নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।
শীত আসতে না আসতেই যশোহরের গ্রাম অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি ঘরে কলাই আর চাল কুমড়া দিয়ে বড়ি বানানোর ধুম পড়ে যায়।
এটি বেশ শ্রমসাধ্য কাজ।সময়ও লাগে প্রচুর। গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ডাল ও কুমড়ার তৈরি বড়ি।
বড়ি তৈরির উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত হয় কালো কলাই (ঠিকরি কলাই) ও চাল কুমড়া। অনেকে চাল কুমড়া ছাড়াও মুলা ,পেঁয়াজ ও পেঁপেকে ব্যবহার করে থাকে।
বাজার থেকে কিনে অথবা নিজ জমিতে উৎপাদিত কলাই প্রথমে কুলায় ঝেড়ে পরিষ্কার করা হয়। তারপর পাথরের জাঁতায় মাড়াই করে সূক্ষ্মভাবে পরিষ্কার করে নিয়ে, আবহাওয়া ভালো বুঝলে কলাই পানিতে ভেজানো হয়। এই ভেজানোর প্রক্রিয়া সকালের দিকে শুরু করা হয়।
তারপর দুপুরের খাওয়া সেরে সেই ভেজানো কলাই চটের বস্তায় ডলে ডলে পরিষ্কার করা হয়। তারপর পুকুরের পানিতে কলাই ধোয়া হয়। কখনই টিউবয়েলের পানিতে কলাই ধোয়া হয় না । টিউবওয়েরের পানিতে আয়রন থাকাতে বড়ি লালচে হয়ে যায়। দেখতে বাজে দেখায়।
যাহোক কলাই ধোয়ার পরেও কোন কোন কলাইয়ের গায়ে সবুজ খোসা থেকে যায় সেগুলো হাতে করে চাল বাছাই করার মতো বাছতে হয়। এক্ষেত্রে এই বাছায়ের কাজে ছোট বড় পাড়াপ্রতিবেশি সবাই অংশগ্রহণ করে এবং বেশ হৈ হৈ রৈ রব পড়ে যায়।
এরপর বাকি রইলো বড়ি তৈরির আরেক উপাদান চালকুমড়া। প্রথমে কুমড়োটাকে বঠি দিয়ে মাঝ বরাবর দু ফালি করে নেওয়া হয়্ তার পর বুকের নরম অংশ থেকে বীজগুলোকে আলাদা করে ঝিনুক দিয়ে কুরে নেওয়া হয়।
সব প্রক্রিয়া শেষে সন্ধ্যার একটু পরে বা মাঝরাত্তিরে ঢেকিতে কুটে পেস্ট করা হয়।তবে ইদানিং ডেকির স্বল্পতার কারনে অনেকে মিল থেকে কুটে আনে। তবে মিলে কোটা বড়ির স্বাদ ততটা ভালো হয় না।অনেক আগে আরেকটি প্রক্রিয়া দেখতাম শহর অঞ্চলে । শিল পাটায় বেটে বড়ি দেওয়া হতো।
যাহোক বড়ি কুটে সারারাত খোলা আকাশের নীচে শিশিরে রেখে দেওয়া হয়। খুব সকালে উঠে সেই কুটা বড়ি হাত দিয়ে দীর্ঘক্ষণ ফেনাতে হয়।
মিশ্রণ ঠিকভাবে হয়েছে কি না তা দেখার মহিলারা মাঝে মাঝে বড়ির আকৃতি করে পানির পাত্রে ছেড়ে দিলে তা যদি ডুবে যায় তবে আরও ফেনাতে (নাড়াচাড়া করতে) হয়, আংশিক ভাসলে বড়ি তৈরি উপযোগী হয়েছে বলে মনে করা হয়।
তারপর বাড়ির ছাদে বা উচু স্থানে সুতি মশারী, পরিষ্কারপাতলা কাপড় কিংবা প্লাস্টিকের জ্বাল দড়ির উপর ওই ফেনানো উপকরণটি হাতের সাহায্যে বড়ি আকৃতি করে সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয়।
এবং মাঝে মাঝে রোদে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে ৫/৬ দিন ভাল করে রোদে শুকাতে হয়।পরিষ্কার আবহাওয়া এবং তীব্র শীতে বড়ি বানালে সেই বড়ি স্বাদযুক্ত হয় বেশি।
