নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।
গল্পঃআমার একলা আকাশ
======================
(২)
যে বয়সে একজন শিশুর অকারণে ছোটাছুটি করে খেলা করার কথা।হঠাৎ বাঁধ ভাঙা হাসিতে খিলখিল করে হেসে উঠবার কথা অথবা হুট করে কারো বাগান থেকে ফুল ছিড়ে দে দৌড় দে দৌড় খেলায় অন্য রকম আনন্দ পাবার কথা ।সেই বয়সে সেই শিশুটি যখন কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হয়ে জীবিকার নির্মম তাগিদে দুমুঠো ভাতের জন্য সারাদিন কায়িক শ্রমে বাধ্য হয় তখন সেই জীবন তার জন্য খুবই বেদনার কষ্টের এবং অপমানের ও বটে ।
নিঃস্ব পতিত মানুষকে সমাজের কেউ স্বাগত জানায় না ,সে শিশু হোক বা বয়স্ক । সাময়িক আহা উহু সমবেদনা হয়তো দেখায়।কিন্তু তাদের সবটাই মেকী সবটাই ভান।
এগুলো হলো গল্প খোঁজা ,পরচর্চ্চা করার জন্য কিছু রসদ সংগ্রহ করার ছল ,গল্প ছলে সেই সব কথাই নির্মম বাক্য বানে আর্ত পীড়িতকে ফিরিয়ে দিয়ে তারা অসীম আনন্দ লাভ করে।
তাকে আহত করা তাকে প্রচ্ছন্ন খোঁচার ঠেস দেওয়া হয় সুযোগ বুঝে, অতি সুক্ষভাবে সুকৌশলে ।তার ভিতরে দুঃখের গভীরতা, খুব কম মানুষেরই মনের অতল স্পর্শ করে । এটাই বাস্তব এটাই চির সত্য ।
কখনো কখনো মনে হয় জীবনটা এমন কেন ? এ জীবনের স্বার্থকতা কি ? এ জীবনে পাওয়া না পাওয়া লাভ ক্ষতি কি ?এ জীবনে শুরু কি আর শেষ ই বা কি ? ...............
আমি যখন খুব ছোট। একেবারে ই ছোট। তখন আমাদের দিনগুলো খুব সুন্দর ছিল। আমি বাবা আর মা।আমরা তিনজন। আমাদের দেখে যে কেউ হিংসা করতো। অনেককে বলতে শুনতাম তোমরা খুব সুখী সেটা বোঝা যায় , একদম পারফেক্ট। কোনদিন কোন অভাব ছিল না আমাদের সংসারে।অশান্তি বা ঝগড়া হতে দেখি নি কখনও।
নানান লোকজনের আসা যাওয়া থাকা খাওয়া, আত্নীয় স্বজনের নিত্য সাহায্যের আবেদন নিবেদন সব আব্দারই সাদরে গৃহীত হতো আমাদের বাড়িতে।সেই সূত্রে অনেকের রাত্রিবাস হতো আমাদের বাড়িতে।
একসময় আপাতদৃষ্টিতে চমৎকার সাজানো সংসারে কি জানি কি কারণে নানা জটিলতা তৈরি হলো অদ্ভুত কিছু ঘটনার পরম্পরায়।
ঠিক জানা নেই সবটা তবে এটুকু মনে আছে একদিন আমার মা আমাকে আর বাবাকে ফেলে আমার বাবার আপন চাচাতো ভাইয়ের হাত ধরে কোথায় যেন চলে গেলেন একেবারে ই হুট করে। না ঝগড়া না কোন অশান্তি না মারামারি।
মা নেই যখন জানাজানি হলো ।বাবা অপমানে মুখ কালো করে ঘরবন্দী হয়ে পায়চারি করতে লাগলেন,খাওয়া দাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেল তার, সারাদিন ঘরের মধ্যে পায়চারী করাই তার অন্যতম প্রধান কাজ হয়ে দাড়ালো।প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতেন না তখন তিনি ।তারপরও উপযাচক হয়ে বাড়ি বয়ে আসা নানা জনের নানা টিকা টিপ্পনী সহ্য করেও আর বিয়ে করবেন না বলে পণ করলেন। কিন্তু সমাজ বলে একটা কথা আছে। সেই সমাজের চাপে শেষ পর্যন্ত নিজের পৌরুষত্বের প্রমাণ দিতে নতুন করে বিয়ের পিড়িতে বসলেন নানা অযাচিত কথার উৎস মুখ বন্ধ করতে।
