালরা নিজ নিজ গোত্রের জন্য চিহ্ন ব্যবহার করতো। বিশেষ করে গরু মহিষের গায়ে এরা নিজ গোত্রের চিহ্ন ব্যবহার করতো। ফলে তাদের গোত্রের প্রাণী খুঁজে পাওয়া সহজ ছিল।
প্রতিটি গোত্রের রয়েছে নিজস্ব ধর্মীয় প্রতীক বা টোটেম। প্রতিটি গোত্রের রয়েছে বেশকিছু উপগোত্র। এ সকল উপগোত্রেরও রয়েছে পৃথক টোটেম। এই টোটেম নির্ভর ভাবনা থেকে এদের উপগোত্রে কিছু বিধিনিষেধ বা ট্যাবু মান্য করা হয়। নিচে গোত্র-ভিত্তিক পরিচয় তুলে ধরা হলো।
১. হাঁসদা গোত্র: সমাজে এদের প্রধান পরিচয় লোহার কর্মকার হিসেবে। এদের গোত্রীয় চিহ্ন এবং টোটেম ছিল হাঁস। এর উপগোত্রগুলোর উল্লেখযোগ্য টোটেম– সিঁদুর, সাদা রঙ, বুনো ছত্রাক, বেনা ঘাস ইত্যাদি। এদের উপগোত্রগুলো হলো–
মূল উপগোত্র হাঁসদা। অন্যান্য উপগোত্রগুলো হলো– অক্ হাঁসদা, অবর হাঁসদা, কাঁড়া ওজা হাঁসদা, কাঁহু হাঁসদা, কুণ্ডা হাঁসদা, কুহি হাঁসদা, কেডওয়ার হাঁসদা, গাড় হাঁসদা, চিল বিন্দা হাঁসদা, জিহু হাঁসদা, নায়কে থিল হাঁসদা, পিট কাণ্ডা হাঁসদা, মাঝি থিল হাঁসদা, যুগী হাঁসদা, রকলুতুর হাঁসদা, রাতওয়ারা হাঁসদা, সলে হাঁসদা, সাঁক হাঁসদা, সাদা হাঁসদা,
২. কিস্কু: রাজ্য চালনায় সুদক্ষ ছিল। এই কারণে এদেরকে এই নামে অভিহিত করা হতো। কিস্কুদের চিহ্ন ছিল লাঠি। এদের টোটেম শঙ্খচিল। এর উপগোত্রগুলোর উল্লেখযোগ্য টোটেম– কেয়াফুল, সাদা রঙঁ, শকুন, ঘোড়া, কাঠ বিড়াল এদের উপগোত্রগুলো হলো–
মূল উপগোত্র কিস্কু। অন্যান্য উপগোত্রগুলো হলো– অক্ কিস্কু, অবর কিস্কু, আড কিস্কু, আবে কিস্কু, কাডা কিস্কু, কাতওয়ার কিস্কু, গাড় কিস্কু, জিহু কিস্কু, টিকা কিস্কু, নায়কে মিল কিস্কু, পাটি কিস্কু, বাদার কিস্কু, বিটল কিস্কু, মাঝি মিল কিস্কু, লাৎ কিস্কু, রকলুতুর কিস্কু, লাহের কিস্কু, সন কিস্কু, সাদা কিস্কু।
৩. মুর্মু: পৌরিহত্য করতো বলে, এদেরকে এই নামে অভিহিত করা হতো। এদের চিহ্ন ছিল লম্বা মই। এদের টোটেম নীলগাই। এর উপগোত্রগুলোর উল্লেখযোগ্য টোটেম– চাঁপাফুল, কুড়চিফুল, পলাশফুল, সাদা রং। এদের উপগোত্রগুলো হলো–
মূল উপগোত্র মুর্মু। অন্যান্য উপগোত্রগুলো হলো– অক্ মুর্মু, অবর মুর্মু, কাডা মুর্মু, কুড়াম মুর্মু, কোলহা মুর্মু, গাজার মুর্মু, চাপোয়ার মুর্মু, জিহু মুর্মু, টিকা বা তিলক মুর্মু, টুটি মুর্মু, টুরকু লুনাম মুর্মু, নায়কে মিল মুর্মু, পোণ্ডু মুর্মু, বাদাড় মুর্মু, পোয়ার মুর্মু, বিটল মুর্মু, বোওয়ারা মুর্মু, মাঝি মিল মুর্মু, যুগি মুর্মু, লাৎ মুর্মু, সাওয়ার মুর্মু, সাং মুর্মু, সাদা মুর্মু, হাণ্ড মুর্মু।
৪. মাণ্ডি: এদের অন্য নাম মাণ্ডি কিসাঁড়া বা কিলিপসাড়। এরা কৃষিকাজ করতো বলে এদেরকে এই নামে অভিহিত করা হতো। এদের চিহ্ন ছিল তীর। এদের টোটেম খেরদা নামক ঘাস। এর উপগোত্রগুলোর উল্লেখযোগ্য টোটেম– পিয়াল গাছ, ধ গাছ, ঘোড়া, সোনা, মিরুবাহা নামক ফুল। এদের উপগোত্রগুলো হলো–
মূল উপগোত্র মাণ্ডি। অন্যান্য উপগোত্রগুলো হলো– অবর মাণ্ডি, কাডা মাণ্ডি, কুলমি মাণ্ডি, কেদওয়ার মাণ্ডি, গদা মাণ্ডি, জনক মাণ্ডি, টিকা মাণ্ডি, টুরকু লুখাম মাণ্ডি, থাণ্ডা যোগাও মাণ্ডি, থিরু মাণ্ডি, নায়কে মিল মাণ্ডি, পোণ্ড মাণ্ডি, বাবড়ে মাণ্ডি, বিটল মাণ্ডি, বুবু বেরেৎ মাণ্ডি, ভগো মাণ্ডি, মাঝি মিল মাণ্ডি, মাড় মাণ্ডি, যারা মাণ্ডি, যুগী মাণ্ডি, রকলতুর মাণ্ডি, রত মাণ্ডি, রূপা মাণ্ডি, লাকি মাণ্ডি, সাদা মাণ্ডি, সিদুপ মাণ্ডি, হেগেল মাণ্ডি।
