নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হতাশাগ্রস্ত মানুষের কদর্যতাই একমাত্র অস্ত্র।

ইসিয়াক

যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।

ইসিয়াক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২১

এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে
মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।
এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয় বারংবার।
এখনো চাপ চাপ ব্যথা আমার হাড়ে, মাংসে ,অস্হি মজ্জায়,শরীরের প্রতিটি গিরায় গিরায়।

ওরা আমায়!- ওরা আমায়!!
জানো , আমি ওদের ভাই ডেকেছিলাম।
তারপরে বাবাও ডেকেছি!
দাদুও ডেকেছি হয়তো তীব্র অশালীন ব্যথার ঘোরে!!
আমার মনে নেই।
বাঁচবার আকুতিতে আর কী কী করেছি।
আমার মনে নেই।
মনে নেই!!মনে নেই!!!

আমি অনেক কিছুই চাইনি। চাইনি মনে রাখতে।
চাইনি ! চাইনি!! চাইনি!!!

আমি এমন জীবন চাইনি।
এতটা পাশবিকতা ,বিভৎসতা কি করে মানুষ বুকে ধারণ করে?
ওরা কি কোন মায়ের সন্তান নয়?
ওরা কি কোন বোনের ভাই নয়?
ওরা কি কোন....
একটা মানুষের স্বপ্ন, সাধ, আহ্লাদ কিভাবে তছনছ করতে তা ওরা জানে।
আমার অসহায় মুখের দিকে তাকিয়ে
ওদের কি একবারও আপনজনের কথা মনে পড়েনি?
নিজের মা বা বোনের কথা।
অথবা মেয়ের কথা?

ছি!ওয়াক থুহ!!
নরপিশাচের দল।
ওরা নাকি আমার ধর্মের ভাই!!
ধর্ম ? হায় ধর্ম!!
কি হবে ধর্ম দিয়ে।
ধর্ম মানে তো ওই হিংসা, হানাহানি, বিভেদ।
ধর্মে আমার আর বিশ্বাস নাই।
এই ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত হলো দেশ।
রাতারাতি লক্ষ কোটি মানুষ হলো নিঃস্ব ,অসহায়, ভিক্ষুক ।
এক কাপড়ে দেশান্তরি হলো মান, সম্ভ্রম, জীবন বাঁচাতে
ভিটামাটি হারা হতে হলো।
ধর্মের নামে চলে কুশাসন, হত্যা, খুন পাশবিক অত্যাচার, অনাচার, অরাজকতা ।
এত পাপ তুমি কি করে সইলে বিধাতা!
এত পাপ তুমি কি করে সও?
দেশ তো স্বাধীন হলো ।
আমাদের মত অভাগিনীদের কী হবে?
সমাজ কি মেনে নেবে?
নিয়েছে কখনো?
তুমি কি আমায় বলতে পারো ?
এখন তাহলে আমি কোথায় যাবো?
কার কাছে যাবো?

©রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.