মেঘলা ও ঘন কুয়াশা থাকলে বড়ি গন্ধ ও লাল হয়ে যায়। সে গুলি সহজে সিদ্ধ হয় না। খেতেও ভাল লাগে না। ভালোভাবে শুকিয়ে মুখ আটানো পাত্রে সংরক্ষণ করলে ১২ থেকে ১৪ মাস পর্যন্ত খাওয়া যায়।তবে গরম পড়ে গেলে বড়ি ততটা স্বাদ লাগে না।
বড়ির সাথে ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, বেগুণ, হাঁস, মুরগীর ডিম বেশ মজাদার খাবার।বেগুন দিয়ে বড়ি অথবা বড়ি আর আলুর ঝোল খুব সুস্বাদু খাবার।
©রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৯
ইসিয়াক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শুভকামনা জানবেন।
২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ঢাকায় এ আজব চিজের প্রাপ্তিস্থান হচ্ছে সিএমএম কোর্ট বাজার, কাপ্তান বাজার, ঠাটারি বাজার, মোহাম্মাদপুর টাউনহল বাজার, মোহাম্মাদপুর কৃষি বাজার, মিরপুর-১, মিরপুর-১১, টঙ্গি বাজার। এছাড়া আর কোথাও অরিজিনাল বড়িগুলো পাওয়া যায় বলে আমার সঠিক জানা নেই। আমার খুবই প্রিয়, শিং মাছ, আইড় মাছ, টেংরা মাছ দিয়ে খেলে দীর্ঘদিন মনে থাকবে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৫
ইসিয়াক বলেছেন: প্রিয় মাহমুদভাই মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
#বাজার থেকে কেনা ডালের বড়ি খুব একটা স্বাদ লাগে না।আমি যতবার কিনেছি ঠকেছি। টেংরা ও শিং মাছ দিয়ে বড়ি আলুর ঝোল এক কথায় অমৃত। আপনি কখনো শীতের সময় যশোহরে এলে, আপনাকে কুমড়োর বড়ির স্পেশাল তরকারি অবশ্যই খাওয়াবো।
শুভকামনা।
৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০২
ঢাবিয়ান বলেছেন: বড়ি যে এভাবে বানানো হয় জানতাম না। বেশ কষ্টসাধ্য একটি প্রক্রিয়া দেখা যাচ্ছে
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১২
ইসিয়াক বলেছেন: হ্যাঁ ভাইয়া বড়ি বানানো বেশ কষ্টসাধ্য কাজ । তবে বড়ি তৈরির পর খেতে খেতে সেই কষ্টের কথা আর মনে থাকে না এমনই তার স্বাদ।
৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৫
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মাছের ঝোলের সাথে বড়ি,কি মজাই না লাগে।পদ্মার এই পারের লোকেরা কোথায় পাবে এই বড়ি।
অনেক সময় দুষ্টমি করতে করতে বড়িতে হাত বা পা পড়ে কিছু বড়ি নষ্ট হয়ে গেলে বকা খেতে হত।
কোথায় হারালো সেই দিন গুলি।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২০
ইসিয়াক বলেছেন: আমি যখন বার্ষিক পরীক্ষার শেষে শীতকালে গ্রামে বেড়াতে যেতাম। তখন আমার দাদীজান প্রায় প্রতিবছরই দোতালার ছাদে বসিয়ে দিয়ে যেতেন যাতে পাখি বা অন্য কোন কিছুতে বড়ি নষ্ট করে না ফেলে আমি চৌকি দেওয়ার বদলে খেলায় মেতে উঠতাম তবে তেমন কোন অসুবিধা হতো না । একবার দেখি কি দুই বেড়াল ঝগড়া বাধিয়ে সেই কাঁচা বড়ির উপর গড়াগড়ি খাচ্ছে। কি যে বলবো! বিদঘুটে অবস্থা।
৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কোনদিন খাওয়া হয়নি নতুন জানলাম । এইটা কি ওদিকে হাট বাজারে বিক্রি হয়?