৫. হেবব্রম: দেওয়ান-এর কাজ করতো। এদের চিহ্ন ছিল আঁকশি। এদের টোটেম সুপারি। এর উপগোত্রগুলোর উল্লেখযোগ্য টোটেম– আমলকি গাছ, শকুন, তসর, শাঁখা, সাদা রং। এদের উপগোত্রগুলো হলো–
মূল উপগোত্র হেবব্রম। অন্যান্য উপগোত্রগুলো হলো– অক্ হেবব্রম, অবর হেবব্রম, কুওয়ার হেবব্রম,গাড় হেবব্রম, গুয়া হেবব্রম, গুয়া সরেন হেবব্রম, ঠাকুর হেবব্রম, চাষা হেবব্রম, দাতেলা হেবব্রম, নায়কে মিল হেবব্রম, বাদার হেবব্রম,বিটল হেবব্রম, মাঝি মিল হেবব্রম, লাহের হেবব্রম, সলে হেবব্রম, সাৎ হেবব্রম, সাদা হেবব্রম, হাট হেবব্রম, হাণ্ডি হেবব্রম।
৬. সরেন: সরেনরা একসময় সৈনিক হিসেবে কাজ করতো। সেই থেকে সরেন সৈনিক নামে এরা পরিচিতি লাভ করে। এদের গোত্রীয় চিহ্ন ছিল হাঁস। এদের টোটেম সপ্তর্ষিমণ্ডল। এর উপগোত্রগুলোর উল্লেখযোগ্য টোটেম– আমলকি গাছ, শকুন, তসর, শাঁখা, সাদা রং, সিঁদুর। এদের উপগোত্রগুলো হলো–
মূল উপগোত্র সরেন। অন্যান্য উপগোত্রগুলো হলো– অক্ সরেন, অবর সরেন, খাণ্ডা (বাদর) সরেন, গুয়া সরেন, চেহেল সরেন, জিহু সরেন, টুরকু সরেন, দাঁতেলা সরেন, নায়কে মিল সরেন, পেন্ড সরেন, বাজি সরেন, বিটল সরেন, মাও সরেন, মাঝি সরেন, মাণ্ডা সরেন, মাল সরেন, যুগী সরেন, রকতুল সরেন, লুমাম সরেন, সাঁক সরেন, সাজা সরেন, সাদা সিদুপ সরেন, সিদুপ সরেন।
৭. বাস্কে: এদের মূল পেশা ছিল ব্যবসা। এদের চিহ্ন ছিল লাঙ্গল। এদের টোটেম পান্তাভাত। এর উপগোত্রগুলোর উল্লেখযোগ্য টোটেম– কাঠ বিড়াল, সোনা, শকুন। এদের উপগোত্রগুলো হলো–
মূল উপগোত্র বাস্কে। অন্যান্য উপগোত্রগুলো হলো– অক্ বাস্কে, অবর বাস্কে, কুহি বাস্কে, কেদওয়ার বাস্কে, গাড় বাস্কে, জাহের বাস্কে, জিহু বাস্কে, ঠুন্টা বাস্কে, নায়কে মিল বাস্কে, পটম বাস্কে, বিটল বাস্কে, বিন্দার বাস্কে, ভিডি বাস্কে, মাঝি মিল বাস্কে, মুণ্ডা বাস্কে, লাৎ বাস্কে, সাদা বাস্কে, সারুগতা বাস্কে, সুড়ে বাস্কে, হেন্দে বাস্কে।
৮. বেসরা: এদের চিহ্ন ছিল ঢেরা। এদের টোটেম বাজপাখি। এর উপগোত্রগুলোর উল্লেখযোগ্য টোটেম– কাক, শকুন, নিমকাঠি, হাঁড়িয়া। এদের উপগোত্রগুলো হলো–
মূল উপগোত্র বেসরা। অন্যান্য উপগোত্রগুলো হলো– অক্ বেসরা, অবর বেসরা, কাহু বেসরা, কুসি বেসরা, গাড় বেসরা, গুয়া বেসরা, নায়কে মিল বেসরা, বাস্কে বেসরা, বিন্দাড় বেসরা, মন বেসরা, মাঝি বেসরা, রকলুতুর বেসরা, লাৎ বেসরা, সাদা বেসরা।
৯. টুডু: এর ছিল লোহার কর্মকার। এদের চিহ্ন ছিল টুইডুদের 'বৃত্তের ভিতর কাটা'। এদের মূল গোত্রে টোটেম জানা যায় নি। এর উপগোত্রগুলোর উল্লেখযোগ্য টোটেম– সোনা হাঁড়িয়া। এদের উপগোত্রগুলো হলো–
মূল উপগোত্র টুডু। অন্যান্য উপগোত্রগুলো হলো– অক্ টুডু, অবর টুডু, আঙ্গারিয়া টুডু, কুডাম টুডু, খরহারা টুডু, গাড় টুডু, চিমি টুডু, চুরুচ টুডু, তিলক টুডু, দাতেলা টুডু, নায়কে মিল টুডু, বাঁবড়ে টুডু, বাস্কে টুডু, বিটল টুডু, ভক্তা টুডু, মাঝি মিল টুডু, যুগী টুডু, লাৎ টুডু, সাদা টুডু।
১০. চঁড়ে: এদের টোটেম গিরগিটি। এর উপগোত্রগুলোর উল্লেখযোগ্য টোটেম– শকুন ও সাদা রঙ। এদের উপগোত্রগুলো হলো–
মূল উপগোত্র চঁড়ে। অন্যান্য উপগোত্রগুলো হলো– অক্ চঁড়ে, অবর চঁড়ে, কাহু চঁড়ে, গাড় চঁড়ে, চপেয়ার চঁড়ে, চাচারহাৎ চঁড়ে, ঠাকুর চঁড়ে, নায়কে মিল চঁড়ে, নিজ চঁড়ে, বিটল চঁড়ে, বিন্দার চঁড়ে, মাঝি মিল চঁড়ে, লাৎ চঁড়ে, সাদা চঁড়ে, সিঁদুর চঁড়ে।