আমি হঠাৎ করে নতুন একটি মা পেলাম। কিন্তু তাকে আমি মা বলে ডাকতে অপারগতা প্রকাশ করলাম।দিন যেতে লাগলো বিয়ে করার পর বাবা দ্রুত বদলে যেতে লাগলেন। আমার জীবন অতি অল্প সময়ের মধ্যেই বিষাক্ত হয়ে উঠলো নানা কারণে। আমি যেন সবার জন্য বোঝা হয়ে গেলাম।
নতুন মায়ের সুক্ষ্ম অত্যাচার আর বাবার অবহেলায় এক বুক অভিমান নিয়ে আমি কিছুদিন পর বাড়ি ছেড়ে পালালাম। কোন সময় খেয়ে কোন সময় না খেয়ে পথ ঘাট ঘুরে হোটেলের মেসিয়ার হয়ে জীবন কাটাতে লাগলাম।জীবনের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে যখন আমি নিজের বাসায় আবার ফিরতে চাইলাম ততদিনে আমার ঠিকানা বদলে গেছে হঠাৎ ই। কেউ জানে না আমার বাবারা কোথায় গেছে । পরিবার হারিয়ে আমি নানা পথ ঘুরে অবশেষে আশ্রয় পেলাম গায়ক রশিদলালের কাছে।ওস্তাদ রশিদ লালের সাথে আমার পরিচয়ের সূত্র টা বেশ নাটকীয়। একদিন সকালে ভবদহের পাড়ের বুড়ি বটগাছের নীচে আসর বসিয়েছে ওস্তাদ রশিদ লাল। জমাটি আসরে তিনি গান গাইছেন মাঝে মাঝে তাকে সংগত দিচ্ছে তার কিশোরী মেয়ে। আমি গান শুনে এতটাই বিভোর হলাম যে আমিও কন্ঠ মিলালাম তাদের সাথে।যেহেতু আমি আগেই গান শিখতাম মা থাকাকালীন সময়ে আর তাই আমার তাল লয় সুর জ্ঞান ভালোই ছিল।ওস্তাদ রশিদ লাল আমার কন্ঠের গান শুনে চমৎকারকৃত হলেন।সব শুনে তিনি আমাকে উনার আশ্রয়ে নিলেন। ওস্তাদ রশিদ লাল নিজেও গুনী শিল্পী, উনার মেয়ে বীনাও চমৎকার গান গায়।সে একবার শুনে যে কোন গান নিজের গলায় তুলতে পারে অনায়াসে।আমি তার প্রতিভায় মুগ্ধ হই, সে একাধারে ভালো শ্রোতা ও প্রশিক্ষক। অল্প বয়স হলেও গান সম্পর্কে তার প্রজ্ঞা অসাধারণ ।সময় চলে যায় দিনগুলো ভালো কাটতে লাগলো আমাদের ।আমরা বিভিন্ন আসরে গান গেয়ে বেড়াতে লাগলাম একই সাথে আমার প্রশিক্ষণ পর্বও চলল ওস্তাদ আর বীনা আমাকে ধরে ধরে গান শেখাতে লাগলেন। নিয়মিত রেওয়াজ, তাল ধরা ছাড়া।রাগ রাগিণী ব্যবহার।ঠাট পরিচিতি। কন্ঠকে সুললিত করার উপায় সহ আরও কত কি।
বিশেষ করে শীতের সীজনে আমাদের দম ফেলবার অবসরটুকু মিলতো না।কিন্তু অভাগা যেদিকে যায়,সাগর শুকায়ে যায় বলে একটা কথা আছে।হঠাৎ করে ঘুমের ঘোরে একদিন ওস্তাদ রশিদ লাল মারা গেলেন।বীনা ও তার মা হতভম্ব হয়ে গেলো ঘটনার আকষ্মিকতায়।আমিও হতবাক! জলজ্যান্ত একটা মানুষ কিভাবে নেই হয়ে যায়।
সবচেয়ে বেশি আহত হলাম পারিপার্শ্বিক লোকজনের ব্যবহার আর কথায়। ওস্তাদের মৃত্যুর পর তার লাশ দাফন নিয়ে অকারণ জটিলতা তৈরি হলো।শেষ পর্যন্ত গাঙের পানিতে লাশ ভাসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলো কোন উপায় না দেখে।একটু মাটি জোগাড় করবার ক্ষমতা আমাদের ছিল না।কারণ গান বাজনা ইসলাম ধর্মে হারাম।রশিদ লাল যেহেতু কোনদিন সেজদা দেয় নি কলেমা পড়ে নি। গান বাজনা করে বেড়াতো সেহেতু তার মধ্যে মুসলমানিত্বের কোন চিহ্ন নেই তাই তার লাশ ইসলামী শরিয়া মোতাবেক দাফন সম্ভব নয় ।তার জানাজাও হলো না।এক প্রকার বাধ্য হয়ে রাতের আঁধারে ভাসিয়ে দিলাম ওস্তাদের লাশ ভেলায় করে।