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৬
ইসিয়াক বলেছেন: হাট বাজারে যা পাওয়া যায় সেগুলো খুব একটা ভালো না। আমার মতে খাওয়ার অযোগ্য।
# তবে নিজেরা বাসায় তৈরি করলে তার স্বাদ অসাধারণ।বাজারেরগুলো ভেজাল থাকায় স্বাদ লাগে না।
ধন্যবাদ মহী ভাই।
৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
উপাদান বলছে, ইহা স্বাদের কিছু নয়।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৯
ইসিয়াক বলেছেন: উপাদান খুব সাধারণ,কলাই ডাল আর চালকুমড়ো কিন্তু পরিবেশনা কারণে খুব সাধারণ জিনিসও কখনো কখনো অসাধারণ হয়ে উঠতে পারে।
৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার আম্মা এক সময়ে বানাতেন। বছরে একবার বানাতেন, আমরা সারা বছর ধরে খেতাম। বেগুন আর ছোটমাছের সাথে অসাধারন। এটার মূল উৎপত্তিস্থল সম্ভবতঃ রাজশাহীর চাপাই নবাবগন্জে। আমি কি ঠিক বললাম? সঠিক ধারনা নাই।
প্রস্তুতপ্রণালী দিয়া লাভ নাই। আপনে বানায়ে আমাদেরকে খাওয়ান।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪০
ইসিয়াক বলেছেন: হ্যাঁ কুমড়োর বড়ি বছরে একবারই বানানো হয়।শীতের মধ্যে। আমার মা অবশ্য বানাতে পারতেন না তবে নানী বাড়ি গেলে শিলপাটায় বেটে বাড়ির তিনতলার ছাদে সব নানী ও খালাম্মারা মিলে বড়ি দেওয়ার আয়োজন চলতো মহাসমারহে। কারণ বছরে ওই সময়টাতে সবারই স্কুল বণ্ধ থাকাতে মামাতো খালাতো ভাইবোনদের বিশাল একটা গেটটুগেদার হতো।
# ঠিক আছে আরেকটু শীত পড়ুক আমি চাল কুমড়োর বড়ি বানিয়ে আপনাকে খাওয়াবো। প্রমিজ।
৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২১
কবীর হুমায়ূন বলেছেন: ডালের বড়ির কথা মনে হলেই আবৃ জাফর ওবায়দুল্লাহর 'মাগো, ওরা বলে' কবিতার কথা মনে পড়ে।
ডালের বড়ি শুকিয়ে রেখেছি।
খোকা, তুই কবে আসবি?
বড়ি তৈরির রেসিপি জানলাম।আমাদের এলাকায় অবশ্য এ খাদ্যটি হয় না। শুনেছি খুবই মজার। একদিন বাজার থেকে কিনে এনেছিলাম কিন্তু গৃহরানী অনভিজ্ঞতার কারনে পাক করেননি। এবার রন্ধনের কৌশলটি নিয়ে লিখুন। শুভ কামনা।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৪
ইসিয়াক বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=tx1UkTi5KTw
https://www.youtube.com/watch?v=dFVT-bH8RWI
https://www.youtube.com/watch?v=dFVT-bH8RWI
৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
চাঁদগাজী ভাই, চাঁটগাইয়া আতপ চালের ভাত দিয়ে এই চিজ একবার খেলে আপনি আপনার প্রিয় খাবারের তালিকায় যুক্ত করবেন বলে আমার ধারণা। আমার প্রিয় মাছের নাম বলছি আপনি মিলিয়ে নিন - লাক্ষা, সুরমা, ছুরি, তেইল্যা, কোরাল, রিঠা, পোয়া। কি মিলেছে তালিকা?