১১. পাউরিয়া: এদের টোটেম পায়রা। এর উপগোত্রগুলোর উল্লেখযোগ্য টোটেম– শকুন কাঠ বিড়াল ও সাদা রঙ। এদের উপগোত্রগুলো হলো–
মূল উপগোত্র পাউড়িয়া। অন্যান্য উপগোত্রগুলো হলো– অক্ পাউড়িয়া, অবর পাউড়িয়া, গাড় পাউড়িয়া, চাউরিয়া পাউড়িয়া, নায়কে মিল পাউড়িয়া, নিজ পাউড়িয়া, পটম পাউড়িয়া, বিটল পাউড়িয়া, ভিতার পাউড়িয়া, মাঝি মিল পাউড়িয়া, মুণ্ডা পাউড়িয়া, লাৎ পাউড়িয়া, সাদা পাউড়িয়া, সিদুপ পাউড়িয়া, সোনা পাউড়িয়া।
১২. বেদেয়া: এই গোত্রের নাম কিছু বই পত্রে পাওয়া যায়। কিন্তু এদের সন্ধান পাওয়া যায় না। সম্ভবত এরা অন্য কোনো গোত্রের সাথে মিশে গেছে।
যেমন
সাঁওতালদের মধ্যে টোটেম বিশ্বাস প্রচলিত আছে। টোটেম-এর উপর ভিত্তি করে সাঁওতালদের গোত্রে নানা ধরনের প্রাণী হত্যা বা আচরণগত ট্যাবু মান্য করে। প্রতিটি গোত্র তাদের পূর্বপুরুষ কিংবা গাছপালা, জীবজন্তু ও পশুপাখী ইত্যাদি নামে পরিচিত। হাঁসদা গোত্রের লোকের বিশ্বাস তাদের উদ্ভব ঘটেছে হাঁস থেকে। তাই হাঁসদা গোত্রের সাওতালদের হাঁস ভক্ষণ নিষিদ্ধ। আবার সরেন গোত্রের উৎপত্তি হরিণ থেকে তাই তাদের হরিণের মাংস খাওয়া নিষেধ। আবার যে সকল গোত্রে সাদা রঙ টোটেম। তাদের মেয়েরা শাঁখা পড়ে না, সাদা মুরগী খায় না। যাদের ঘোড়া টোটেম। তারা ঘোড়া হত্যা করে না, ঘোড়া স্পর্শ করে না। দূর থেকে ঘোড়াকে প্রণাম করে।

