নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হতাশাগ্রস্ত মানুষের কদর্যতাই একমাত্র অস্ত্র।

ইসিয়াক

যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।

ইসিয়াক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছবি ব্লগঃ কিছু ছবি কিছু স্মৃতি( ২)

২৩ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:৩৪

আবারও চলে এলাম ছবি ব্লগ নিয়ে, আগেও বলেছি এখনও বলছি আমার তোলা ছবি আমার নিজেরই পছন্দ হয় না। আপনাদের কেমন লাগবে কে জানে?
সাহস নিয়ে গতকাল কিছু ছবি তুলেছি আপনাদের জন্য।
নতুন তোলা ছবিগুলো সহ আমার দাদাজানের কিছু স্মৃতি চিহ্ণর ছবিও পোস্ট দিলাম।
আমার দাদাজানকে আমি কোনদিন দেখিনি। আমার আব্বার বয়স যখন দেড় বছর তখন আমার দাদাজান কলকাতায় ইন্তেকাল করেন। সেই হিসাবে আমার আব্বাও আমার দাদাজানকে দেখেননি।
যুদ্ধের সময় অনেক স্মৃতিই হারিয়ে গেছে পাকিস্তানি সেনাদের বর্বরতায়, শত্রুসেনারা চলে যাবার পরে কিছু জিনিস আমার দাদীজান বিধ্বস্ত দালান ঘেটে উদ্বার করেছিলেন।সেখান থেকে কিছু স্মৃতি চিহ্নর ছবি দিয়েছি। একটু বলি , আপমার দাদাজান তিনি বেশির ভাগ সময় ব্যবসায়িক সূত্রে কলকাতায় বাস করতেন। মাঝে মাঝে যশোরে আসতেন উনাদের জ্ঞতিদারি তদারকিতে।.........

আজ থাক অনেক বকবক করছি ,আসুন তবে মূল পোস্টে যাই।



ব্যস্ততা

পৃথিবীতে মানুষই কি কেবল ব্যস্ত থাকে? মনে হয় না। সকল প্রাণিই যে যার মত ব্যস্ত।এই ছবিটির শিরোনাম তাই "ব্যস্ততা" দেওয়া হলো।





জীবন যুদ্ধ
আজ থেকে আমাদের শহরে সর্বাত্মক লকডাউন। এই খবর এই ধরনের দিন এনে দিন খাওয়া শ্রম জীবি মানুষের জন্য ভয়ানক দুঃসংবাদ। সাহায্য করবার তেমন কেউ নেই। আর কে ই বা কাকে সাহায্য করবে? সরকারের কাছেও কেউ কিছু আর আশা করে না। অথচ নিত্য চাহিদার জন্য চাই টাকা। কে দেবে ভরসা?


মন খুশি

এটা কোন নদী নয়। শহরের মধ্যে ছোট্ট পুকুর। স্থান বেজপাড়া,নলডাঙ্গা পুকুর। সেখানে মনের খুশিতে ডিঙি নৌকা ভাসিয়েছে এক যুবক।





"প্রাচীন হস্তাক্ষর"

আমার দাদাজানের নিজের ডায়েরীতে তাঁর নিজের হাতের লেখা।









"দৃষ্টি সহায়ক কাচ"

দাদাজানের চশমা।



সিলমোহর

দাদাজানের চারভায়ের সীলমোহর।








প্রাচীন কলম




হিসাবনিকাশ
হিসাব মেলাতে ব্যস্ত মানুষ।





দাদাজানের স্মৃতি

আমার দাদাজানের স্মৃতি। এইটার নাম কি বলুন তো? এটি সম্পূর্ণ পিতলের তৈরি। ছবিতে যত বড় দেখাচ্ছে এটি তত বড় নয় । চারশো গ্রাম ওজন মাত্র।
ক্লু দিচ্ছি, ধুতির সাথে ব্যবহার হতো।





প্রচীন নথি।





"ভালোবাসা"
ছোট্ট বান্ধবী মধুরিমার স্মৃতি। যে মাত্র নয় বছর বয়সে অজানা রোগে মারা গিয়েছিল।
খেলতে খেলতে একদিন আমাকে উপহার স্বরূপ দিয়েছিল এই রত্নগুলো। কতদিন হয়ে গেল, কত কিছু হারিয়ে গেল। শুধু এই স্মৃতিগুলো রয়ে গেল।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:০৩

হাবিব বলেছেন: বাহ, দারুণ একখান ছবি ব্লগ। প্রাচীন ছবির সমাহার। এ যেন ছবির জাদুঘর

২৩ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৫১

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক অনেক অনুপ্রাণিত হলাম। প্রিয় হাবিব স্যার।


কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২| ২৩ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:১৬

সামিয়া বলেছেন: সুন্দর

২৩ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৫২

ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

শুভকামনা রইলো।

৩| ২৩ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৩৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো স্মৃতিগুলো
আল্লাহ দাদাজানকে জান্নাত নসীব করুন

২৩ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৫৩

ইসিয়াক বলেছেন:


আমিন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
শুভকামনা রইলো।

৪| ২৩ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৩৭

জুন বলেছেন: আপনি সৌভাগ্যবান ইসিয়াক, আপনার দাদাজানের স্মৃতিগুলো দুর্লভ কিছু জিনিস ।
অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো ছবিতে ।
+

২৩ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:০০

ইসিয়াক বলেছেন:

যুদ্ধ পরবর্তী সময়েও যা কিছু ছিল তাও খোয়া গেছে নানা ভাবে। তবে এরকম আরো অনেক দূর্লভ কিছু স্মৃতি এখনো আছে । ছবিগুলো ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো্ । শুভ কামনা রইলো আপু। ভালো থাকুন সবসময়।

৫| ২৩ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৫২

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



সোনারগাঁও জাদুঘর!!

ইসিয়াক ভাই চমৎকার সব ছবি।

আরো এক পর্ব আশা করছি।

২৩ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:০৪

ইসিয়াক বলেছেন: মন্তব্যে ভালো লাগা জানবেন প্রিয় শাহীন ভাই।

চেষ্টা করবো আরো এক পর্ব দিতে। তবে এর জন্য গ্রামের বাড়ি যেতে হবে। এদিকে আমাদের এলাকায় সর্বাত্নক লকডাউন চলছে। চারদিকে খুব কড়াকড়ি। যে দিকে তাকা্ই মৃত্যুর মিছিল। যাহোক যদি গ্রামের বাড়ি যেতে পারি তাহলে পুরানো কিছু স্মৃতি শেয়ার করবো।
ধন্যবাদ
কৃতজ্ঞতা রইলো।

৬| ২৩ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




পিতলের বলটি কি কাজে ব্যবহৃত হতো এটি কি সঠিক চিনতে পারছি না। ধারণা করছি কিন্তু ওজনে মিলছে না। ওজন চারশত গ্রাম! অনেক ওজন! জানাবেন অবশ্যই।

আপনার দাদাজানের স্মৃতি দেখে খুব ভালো লাগছে। স্মৃতির অনেক মূল্য। আমার কাছে প্রায় ৩৫০-৪০০ বছর পুরাতন পূর্ব পুরুষের ব্যবহৃত কিছু দ্রব্য আছে। যার বাজার মূল্য ভয়াবহ ধরনের।

স্মৃতি সবাই সংরক্ষণ করতে পারেন না। প্রকৃতি এই অধিকার সবাইকে দেন না।

২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৩৬

ইসিয়াক বলেছেন:

প্রিয় মাহমুদ ভাই,


পিতলে বলটি ধুতির অগ্রভাগে বেঁধে পাঞ্জাবীর পকেটে রাখা হতো। যেন ধতির অগ্রভাগ ধুলা আশ্রিত না হয়। এই বলে নামটা জানতাম কিন্তু এখন কিছুতেই মনে করতে পারছি না। দাদীজান বেঁচে থাকলে জেনে নেওয়া যেত। বলটির ওজন আনুমানিক , হয়তো কিছু কম হবে।

আপনার স্মৃতিগুলি ছবি আকারে দেখার ইচ্ছা রইলো।

শুভেচ্ছা সহ শুভকামনা রইলো।

৭| ২৩ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৫২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনার দাদাজানের প্রতি আপনার ভালোবাসা দেখে পোস্টটি প্রিয়তে রাখছি ইসিয়াক ভাই। দুর্লভ সংগ্রহশালা দেখে সত্যি সত্যি মুগ্ধ।

২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৪০

ইসিয়াক বলেছেন:


অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো প্রিয় মাহমুদ ভাই।
শুভকামনা রইলো।

৮| ২৩ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: তিন নম্বরটা উত্তম !!

২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৪২

ইসিয়াক বলেছেন:



প্রিয় ব্লগার আপনি গুণীজন,
আমার কাঁচা হাতে তোলা ছবিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে সত্যি অনুপ্রাণিত হলাম।

শুভেচ্ছা সহ শুভকামনা রইলো।

৯| ২৩ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ছবির মোরগটা কি এখনও জীবিত আছে? মধুরিমার দেয়া ওগুলো কি?

মিউজিয়াম টাইপের পোষ্ট চমৎকার হইছে। এইসব স্মৃতি খুবই মুল্যবান, এগুলোকে যত্ন কইরা রাইখেন। আর কোন পুরস্কার যদি পান, তাইলে অর্ধেক আমারে দিয়েন। :P

২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৪৭

ইসিয়াক বলেছেন: # ছবির মোরগটি এখনও বহাল তবিয়তে টিকে আছে এবং দারুণ রোমাঞ্চ করে বেড়াচ্ছে। তবে বাঘ বাবাজির নজরে পড়েছে বলে কিঞ্চিত চিন্তিত।

# মধুরিমার দেয়া এগুলো যে কি তা আমি নিজেও জানিনা। ওদের গ্রামের বাড়ি ছিল মুন্সিগঞ্জ ওখান থেকে এনেছিল সম্ভবত। এগুলো দিয়ে মালা গাঁথা যায়।

# আর পুরষ্কার যদি পাই তো অর্ধেক না পুরাটাই আপনাকে দেবো। আপনেরে আমি ভালা পাই ;)

১০| ২৩ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৩৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: যে সুন্দর মোরগ, উহা কি এখনো পৃথিবীর বাতাস গ্রহণ করে ?