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৫
ইসিয়াক বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই উত্তর দিবেন নিশ্চয়।
ধন্যবাদ প্রিয় মাহমুদ ভাই। দোয়া রইলো।
১০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৮
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এই বড়ি আমার খুবই পছন্দের। কিভাবে বানায় ইউটিউব দেখে বানাতে হবে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬
ইসিয়াক বলেছেন: ইউ টিউব দেখে বানালে কেমন হবে জানিনা। তবে কলাই আর চালকুমড়োর মিশ্রণ যথাযথ না হলে বড়ির স্বাদ পরিপূর্নতা লাভ করবে না এটা নিশ্চিত।
শুভকামনা।
১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫০
ওমেরা বলেছেন: দুই একবার খেয়েছি নিজেদের বাসায় না অন্যদের বাসায় । ভালই লেগেছে ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮
ইসিয়াক বলেছেন: সব জায়গার বড়ির স্বাদ একরকম হয় না। তবে খেতে ভালো এটা অনস্বীকার্য।
ভালো থাকুন । শুভকামনা রইলো আপু।
১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: এই খাবারটা আমি জীবনেও খাই নাই।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯
ইসিয়াক বলেছেন: ঠিকানা ,টেলিফোন নাম্বার দেন,কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দেবো।
১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:২৭
জিকোব্লগ বলেছেন: মজাদার
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫
ইসিয়াক বলেছেন: জিকোব্লগ আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম।
পাঠে ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৪৭
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: আমার দাদী বানাতেন। খুব ছোট্ট বেলায় দেখেছিলাম। এখন কিনে খায় বাড়ির সবাই কিন্তু আমি খেতে পারিনা। তবে এবার শীত পড়তেই কেন জানি মনে হচ্ছিলো কুমড়ো বড়ি দিয়ে আইর মাছের ঝোল খেতে পারলে মন্দ হতোনা।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮
ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু্
# আমিও কেনা বড়িতে কোন স্বাদ পাই না। বড়ি দিয়ে মাছের ঝোল ,সত্যি সুস্বাদু।
১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:০৫
শাহ আজিজ বলেছেন: পৌষের শুরুতে বড়ি বানানোর আয়োজন শুরু হত । জাল দিয়ে ঢেকে রোদে শুকাতে দিত । লাউ পাতা , টেংরা মাছ দিয়ে অপূর্ব হত । বড় খালা , মা , বোন সবাই অনন্তে । মেয়েকে কাল রাতে বললাম কাউকে বল বড়ি আনতে । সে বলল অনলাইনে আছে । নস্টালজিয়া ঘিরে ধরে নগর জীবনে ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭
ইসিয়াক বলেছেন: শাহ আজিজ ভাইয়া আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম।
#পৌষের শুরুতে বড়ি বানালে সত্যি স্বাদ খুব ভালো হয়।
অনলাইনে কেনা বড়ির স্বাদ কেমন হয় জানি না। তবে আমি দু একবার বাজার থেকে বড়ি কিনেছি। জঘন্য লেগেছে খেতে।
ভালো থাকুন। শুভকামনা।
১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মেসে থাকাকালীন সময়ে মেসের খালা তার কুষ্টিয়ার গ্রামের বাড়ী থেকে বড়ি এনে তরকাড়ি রেধে খাওেয়াছেন।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০০
ইসিয়াক বলেছেন: কুমড়োর বড়ি খেয়ে কেমন লাগলো সেটা কিন্তু জানালেন না প্রিয় মাইদুল ভাই।
১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৪
জুন বলেছেন: বড়ি দেখেছিলাম প্রথম আমার ছোট মামার বাসায়। মামী মেহেরপুরের। আমাদের ঢাকার দিকে এর প্রচলন নেই বললেই চলে আর আমাদের জিভ এর স্বাদ নিতে অক্ষম
ইসিয়াক আপনার চাদের পাহাড় পোস্টে মন্তব্য করলাম তার উত্তর না দিয়ে নতুন পোস্ট
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৬
ইসিয়াক বলেছেন: আহা একি বললেন আপু , কুমড়োর বড়ি নিশ্চয় ভালো লেগেছিলো আপনার হয়তো মনে নেই। হ্যাঁ ঢাকাতে কুমড়োর বড়ির প্রচলন নেই। যেমন ওল, কচুর লতি এসব ঢাকার স্থায়ি বাসিন্দার এড়িয়ে চলেন।
# আপু গতকাল খুব ঘুম পেয়েছিলো প্রতিমন্তব্য করতে দেরি হয়ে গেলো। কিছু মনে করবেন না প্লিজ।
শুভকামনা।
১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
রাজীব নুর বলেছেন: এই খাবারটা আমি জীবনেও খাই নাই।
আমারও তাই।
তবে এই খাবারটি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বাজারে ছাড়া দরকার। তবে ভেজাল যেন না থাকে সেই ব্যবস্থাও থাকা দরকার।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১২
ইসিয়াক বলেছেন: ঠিক আছে ভাইয়া আপনি দেশে আসুন। দেশে এলে অবশ্যই আপনাকে কুমড়োর বড়ি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবো।
# খোলা বাজারে কুমড়োর বড়ি পাওয়া যায়।তবে তা খেতে বিস্বাদ।
শুভকামনা।
১৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অতি পছন্দের একটি বস্তু। কত বছর খাওয়া হয় না!!