ভাষা ও নৃতাত্ত্বিক পরিচয়
ভাষা এবং নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যে সাঁওতালরা বাংলাদেশের অন্য অনেক নৃগোষ্ঠীর মত মঙ্গোলীয় গোত্রের নয়। এরা সাঁওতালী ভাষায় কথা বলে যে ভাষাটি অস্ট্রো-এশীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত। এদের মধ্যম গড়নের আকৃতির শরীর, ত্বকের গাঢ় রঙ, চ্যাপ্টা নাক, পুরু ঠোঁট এবং কোঁকড়ানো চুল তাদের অস্ট্রেশীয় নৃতাত্ত্বিক উৎস নির্দেশ করে যে গোষ্ঠির মানুষ ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছিল দ্রাবিড়দেরও আগে অস্ট্রেলিয়া এবং সন্নিহিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপমালা থেকে। দেহ কাঠামোর বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে সাঁওতালদেরকে বিশুদ্ধ প্রাক-দ্রাবিড়ীয় গোষ্ঠীর প্রতিনিধি বলে মনে করা হয়। তবে অস্ট্রেলীয় কৌমগুলোর সাথে সাঁওতালদের বেশ মিল লক্ষ করা যায় বলে তাদেরকে আদি অস্ট্রেলীয় বলা হয়। ধারণা করা হয় সুঁতার (Soontar) কথাটি থেকে সাঁওতাল শব্দের উদ্ভব(ভুল ব্যাখ্যা )।
অন্য একটি সুত্র হতে পাওয়া তথ্য মতেঃ-
প্রায় ৬৫ হাজার বৎসর আগে, আফ্রিকা থেকে নরগোষ্ঠীর একটি বিশাল অংশ ধীরে ধীরে অন্যান্য মহাদেশের দিকে যাত্রা শুরু করেছিল। এই দলটি প্রোটো-অস্ট্রালয়েড নামে বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করেছেন। এদের গায়ের রং কালো, নাক অনুচ্চ, চুল কালো ও কুঞ্চিত, উচ্চতা মাঝারি। প্রোটো-অস্ট্রালয়েড মানব হিসেবে এদের সাথে বিশেষ নৃতাত্ত্বিক ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে মুণ্ডা ও মালপাহাড়িদের সাথে। আবার দ্রাবিড় সংস্কৃতিরও কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য এদের ভিতরে পাওয়া যায়।