এ ব্যপারে আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকেও থামিয়ে দেওয়া হলো।ভীষণ রাগ হলো আমার।না পেরে জোর গলায় শুনিয়ে শুনিয়ে বললাম আমাদের তো কোন ধর্ম নেই জাত নেই আমাদের দেখলে পাপ হয়। আমাদের গান শুনলে পাপ হয় না আপনাদের ? কেউ উত্তর দেয় না। আসলে কোন উত্তর তাদের কাছে নেই যে।
এরপর আমাদের জীবনে আরেক জটিল অধ্যায়ের সূচনা হলো।ওস্তাদ রশিদলালের কিশোরী মেয়েটির নাম বীণা আমার আর বীণার একসাথে থাকা নিয়ে নানা কথা উঠতে লাগলো। যদিও বীনার মা বর্তমান এবং তিনি আমাদের সাথেই থাকতেন তবুও নানা কথা। বাজে আলাপ বন্ধ করার জন্য আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলাম।
আসলে আমরা একে অন্যের উপর ভরসা করতাম ভালোও বাসতাম হয়তো ।
আমাদের তখন বেশ নাম ফুটেছে।নসীমন গান গেয়ে বেড়াই এখানে ওখানে রাত বিরেতেও। শিল্পীদের জীবন ই যে এমন।হোক সে ছোটখাট শিল্পী। সৃজনশীল কাজের জন্য আমাদের এই পথচলা।মানুষকে আনন্দ দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য। বিনিময়ে হাত তালি দুটো মিষ্টি কথা আমাদের জন্য স্বর্গীয় সুখ। এর বেশি কিছু না।
একদিন আমরা গান গাইতে গেছি দি সুপার অপেরার সাথে কমলগঞ্জে। তিন দিনের কন্টাক্ট। কন্টাক্ট বলতে আবার বিরাট কিছু ভেবে বসার কিছু নেই ।নামেই কনটাক্ট ওই তিনদিন থাকা খাওয়ার নিশ্চয়তা আর কাজ শেষে শ পাঁচেক করে টাকা। সেই অনুষ্ঠানের তৃতীয় দিন রাতের গান তখন হয়ে গেছে।আগামীকাল সকালে আমাদের ফিরতে হবে তার প্রস্তুতি তখন চলছে।বীনা পোষাক বদলাচ্ছিলো সেই অবস্থায় বীনাকে সশস্ত্র কিছু লোক তুলে নিয়ে গেল আমার চোখের সামনে থেকে।আমি প্রবল বেগে বাধা দিলাম।কিন্তু ঠেকাতে পারলাম না।আসলে কিছু করারও ছিল না।এজন্য এখনও আমি অনুশোচনায় ভুগি। আমার অক্ষমতা এখনও আমাকে কুরে কুরে খায় প্রতিনিয়ত।
বীনার চিৎকারগুলো ভীষণভাবে আমায় বিদীর্ণ করে আজও। আমি তৎক্ষনাৎ এ নিয়ে সভাপতির সাথে তর্কে লিপ্ত হলাম।তীব্র প্রতিবাদ জানালাম। সকাল হলে থানায় যাবার হুমকি দিলাম।বারবার বীনাকে ছেড়ে দিতে বললাম ।হঠাৎ করে কিছু লোক আমাকে জাপটে ধরে মাটিতে ফেলে বেধে ফেলল তারপর খেজুরের কাটা ফুটিয়ে আমার দুচোখ অন্ধ করে দিলো চিরদিনের জন্য । এরপর কি হলো জানি না জ্ঞানহীন আমাকে বহুদূরের মাঠে ফেলে দিয়ে এলো......।সেই যে বীনা হারিয়ে গেল আমি আর বীনাকে খুঁজে পেলাম না।
আমি আজও বীনার খোঁজ করে বেড়াই হাটে মাঠে গান গেয়ে গেয়ে। আমি বিশ্বাস করি বীনা যেখানে থাকুক আমার কন্ঠ শুনে সে আমার কাছে ছুটে আসবেই।অনেকে বলে বীনা নাকি মারা গেছে তার লাশ নাকি করিমগঞ্জ থেকে দু মাইল দূরে এক জঙ্গলের মধ্যে পাওয়া গেছিলো। তবে আমি বিশ্বাস করি না। আমার বীনা মরতে পারে না। সে ফিরবেই....