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৭
ইসিয়াক বলেছেন: চালকুমড়োর বড়ি আর টেংরা মাছের ঝোল খাওয়ার নেমতন্ন রইলো।
শুভকামনা।
২০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: বীজ আলাদা করার পর থেকে প্রসেসিং টা আর বুঝি নি। পেস্ট কি মিষ্টি কুমড়া কে করা হয়? এটা কোনদিন দেখিনি, খাই ও নাই। শুধু কবিতায় পড়েছি, আমি আরো ভাবছি কবিরা তো অনেক কিছু লিখে সেরকম কিছু হবে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩
ইসিয়াক বলেছেন: চালকুমড়ো থেকে বীজ আলাদা করে আঁচড়ে আঁচড়ে ঝিনুক দিয়ে কুরে নিতে হবে।তারপর পাতলা সুতি কাপড়ে চিপে রস নিংড়ে নিতে হবে আঁচড়ানো চালকুমড়ার। এবার ঢেঁকি বা শিলপাটায় বেটে চালকুমড়াম ও কলাইয়ের মিশ্রণটি মাখিয়ে নিয়ে আবার ঢেকিতে পাড়িয়ে নিতে হবে অর্থাৎ কুটতে হবে। আর শিলপাটায় হলে আবার বাটতে হবে। এবার ভালো ভাবে মেশানো মিশ্রণটিকে সারারাত শিশিরে রেখে দিয়ে খুব সকালে ভালো করে ফেনিয়ে[হাত দিয়ে জোরে জোরে ফাটিয়ে নিতে হবে] নিয়ে পানিতে ফেলে দেখতে হবে মিশ্রণটি ডুবে যাচ্চে নাকি ভেসে উঠছে। যদি ভেসে ওঠে তখন বুঝতে হবে বড়ি বসানোর উপয়োগী হয়েছে। হাতের মুঠোর/মুষ্টির মাধ্যমে বড়ি সাজাতে হবে।পোস্ট এর প্রথমে দেয়া ছবিটি খেয়াল করে দেখুন বুঝতে পারবেন।
শুভকামনা।
২১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪
ফয়সাল রকি বলেছেন: ছোটবেলায় মা-চাচীদের বানাতে দেখেছি, খেয়েছি।
আজ আপনার পোষ্ট দেখে অনেকদিন পর স্বাদটা মনে করার চেষ্টা করলাম।
খুব একটা মনে পড়লো না।
#শুধু ভূয়া মফিজ ভাইকে খাওয়ালে হবে না, আমাদেরও একটু মনে কইরেন।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪০
ইসিয়াক বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনাকে আমার পোস্টে পেয়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। আশা করি ভালো আছেন।
# অবশ্যই আপনাকে কুমড়োর বড়ি খাওয়াবো। দাওয়াত রইলো।
শুভকামনা জানবেন।
২২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭
জিকোব্লগ বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান অর্থাৎ আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪
ইসিয়াক বলেছেন: ভালো থাকুন ভাইয়া।
শুভকামনা।
২৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আমার কাছে মুটোমুটি ভাল লেগেছে। আহামরি তেমন কিছু নয়। হয়তো নিয়মিত খেলে বা সুযোগ হলে ভাললাগায় পর্যবেশিত হতো।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৬
ইসিয়াক বলেছেন: তবে কলাই ও চালকুমড়ো সঠিক পরিমাপে মিশ্রণ , ফাটানো[মেশানো] এবং রান্নার গুণে স্বাদে হের ফের হয়।
শুভকামনা।
২৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখক বলেছেন: চালকুমড়োর বড়ি আর টেংরা মাছের ঝোল খাওয়ার নেমতন্ন রইলো।
শুভকামনা।
শুকরিয়া।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩
ইসিয়াক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
কথার কথা না, সত্যি সত্যি নেমতন্ন রইলো ।
ভালো থাকুন।
২৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ঠিকনা দেন
সত্যি সত্যি হাজির হয়েও যেতে পারি।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২২
ইসিয়াক বলেছেন: হা হা হা ..।অবশ্যই আসবেন। ঠিকানা দেবো নিশ্চয়।
২৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০
তারেক ফাহিম বলেছেন: বড়ি নাম শুনতেই ভাবলাম কোন কবিরাজের দাওয়াই কিনা!