এদের ভাষার নাম সাঁওতালি। উল্লেখ্য এই ভাষাটি অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষা পরিবার-এর অন্তরর্গত। সাধারণভাবে এদের ভাষাকে অস্ট্রিক ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্গত ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অস্ট্রিক ভাষাভাষী মানুষদের একটি বড় অংশ ভারতবর্ষের প্রবেশ করেছিল খাইবার বোলান গিরিপথ দিয়ে। গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডাস-এর বিবরণ থেকে জানা যায়, সিন্ধু ও বেলুচিস্থানের কুটির শিল্পীদের বলা হতো সান্তাল। এই অঞ্চলে কিস্কু এবং মাণ্ডি গোষ্ঠীর লোকের সমভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠার কারণে আধিপত্যের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এই সময় চাম্পা অঞ্চল ত্যাগ করে সান্তালরা উত্তর ও পূর্ব ভারতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সাঁওতালরা ভারত-উপমহাদেশের কৃষির পত্তন ঘটিয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন।
দ্বিতীয় পর্ব আগামীকাল
তথ্যসূত্র :
https://bn.wikipedia.org/wiki
বাংলাপেডিয়া
উত্তরবঙ্গের সাঁওতাল জাতি। দুলাল দাস।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৭

ওমেরা বলেছেন: শাঁওতালদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হল । ধন্যবাদ আপনাকে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১২

ইসিয়াক বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপু্ । পরের পর্বগুলোয় নিশ্চয় পাশে থাকবেন। শুভকামনা।

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


খুবই মুল্যবান তথ্য সম্বলিত পোষ্ট।
সাওতালদের মাটির ঘরগুলি খুবই সুন্দর।
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলাধীন সাওতাল এলাকায়
দিন কয়েক থেকেছিলাম আশির দশকে, সাওতালদেরদের
অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডের উপর পরিচালিত
একটি গবেষনার কাজে।
পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।

শুভেচ্ছা রইল

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

ইসিয়াক বলেছেন: পাঠে মন্তব্যে ও লাইকে অনুপ্রাণিত হলাম প্রিয় ব্লগার। পবের পর্বগুলোতে আমন্ত্রণ রইলো।আশা করি পাশে পাবো।
নিরন্তর শুভকামনা।

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: আমাদের ওখানে ওরাঁওদের সাঁওতাল ডাকে। ছোটকালে দেখতাম দুরদুরান্ত কিংবা ভারত থেকেও সাঁওতালরা আসত বনগাবড়া (মেছোবাঘ) মারতে। আবার জমির আল কেটে ইদুরও ধরত।

আদিবাসী সাঁওতাল গোষ্ঠী নিয়ে লেখায় অনেক ধন্যবাদ।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

ইসিয়াক বলেছেন:
প্রিয় আখেনাটেন আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হলাম। পরের দুই পর্বেও আশা করি আপনাকে পাবো। মন্তব্যে ভালো লাগা জানবেন।
কৃতজ্ঞতা রইলো।
শুভকামনা

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: সাওতালরা আদিবাসী- এই তথ্যের সূত্র কি? ডিএনএ পরীক্ষায় কি প্রমাণিত হয়েছে?
তবে তারা বাঙ্গালীদের চেয়ে অনেক সভ্য।
চোর বা অকর্মা-কোনোটাই না। সৎ পথে পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৭