এ পর্যায়ে এসে তরী বলল
আপনার জীবনের কাহিনী সত্যি মর্মান্তিক! আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে বীনার জন্য।
আমি চুপ করে রইলাম আসলে আমার কি বা বলার আছে আর যা বলার ছিল বলেই তো দিয়েছি সব।
তরী হচ্ছে সেই মেয়েটি যে আমায় একদিনের জন্য কিনে নিতে চেয়েছিল। বেশ নাছোড়বান্দা টাইপের মেয়ে। অনেক বুঝিয়ে আমার সাক্ষাৎকার নিতে রাজী করিয়েছে আমাকে।সে স্ট্রীট সিঙ্গারদের উপর একটা ডকুমেন্ট বানাবে সেজন্য না-কি তার তথ্য প্রয়োজন।
পরিশিষ্ট
আমরা তিনজন রাত থাকতে পথে নেমেছি। তিনজন বলতে আমি, জামাল আর বীনার মা। চলছি অজানার উদ্দেশ্যে।গন্তব্য কোথায় জানি না।শুধু জানি এখান থেকে যেতে হবে। দূর বহু দূরে।
নতুন করে অতীতের মুখোমুখি হতে চাই না বলে এই পথ চলা।
তরী মেয়েটি আমার বাবার দ্বিতীয় পক্ষের বড় মেয়ে। সেই সূত্রে সে আমার বোন।মেয়েটি অসম্ভব বুদ্ধিমতি।
আমার ঘরে টাঙানো আমার ছোট বেলার ছবি ও একটি লকেট ও আমার বাবা মায়ের নাম জেনে নিয়ে কি করে কি করে সে আমার পরিচয় সূত্র খুঁজে বের করে ফেলেছে। একে কি দৈবাৎ ঘটনা বলে না-কি অন্য কিছু কাহিনি আছে কে জানে? আসলে আমি জানতেও চাই না। কোন কোন অতীত জীবনের জন্য বোঝা হয় আমি সেই বোঝা বয়ে নিয়ে বেড়াতে চাই না। একেবারেই না।
যথেষ্ট অবাক হবার মত ঘটনা। আমি বাকরুদ্ধ হয়েছি। প্রথমে তরী অবশ্য কিছুই জানাতে চায় নি। আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে চেয়েছে,অনেক অনুরোধ করেছে।কিছু একটা সন্দেহ হওয়াতে আমি কৌশলে কথা বের করে কৌশলী হয়েছি।
আমার এই একলা আকাশ একাই থাকুক কি দরকার মায়া বাড়িয়ে এত। যে জীবন ছেড়ে এসেছি সে জীবনে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয় তাছাড়া জামাল আর বীনার মায়ের দায়িত্বও আমার উপর। আমার একলা আকাশে ওরাই দুটি তারা।বিশেষ করে বীনার মা আমার ওস্তাদের স্ত্রী।বিপদের দিনের বন্ধু ই প্রকৃত বন্ধু এখানে অন্য কোন কিছু ভাববার অবকাশ আমার নেই । তবুও....
"ডেকো না আমারে তুমি কাছে ডেকো না।দুরে আছি সেই ভালো নিয়ে বেদনা।তুমি ডেকো না....."
শেষ
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
"ডেকো না আমারে তুমি কাছে ডেকো না....."
ছবিঃ ময়না মতি (১৯৬৯ ইং)
কন্ঠঃবশির আহম্মেদ
কথাঃ সৈয়দ শামসুল হক
সুরঃ বশীর আহমেদ
০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:০৯
ইসিয়াক বলেছেন: মুরুব্বি,
আমি লিখি আমার মত। ভালো লাগলে পড়বেন না লাগলে নাই। কেউ তো আপনাকে ঘাড় ধরে বলছে না, এই পড় পড় পড়।
কেন খামাখা সুড়সুড়ি দিতে আসেন? করতে পারেন নাতো কিছু, আমি জানি। খালি জ্বালাতন।
২| ০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ৮:৪৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ছোট করে না লিখলে এতো বড় গল্প পড়ার সময় কোথায়?