প্রাচীন অনেক কিছু দেখা হলো। আশাকরি পরবর্তীতে প্রতিটি আইটেমের উপর আলাদা লেখা দিবেন।

প্রতিযোগিতায় শুভকামনা রইল।

২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৫১

ইসিয়াক বলেছেন: সবাই দেখি মোরগের ছবিটাকে পছন্দ করছে। হ্যাঁ সুধীজন আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে উনি এখনও পৃথিবীর আলো বাতাসে মুক্ত স্বাধীনভাবে ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন। হা হা হা


প্রতিটি আইটেমের সাথে বিস্তারিত লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু ব্যক্তিগত ব্যস্ততা বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছে।


শুভকামনা রইলো।

১১| ২৪ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




গ্রামীণ পটভূমিতে দুর্দান্ত সব ছবি। আমার সবগুলো ছবিই পছন্দ হয়েছে। শুভ কামনা রইলো ইসিয়াক ভাই।

২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৫৯

ইসিয়াক বলেছেন:


অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় ব্লগার ।

শুভকামনা রইলো ।

১২| ২৪ শে জুন, ২০২১ রাত ১:০৮

কল্পদ্রুম বলেছেন: ব্যতিক্রমী ছবি ব্লগ ভালো লাগলো। ধূতির সাথে ব্যবহৃত পিতলের বলের নাম জানার আগ্রহ হচ্ছে। লক ডাউনে দিন মজুরদের নিয়ে কোন পরিকল্পনা থাকা উচিত ছিলো।

২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:০১

ইসিয়াক বলেছেন:
শুভেচ্ছা সহ শুভকামনা রইলো প্রিয় ব্লগার। ধুতির সাথে ব্যবহৃত বলটির নাম আপাতত মনে করতে পারছি না এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।

ভালো থাকুন সবসময়।

১৩| ২৪ শে জুন, ২০২১ রাত ২:৫৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: পুরোন দিনের ছবিগুল ভাল লাগল।
ডায়রীটা কত সালে লেখা হয়েছে? বাংলা ১৩৪৭?

২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:০৬

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাইয়া।
হ্যাঁ ডায়েরীর পাতাটি ১৩৪৭ সালে লেখা।
শুভকামনা।

১৪| ২৪ শে জুন, ২০২১ রাত ৩:১৭

সোহানী বলেছেন: স্মৃতিচারন ছবি ব্লগে ভালোলাগা। মাধুরিমা আর দাদাজানের কাছ থেকে সংগ্রহে ভালোলাগা।

২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:০৭

ইসিয়াক বলেছেন: পাঠে মন্তব্যে ও লাইকে কৃতজ্ঞতা রইলো আপু।

শুভকামনা সতত।

১৫| ২৪ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৪০

ইসিয়াক বলেছেন:



ব্যক্তিগত ব্যস্ততার জন্য প্রতি মন্তব্যে আসতে একটু দেরি হচ্ছে ,আশা করি সবাই বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো।
শুভকামনা।

১৬| ২৪ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: ছবিগুলো ভালো, শিরোনামগুলো একেবারে উপযুক্ত হয়েছে।

শুভকামনা রইল।

২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:১২

ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। আপনাকে আবার ব্লগে দেখে স্বস্তি পেলাম।
শুভকামনা রইলো।

১৭| ২৪ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসিয়াক,




দুর্লভ কিছু ছবি। নষ্টালজিক। একসময় আমিও ঐ কলমে লেখেছি সুলেখা কালির দোয়াতে চুবিয়ে চুবিয়ে।
ব্যস্ততা ছবিটাও দারুন ।

২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:১৫

ইসিয়াক বলেছেন:



মন্তব্যে মুগ্ধতা জানবেন প্রিয় ব্লগার।
আমার কাছে দাদাজানের এরকম আরও অনেক স্মৃতি চিহ্ন আছে। সামনে কোন এক সময় আপনাদের সাথে শেয়ার করবার আশা রাখি।


দোয়া রইলো।

১৮| ২৬ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:১৬

অপু তানভীর বলেছেন: মনখুশি ছবিটার সাথে আমার ছোট বেলার একটা স্মৃতি মনে পড়ে গেল । আমাদের বাড়ির সামনে প্রধান সড়ক । তার ওপাড়ে পুকুর । আমরা বলি ছাগলা । এখানেই ঠিক একই রকম ছোট ভিঙ্গি নিয়ে একই পোশাকে দেখতাম মানুষজন মাছ ধরতো ঘন্টার পর ঘন্টা !
চমৎকার ছবি ব্লগ !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.