ইসিয়াক বলেছেন: সাওতালরা আদিবাসী< উপজাতিক গোষ্ঠী হবে। দুঃখিত ঠিক করে দিয়েছি।
https://bn.wikipedia.org/wiki/&#xE0;&#xA6;&#xAC;&#xE0;&#xA6;&#xBE;&#xE0;&#xA6;&#x82;&#xE0;&#xA6;&#xB2;&#xE0;&#xA6;&#xBE;&#xE0;&#xA6;&#xA6;&#xE0;&#xA7;&#x87;&#xE0;&#xA6;&#xB6;&#xE0;&#xA7;&#x87;&#xE0;&#xA6;&#xB0;_&#xE0;&#xA6;&#x9C;&#xE0;&#xA6;&#xBE;&#xE0;&#xA6;&#xA4;&#xE0;&#xA6;&#xBF;&#xE0;&#xA6;&#x97;&#xE0;&#xA7;&#x8B;&#xE0;&#xA6;&#xB7;&#xE0;&#xA7;&#x8D;&#xE0;&#xA6;&#xA0;&#xE0;&#xA7;&#x80;

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫১

ইসিয়াক বলেছেন: লিঙ্ক কাজ করছেনা তাই.....
বাংলাদেশের জাতিগোষ্ঠী
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিনঅনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি ক্ষুদ্র কিন্তু জনবহুল রাষ্ট্র । জনসংখ্যার অধিকাংশ বাঙালি হলেও অনেকগুলো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রয়েছে যাদের উপজাতি বলেও সচরাচর উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশের উপজাতি জনগোষ্ঠির সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৮৭ হাজার প্রায় ; সমগ্র জনগোষ্ঠির এক শতাংশের চেয়েও কম(১.১১%) । বাংলাদেশের উপজাতি জনগোষ্ঠীর সিংহভাগ পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং ময়মনসিংহ , সিলেট ও রাজশাহী অঞ্চলে বসবাস করে । বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উপজাতিক গোষ্ঠী হল চাকমা। বাংলাদেশে আরো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে আছে: গারো, ত্রিপুরা, সাঁওতাল ইত্যাদি।

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমাদের গ্রামের পাশেই দুই তিনশ সাঁওতাল থাকতো বিশেষ কারনে।আমি ১৫/১৬ বছর তাদের খুব কাছ থেকে দেখেছি,গ্রাম ছেড়ে চলে আশার আগ পর্যন্ত ।

মহিলারা মাঠে কাজ করতো পুরুষেরা বনে বাদাড়ে শিকার করে বেড়াতো।ছোট বেলায় আমরাও দলবেদে ওদের পিছে পিছে ঘুরতাম।

গ্রামের পাশেই ছিল মস্ত বড় বিল।সারা বছর নলখাগড়ায় ভরা থাকত।বিলে শুকর,বড় বড় সাপ থাকত।সাঁওতালরা মাঝে মাঝে বিলে শুকর ধরতে আসত।আমরাও দলবেধে অংশ নিতাম।

মাঝে মাঝে ওদের গান বাজনার অনুষ্ঠান হত।দলবেদে মেয়েরা নাচতো,পুরুষের বাদ্য বাজনা বাজাত।ঢোলের শব্দ শুনে আমরা যেতাম।

স্বাধীনতার পর গ্রামে যেতে দেখি একজন সাঁওতালও নেই।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩০

ইসিয়াক বলেছেন:

আপনার মন্তব্য থেকে অনেক কিছু জানলাম। মন্তব্যে ভালো লাগা।
শুভকামনা।

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: গ্রামটা দেখেতো চোখ জুড়িয়ে গেল

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩১

ইসিয়াক বলেছেন:


এদের গ্রামগুলো দেখতে সত্যি খুব সুন্দর।
ধন্যবাদ

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনেক অজানা জানা হলো । সুন্দর লেখা

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩২

ইসিয়াক বলেছেন:

ধন্যবাদ মহী ভাই। আপনার শেষ পোস্টগুলো অনেক ভালো ছিলো । পড়ে অনেককিছু জেনেছি।
শুভকামনা।

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হঠাৎ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রেম?? তাও আবার রিসার্চ পেপার!!! পরিশ্রমী পোস্ট। আদিবাসী নারীদের হৃদয়ে অতলান্ত প্রেম থাকে। আমার এক ছোট ভাই রাজীব নুরের কথায়,এক আকাশ প্রেম( যদিও কথাটি সর্বপ্রথম হুমায়ূন আহমেদ ব্যবহার করেছিলেন) থাকে। আদিবাসী নারীরা এমন অতলান্তিক প্রেমের সমুদ্র নিয়ে ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রাখে। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইলো। তবে আবার অন্য কিছু ভাববেন না। হেহেহে...

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪০

ইসিয়াক বলেছেন:


অনেক দিনের শখ ছিলো সাঁওতাল উপজাতি জনগোষ্ঠীদের উপরে কিছু লিখবো। সেই ভাবনা থেকে লেখা মানে ব্লগে জমা রাখা আর কি।
#যে কোন উপজাতি জনগোষ্ঠীরা খুব সহজ সরল হয়।
#যাহোক যৌবনে কি কোন সাঁওতাল রমনীর প্রেমে পড়েছিলেন নাকি? ঘটনা কি একটু ঝেড়ে কাশুন তো প্রিয় দাদা। গল্পের ইঙ্গিত পাচ্ছি বলে মনে হচ্ছে।
শুভকামনা।

৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১০

দারাশিকো বলেছেন: প্রচুর তথ্য, কিন্তু বেশ নিরস। অবশ্য এটাই তথ্য-উপাত্তের বৈশিষ্ট্য। সাঁওতালদের অনেক গভীরের তথ্য তুলে ধরেছেন, যা আগে জানা ছিল না। মাটির ঘরে অবশ্য আরও অনেকেই বাস করে। মাটির ঘরে থাকার অভিজ্ঞতা আছে, খুবই চমৎকার ব্যাপার। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে এক ধরনের সোঁদা গন্ধ পাওয়া যায়। তবে, একটা বিষয় আমার খুবই না-পছন্দের - মাটির ঘরে দিনের বেলায়ও বেশ অন্ধকার। ঘরের কাঠামোর উপর অবশ্য এটা অনেক কিছু নির্ভর করে। এখন তো আর মাটির ঘর দেখতে পাওয়াই যায় না।

চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪২

ইসিয়াক বলেছেন: দারাশিকো আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম

বাহ! আপনার অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হলাম। পাঠে ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা।

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক পরিশ্রম করেছেন। বুঝা যাচ্ছে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৩

ইসিয়াক বলেছেন: কেমন আছেন?

১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৫১

জোবাইর বলেছেন: ভালো একটি বিষয় নিয়ে সিরিজ শুরুর জন্য ধন্যবাদ। "জানা অজানা-২ [সাঁওতাল জনগোষ্ঠী-প্রথম পর্ব ]" - শিরোনাম দেখে মনে হচ্ছে 'সিরিজের ভেতরে সিরিজ'! এ ধরনের সিরিজে পাঠক বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে। আমার মনে হয় সাঁওতাল জনগোষ্ঠী নিয়ে সম্পূর্ণ আলাদা একটা সিরিজ লেখলে ভালো হতো।

শুধুমাত্র উইকিপিডিয়ার তথ্যের ওপর নির্ভর করে কোনো বিষয়ের ওপর লেখা ঠিক হবে না। কারণ উইকিপিডিয়ার তথ্য অনেক দিক দিয়ে দুর্বল। এখানে যে কোনো ব্যক্তি যে কোনো তথ্য সংযোজন-বিযোজন করতে পারে। বাংলা ভার্সনের সম্পাদকীয় দায়িত্ব যাদেরকে দেওয়া হয়েছে ওনারাও আমরা ব্লগারদের মতো ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতো কাজ করে। তাই দায়িত্বে সিরিয়াস নয়।