০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:০৩
ইসিয়াক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
গল্পটা পড়তে দশ মিনিটের বেশি সময় লাগার কথা না।
আমি সাধারণত বড় লেখা যদি পড়বো বলে ঠিক করি তো সেক্ষেত্রে ভেঙে ভেঙে পড়ি সময় সুযোগ মত। তারপর মন্তব্য করি।
আপনিও সেভাবে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
শুভকামনা রইল।
৩| ০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:৪০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জীবন সংগ্রাম।
০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:০৩
ইসিয়াক বলেছেন: জীবন তো এমনই।
৪| ০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:৫৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কষ্টের্ জীবন সংগ্রাম
ভালো লাগলো গল্প
০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:০৫
ইসিয়াক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু।
পাঠ মন্তব্য ও লাইকের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
শুভকামনা সতত।
৫| ০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসিয়াক,
ঘটনার ঘনঘটা গল্পে। তবে প্রথম পর্বের লেখার মতো মুন্সিয়ানাটা একটু কমে গেছে এই পর্বে। তাড়াহুড়ো করেছেন বোঝা যায়।
তবুও একটানে পড়ে যাওয়ার মতো।
০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৪৪
ইসিয়াক বলেছেন: মন্তব্যে ভালো লাগা জানবেন প্রিয় ব্লগার।
গল্পটা একটু অন্যভাবে শেষ করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু কি খেয়াল হলো এই অংশটুকু পরিবর্তন করলাম। এদিকে সকালে পোস্ট দেবো বলে ফেলেছি সময় নেই। তাড়াহুড়োটা লেখায় ফুটে উঠেছে।
শুভকামনা রইলো।
ভালো থাকুন সব সময়।
৬| ০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:২৩
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি বাক্য গঠন করতে জানেন না, কি লিখছেন, পড়ার কি আছে এখান? লেখার শুরুতে ২টি 'অসম্পুর্ণ বাক্য'; আপনার লেখাকে ঠিক করত হলে, শুরুর ৩ বাক্যকে ১ বাক্যেে পরিণত করত হবে, কমপক্ষে!
ব্গার ড: এম এ আলীকে আপনার এই সমস্যা দেখান।
০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৫১
ইসিয়াক বলেছেন: পড়ার কিছু নেই তো আমার পোস্টে আসেন কেন? বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনার কোন মন্তব্য বা সাজেশন আমার চাই না।
আপনি আপনার পাণ্ডিত্য অন্য পোস্টে গিয়ে ফলান।
দ্বিতীয় বার আমার পোস্টে বিরক্ত করতে এলে আপনাকে সোজা ঘাড় ধরে বের করে দিবো। মনে রাখবেন।
৭| ০৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৫৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহারে বেচারা শৈশবে মায়ের নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া, সৎ মা কর্তৃক লাঞ্ছিত হয়ে গৃহত্যাগ, যৌবনে বিনাকে দস্যুদের কাছে হারানো, দুষ্কৃতীদের দ্বারা খেজুর কাঁটা দিয়ে নিজের চোখকে অন্ধ করে দেওয়া এবং সবশেষে বৈমাত্রেয় বোন তরী কর্তৃক ডকুমেন্টেশন করার মায়াবী আবেশে এক নিঃসঙ্গতার 'একলা আকাশ' বেশ প্লবতা পেয়েছে।
৮| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১:৩৯
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনিগল্প গল্প করছেন, শুরুতেই ভুল।
৯| ০৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমার জীবনে পড়া সেরা গল্প গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এবার হইলো?
নাউ প্লিজ স্মাইল
সমালোচনা পজিটিভলি নেয়া একজন সেরা গল্পকারের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
আরো গল্প লিখুন।
১০| ০৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:০৫
অপু তানভীর বলেছেন: অন্ধ গায়কের জীবন কাহিনী পড়ে মনে হল যে জীবনে যেন সব দুঃখ এই একটা মানুষের কপালেই লেখা ছিল । এতো দুঃখ আসলে একজনের কপালে দেওয়া ঠিক না ।
প্রথম পর্ব যেটা ভেবেছিলাম, দ্বিতীয় পর্বে তার ধারে কাছ দিয়েও যায় নি । মানে একেবারেই অন্য রকম করে লিখেছেন !
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ৭:৪৬
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার লেখার ১ম বাক্যটা, ইহা কি সম্পুর্ণ বাক্য, নাকি অসম্পুর্ণ বাক্য? ২য় বাক্যেরর অবস্হাও একই রকম। আপনি যদি অসম্পুর্ণ বাক্য কাকে বলে, তা' না'বুঝেন, কারো থেকে জেনে নিয়েন।