শেষে দেখলাম...... ।
কখনো খাওয়া হয়নি।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৪
ইসিয়াক বলেছেন: খেয়ে দেখবেন ভাইয়া। আশা করি নিরাশ হবেন না।
শুভরাত্রি
২৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শীতকালে ফুলকপির সঙ্গে ট্যাংরা কিম্বা পার্সে মাছের ঝালে নুতন কলাই ও চাল কুমড়ার বড়ির স্বাদই আলাদা। তবে বড়ি দেওয়ার দিন যদি আকাশে মেঘ থাকে তাহলে ভয়ংকার দুরবস্থা হয়। সেই লটের বড়ি ঠিকমতো না শুকানোর কারণে দুর্গন্ধ হয়ে যায়। ডাল ভেজানোর সময় এটা নিয়ে মায়েদের একটা দুশ্চিন্তা থাকে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৯
ইসিয়াক বলেছেন: ওরে ওরে ওরে এযে অনেক অভিজ্ঞতা
দেখা হলে কিন্তু কুমড়োর বড়ির তরকারি খাওয়াতে হবে, এই বলে দিলুম। বেশি করে লঙ্কা দিয়ে ।
২৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫
আমিন রবিন বলেছেন: একটু অবাক লাগছে। জন্মের পর থেকেই বড়ি বানানো দেখে এসেছি এবং এখনও নিয়মিত খাই। তাই কখনও মনে আসেনি যে, এটা একটা আঞ্চলিক খাবার। আপনার পোস্টে অনেকের মন্তব্য দেখে প্রথম জানতে পারলাম, এটা বাংলাদেশের সব জায়গার প্রচলিত খাবার নয়!
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪২
ইসিয়াক বলেছেন: আমিন রবিন আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইলো।
২৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১
করুণাধারা বলেছেন: আজকাল ঢাকার মানুষও বড়ি খাওয়া শিখে গেছে, মুদি দোকানে পর্যন্ত বড়ি পাওয়া যায়। আমি বিয়ের পর প্রথম লাউ দিয়ে বড়ির তরকারি খেয়েছি, তেমন বিশেষ স্বাদ পাইনি। তবে আপনার পোস্ট পড়ে বড়ি নিয়ে অনেক কিছু জানা হলো।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫২
ইসিয়াক বলেছেন: আন্তরিক মন্তব্যে ভালো লাগা জানবেন আপু। বানিজ্যিকভাবে বানানো বড়িতে তেমন একটা স্বাদ পাওয়া যায় না। বেশির ভাগ সময় ভেজাল উপকরণ দিয়ে এসব বড়ি তৈরি হয়। আমিও দুয়েকবার কিনে ঠকেছি। খেতে বিস্বাদ লাগে।
শুভকামনা।
৩০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঠিকানা ,টেলিফোন নাম্বার দেন,কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দেবো।
না, আমি আপনার বাসায় এসেই খেয়ে যাবো।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৮
ইসিয়াক বলেছেন: ওকে
৩১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি যে প্রক্রিয়ায় বড়ি বানানোর কথা লিখেছেন, সেটা সম্ভতঃ বহত্তর খুলনা, কুষ্টিয়া অঞ্চলে প্রচলিত। আবার রাজশাহী, চাপাই অঞ্চলেও একটু অন্য রকমের কায়দায় বড়ি বানানো হয়। মা/বোন/গিন্নী কর্তৃক আমার নিজের বাসায় রন্ধনকৃত এ বস্তুটিকে কখনোই তেমন মুখরোচক মনে হয়নি, সম্ভবতঃ সঠিক রন্ধন কৌশল অনুসরণ না করার কারণে। তবে কোন এক আত্মীয়ের বাসায় এটা খেয়ে খুব তৃপ্তি পেয়েছিলাম, এ কথা বেশ মনে পড়ে।
উপরে লেখা একটা মন্তব্য পড়ে খুব হাসি পেলঃ
"এটা কোনদিন দেখিনি, খাই ও নাই। শুধু কবিতায় পড়েছি, আমি আরো ভাবছি কবিরা তো অনেক কিছু লিখে সেরকম কিছু হবে!
(আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর 'মাগো, ওরা বলে' কবিতায় আছেঃ
"ডালের বড়ি শুকিয়ে রেখেছি।
খোকা, তুই কবে আসবি?")
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪১
রামিসা রোজা বলেছেন:
আমার খুব প্রিয় একটি খাবার । আসলেই এর স্বাদ
অতুলনীয় । ধন্যবাদ আপনাকে ঐতিহ্যবাহি একটি খাবার
তুলে ধরার জন্য ।