প্রথম পর্ব হিসাবে লেখার গঠনশৈলী উইকিপিডিয়ার মতো করে দেওয়া ঠিক হয়নি। মূল সাঁওতাল জাতির নামকরণ, উৎপত্তি, নৃতাত্ত্বিক পরিচয় লেখার শুরুতে থাকলে ভালো হতো। ১ম পর্বটা হওয়া উচিত ছিল অনেকটা সূচনা বা ভূমিকার মতো। অর্থাৎ পুরো সিরিজের সারাংশটা সংক্ষেপে তুলে ধরা। এরপর ২য় পর্ব থেকে শুরু হতো বিভিন্ন টপিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। যেমন ২য় পর্বের টপিক হতে পারতো 'সাঁওতালদের গোত্র-উপগোত্র'।

যা-ই হোক, এটা কোনো ব্যাপার না। নিঃসঙ্কোচে লিখতে থাকেন, আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। উইকিপিডিয়ার বাংলা ভার্সন পেজের লিঙ্কগুলো ব্লগে কাজ করে না। এই সমস্যার সমাধান: উইকিপিডিয়ার পেইজে বামপাশে 'সংক্ষিপ্ত ইউআরএল'-এ মাউসের ডান ক্লিক করুন। প্রদর্শিত মেনুতে 'Copy link' ক্লিক করুন। এবার যেখানে লিঙ্কটি দিতে চান সেখানে ডান ক্লিক করে 'Paste' করুন। যেমন: উইকিতে সাঁওতাল পেজের সংক্ষিপ্ত ইউআরএল: https://bn.wikipedia.org/s/24vo

অনেক পরিশ্রম করে ভালো একটি বিষয় নিয়ে সুন্দর একটি সিরিজ শুরু করার জন্য আবারো ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো, ভালো থাকুন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৭

ইসিয়াক বলেছেন:

চমৎকার গঠনমূলক মন্তব্যে ভালো লাগা জানবেন প্রিয় জোবাইর ভাইয়া।
অনেককিছু শিখলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন। শুভকামনা সবসময়।

১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নাহ্......পইড়া তেমন একটা মজা পাইলাম না। শুরুটা চমৎকার ছিলো, লেকিন তারপরে গোত্র বর্ণনায় গিয়াই ক্যাচাল বাধাইছেন। এতো কথা কওনের কি দরকার? সংক্ষেপে ঝাইড়া দিতেন! এইটা হইছে অনেকটা একাডেমিক রিসার্চের মতোন। ব্লগীয় লেখা তেমন একটা হয় নাই। ব্লগের পাঠক এত্তো লম্বা গোত্র দেইখ্যাই ভাইগা যাইবো গিয়া!! B-)

সামনের পর্বগুলি ইন্টারেস্টিং কইরা লেইখেন কইলাম!!! :)

১৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: খুবই ভালো লেগেছে পড়ে স্যার। এই সিরিজ নিয়মিত কন্টিনিউ করুন। পাঠক হিসেবে সঙ্গে থাকবো।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৪

ইসিয়াক বলেছেন:

ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।শুভকামনা।

১৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:১৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: ঠিক করার চেষ্টা করেছেন জন্য ধন্যবাদ কিন্ত আরো বেশী বিভ্রান্তিকর এবং তারা এটা পছন্দ করে না।
এর চেয়ে তাদের বাংলাদেশে বসবাসকারী একটা সম্প্রদায় বললেই ভালো হতো ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৪

ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ

১৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: সাঁওতালরা খুবই পরিশ্রমী এবং একতাবদ্ধ, সৎ জীবন যাপনকারী একটি বাংলাদেশী সম্প্রদায়। তাদের নিয়ে পরিশ্রমসাধ্য একটি পোস্ট লিখেছেন, এজন্য ধন্যবাদ। তবে জোবাইর এর মন্তব্যের সাথে আমি একমত, তার উল্লেখকৃত বিষয়গুলো মেনে চললে পরের পর্বগুলো আরো ভাল হবে বলে মনে করি।
পোস্টে ভাল লাগা + +।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

ইসিয়াক বলেছেন: গঠনমূলক মন্তব্যে ভালো লাগা জানবেন।
শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.